ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এরদোয়ানের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ৩০ মে, ২০২৩


Thumbnail এরদোয়ানের বিজয়, বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়।

তুরস্কে গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয় শত বছরের সবচেয়ে গুরুত্ব নির্বাচন। এতে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, কামাল কিলিচদারোগলু ও সিনান ওগান। তুরস্কের এই নির্বাচন শুধু তুর্কি জনগণের জন্য নয়, বরং বিশ্বের প্রধান পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সকল জল্পনা ছাপিয়ে ভোটে বিজয়ী হন বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তুরি দিয়ে নিজের জয় ছিনিয়ে আনলেন এরদোয়ান। দেশি-বিদেশি নানা ধরনের পাহাড়সম চাপকে মোকাবিলা করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা নির্বাচনে শীর্ষে থেকেই শেষ করলেন। ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে না পারলেও দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থেকে শুরু করবেন।

নির্বাচনের আগেই অভিযোগ উঠেছে, তুরস্কে কিলিচদারোগলু নেতৃত্বাধীন রিরোধী শিবিরকে সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। সুতরাং তুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের জয় বা পরাজয় যুক্তরাষ্ট্র ও এর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মাথাব্যথারও কারণ ছিলো। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার সময় বিশ্বের যে কয়েকজন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান নিজ দেশের রাজনীতিতে ‘একনায়ক’ হিসেবে চিত্রিত করতে পেরেছেন, এরদোয়ান তাদের একজন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে বড় এক ধাঁধাঁর নাম এরদোয়ান। 

তুর্কি নির্বাচন নিয়েপায়তারা করে মার্কিন কর্মকর্তারা। এরদোয়ান যেনো ক্ষমতায় না আসে সে জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা কওরে বাইডেন প্রশাসন। পশ্চিমের দেশগুলোর বহু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা তুরস্কের এরদোয়ানের ওপর বিরক্ত। তাকে নিয়ে তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করেন যে, পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের দূরত্ব বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ এরদোয়ান। তিনি সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তার পথে হেঁটেছেন।'

পশ্চিমা নেতারা এরদোগানের বিদায় দেখে খুশি হবেন। পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ অনুসারে, এরদোগান রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অর্জনের মাধ্যমে ন্যাটোর নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করেছেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ অবরুদ্ধ করে ন্যাটো জোটকে হতাশ করেছেন, বারবার শরণার্থী দিয়ে ইউরোপকে প্লাবিত করার হুমকি দিয়েছেন এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রিসের দিকে ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বক্তব্য ছুড়েছেন। ওয়াশিংটনের সাথে আঙ্কারার সম্পর্ক এমন পর্যায়ে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে যেখানে শীর্ষ তুর্কি কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এরদোগানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন।

কিন্তু এরদোয়ান আমেরিকাকে তুরি মেরে তার নিজয় ধজা উড়িয়েছেন। এটাকি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির আরও একটা পরাজয়। আমেরিয়া যা চায় বিশ্ব এখন তা হয় না। এই তুরস্ক নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা বলেছে তারা গণতন্ত্র দেখতে চায়। বিরোধী পার্টিগুলোকে একত্রিত করতে মিটিং, প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছে। যখন প্রথম দফা ভোট হয়য়ে গেলো তাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় এরদোয়ানের, পরাজয় মার্কিন কূটনীতির।

এসবের কারণ, দু্ই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ান একাধারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় মিত্র ও শত্রু, যুক্তরাষ্ট্রের পর ন্যাটোর সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় স্তম্ভ তুরস্ক এরদোয়ানের নেতৃত্বে বলকান, ভূমধ্যসাগর, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এক অনন্য নীতি নিয়ে এগিয়েছে, যা বাইডেন প্রশাসনের নীতিকে বারবারই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। অন্যদিকে, এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যতম নেতা হলেও তিনি এই জোটের মূল শত্রু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সখ্য বজায় রাখছেন। 

আবার যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পররাষ্ট্র নীতিতে চিহ্নিত সবচেয়ে বড় ‘সংকট’ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও রয়েছে এরদোয়ানোর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। শুধু তা-ই নয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মিত্র ইসরায়েলের সঙ্গে চাপান-উতোর সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ইরানের সঙ্গেও এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নীতি বদলানোর বিষয়েও চাপ দিয়ে যাচ্ছেন এরদোয়ান। সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র হিসেবে পরিচিত কুর্দিদের উপর সামরিক অভিযান চালাচ্ছেন, আবার প্রতিবেশী আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংকটেও মধ্যস্ততা করছেন, যেখানে মস্কোর প্রভাবও রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনায়ই প্রতীয়মান হয়, এরদোয়ান যেন যুক্তরাষ্ট্রের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।


এরদোয়ান   বিজয়   বিশ্ব রাজনীতি   যুক্তরাষ্ট্র   পরাজয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-শশীদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে আজ। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর, বিদায়ি সংসদের স্পিকার ওম বিড়লাসহ ভারতের একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমামালিনীর মতো গ্ল্যামার দুনিয়ার মহিরুহ। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন অ্যানি রাজা, নবনীত রানা, অরুণ গোভিল ও প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।   

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের ঘোষণার সময় দ্বিতীয় দফায় ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল লোকসভা আসনে বিএসপি প্রার্থী অশোক ভালভির আচমকা মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। 

দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে রাজ্যের উত্তরাংশের পাহাড়প্রধান এলাকা দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে। 

দ্বিতীয় দফায় ভারতের যে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। সেগুলো হলো- ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীর। 

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনে পুরো রাজ্যে ৬০ থেকে ৭৯ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারু-এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৭৭ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের চা-বাগানপ্রধান এলাকা জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, এই নারীরা সবাই তার দলকেই ভোট দিয়েছেন। 

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। চলবে প্রায় দুই মাস। ভোটপর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে। ওইদিন জানা যাবে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির নরেন্দ্র মোদির সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে, না রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআই-এর অ্যানি রাজা এবং এনডিএ-এর কে সুরেন্দ্রন। কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার উত্তরপ্রদেশের মথুরা লোকসভা আসন থেকে অভিনেত্রী-বর্তমান সংসদ-সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী হেমামালিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদায়ি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আবারও রাজস্থানের কোটা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে প্রহ্লাদ গুঞ্জালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংসদ-সদস্য শশী থারুর ফের কেরালার তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনের প্রার্থী। বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে রাজীব চন্দ্রশেখর এবং বামপন্থি পানিয়ান রবীন্দ্রনকে।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া, নজর রাখবে ভারত

প্রকাশ: ০৯:৫৮ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো সামরিক মহড়া করতে চলেছে বাংলাদেশ ও চীনের সেনাবাহিনী। আগামী মে মাসে যৌথ এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যৌথ সামরিক এই মহড়ার দিকে ভারত নজর রেখেছে। 

চীনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি কন্টিনজেন্ট যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে আগামী মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যাবে। 

বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, প্রতিবেশী দেশ কিংবা অন্যত্র এ ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সব সময় দৃষ্টি রেখে চলে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সম্ভাব্য মহড়ার খবর নিয়ে মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।'

সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলির খবরে বলা হয়েছে, দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তার ও ব্যবহারিক আদান-প্রদান বাড়াতে চীন এবং বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মে মাসে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। সে জন্য পিএলএ'র একটা দল প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে পাঠাবে।

গণমাধ্যমে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও শান্তি স্থাপনের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের যে ব্যবস্থা রয়েছে, তারই ভিত্তিতে ওই প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হবে।


বাংলাদেশ   চীন   সামরিক মহড়া   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভেনিস শহরে ঢুকতে দিতে হবে প্রবেশ ফি

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ইতিহাসে প্রথমবারের মত কোন শহরে ঢুকতে দিতে হবে প্রবেশ ফি। ভেনিস এখন পৃথিবীর একমাত্র শহর, যেখানে ঢুকতে টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ টিকিট কিনতে হয়। মূলত, ভেনিস শহরে পর্যটকদের লাগাম টানতে ৫ ইউরোর প্রবেশ ফি চালু করলো ইতালি। 

ইতালির পর্যটন শহর ভেনিস ১৬০০ বছরের পুরনো সাগরে ভাসমান। দুই দশক ধরে শহরটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটক হুহু করে বাড়ছে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় তিন কোটিরও বেশি দর্শনার্থীর আগমন ঘটে ভেনিসে। এতো মানুষের চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 

এবার চাপ কমাতে ভেনিসে ২৫ জনের বেশি পর্যটকবাহী জাহাজ প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার। আর ২৫ এপ্রিল দেশটির ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে ভেনিস নগর কর্তৃপক্ষ চালু করে ৫ ইউরোর প্রবেশ ফি।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা বিচলিত ভেনিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কারণ ছোট্ট এই শহরটিতে রয়েছে তিনশর বেশি বাংলাদেশি প্রবাসীদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

ভেনিস প্রবেশে ট্যাক্সের আওতা মুক্ত থাকবেন স্থানীয় বাসিন্দা, নগরে কর্মজীবী মানুষ, ছাত্রছাত্রী ও ১৪ বছরের নিচের শিশুরা। বাইরে থেকে আসা দেশি কিংবা বিদেশি পর্যটক বা দৈনন্দিন ভ্রমণকারী কেউ যদি এই প্রবেশ ফি পরিশোধ না করেন, তবে ৫০ থেকে ৩০০ ইউরো জরিমানার বিধান রেখেছে সংশ্লিষ্টরা।

দৃষ্টিনন্দন অপরূপ সৌন্দর্যের শহর ভেনিস। হাজার বছর ধরে স্বাধীন ঐতিহ্যবাহী রিপাবলিক ভেনিস, এখন ইতালি তথা বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর। তাই বিধি নিষেধ, কিংবা সামান্য ৫ ইউরোর ট্যাক্সের জন্য প্রকৃত পর্যটকের কাছে ভেনিস তার আবেদন কখনো হারাবে না।


ভেনিস   পর্যটক   টিকিট   ইতালি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৫৫

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর এই কারণে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তানজানিয়ার সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মাজালিওয়া বলেন, ১৫৫ জন নিহত ছাড়াও ২৩৬ জন আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, 'দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।'

এছাড়াও, বুরুন্ডিতে, ভারী বর্ষণে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। 


তানজানিয়া   বন্যা   -ভূমিধস   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: চলছে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ

প্রকাশ: ০৮:৪২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬টায়। 

এর মধ্যে ৮ কোটি ৮ লাখের বেশি পুরুষ ভোটার, নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮০ লাখের বেশি। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫ হাজার ৯২৯। ৩৪ লাখ ৮০ হাজার প্রথম ভোটার, নতুন প্রজন্মের ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লাখ। ১০০ বছরের বেশি বয়সি ভোটারের সংখ্যা ৪২ হাজার ২২৬ জন। ভোট দানের জন্য ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই পর্বেও ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে।

অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত আসন যেখানে দ্বিতীয় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে ওয়ানাড, ব্যাঙ্গালোর সাউথ, মথুরা, মহীশূর এবং তিরুবনন্তপুরম।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সেই পর্বে মোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ১০২ টি কেন্দ্রে লড়াই হয়। এদিন সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় সন্ধ্যা ৬ টায়। যেখানে মোট ভোটার ছিল ১৬ দশমিক ৬৩ কোটি।


লোকসভা নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন