সম্প্রতি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোনো রকম ভোটাভুটি
ছাড়াই ডিক্রি জারির মাধ্যমে অবসরের বয়স ৬২ থেকে
বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে
বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির যে
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে
ফরাসি জনগণের মধ্যে। টানা দুইদিন যাবত চলছে প্রতিবাদ। রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদকারীরা।
রয়টার্স
টেলিভিশনের ফুটেজে শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে
দেশটির জাতীয় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে প্যারিসে প্লেইস
দে লা কনকর্ডে জড়ো
হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদুনে
গ্যাস ছুড়তে দেখা গেছে, জানিয়েছে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ সময় সারিবদ্ধভাবে
দাঁড়ানো দাঙ্গা পুলিশের সামনে যুদ্ধংদেহী ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু আন্দোলনকারীকে
‘ম্যাক্রোঁ, ক্ষমতা ছাড়ো’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। আরটিএল
রেডিওর জন্য একটি জরিপে
অংশ নেওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে
আটজনেরও বেশি ভোটার পার্লামেন্টে
ভোট এড়াতে সরকারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের ৬৫
শতাংশ বলেছেন, তারা চান ধর্মঘট
ও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকুক।
৫২ বছর বয়সী
মনোবিজ্ঞানী নাথালি আলকিয়ে বলেছেন, “ভোট ছাড়া অগ্রসর হওয়ার মানে হচ্ছে গণতন্ত্রকে অস্বীকার
করা, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় রাস্তায় যা হচ্ছে, তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করা। এটা
আর নেওয়া যাচ্ছে না।”
ফ্রান্সের
প্রধান শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নগুলোর একটি বিস্তৃত জোট
জানিয়েছে, তারা পেনশন আইনে
পরিবর্তন নিয়ে সরকারকে পিঁছু
হটতে বাধ্য করার চেষ্টায় জনগণকে
সংগঠিত করা অব্যাহত রাখবে।
তারা আগামী শনি ও রোববার
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিক্ষোভ করার
পরিকল্পনা করছে, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে শিল্পকারখানায় কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সরকারের
পেনশন সংস্কার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চলতি বছরের মধ্য
জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ৮
দিন বিক্ষোভ দেখেছে ফ্রান্স; স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প-কারখানাগুলোতে নানান কর্মসূচিও হয়েছে; তবে বৃহস্পতি আর
শুক্রবারের অস্থিরতা লোকজনকে ২০১৮ সালে জ্বালানির
দাম বৃদ্ধিকে ঘিরে হওয়া ‘ইয়োলো
ভেস্ট’ বিক্ষোভের কথা স্মরণ করিয়ে
দিয়েছে। সেবারের আন্দোলন ম্যাক্রোঁকে কার্বন করের বিষয়ে আংশিক
পিঁছু হটতে বাধ্য করেছিল।
ফ্রান্সে এমন
জোরালো আন্দোলন যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এবারও জনগণের স্বার্থবিরোধী এবং বিতর্কিত এমন
সিদ্ধান্ত থেকে ম্যাক্রোঁকে সরে আসতে হবে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবসর বয়স বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন