ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মরুভূমিতে মরদেহ মিলল বিতাড়িত ২৭ অভিবাসীর

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার সীমান্তের পাশে মরুভূমিতে ২৭ জনের মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। নিহত ওই ২৭ জনই অভিবাসী ছিলেন বলে জানা যায়। তাদেরকে তিউনিসিয়া থেকে বের দেওয়া হয়েছিল। নিহতরা সবাই সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিক।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এবং আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর অন্তত ২৭ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা সবাই তিউনিসিয়া থেকে বিতাড়িত অভিবাসী ছিলেন। এ সকল অভিবাসী লিবিয়া সীমান্তের দিকে বিতাড়িত এবং মরুভূমিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন বলে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বুধবার লিবিয়ার শহর মিসরাতা থেকে আল জাজিরার মালিক ট্রেইনা বলেছেন, লিবিয়ার সীমান্তরক্ষীরা ‘মরুভূমিতে উত্তর ক্রসিংয়ের দক্ষিণে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এসব মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে’।

ট্রেইনা বলেন, এখানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে এবং এর কারণে এখানে অত্যন্ত গরম পড়ছে। উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীরা পানি, খাবার বা আশ্রয় ছাড়াই কয়েকদিন ধরে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

আল জাজিরা বলছে, তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্ফ্যাক্সে কয়েক দিনের সহিংসতার পর গত জুলাই মাসে কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের বের করে দিতে শুরু করে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি। টানা কয়েক দিনের সেই সহিংসতায় একজন তিউনিসিয়ান নিহত হয়েছিলেন।

মূলত স্থানীয়রা শরণার্থীদের আচরণ সম্পর্কে অভিযোগ তুলেছেন এবং অন্যদিকে উদ্বাস্তুরা বলছেন, তারা বর্ণবাদী হামলার শিকার হয়েছেন। লিবিয়ার সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছে, তিউনিসিয়া থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন মানুষ লিবিয়ায় প্রবেশ করে থাকে।

তাফাউল ওমর নামে সুদানিজ এক শরণার্থী জানান, গর্ভবতী অবস্থায় তাকে তার স্বামীর সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সামান্য পানি দিয়ে ফেলে রাখা হয়। ২৬ বছর বয়সী ওমর আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমার স্বামী একজন শ্রমিক। তাকে (তিউনিসিয়ায়) মারধর এবং অপমান করা হয়েছিল। দুই দিন পর, আমাদের সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা পুরুষদের মারধর করে এবং তারপর আমাদের ফেলে রেখে চলে যায়।’

পরে লিবিয়ান কর্তৃপক্ষের হাতে উদ্ধার হওয়ার আগে তিনি কড়া রোদের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা হেঁটেছিলেন বলে জানান। আল জাজিরা অবশ্য স্বাধীনভাবে তার এই দাবি যাচাই করতে পারেনি।

লিবিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অত্যন্ত গরমের মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ঠেলে দেওয়ার দায়ে তিউনিসিয়াকে অভিযুক্ত করেছে। এছাড়া তিউনিসিয়ার এই পদক্ষেপকে ‘সম্মিলিত বহিষ্কার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

অবশ্য শরণার্থী ও অভিবাসীদের মরুভূমিতে ফেলে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেছে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া তিউনিসীয় প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ এই ধরনের প্রতিবেদনগুলোকে দেশের বদনাম করার লক্ষ্যে ভুল তথ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে, তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেকার বুজগায়া এই সপ্তাহে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আফ্রিকান অভিবাসীদের বহিষ্কারের সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছে তিউনিসিয়া।’

মরুভূমিতে আটকে পড়া লোকেরা কীভাবে সেখানে পৌঁছাল জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন: ‘তিউনিসিয়ায় বৈধভাবে প্রবেশের শর্ত পূরণকারী ব্যক্তিদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। দেশের সীমানার বাইরে যা ঘটে তার জন্য তিউনিসিয়া দায়ী নয়।’

এর আগে গত মাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের হাইকমিশনার অফিস বলেছে, তারা তিউনিসিয়ার শত শত অভিবাসী এবং শরণার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যাদেরকে ‘প্রত্যন্ত ও জনশূন্য’ সীমান্ত এলাকায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা সীমান্তের অন্য পাশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইতালির দিকে যাওয়ার চেষ্টা অনেক বেড়েছে। মূলত যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তিউনিসিয়া সেসব অভিবাসীদের জন্য একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফ্রিকান ইউনিয়নকে বর্ণবাদী বলে প্রেসিডেন্ট সাইদ সাব-সাহারান অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিপজ্জনকভাবে ভূমধ্যসাগর পারাপার বেড়ে গিয়েছিল।


মরুভূমি   মরদেহ   বিতাড়িত   ২৭ অভিবাসী   তিউনিসিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন