ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গত এক দশকে এতো বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখেনি বাংলাদেশ!

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ০৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail গত এক দশকে এতো বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখেনি বাংলাদেশ!

গত কিছুদিন ধরে বাংলাদেশজুড়ে যে বিদ্যুৎ সংকট চলছে, তা গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। ২০১৩ সালের পর থেকে এত বড় আকারের বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য পর্যালোচনা করে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এতে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায়। তার মধ্যে জুন মাসের প্রথম থেকে শুরু হওয়া টানা বিদ্যুৎ সংকটে নাভিশ্বাস উঠছে ১৭ কোটি মানুষের এই দেশটির বেশিরভাগ জনগণের। সম্প্রতি বাংলাদেশের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, শিগগিরই এই সংকট কেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক বা গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারী দেশ। বৈশ্বিক এই শিল্পখাতে চীনের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনেরও প্রধান উৎস এই গার্মেন্ট খাত।

কিন্তু টানা বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোর উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম ৫ মাসের প্রতিদিন লোডশেডিংয়ের কারণে গার্মেন্ট খাতে যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে— তা ১১৫ দিনের সমান।

অথচ ২০২২ সালের গোটা বছর লোডশেডিংয়ের কারণে ১১৩ দিনের সমান কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্ট খাতে। জুন মাসের শুরু থেকেই সন্ধ্যার পর বা ভোরের দিকে লোডশেডিং হচ্ছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলা-শহর ও গ্রামে। কোনো কোনো এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে দিনের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

জুনের প্রথম সপ্তাহের প্রতিদিনই মোট চাহিদার তুলনায় ১৫ শতাংশ বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে। তার মধ্যে গত ৫ জুন সোমবার উৎপাদিত হয়েছে ২৫ শতাংশ কম বিদ্যুৎ। মে মাসে এই ঘাটতি ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতির মূল কারণ জ্বালানি সংকট। বাংলাদেশে প্রতিদিন গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে ১১ দশমিক ৫ গিগাওয়াট ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে ৩ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। জাতীয় গ্রিড অপারেটর সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, জ্বালানির অভাবে সোমবার গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন এক চতুর্থাংশ এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন দুই তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।

এছাড়া ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো প্রতিদিন সরবরাহ করে ৭ দশমিক ৫ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ। ডিজেলের অভাবে সেসব কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে ৪০ শতাংশের বেশি।

চলমান এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করে তুলেছে ডলারের ঘাটতি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল বিতরণকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন গত এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুর দিকে সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় বাংলাদেশকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা বন্ধ করেছে এশিয়ার তিন বৃহৎ কোম্পানি সিনোপেক, ইন্ডিয়ান অয়েল এবং ভিটোল। নতুন তেলের যোগান আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের জ্বালানি তেলের মজুত দ্রুত কমছে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছিল বিপিসি।

গত এক বছরে ৬ বার ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে। তার মধ্যে গত এপ্রিলে টাকার মান যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল— তা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচও বেড়েছে।

অভ্যন্তরীণ উৎস বা খনিগুলো থেকে গ্যাসের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং গ্যাস রপ্তানিকারী অন্য কোনো দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস চুক্তি করতে না পারার ফলে ২০২২ সাল থেকেই গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদনে ঘাটতি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অবশ্য এলএনজির দাম হ্রাস পাওয়ায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন খানিকটা বেড়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়।

বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা একেবারেই নগণ্য। ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে মোট চাহিদার ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়। কিন্তু ডলারের মজুত কমতে থাকায় এই আমদানিও এখন সংকটের মুখে পড়েছে।

সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতা। ২০২৩ সালে এই নির্ভরশীলতা পৌঁছেছে ১৪ শতাংশে; যা ২০২২ সালে ছিল ৮ শতাংশ।

সূত্র: রয়টার্স।


এক দশক   বিদ্যুৎ বিপর্যয়   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের কোনো বাড়ি-গাড়ি নেই মোদির

প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের কোনো বাড়ি-গাড়ি নেই। তবে তাঁর তিন কোটি রুপির বেশি সম্পত্তি রয়েছে। আজ মঙ্গলবার বারানসির বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোয়নপত্র জমা দেন মোদি। সেখানে দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

হলফনামার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদির গাড়ি, বাড়ি কিছুই নেই। তবে বিজেপির অধিকাংশ প্রার্থীর মতো তিনিও কোটিপতি। মোদির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ২ লাখ রুপি।  মোদির হাতে নগদ অর্থ আছে ৫২ হাজার ৯২০ রুপি। গান্ধীনগর ও বারানসির দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর জমা রয়েছে ৮০ হাজার ৩০৪ রুপি। এর পাশাপাশি ২ কোটি ৮৬ লাখ রুপি ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে জমা রয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কে। এছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় ৯ লাখ ১২ হাজার রুপি একটি বিনিয়োগ রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি ৪ টি সোনার আংটি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। যার বাজার মূল্য ২ লাখ ৬৮ হাজার রুপি।

উল্লেখ্য, আগামী ১ জুন বারাণসিতে লোকসভার ভোটগ্রহণ হবে। ধারণা করা হচ্ছে এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ক্যানসার মুক্ত হলেন চিকিৎসক

প্রকাশ: ০৯:৫২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে মস্তিষ্ক ক্যানসার থেকে মুক্তি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক হলেন অধ্যাপক স্কোলিয়ার। তিনি গ্লায়োব্লাস্টোমার নামে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ধরনের রোগীদের অনেকে এক বছরও বেঁচে থাকে না। 

ক্যানসার নিয়ে নিজেরই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে স্কোলিয়ারের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসক স্কোলিয়ার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদ। ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর স্কোলিয়ার এবং তার সহকর্মী ও বন্ধু জর্জিনা লংকে অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্কোলিয়ার বলেন, আবারও এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেছে নতুন করে টিউমারটি ফিরে আসেনি। এতে ‘আমি অত্যন্ত খুশি!!!’

এক দশক ধরে ইমিউনোথেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়ার সহপরিচালকেরা। এ পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্যানসার কোষকে আক্রমণ করা হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যানসারের শেষ ধাপে থাকা রোগীদের মধ্যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্লেখজনক সাফল্য পাওয়া গেছে। 

স্কোলিয়ারের মস্তিষ্কের ক্যানসার সারাতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন অধ্যাপক লংসহ চিকিৎসকদের একটি দল। অধ্যাপক স্কোলিয়ার হলেন মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রথম রোগী, যার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারমুক্ত আছেন।  

মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়াতে অধ্যাপক লং এবং তার চিকিৎসক দল গবেষণা করে দেখেছে, কয়েকটি ওষুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হলে তা অপেক্ষাকৃত ভালো কাজ করে।

স্কোলিয়ারের চিকিৎসায় যে সাফল্য পাওয়া গেছে, তাতে চিকিৎসা জগতে আশার সঞ্চার হচ্ছে। লং ও স্কোলিয়ারের এ প্রচেষ্টা হয়তো প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ মানুষের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক   মস্তিষ্কের ক্যানসার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চাবাহার বন্দর চুক্তি: ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী— চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে।

আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।


ভারত   ইরান   তেহরান   চাবাহার বন্দর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: কোহেন

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।' 

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।

একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।

কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।

বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।


মাইকেল কোহেন   পর্ন তারকা   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন