ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দ্বিতীয় দফার ভোটে নির্ধারিত হবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ!

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৩


Thumbnail দ্বিতীয় দফার ভোটে নির্ধারিত হবে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ!

আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন তুরস্কের জনগণ। ভোট গণনা শেষের দিকে। এরই মধ্যে ৯৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এরমধ্যে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ। অন্যদিকে ৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ওগান। প্রথম দিকে এরদোগান বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে তিনি পিছিয়ে পড়েন।

নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পষ্ট ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছেন। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় খুব সম্ভবত রান-অফ নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছে তুরস্ক। অর্থাৎ দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় আবারও ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।। সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার তুরস্কের নাগরিকরা দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। আর এই নির্বাচনেই নির্ধারিত হতে চলেছে দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ।

তুরস্কের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, রোববার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটদান শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট গণণা সম্পন্ন হয়েছে। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান স্পষ্ট ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছেন।

নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তার প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলোর প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে সিনান ওগান নামে তৃতীয় অপর প্রার্থী এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট।

এর আগে বুথফেরত জনমত জরিপে, এবারের নির্বাচনে দেশটির ছয়-দলীয় জোটের নেতা ও এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কেলিকদারোগলোকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। গত শুক্রবারের দু’টি জনমত জরিপে সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট তিনি পেতে যাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছিল।

তবে নির্বাচনের সকল আগাম জরিপের পরিসংখ্যান উল্টে দিয়ে ভোটে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। অবশ্য নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে বিজয়ী হতে পারবেন না।

মূলত রোববারের এই নির্বাচনে যদি কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না জিততে পারেন তাহলে দুই সপ্তাহ পর অর্থাৎ আগামী ২৮ মে আবারও নির্বাচন (রান অফ) অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হলে তাতে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলো। তিনি বলেছেন, তিনি প্রাথমিক ফলাফলের বিরোধিতা করছেন না, তবে কোনও পরিসংখ্যান তিনি হাজির করেননি এবং ভোটের দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে রাখার দাবিও করেননি।

এর পরিবর্তে তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনে দ্বিতীয় রাউন্ডে জিতব’। খুব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় কেলিকদারোগলো আরও বলেন, এরদোয়ান এবং তার একে পার্টি তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি।

তার দাবি, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জনগণের কাছ থেকে আস্থার ভোট পাননি। সমাজে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ৫০ শতাংশের বেশি।’

এদিকে নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলছেন, আমরা জানি না প্রথম দফায় নির্বাচন শেষ হতে চলেছে কিনা।

তিনি বলেন, ‘প্রথম রাউন্ডে নির্বাচন শেষ হতে চলেছে কিনা আমরা জানি না। আমাদের ভোটাররা যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা সেটাকেও সম্মান করব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা এই রাউন্ডেই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে (নির্বাচনী কর্মকাণ্ড) শেষ করব। এখনও ভোট গণনা বাকি আছে।’

তুরস্কের পার্লামেন্টে তার জোট পিপলস অ্যালায়েন্সকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য এরদোয়ান তার ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জোটে তার একে পার্টি, অতি-জাতীয়তাবাদী দল এমএইচপি-সহ জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামি দলগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


দ্বিতীয় দফা   ভোট   প্রেসিডেন্ট   এরদোয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ

প্রকাশ: ০৮:৪২ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত প্রকাশ করেছে। আগামী মে মাসের শেষ দিকে জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক আরবি সংবাদ টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। বিশেষ এই সম্মেলনে ইইউ’র প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বরেল।

সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইইউর সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্রোভেনিয়া সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

এর আগে গত মার্চে দেশ তিনটি জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে তারা। 

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ইইউর চারটি দেশকে বলে, তাদের এই উদ্যোগ 'সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার' হিসেবে গণ্য হবে এবং যা প্রজন্মের পুরনো দ্বন্দ্বের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস করবে।

এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী  পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন তিনি এবং বিশ্বাস করেন, ইইউ’র মধ্যে শিগগিরই সমালোচনা হবে, যা একই অবস্থানে পৌঁছাতে কয়েকটি সদস্যকে সহায়তা করবে।


ফিলিস্তিন   স্বীকৃতি   ইইউ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রুডোর সামনেই খালিস্তানপন্থী‌ স্লোগান, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব ভারতের

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তানপন্থী’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর সোমবার ( ২৯ এপ্রিল ) কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে ভারত। খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার কূটনীতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা যুক্ত হলো।

এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’

কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ রবিবার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়।

ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।

ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।


কানাডা   প্রধানমন্ত্রী   জাস্টির ট্রুডোর   তলব   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এল নিনো

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।

মিয়ানমারে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই দিনে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার নেই।’

মিয়ানমারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে, এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে গত বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এশিয়া ও দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেন চার্চিল বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সাধারণত এপ্রিল মাসে উষ্ণ থাকে। কিন্তু এল নিনো (আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা) ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের তাপমাত্রাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর গত শনিবার জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

তাপপ্রবাহে ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা অনন্ত (৩৭) বলেন, ‘জীবনে এত গরমের অভিজ্ঞতা হয়নি। খুবই অস্বস্তিকর। এই গরম আপনার কাজের সমস্ত শক্তি নিংড়ে নেয়।’

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তাপপ্রবাহ বেশি দিন থাকতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের লামপাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, তাপপ্রবাহে দেশটিতে চলতি বছর ইতিমধ্যে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গরমের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার পুরো চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া গরমে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। প্রচণ্ড গরম ধীরে ধীরে বড় ধরনের নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে।

এল নিনো   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন