ভারতে বিতর্ক উঠেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে। ইভিএমে কারচুপি সম্ভব বলে দেশটির বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে নির্বাচন
কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যার দাবি তুলেছেন তারা। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন বিজেপির বক্তব্য, পরাজয়ের ভয়েই এই তৎপরতা বিরোধীদের।
লোকসভা ভোটের আগে ইভিএম প্রশ্নে সংশয় দূর করতে বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠক ডেকেছিলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি তথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।
বৈঠক শেষে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল বলেন, “পৃথিবীতে এমন কোনও যন্ত্র নেই, যাতে কারচুপি করা সম্ভব নয়। তাই ইভিএম সংক্রান্ত সংশয়গুলোর লিখিত জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে চাইব।”
কমিশনের দাবি, প্রায় এক দশক আগে
সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়ে দিয়েছিল, ইভিএমে বাইরে থেকে কোনও প্রযুক্তি ব্যবহার করে (ইন্টারনেট, ব্লুটুথ) কারচুপি অসম্ভব।
তারপরেও কেন সংশয়, সেই প্রশ্নে বৈঠকে উপস্থিত সিপিএম নেতা নীলোৎপল বসু বলেন, “প্রথমে বলা হয়েছিল ইভিএম কীভাবে কাজ করবে, তা একবারই ঠিক
করা (প্রোগ্রামিং) যাবে। কিন্তু পরে কমিশন জানায়, সেটি একাধিকবার করা সম্ভব। ফলে প্রশ্ন উঠেছে।”
ইভিএমের গণনা মেলাতে সম্প্রতি তার সঙ্গে কাগজের স্লিপ-তথা ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রায়াল (ভিভিপ্যাট) এর ব্যবহারও শুরু
হয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও প্রশ্ন
আছে বিরোধীদের।
কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেন, “প্রথমে বলা হয়েছিল, ইভিএম একটি স্বতন্ত্র মেশিন। ভিভিপ্যাট জুড়ে দেওয়ায় সেটি আর স্বতন্ত্র মেশিন
রইল না। ফলে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, ভিভিপ্যাটের মাধ্যমে মূল ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। তাছাড়া বলা হচ্ছে, যন্ত্রে প্রার্থীর নাম ও চিহ্ন প্রবেশ
করানো হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।”
বিরোধীদের মতে, এমন পরস্পর-বিরোধী তথ্যের ফলেই সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই কমিশনের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য অনিল বলুনী এই প্রসঙ্গে বলেন, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই এখন থেকে অজুহাত তৈরি শুরু করেছেন বিরোধীরা। তারা জিতলে ইভিএমে সমস্যা থাকে না। হারলেই ইভিএমের দোষ!”
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন