ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কে বসবেন তুর্কি মসনদে?

প্রকাশ: ১১:১৪ এএম, ১৭ মে, ২০২৩


Thumbnail কে বসবেন তুর্কি মসনদে?

এ যেন কবি গুরু রাবিন্দ্রানাথের ছোট গল্পের মতো শেষ হয়েও হইল না শেষ! গত ১৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলে গেল দ্বিতীয় রাউন্ডে। কে বসবেন তুর্কি মসনদে? কে হবেন অধিপতি- ২৮ মে’র পরবর্তী ভোট উৎসবেই তা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে। প্রথম রাউন্ডের ফলাফলে তুরস্কের ‘লৌহমানব’ প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান (৬৯) এগিয়ে থাকলেও তিনি এখনও বিজয়রেখাকে অতিক্রম করতে পারেননি। মাত্র ৪৯% ভোটের দূরত্ব ছুঁতে পর্যন্ত পারেননি নির্বাচন কমিশনের ৫০% সীমানার ‘বিজয়রেখা’।

একই অবস্থা তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ‘তুরস্কের গান্ধী’ কামাল কিলিচদারোগ্লুরও (৭৪)। ভোটের দৌড়ে তিনি ৪৪.৮৯ শতাংশে পৌঁছেছে । দুজনই এখন তৈরি হচ্ছেন দ্বিতীয় দফার দৌড়ে। তবে এবারের নির্বাচনী দৌড়ে একটা বড় ভিন্নতা চোখে পড়ছে দুই প্রার্থীর দৌড়েই। প্রথম দফার মতো দুজনের কেউই আর নিজেদের ভোট ব্যাংকের ওপর আস্থা নিয়ে মাঠে নামছেন না। বয়সে প্রবীণ দুই প্রার্থীই ‘রানার’ খুঁজছেন! সিনান ওগান (৫৬)। প্রথম রাউন্ডের ফলাফলে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এটিএ জোটের প্রার্থী এই অভিবাসীবিদ্বেষী নেতার হাতেই এখন ‘দুজনের ভাগ্য’।

কারণ প্রথম দফার দৌড়ে তার হাতে এসেছে ৫.১৭ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় দফাতে এমন-তেমন হলে সিনানই হবেন ‘কিং মেকার’। যার হাত ধরবেন তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট। 

দেশটির সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল (ওয়াইএসকে) সোমবার ঘোষণা করেছে, রোববারের প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনে সব ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছে (যদিও এখন পর্যন্ত অল্পসংখ্যক বিদেশি ব্যালটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি)। এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ৪৯.৫১% ভোট পেয়েছেন এবং নিকটতম বিরোধী জোটের প্রার্থী কিলিচদারোগ্লু ৪৪.৮৯% ভোট পেয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হতে হলে ৫০% এর বেশি ভোট পেতে হবে।

কোনো প্রার্থীই তা নিশ্চিত করতে না পারায় ২৮ মে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনের জন্য নির্ধারণ করেছে। নির্বাচনের ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট যে, এরদোয়ান আনাতোলিয়ান প্রদেশগুলোর কেন্দ্রস্থলে তার সমর্থনের ভিত্তি বজায় রেখেছিলেন; যদিও তিনি দক্ষিণ-পূর্বে কিছুটা সমর্থন হারিয়েছেন। এছাড়াও বড় শহরগুলোতেও তার অবস্থান আগের মতোই ছিল। তবে সব কিছু কাটিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভূমিকম্পকবলিত অঞ্চলগুলোতে তার অবস্থান চোখে পড়ার মতো। তবুও, মেগাসিটিতে প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় ভোটের ফলাফলে বিরোধীদের বেশি সমর্থন পরিলক্ষিত হয়েছে। 

ইস্তাম্বুলে কিলিচদারোগ্লু ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যেখানে এরদোয়ান ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এমনকি আংকারাতে কিলিচদারোগ্লু ৪৭%, আর এরদোয়ান ৪৬% ভোট পেয়েছে। যা দেখে এটা স্পষ্ট যে, এরদোয়ানবিরোধীরা আঙ্কারায়ও তাদের বিজয় নিশ্চিত করেছে।

এছাড়াও, ইজমির, তুরস্কের আরেকটি মেগাসিটি, যা সবসময়ে সিএইচপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল, এবারের নির্বাচনে এরদোয়ানের কিছু এলাকায় একটু বেশি ভোট পেয়েছেন। সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যে কুর্দিদের কামাল কিলিচদারোগ্লুকে সমর্থন করা। ঐতিহাসিকভাবে তুর্কির কুর্দিরা সিএইচপির রাজনীতি পছন্দ করে না কিন্তু এবারের নির্বাচনে এই (কুর্দি) অঞ্চলে কিলিচদারোগ্লুর পক্ষে প্রায় ৭২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদিও, কিলিচদারোগ্লুর দল সিএইচপি এখান থেকে সংসদে খুব বেশি আসন পায়নি।

কারণ কুর্দিপন্থী রাজনৈতিক দল, এইচডিপির সাথে এভাবেই চুক্তি হয়েছিল। সংসদীয় আসনগুলোতে, ক্ষমতাসীন একে পার্টি পার্লামেন্টে সর্বাধিক আসন অর্জন করেছে, যদিও ২০১৮ এর নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে তুলুনা করলে বাস্তবে তারা বেশ কয়েকটি আসন হারিয়েছে এবং তাদের ভোটার সংখ্যাও পূর্বের থেকে কমেছে। তা সত্ত্বেও, এরদোয়ানের জোট এখনো ৬০০ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা (৩২২ আসন) অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সংসদে একে পার্টির আসন সংখ্যা ২৯৬ থেকে কমে ২৬৬ হয়েছে। অন্য দিকে সিএইচপি (তাদের জোটের সাথে) ১৬৬টি আসন জিতেছে, যদিও তারা একা এই আসনগুলো পায়নি।

এবারের প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচন মূলত এরদোয়ান আর কিলিচদারোগ্লুর মাঝে পাঁচ মিলিয়ন উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসন, মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রতিরক্ষা নীতি ও কুর্দি সমস্যার মতো চারটি কারণের ওপর নির্ভর করে বিভক্ত করা হয়েছিল। তবে এটা স্পষ্ট যে, বেশির ভাগ তুরস্কের জনগণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যা হোক না কেন এরদোয়ানকেই সমর্থন করছে। আর তার অন্যতম কারণ হলো এরদোয়ানের প্রতিরক্ষানীতি।

আর এজন্যই সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলে শরণার্থী সমস্যা, অর্থনৈতিক মুদ্রাস্ফীতি এবং নিরাপত্তা সমস্যার সমাধানে, মানুষ বিরোধী জোটের চেয়েও তাকে বিশ্বাস করে। প্রকৃতপক্ষে, যে স্লোগানটি বিরোধী জোটকে একত্রিত করেছিল-অধিকার, আইন, বিচার (হাক, হুকুক, আদালত), তা মাঠে খুব বেশি একটা কার্যকর হয়নি।

কারণ বিরোধী জোটের একটা বিশাল অংশই তাদের মূল উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বুঝতে পারেনি- আর তাদের বার্তাও মানুষের কাছে স্পষ্ট ছিল না। এরদোয়ানের জোট নিজেদের বিজয়ী হিসাবে দেখছে। তাদের বর্ণনায়, সাতটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের গড়ে ওঠা কৌশল স্পষ্টতই ব্যর্থ হয়েছে। যার অন্যতম কারণ হিসাবে তারা বিরোধী দলের কুর্দিপন্থী রাজনৈতিক দল, এইচডিপির সাথে জোটকে দেখাচ্ছে। সাধারণত, তুরস্কের কট্টর জাতীয়তাবাদীরা এমন কোনো রাজনৈতিক দল দেখতে চায় না- যারা এইচডিপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনীতি করে।

এছাড়াও, মুহাররেম ইঞ্জের ভোটাররাও বিরোধী দলের তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকে দমন করার পথ হিসাবে এরদোয়ান আর তার রাজনৈতিক জোটের পক্ষে ভোট দিয়ে থাকতে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেক বিশ্লেষকেই মুহাররেম ইঞ্জে আর মেরাল আকসেনারের কথাকে সামনে এনে এটাই বলছে যে, কামাল কিলিচদারোগ্লু তাদের জন্য সঠিক ব্যক্তি ছিলেন না।

কারণ তিনি গত ২০ বছরে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে কখনও নির্বাচনে জয়ী হননি। যার মূল কারণ ছিল তার পলিসিগত দুর্বলতা আর ১৯৯৯ সালে তুরস্কের সামাজিক নিরাপত্তা ইনস্টিটিউশনের (এসএসকে) সংকটের সময় তার ব্যর্থ ভূমিকা। যদিও নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ড অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তবে তুরস্কের রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে যা মনে হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে এরদোয়ানই জয়ী হবেন, কারণ তার প্রয়োজন মাত্র ০.৫%। যেখানে কিলিচদারোগ্লুর প্রয়োজন ৫% ভোট। 

আরেকটা বিষয় স্পষ্ট যে, ডানপন্থী, ধর্মীয় এবং রক্ষণশীল রাজনৈতিক দলগুলোর জোট (তেমেল কারামোল্লাওলু, আহমেত দাউতওলু এবং আলী বাবাজান) প্রধান বিরোধী দল-সিএইচপিতে কৌশলগত ছাড়া ভোটের রাজনীতিতে খুব বেশি অবদান রাখতে পারেনি। ধারণা করা হয়েছিল, ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামওলু আর আংকারার মেয়র মনসুর ইয়াভাসের জনপ্রিয়তা ব্যালট বাক্সে অনেক বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বাস্তবে আংকারা আর ইস্তাম্বুলের বাইরে আনাতোলিয়া অঞ্চলে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি এবং তাদের সামাজিক মিডিয়ার প্রভাব খুব বেশি একটা কার্যকর হয়নি।

এ কারণেই সিনান ওগানের ৫ শতাংশ ভোটের হিসাব তাদের দ্বিতীয় রাউন্ড নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ওগানই এখন তুরস্কের রাজনৈতিক ‘গেম চেঞ্জার’। তার প্রভাব মূলত তরুণদের ওপর। যা হোক তিনি কার সাথে দরকষাকষি করবেন তা স্পষ্ট নয়, তবে জনমত জরিপে যা বুঝা যাচ্ছে তাতে খুব সম্ভবত তার ভোটাররা কট্টর জাতীয়তাবাদী হওয়ায় এরদোয়ানের দিকেই ঝুঁকতে পারেন তিনি।


তুর্কি মসনদ   এরদোয়ান   কিলিচদারোগ্লু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এল নিনো

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।

মিয়ানমারে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই দিনে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার নেই।’

মিয়ানমারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে, এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে গত বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এশিয়া ও দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেন চার্চিল বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সাধারণত এপ্রিল মাসে উষ্ণ থাকে। কিন্তু এল নিনো (আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা) ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের তাপমাত্রাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর গত শনিবার জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

তাপপ্রবাহে ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা অনন্ত (৩৭) বলেন, ‘জীবনে এত গরমের অভিজ্ঞতা হয়নি। খুবই অস্বস্তিকর। এই গরম আপনার কাজের সমস্ত শক্তি নিংড়ে নেয়।’

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তাপপ্রবাহ বেশি দিন থাকতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের লামপাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, তাপপ্রবাহে দেশটিতে চলতি বছর ইতিমধ্যে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গরমের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার পুরো চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া গরমে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। প্রচণ্ড গরম ধীরে ধীরে বড় ধরনের নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে।

এল নিনো   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পদত্যাগ করলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফ পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।

স্কটিশ গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট করে স্কটল্যান্ডে সরকার গঠন করেছিল হামজার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি। তবে এই দলের সঙ্গে সম্প্রতি তার দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির জোট ভেঙে যায়। এরপর তাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দুটি অনাস্থা ভোটের ডাক দেন বিরোধীরা। একটি ফার্স্ট মিনিস্টার ও আরেকটি স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির সরকারের বিরুদ্ধে। এসব অনাস্থা ভোটে হামজা হেরে যেতে পারেন, এটা অনেকটা নিশ্চিত। তাই অনাস্থা ভোটের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি।

সোমবার এক ভাষণে হামজা বলেছেন, আমি আমার মূল্যবোধ ও নীতি নিয়ে ব্যবসা করতে চাই না। অথবা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যার-তার সঙ্গে চুক্তি করতে চাই না।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে হামজা বলেছিলেন, বিরোধীদের ডাকা অনাস্থা ভোটে তিনি জিততে পারবেন বলে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে সোমবারের মধ্যেই নিজের সংখ্যালঘু সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

গত বছর স্কটল্যান্ডের ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ। এরপর সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম হিসেবে ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়েছিলেন হামজা।


পদত্যাগ   স্কটল্যান্ড   ফার্স্ট মিনিস্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রেকর্ড তাপমাত্রায় মিয়ানমার

প্রকাশ: ০৭:৫৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়  ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮.৭৬ ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তথ্যটি জানিয়েছে, মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় ম্যাগওয়ে রাজ্যের চাউক শহরে তাপমাত্রা পারদ ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ৫৬ বছর আগে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর মিয়ানমারের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একই দিন দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ছুঁয়েছে। এছাড়া দেশটির আরেক শহর মান্দালয়ে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের শুষ্ক সমতলে অবস্থিত চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'এখানে অত্যন্ত গরম এবং আমরা সবাই বাড়িতেই ছিলাম।' নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমরা কিছুই করতে পারছি না।' 

দেশটির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা এপ্রিলের গড়ের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) বলেছে,  ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। 


রেকর্ড   তাপমাত্রা   মিয়ানমার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৭:৩০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিহারের বাগুসারাই এলাকায় সোমবার এক নির্বাচনি র‍্যালিতে অংশ নেন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত শাহ (৫৯)। র‍্যালি শেষে সেখানে একটি হেলিকপ্টারে উঠেন তিনি। 

উড্ডয়নের সময় সেই হেলিকপ্টার কিছু সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডান দিকে কাত হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। মাটিতে আছাড় খাওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন পাইলট।  

নিতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের সঙ্গে মিলে বিহারে ১৭টি আসনে লড়াই করছে বিজেপি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে গত ১৯ এপ্রিল এখানে চার আসনে নির্বাচন হয়। এরপর গত শুক্রবার দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন হয় আরও ৫ আসনে।


দুর্ঘটনা   অমিত শাহ   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন