ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি

প্রকাশ: ০৯:২৭ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির অনুষ্ঠানে। চীন-রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরান। দেশটির সংবাদভিত্তিক ২৪ ঘন্টার চ্যানেলটির শুক্রবারের (০৭ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটা ‘তুলোধুনা’ করা হয়েছে।

বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে সরকার উৎখাতের ইতিহাস যুক্তরাষ্ট্রের বেশ পুরনো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেরই মত, মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থী হলেই সেই সরকারকে আর তারা রাখতে চায় না। স্বার্থ বিরোধী সরকারের পতন ঘটাতে কখনো তারা সরাসরি হস্তক্ষেপ করে। কখনো আবার নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতির মতো নানা চাপ প্রয়োগ করে পরোক্ষভাবে সরকারের পতন ঘটাতে চায়।

গতকাল শুক্রবার (৭ জুলাই) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভিও এই বিষয়ে ‌‘বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণী অনুষ্ঠান প্রচার করেছে। গণমাধ্যমটির অনলাইন ভার্সনেও প্রকাশ করা হয়েছে অনুষ্ঠানের ভিডিওটি। যাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবের নানা দিক ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেশটির হস্তক্ষেপের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞাসহ নানা কৌশলের কারসাজিতে বর্তমান সরকারের পতন ঘটাতে চায় মার্কিন প্রশাসন।

বিশ্লেষণী ওই অনুষ্ঠানে ২০২১ সালে র‍্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং এ বছর গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া যে কোনো বাংলাদেশির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার দেওয়ার হুঁশিয়ারির প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়, এতেই বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভের মাত্রা পরিষ্কারভাবেই প্রতীয়মান। কিউবা, হাওয়াইসহ বেশকিছু ক্যারিবিয়ান দেশেও সরকার হটানোর ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এক্ষেত্রে দেশটি নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ'র সহায়তা নেয় উল্লেখ করে বলা হয়, অন্য দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্রের এসব হস্তক্ষেপের নেপথ্যে বিভিন্ন বিষয় কাজ করে। দেশটি বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং মানবাধিকার রক্ষার নামে এসব করে থাকে। উক্ত 'নেপথ্যের বিষয়গুলো'র মধ্যে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বিষয়টিও আছে।

ইরানের টেলিভিশনটি তাদের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারার প্রশংসাও করেছে। 

তবে বাংলাদেশের প্রতি হঠাৎ কেন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল যুক্তরাষ্ট্র। কেন গণতন্ত্র রক্ষার নামে একরকম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়েছে ওয়াশিংটন? সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রেস টিভির অনুষ্ঠানে দাবি করা হয়েছে, এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে চায় জো বাইডেনের প্রশাসন। প্রেস টিভির মতে, ওয়াশিংটন নিজ স্বার্থে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ করার মাধ্যমে মূল্যবান সম্পদ, বাণিজ্যিক রুট, কৌশলগত অবস্থানকে ব্যবহার করতে চায়। চীনের সাথে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বেইজিং-ঢাকার শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদারে পরিণত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ চীনের বিআরআই (বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ) থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর চীন প্রকাশ্যে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করেছে।

অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়েছে, টানা ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার সরকার আগামী বছরের শুরুতে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। যার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে চীন। 

নির্বাচনের দিকে নজর রেখে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কর্মকর্তারা ঘনঘন বাংলাদেশে আসছেন। বৈশ্বিক আর্থিক ঝুঁকি বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক মূলত চীনকে প্রতিহত করার ইচ্ছারই প্রতিফলন। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন 'পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ' এবং 'রিজিওনাল ডায়নামিক' নির্ধারণ করবে।

প্রেস টিভির অনুষ্ঠানে পাকিস্তান থেকে যুক্ত করা হয় ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মোহাম্মদ আলীকে। তিনি এ বিষয়ে বলেন, আমেরিকানরা পাঁচটি উপায়ে বিশ্বজুড়ে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। প্রথমটি অবশ্যই মূল্যবোধ পদ্ধতি, এটিকে মূল্যবোধকেন্দ্রিক কিংবা আদর্শিক বলা যায়। দ্বিতীয়টি রাজনৈতিক। তৃতীয়টি তাদের অর্থনৈতিক বা মুদ্রা আধিপত্য। চতুর্থটি কূটনৈতিক ও আইন এবং পঞ্চমটি হলো নিরাপত্তা। বাংলাদেশের পলিটিকাল সিস্টেম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের দিকে যদি তাকাই, তাহলে অবশ্যই আমাদের শুধু মূল্যবোধ পদ্ধতির কথা বললে চলবে না। কারণ, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরানসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো চায় পশ্চিমা আধিপত্যবাদ কমুক, এটা তাদের কমন ইন্টারেস্ট। চীনা বিনিয়োগ এবং সম্পৃক্ততাকে তারা আশার আলো হিসেবে দেখে।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন চায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের বিষয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের সব জায়গাতেই শাসক (রেজিম) পরিবর্তনের চেষ্টা একটা বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো উন্নয়নশীল দেশ যদি পশ্চিমাদের নীতি অনুসরণ না করে সেক্ষেত্রে শাসক পরিবর্তন করা একটা 'অপশন'। তারা সেটা পারুক বা না পারুক, সেটা অন্য আলাপ। কিন্তু, বাংলাদেশকে এখন নিজ দেশের রাজনীতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতির পাশাপাশি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করার চ্যালেঞ্জকে সামলাতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে তিনটি ডোমেইন দিয়ে বিচার করতে হবে- নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং বৈদেশিক নীতি। আপনাকে মানতে হবে, বাংলাদেশ এ দিক থেকে তুলনামূলকভাবে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে। দেশটি কোনো ইস্যুতে কারো বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা চীন কারো পক্ষ নেয়নি। যদিও তাকে চীনা বিনিয়োগ কমানোর জন্য নানা চাপ সহ্য করতে হচ্ছে। চীন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় বিনিয়োগেকারী দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহৎ রপ্তানি গন্তব্য।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ধরন চীনের তুলনায় খুবই ব্যতিক্রমী বলেই মনে করেন সৈয়দ মোহাম্মদ আলী। বলেছেন, চীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা ছাড়াই বিনিয়োগ, যৌথ উদ্যোগ এসবে বিশ্বাস করে। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র জবরদস্তি, চাপ প্রয়োগ, নিষেধাজ্ঞা সহ যতো উপায়ে সম্ভব নিজ নীতি মানতে উন্নয়নশীল বিশ্বকে বাধ্য করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র‍াটেজি এবং চীনের বিআরআই এর কারণে দুই দেশের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে দেশটির বৈদেশিক নীতি সামনের বছরগুলোতে কেমন হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোহাম্মদ আলী বলেন, বাংলাদেশকে আমরা এতোদিন দুই দেশের সাথে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে দেখেছি। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি চীনের তুলনায় অনেক বেশি আগ্রাসী হলেও অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশ এভাবেই চলে আসছে।

অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ দিকে বিশেষজ্ঞদের কয়েকটি টুইট দেখানো হয়। যার একটিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এর এশিয়া এবং বাংলাদেশ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড এর একটি টুইট প্রদর্শন করা হয় যেখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য সংক্রান্ত নিউজ লিংক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করে হোয়াইট হাউসে চিঠি লেখার জন্য দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের বাংলাদেশের ‘শত্রু’ বলেছেন।

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুর বিদেশ বিষয়ক সম্পাদক স্ট্যানলি জনি'র টুইটটি ছিল, ‘যুক্তরাষ্ট্র সেইসব বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে যারা তাদের মতে দেশটির নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কেন আমেরিকা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের পেছনে লেগেছে?’

সূত্র: প্রেস টিভি

বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহে বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯) ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্রামে  কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নয়ন রায় (২৩) প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

ছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের খারকিভে চলছে কঠিন লড়াই

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরেকঠিন লড়াইচলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতিঅত্যন্ত কঠিন’, তবেনিয়ন্ত্রণেরয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সম্প্রতি রুশ বাহিনীর সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে খারকিভ অঞ্চলে। অবশ্য পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।


ইউক্রেন   খারকিভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন, নিহত ১১ জন

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর  এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।


নাইজেরিয়া   মসজিদ   আগুন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

গত বছরের অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।

গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। 


ইসরায়েল   বিমানঘাঁটি   ড্রোন   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন