ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আপত্তি তুলে নিলেন এরদোয়ান, ন্যাটোর সদস্যপদ পাচ্ছে সুইডেন

প্রকাশ: ০৮:১৭ এএম, ১১ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে বিশ্বের বৃহৎ সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে সুইডেন। দেশটি এক বছরেরও বেশি সময় আগে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আপত্তি জানানোর কারণে সদস্যপদ থমকে ছিল সুইডেনের।

সোমবার (১০ জুলাই) ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সঙ্গে আলোচনার পর জানান, এরদোয়ান তার আপত্তি তুলে নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, সুইডেনের সদস্যপদকে সমর্থন জানাবেন তিনি।

ন্যাটো মহাসচিব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যত দ্রুত সম্ভব গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সুইডেনের যোগদানে নিরাপত্তা এবং সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সম্মতি হয়েছেন। আর এই বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন স্টলটেনবার্গ।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর গত বছরের ১৭ মে ন্যাটোতে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ ফিনল্যান্ডের সদস্যপদকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় তুরস্ক।

কিন্তু সুইডেনের আবেদন আটকে রাখে দেশটি। তুরস্কের অভিযোগ ছিল, সুইডেন কুর্দি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে-কে মদদ ও সহায়তা করে। এ কারণে তুরস্ক শর্ত জুড়ে দেয়, সুইডেনকে এসব সন্ত্রাসীকে সহায়তা বন্ধ করতে হবে; এরপর তারা ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে।

এদিকে এর আগে সোমবারই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হঠাৎ করে শর্ত দেন, তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করে নেওয়ার কার্যক্রম যদি আবারও শুরু করা হয়; তাহলে তিনি সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদের অনুমোদনের বিল সংসদে পাঠাবেন। এরপরই জানা গেল, তিনি সুইডেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করে নিতে সম্মত হয়েছেন। তবে তার এ শর্ত পশ্চিমারা মেনে নিয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এরদোয়ানের রাজি হওয়ার বিষয়ে ন্যাটো মহাসচিব সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি… প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সুইডেনের সদস্যপদের আবেদন সংসদে পাঠাতে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির অনুমোদন দিতে সম্মত হয়েছেন।’


ন্যাটো   সদস্যপদ   সুইডেন   তুরস্ক   এরদোয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুতে ৬৫০ ফুট খাদে পড়ল বাস, নিহত ২৫

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে গেলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। খবর এএফপি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২৫ জন মারা গেছেন এবং আরও এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে বলেছেন, গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে গর্তযুক্ত ময়লা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে এবং বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ২৩ জনের নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে এই তথ্য হালনাগাদ করে ২৫ জন বলে জানানো হয়।

পৌরসভার কর্মকর্তা জেইম হেরেরা বলেন, ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে বাসটি একটি নদীর ধারে পড়ে যায় এবং আরোহীদের কয়েকজন পানিতে ভেসে গেছে।

উদ্ধারকর্মীরা এবং দমকলকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পর সেলেনডিন পৌরসভা ৪৮ ঘণ্টার শোক ঘোষণা করেছে। বাসটি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ।

এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।


পেরু   বাস   নিহত   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ

প্রকাশ: ০৮:৪২ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত প্রকাশ করেছে। আগামী মে মাসের শেষ দিকে জোটের অধিকাংশ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান জোসেপ বরেল গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক আরবি সংবাদ টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক জোট ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলন চলছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। বিশেষ এই সম্মেলনে ইইউ’র প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বরেল।

সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বরেল বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ইইউর সদস্য স্পেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্রোভেনিয়া সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।

এর আগে গত মার্চে দেশ তিনটি জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য যৌথভাবে কাজ করবে তারা। 

এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ইইউর চারটি দেশকে বলে, তাদের এই উদ্যোগ 'সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার' হিসেবে গণ্য হবে এবং যা প্রজন্মের পুরনো দ্বন্দ্বের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা ক্রমশ হ্রাস করবে।

এর আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী  পেদ্রো সানচেজ জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন তিনি এবং বিশ্বাস করেন, ইইউ’র মধ্যে শিগগিরই সমালোচনা হবে, যা একই অবস্থানে পৌঁছাতে কয়েকটি সদস্যকে সহায়তা করবে।


ফিলিস্তিন   স্বীকৃতি   ইইউ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রুডোর সামনেই খালিস্তানপন্থী‌ স্লোগান, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব ভারতের

প্রকাশ: ০৮:১৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টির ট্রুডোর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে ‘খালিস্তানপন্থী’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর সোমবার ( ২৯ এপ্রিল ) কানাডার ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করেছে ভারত। খালিস্তান আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার কূটনীতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এর মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা যুক্ত হলো।

এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’

কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে। হাজার হাজার মানুষ রবিবার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়।

ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।

ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।


কানাডা   প্রধানমন্ত্রী   জাস্টির ট্রুডোর   তলব   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এল নিনো

প্রকাশ: ১০:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অনেকে এটি সহ্য করতে পারছেন না। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আছে মিয়ানমার, ভারত, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। সব দেশেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবে তাপপ্রবাহ ধীরে ধীরে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, যা নীরব ঘাতকে পরিণত হচ্ছে।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।

মিয়ানমারে গতকাল রোববার তাপমাত্রা ওঠে ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে, যা দেশটির ৫৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একই দিনে দেশটির বাণিজ্যিক শহর ইয়াঙ্গুনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। চাউক শহরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘এখানে প্রচণ্ড গরম। আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার নেই।’

মিয়ানমারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে, এপ্রিলে সাধারণত যে গড় তাপমাত্রা থাকে, তার চেয়ে গত বৃহস্পতিবারের তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) এশিয়া ও দক্ষিণ–পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেন চার্চিল বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া অঞ্চল সাধারণত এপ্রিল মাসে উষ্ণ থাকে। কিন্তু এল নিনো (আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা) ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের তাপমাত্রাকে বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর গত শনিবার জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে।

তাপপ্রবাহে ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা অনন্ত (৩৭) বলেন, ‘জীবনে এত গরমের অভিজ্ঞতা হয়নি। খুবই অস্বস্তিকর। এই গরম আপনার কাজের সমস্ত শক্তি নিংড়ে নেয়।’

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগেই পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে তাপপ্রবাহ বেশি দিন থাকতে পারে। দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলে এই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

ডব্লিউএমওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডের লামপাং প্রদেশে তাপমাত্রা ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বুধবার জানায়, তাপপ্রবাহে দেশটিতে চলতি বছর ইতিমধ্যে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ডব্লিউএমওর উপমহাসচিব কো ব্যারেট গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বলেন, গরমের কারণে যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার পুরো চিত্র উঠে আসে না। এ ছাড়া গরমে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে, কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিদ্যুতের ওপর চাপ পড়ে। পরিসংখ্যানে এসব বিষয়ে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। প্রচণ্ড গরম ধীরে ধীরে বড় ধরনের নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে।

এল নিনো   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ হোক মানুষের কল্যাণে'

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার স্বার্থে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ আর নতুন কোনো অস্ত্র গ্রহণ না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'মানবতাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র ব্যবস্থা নয় বরং মানুষের কল্যাণে কৃষি, চিকিৎসা, মহাকাশ অন্বেষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানবজাতির সুবিধার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারী প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।'

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভিয়েনার হফবার্গ প্রাসাদে 'হিউম্যানিটি অ্যাট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস অ্যান্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

মানুষের ওপর অস্ত্রবল প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ প্রশ্ন রাখেন, যদি রাষ্ট্রবহির্ভূত এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পায় তবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার কী হবে।

স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশ্বব্যাপী নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রাণহানির ক্ষমতাসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপূর্ণ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উভয়ের বিষয়েই উপযুক্ত আন্তর্জাতিক আইন বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করা বাঞ্ছনীয়।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় গাজার অনিশ্চিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং সংঘাত ও উত্তেজনার নতুন ফ্রন্ট খোলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।

অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ, কোস্টারিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্নল্ডো আন্দ্রে টিনোকো, নরওয়েজিয়ান স্টেট সেক্রেটারি ইভিন্ড ভাদ পিটারসন এবং রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির সভাপতি মির্জানা স্পোলজারিক এগার সহ-প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দেন।

অস্ট্রিয়ার ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই সম্মেলনে ১২০টিরও বেশি দেশ জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা, অধিকার গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার আট শতাধিক  প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। 


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা   অস্ত্র   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন