ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওয়াগনারের বিদ্রোহ ব্যর্থ, এর আগেও দু’বার বিদ্রোহ দমন করেছে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৩


Thumbnail ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। ছবি: রয়টার্স

ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপ গতকাল শনিবার (২৪ জুন) বিদ্রোহ করেছে। এই বিদ্রোহ রাশিয়ার ইতিহাসে ঘটে যাওয়া বড় দুই বিদ্রোহের ঘটনাকে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের পর ক্রেমলিন এ পর্যন্ত দুবার বড় বিদ্রোহ দেখেছে এবং দুবারই সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছে- বিদ্রোহ দমন করেছে রাশিয়া।

১৯৯১-এর ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহ

১৯৯১ সালের আগস্ট মাস। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার চার মাস আগের ঘটনা। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ ইউনিয়ন ভেঙে দিয়ে ১৫টি রাষ্ট্রকে আলাদা করে দেবেন। কিন্তু এই পদক্ষেপ থামিয়ে দিতে কট্টরপন্থী কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করেন। তবে ওই যাত্রায় বেঁচে যান গর্বাচেভ।

গর্বাচেভ তখন ছুটিতে ছিলেন। ক্রিমিয়ায় তাঁর গ্রামের বাড়ি। সেখানেই ছিলেন তিনি। ১৯ আগস্ট গর্বাচেভকে বন্দী করা হয়। এর পেছনে ছিল সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি। গর্বাচেভকে বন্দী করার পর মস্কোর রাস্তায় সেনারা নেমে আসেন। নেমে আসে ট্যাংক। এরপর তিন দিন ধরে চলে বিক্ষোভ। লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। সেই সময় মানুষের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে মস্কোর পার্লামেন্ট ভবন হোয়াইট হাউস। মূলত সেখান থেকে এই সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছিল।

সেই সময় বড় ভূমিকা পালন করেন বরিস ইয়েলৎসিন। গর্বাচেভ সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট। আর ইয়েলৎসিন তখন রুশ পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট। তিনি ওই অভ্যুত্থান নাকচ করে দিয়ে ভাষণ দেন।

ইয়েলৎসিনের এ ভাষণের পর দুই দিনের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। অভ্যুত্থানকারীরা ব্যারাকে ফিরে গেলে একদিন পর গর্বাচেভ মস্কোয় ফিরে আসেন। তবে এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়, গর্বাচেভের প্রভাব কমে এসেছে। আর অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দেওয়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন ইয়েলৎসিন। এর কয়েক মাসের মধ্যে সোভিয়েত ভেঙে যায়।

১৯৯৩ সালের রক্তাক্ত পার্লামেন্ট ভবন

গর্বাচেভের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঠেকিয়ে দেওয়া ইয়েলৎসিন এবার নিজে বিদ্রোহের মুখে পড়েন। এসব ঘটনা ঘটে ১৯৯৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে। ওই সময় কট্টরপন্থী কমিউনিস্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার রুতস্কয় এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনার জেরে ইয়েলৎসিনের নির্দেশে সে সময় ট্যাংক ব্যবহার করে পার্লামেন্টে হামলা চালানো হয়েছিল। রক্তাক্ত হয় পার্লামেন্ট ভবন।

মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আইন পরিষদ ‘সুপ্রিম সোভিয়েত’ বিলুপ্তির আদেশে সেই সময় স্বাক্ষর করেছিলেন ইয়েলৎসিন। এ জন্য আইনসভার বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। কিন্তু পার্লামেন্টে ‘সুপ্রিম সোভিয়েত’ বিলুপ্তি নিয়ে আলোচনায় রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহ হয়।

সেই সময় পার্লামেন্ট কমিউনিস্টদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাঁরা ইয়েলৎসিনকে অপসারণ করতে ভোট দিয়েছিলেন। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার রুতস্কয় বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় তাঁকে নেতা নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন ইয়েলৎসিনবিরোধীরা। এর মধ্যেই বিদ্রোহীরা মস্কো মেয়রের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনেরও খানিক অংশের নিয়ন্ত্রণ নেন।

এ পরিস্থিতিতে ইয়েলৎসিনের নির্দেশে সেনারা গুলি চালায়। ৪ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। ১৮ তলা পার্লামেন্ট ভবন সেদিন রক্তে ভেসে গিয়েছিল। সরকারি হিসাব অনুসারে, ১৪৮ জন সেদিন নিহত হয়েছিলেন। তবে বিদ্রোহীরা বলে থাকেন, সেদিন আসলে নিহত হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার মানুষ। এ ঘটনার পর বিদ্রোহী নেতাদের জেলে পাঠানো হয়েছিল।

এ ঘটনার পর ওই বছরের ডিসেম্বরে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এতে রুশ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। অর্থাৎ  রক্তপাতের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিলেন ইয়েলৎসিন।

ওয়াগনারের বিদ্রোহ  

এবার অবশ্য ভিন্ন ঘটনা ঘটল। ওয়াগনার গ্রুপ—যারা কিনা বিদ্রোহ করল, তারা আসলে সরাসরি রাশিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সদস্য নয়। অর্থাৎ তাঁদের কেউ আইনপ্রণেতা নন। এমনকি এমন ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় বৈধও নয়। ফলে তাদের আইনি ভিত্তি নেই। এ বিদ্রোহের সফলতার সম্ভাবনাও কম ছিল। সফলতা পায়নি বিদ্রোহীরা।

ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছে ওয়াগনার। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ওয়ানার প্রধান প্রিগোজিন। এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিরোধ শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহে রূপ নেয়। আবার সমঝোতাও হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কো প্রিগোজিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এ চুক্তি অনুসারে, বিদ্রোহের কারণে প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেগুলো তুলে নেওয়া হবে। আর এই চুক্তি মেনেই ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাচ্ছেন।


ওয়াগনারের বিদ্রোহ ব্যর্থ   এর আগেও দু’বার বিদ্রোহ দমন করেছে রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। প্রস্তাব মেনে নেওয়ার বিষয়টি মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

যদিও এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তারা। এদিকে, যুদ্ধবিরতিতে হামাসের রাজি হওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাজার বাসিন্দারা। সোমবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আল জাজিরা।

চুক্তিতে সম্মত হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। এতে বলা হয়, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে জানিয়েছেন হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। মিসরের গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী আব্বাস কামালকেও ফোনে একই কথা জানিয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাসের বিবৃতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। যদিও গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হওয়ায় হামাসকে স্বাগত জানিয়েছে ইরান।

এদিকে, হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ফিলিস্তিনিরা। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৩৫ জনের প্রাণ গেছে। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ হাজার ১০৮ জন।


গাজা   যুদ্ধবিরতির  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পর্ন তারকাকে ঘুষ: জেল হতে পারে ট্রাম্পের

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাবেক পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর সিএনএনের।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদন মতে বহুল আলোচিত ফৌজদারি মামলাটির শুনানিকালে বিচারক হুয়ান মারচান বলেছেন, সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় সাবেক প্রেসিডেন্টকে এবার কারাদণ্ড দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন তিনি।

মামলার সাক্ষীদের সমালোচনা করার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এরই মধ্যে ট্রাম্পকে ৯ বারে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন নিউ ইয়র্কের একটি আদালত।

বিচারক মারচান বলেন, সোমবার শুনানিকালে ট্রাম্প আরও একবার অর্থাৎ দশমবারের মতো একই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছেন। এবার আর জরিমানা নয়, কারাদাণ্ডের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল যেন ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলেন তিনি। মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি স্টর্মি ড্যানিয়েলসের। কিন্তু এই তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে করে গত মাসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। সেই থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই শুনানি চলছে।

আগামী দুইমাস ধরে আদালতে এই মামলার শুনানি চলতে পারে। সেসব শুনানিতে ট্রাম্পকে উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে নির্বাচনী জনসভায় না গিয়ে ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হবে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচনী প্রচার থেকে আমাকে সরানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এভাবে আমাকে হারানো যাবে না।


ডোনাল্ড ট্রাম্প   পর্ন তারকা   ঘুষ   জেল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হজ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের নতুন নিয়ম জারি

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

হজ ভিসা নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে সৌদি আরব। এই ভিসা দিয়ে শুধু জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণ করা যাবে। এর বাইরে অন্যকোনো স্থানে ভ্রমণ করা যাবে না। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এমন তথ্য জানিয়েছে।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, হজ ভিসা দিয়ে ২০২৪ সালে হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কা শহরে ভ্রমণ করতে পারবেন।

হজ ভিসা শুধু হজ মৌসুমের জন্যই বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসা নেওয়া ব্যক্তিদের ওমরাহ পালন বা যেকোনো ধরনের আর্থিক বা অবৈতনিক কাজের ব্যাপারে নতুন নিয়মে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দেশটিতে কাজ করা, বসবাস বা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা অবৈধ। কেউ এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাকে ভবিষ্যতে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়াও অভিযুক্তকে দেশ থেকেও বেরও করে দেওয়া হতে পারে।

এর আগে শনিবার (৪ মে) পবিত্র হজ সামনে রেখে অনুমতি ছাড়া মক্কায় জনসাধারণের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদি আরব। ওইদিন থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।

সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বিভাগ জানায়, মূলত পবিত্র হজে সারাবিশ্ব থেকে আগত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মক্কায় প্রবেশের জন্য অবশ্যই অনুমতিপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এমনকি সৌদি নাগরিকদেরও।

হজ   ভিসা   সৌদি আরব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাত পোহালেই তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৯:০৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সাত দফার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের দুই দফার ভোটগ্রহণ শেষ। প্রথম দফায় গত ১৯ এপ্রিল ১০২ কেন্দ্রে এবং দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৮ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ। এই দফায় ভোট নেওয়া হবে ১০ টি রাজ্য ও ১ টি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩ টি কেন্দ্রে। মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি।  

ভোটকেন্দ্রগুলো হলো- গুজরাট (২৫), কর্ণাটক (১৪), মহারাষ্ট্র (১১), উত্তর প্রদেশ (১০), মধ্যপ্রদেশ (৯), ছত্রিশগড় (৭), বিহার (৫), অসম (৪), পশ্চিমবঙ্গ (৪), গোয়া (২), দাদরা এবং নগর হাভেলি, দমন এবং ডিউ (২)। 

পশ্চিমবঙ্গে যে চারটি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে সেগুলি হল- মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। এই চার কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫১ জন। ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৫৭ জন প্রার্থীর। সব মিলিয়ে ৭,৩৬০ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি ১০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। 

মুর্শিদাবাদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের খান, বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং সিপিআইএম প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম। মালদা উত্তর আসনে তৃণমূল প্রার্থী সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা প্রসূন ব্যানার্জি, বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু, কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের শাহনাজ আলী রায়হান, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরী। জঙ্গিপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ, কংগ্রেসের প্রার্থী মোরতাজা হোসেন। 

এদফায় গোটা দেশ জুড়ে ১,৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির অমিত শাহ (গান্ধীনগর)। দ্বিতীয়বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের সোনাল প্যাটেল। ১৯৮৯ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটিতে অপরাজিত রয়েছে বিজেপির প্রার্থীরা। গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের সি যে চাভডা'কে ৫.৫ লাখের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন অমিত শাহ। 

বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান (বিদিশা), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়ার), বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য (পোড়বন্দর), বিজেপি প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি পল্লবী ডেম্পো (সাউথ গোয়া), উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের স্ত্রী সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ডিম্পল যাদব (মইনপুরী), মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস প্রার্থী দ্বিগবিজয় সিং (রাজগড়), 'অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট' (AIUDF) প্রেসিডেন্ট সভাপতি বদরুদ্দীন আজমল (ধুবরী), 'ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলে (বারামতী), এই কেন্দ্রেই সুপ্রিয়ার প্রধান প্রতিপক্ষ (ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি'র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী) সুনেত্রা পাওয়ার, যিনি সম্পর্কে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের স্ত্রী। 

উল্লেখ্য, মোট সাত দফায় লোকসভার নির্বাচন নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম তিন দফার ভোটের পরই দেশটির ৫৪৩ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোট নেওয়া সম্পন্ন হবে। বাকি থাকবে আরো চার দফা। পরবর্তী ধাপ গুলি হল যথাক্রমে চতুর্থ দফা আগামী ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট ১ জুন। গণনা আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানল ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ দাবানলে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে দাবানলে এই প্রথম পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে ২০২১ সালে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল জঙ্গলে। তখন প্রায় ৩৯৪৩ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে যায়।  

এদিকে, ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৫৭০২টি ফরেস্ট ফায়ার হয়েছে। কুমায়ুন ও গাড়োয়াল এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে এই দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। তবে মূলত মধ্য় হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই দাবানলের ঘটনা হয়। হিমালয়ের উঁচু অংশে এটা অতি ঠাণ্ডার কারণে হতে পারে না। 


ভারত   উত্তরাখণ্ড   দাবানল   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন