ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ যুদ্ধের শামিল, হুঁশিয়ারি মালি ও বুরকিনা ফাসোর

প্রকাশ: ০৪:৪৪ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপ যুদ্ধের শামিল, হুঁশিয়ারি মালি ও বুরকিনা ফাসোর।

অভ্যুত্থানের জেরে উত্তাল রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের রাজনীতি। পদচ্যুত করা হয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে। রাজধানী নিয়ামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বন্দী রয়েছেন তিনি।

মোহাম্মদ বাজোমকে মুক্ত করার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কাও রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসো জানিয়েছে, নাইজারে যেকোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ তাদের দেশের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

মালি ও বুরকিনা ফাসোতে বর্তমানে সেনা সমর্থিত সরকার রয়েছে। গতকাল সোমবার (৩১ জুলাই) দুই দেশের রাষ্ট্রীয় টিভিতে একটি যৌথ বিবৃতি প্রচার করা হয়েছে। এতে বলা হয়, নাইজারের বিরুদ্ধে যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনা মালি ও বুরকিনা ফাসোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে এবং পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটি আরও জানিয়েছে, তাদের সরকার নাইজারের জনগণ ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ, বেআইনি ও অমানবিক’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে গত বুধবার (২৬ জুলাই) অভ্যুত্থান ঘটে। এতে নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের সদস্যরা। অভ্যুত্থানের পর গত শুক্রবার নাইজারের প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন।

২০২১ সালে নির্বাচনে জিতে নাইজারের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন মোহাম্মদ বাজোম। তিনি পশ্চিমাপন্থী হিসেবে পরিচিত। নাইজারের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই এগিয়ে নিয়েছেন তিনি। অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বন্দী রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং একসময় নাইজারে উপনিবেশ স্থাপন করা ফ্রান্স এত দিন মোহাম্মদ বাজোমকে সরাসরি সহায়তা করে আসছিল। অভ্যুত্থানের পর বাজোমের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশ দুটি। ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাইজারের সঙ্গে নিরাপত্তা ও আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করে দিয়েছে।

নাইজারের অভ্যুত্থানকারীদের অভিযোগ, পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে মুক্ত করতে ফ্রান্সকে সামরিক হামলা চালানোর অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করছে বিদায়ী সরকার। এ ছাড়া নাইজারের সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা। গত রোববার নাইজেরিয়ায় দ্য ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটসের (ইসিওডব্লিউএএস যা ইকোওয়াস নামেও পরিচিত) এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলন থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এর পরপরই নাইজারে সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিল মালি ও বুরকিনা ফাসো। এ পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতার জন্য নাইজার সফর করেছেন আফ্রিকার আরেক দেশ চাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইদ্রিস ডেবি ইতনো। তিনি বন্দী মোহাম্মদ বাজোম এবং নাইজারের অভ্যুত্থানকারী সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।


নাইজার   সামরিক হস্তক্ষেপ   যুদ্ধ   হুঁশিয়ারি   মালি   বুরকিনা ফাসো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু : জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার ফলে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুধুমাত্র বাঘলানেই ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মোহাম্মদ ফাহিম সাফি, আইওএম-এর জরুরি প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্বদানকারী জাতীয় প্রোগ্রাম অফিসার, সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে শনিবার বলেন, 'বাঘলানি জাদিদ জেলায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন।'

শনিবার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত বাঘলান প্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হওয়া ফ্লাশ ফাডে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। এক তালেবান কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এর ফলে একাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তায় ঘোলা পানির বিশাল স্রোত বইছে। কালো এবং সাদা কাপড়ে ঢাকা মৃতদেহের ছবিও দেখা গেছে।

এর আগে, বন্যার কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে আফগানিস্তানে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় কোনো অঞ্চলই বন্যার হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই পায়নি। বন্যার কারণে হাজার হাজার আফগান নাগরিকের এখনো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। 


আফগানিস্তান   বন্যা   মৃত্যু   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন পর  শুক্রবার (১০ মে) জেল থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে মুক্তির পরপরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

কেজরিওয়ারের জেলমুক্তির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। রাজপথে তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্যই আমি আপনাদের সামনে। আমাদের দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।

এএপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, জেল থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি ইন্ডিয়া জোটের জন্য 'গেমচেঞ্জার' হয়ে উঠবে। ফলে ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বিরোধী দলগুলো।

আগামী ১ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরদিনই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন (৪ জুন) জেলেই কাটাতে হবে কেজরিওয়ালকে।


স্বৈরাচার   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   দুর্নীতি মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হানল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মে) রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে তারা। এসব রকেট ও কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। তবে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গতকাল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিনই ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বিমান হামলা গতকাল আঘাত হানে একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে। যেটি লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী প্রাণ হারান।

ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।


ইসরায়েলি   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুই পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরলেন স্বামী

প্রকাশ: ০৪:৪২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে মনোমালিন্য, অশান্তি। আর এরই জেরে রাগে বাড়ি ছেড়েছিল স্ত্রী। পরে একাধিকবার বোঝানোর পরও স্ত্রী আর বাড়ি ফেরেননি। স্ত্রীর কার্যকলাপে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে একটি হোটেলের রুমে হানা দেন স্বামী। পরে সেখানে দুই পুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন  স্ত্রীকে। এই অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী। এক পর্যায়ে ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি-মারামারি বেঁধে যায়।

একজন নয়, দুইজন পুরুষের সঙ্গে হোটেলের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী। ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি-মারামারি বেঁধে যায়।

পরে বিষয়টি গড়ায় থানা-পুলিশ পর্যন্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জের একটি হোটেলে। ওই স্বামী-স্ত্রী দুজনই পেশায় চিকিৎসক।

শনিবার (১১ মে) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস ও ফ্রি প্রেস জার্নাল।

সংবাদমাধ্যম বলছে, নানা ঘটনায় নিত্যদিনই বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। একদিন হঠাৎ রাগে বাড়ি ছেড়ে দেন স্ত্রী। অনেক বোঝানোর পরও স্ত্রীকে বাড়ি ফেরাতে পারেননি চিকিৎসক স্বামী। তখন থেকেই স্বামীর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে।

শেষমেশ হোটেল রুমে স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখতে পাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। একজন নয়, দুইজন পুরুষের সঙ্গে হোটেলের বাথরুমে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রীকে দেখতে পান স্বামী। স্ত্রীকে এমন অবস্থায় দেখে লজ্জায়, অপমানে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি স্বামী।

ওই দুই যুবকের সঙ্গে তার হাতাহাতি বেঁধে যায়। শেষে হোটেলের কর্মী ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের আলাদা করেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই সময়ে হোটেলেরই কয়েকজন সমস্ত ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন। যা ইতোমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। পরিবার সূত্রের খবর, স্ত্রীর পরকীয়ার প্রবণতার জেরে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই লাগত। প্রায় এক বছর ধরে তারা আলাদা থাকছিলেন। তবে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি।

পরে কোনোভাবে খবর পেয়ে ওই হোটেলে দুই আত্মীয়কে নিয়ে পৌঁছান ওই নারীর স্বামী। কিন্তু প্রাথমিকভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর জোর করে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। সেখানেই স্ত্রীকে দুই পুরুষের সঙ্গে হাতেনাতে ধরেন স্বামী।

ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, তাদের তিনজনকেই বকেসঙ্গে হোটেলের বাথরুমে পাওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নারীও সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার। চিকিৎসক স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পাশাপাশি দুই যুবককেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন গাজিয়াবাদ ও অন্যজন বুলন্দশহরের বাসিন্দা।

তবে ওই নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।

অবশ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল বলছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর পুলিশের দলটি ওই নারীর স্বামী, নারীর উভয় প্রেমিক এবং স্বামীর দুই পুরুষ আত্মীয়সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ ঘটনায় চিকিৎসকের স্ত্রী জড়িত থাকলেও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।

ঘটনার বিস্তারিত এবং এর অন্তর্নিহিত পরিস্থিতি উদঘাটনের জন্য পুলিশি তদন্ত চলছে বলেও জানানো হয়েছে।


ভারত   উত্তরপ্রদেশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পকে বিদ্রূপ করে যা বললেন বাইডেন

প্রকাশ: ০৪:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনী প্রচারণায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিদ্রুপ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, 'তার ইচ্ছা, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই নিজের শরীরে জীবাণুনাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করুক।' 

করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ট্রাম্প বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত জিনিস (ব্লিচ, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল) ব্যবহার করা যেতে পারে। 

টিভিতে এক ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প এই অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার সেই প্রস্তাব নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।   

ট্রাম্পের করা এ মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই শুক্রবার (১০ মে) বাইডেন এই মন্তব্য করেন। 

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে শুক্রবার সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণাঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বাইডেন বলেন, তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল ছিল। জনগণকে বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেন বাইডেন।

নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেন ও রিপাবলিক নেতা ট্রাম্পের মধ্যে ব্যাপক বাগযুদ্ধ চলছে। দু'জনই একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বাইডেন বলেন, 'মনে আছে, তিনি (ট্রাম্প) বলেছিলেন, সবচেয়ে ভালো কাজটি হল আপনার হাতে ইনজেকশন দিয়ে কিছুটা ব্লিচ প্রয়োগ করা। তিনি এমনটা বলেছিলেন। আর তিনি এমনটাই ভাবেন। আমার ইচ্ছা, তিনি নিজেই নিজের শরীরে এর কিছুটা প্রয়োগ করবেন।'


ডোনাল্ড ট্রাম্প   মার্কিন প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন