ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান কেন ব্যর্থ রাষ্ট্র?

প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী কর্তৃক অর্থনৈতিক সাহায্য, ত্রাণ ইত্যাদি পাওয়া সত্ত্বেয় একটি দেশ যখন নিজস্ব অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা, জি.ডি.পি., জীবনযাত্রার মান ও সামাজিক মর্যাদা পাল্টাতে পারে না তখনই সেটি একটি রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া, ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সেখানে উল্লেখযোগ্য হারে উন্নয়নও সাধিত হয় না। আর এই সকল শর্তই কিন্তু পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি যথাযথভাবে পূরণ করে। তবে কি পাকিস্তান আসলেই একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র?

বর্তমানে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি এমনই এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে একমাত্র “করিলে দান, বাঁচিবে তাদের সম্মান” কথাটিই প্রযোজ্য হয়। ধুঁকতে ধুঁকতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার যোগাড় পাকিস্তানের। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটুকুও নেই দেশটির। যেখানে দেশটিকে আল্লাহর ভরসায় ছেড়ে দিয়েছেন, সে দেশের মন্ত্রীরা, সেখানে আসলে এটিকে ব্যর্থ রাষ্ট্র ছাড়া আর কিইবা বলা যেতে পারে! স্বাধীনতা লাভের ৭৬ বছর পরও একটি দেশের এহেন শোচনীয় অর্থনৈতিক অবস্থা আসলেই কাম্য নয়।

পাকিস্তানি নাগরিকদের পকেটে টাকা নেই পেটে খাবার নেই। বিশ কেজির এক প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকায়। তাও সেটা চেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাড়াকাড়ি করে পেতে হচ্ছে সে দেশের নাগরিকদের। খাদ্য সংকট নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বালুচির। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপর ক্ষুব্ধ বাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও। পাকিস্তানের হাত থেকে তারা মুক্তি চাইছেন।

শুধু খাবার নয়, পানীয় জলের সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বালুচিস্তানে মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন। সিন্ধ ও পাঞ্জাব প্রদেশের অবস্থা আরও ভয়ানক। যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৮০০ কিউসেক পানির প্রয়োজন, সেখানে মিলছে মাত্র ৫৩ হাজার ১০০ কিউসেক। অর্থাৎ প্রয়োজনের অর্ধেক বহু প্ল্যান্ট খারাপ হয়ে পড়ে আছে। অথচ দেখার কেউ নেই।

বিদ্যুৎ সঙ্কট: কার্যত গভীর অন্ধকারে ডুবে গেছে পাকিস্তান। এমনিতেই রাত ৮টার পর শপিং মল, বাজার, রেস্তোরাঁ এমনকি বিয়ে বাড়িতেও আলো নিভিয়ে দেয়ার বিধান দিয়েছিল সাবেক শাহবাজ সরকার। তার উপর ভয়াবহ গ্রীড বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত দেশ। লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ পাকিস্তানের সব বড় শহরে টানা ২৫/৩০ ঘন্টা ধরে চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ নেই, রাওয়ালপিন্ডি, মুলতানের ২২টি জেলার। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট পরিসেবা এবং ব্যবসায়ীক লেনদেন। এমনকি মোবাইলে চার্জ পর্যন্ত দিতে পারছেন না মানুষ।

এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের রক্ষার ভার ঈশ্বরের উপরই সোপর্দ করে দিলেন, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী 'ইহশাক দার'। তার বক্তব্য, "পাকিস্তানের উন্নয়নের নেপথ্যে রয়েছেন আল্লাহ। তাই, তিনি সঙ্কটের সময় দেশকে রক্ষা করবেন"।

ভাবা যায়, এই দেশটিই কথায় কথায় পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দেয়! দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছে কিনা, টাকা কোত্থেকে আসবে সে চিন্তা নেই বরং কিভাবে পাশ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসবাদী হামলায় মদদ দেয়া যায় দিনরাত তার ছক আঁকাই হচ্ছে সে দেশের সেনা আর গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর কাজ।

বর্তমানে শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ অবস্থা পাকিস্তানের। প্রায় যেন তলিয়েই যাচ্ছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। টাকার যেন কোনো দামই নেই। ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির দরপতন অব্যাহত আছে। বর্তমানে তা ২৮৯ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এতে পাকিস্তানি রুপির দর ইতিহাসের সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে।

কয়েক মাস ধরেই ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রার এই দরপতন চলছে। সামগ্রিকভাবে পাকিস্তানের অর্থনীতি বড় সংকটে পড়েছে।

রুপির এই সর্বশেষ দরপতনে পাকিস্তানের মুদ্রাবাজারও বিস্মিত। তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না, কী কারণে এ দরপতন। তবে অভিযোগের আঙুল ক্রমহ্রাসমান বিদেশি মুদ্রার মজুতের দিকে; সেই সঙ্গে আইএমএফের সঙ্গে ঋণের আলোচনা স্থগিত হয়ে যাওয়াও বড় একটি কারণ বলে মনে করছে তারা।

২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনের পর ডলারের দর ১০৪ রুপি বেড়েছে। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বরে ইসহাক দার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর ডলারের দর বেড়েছে ৫৭ রুপি।

মুদ্রার এ দরপতনের কারণে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতির সূচক রীতিমতো আকাশ ছুঁয়েছে। মার্চে দেশটির সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান সরকার মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ও বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার টিকিয়ে রাখতে আমদানি সীমিত করেছে। কিন্তু আমদানিকারকেরা দুবাই থেকে বা অনানুষ্ঠানিক বাজার থেকে ডলার কিনছেন।

দুবাই থেকে অবশ্য প্রতি ডলার কিনতে আমদানিকারকদের ৩২৫ রুপি ব্যয় করতে হচ্ছে। এ দামে ডলার কিনে আমদানি করা হলে মূল্যস্ফীতির দ্রুত বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।

সামগ্রিকভাবে, পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা এতটাই খারাপ যে এই সঙ্গট সামাল দিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। সেই কমিটিতে সরকারি কর্মীদের বেতনও অন্তত ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, দেশের মন্ত্রী, আমলাদের সরকারি সুযোগ সুবিধা কাটছাঁট করে এই খাতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম অর্থ ব্যয় করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংক দেশের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সামনে আনায় দেখা যায় যে গত এক অর্থবছরে   পাকিস্তানের দেনা ছিল ৯ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। যা বেড়ে দাঁড়িয়ছে প্রায় ২০ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে।

আইএমএফ এর অনুমান, ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৩,৮০০ কোটি ডলারে পৌঁছে গেছে। যার মধ্যে প্রায় ২১০০ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে এই বছরই। কোথা থেকে এই টাকা মেটাবে পাকিস্তান! যেহেতু, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ক্রমাগত কমেই চলেছে, সেহেতু বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পাকিস্তান প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানি করবে করতে পারছে না। যার ফলস্বরূপ আজকের পাকিস্তানের শোচনীয় অবস্থা।

মাথার উপর পাহাড়সম দেনা, অপরদিকে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। শর্ত না মানলে আর কোনো ঋণ দেবে না এমনটিই জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। সৌদি আরব, চীনের মত বন্ধু দেশও পাকিস্তানকে ধার দিতে কিন্তু কিন্তু করছে।

পাকিস্তানের বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাজনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে কড়া মূল্য দিতে হচ্ছে। মুদ্রা ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুরো এক বছর নিছক রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর করে চলে গেল। এতে অর্থনীতির ক্ষতিই হয়েছে, আর কিছু নয়।

পাকিস্তানের এই দুর্গতির পেছনে দেশটির সামরিক বাহিনীর দিকে বরাবরই আঙুল তোলেন বিশ্লেষকেরা। স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময় সামরিক শাসনের অধীনেই ছিল দেশটি। বিভিন্ন বড় শক্তির দাবার ঘুঁটি হিসেবে কাজ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

সর্বশেষ, ইমরান খানের দল পিটিআই ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসে চার বছরেরও কম সময় তিনি দেশ শাসন করার পর তাকে গত বছর অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। কারণ, ইমরান খান হারিয়েছিল সামরিক সামরিক সমর্থন। আর এর মাধ্যমেই দেশটিতে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। কারণ, একমাত্র ইমরান খানের তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) দলটিই সামরিক বাহিনীর হাতে তৈরি হয়নি। আর স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দেশ পরিচালনার সাথে জড়িত আছে। ইমরান খান যেদিক দিয়ে ছিলেন ব্যতিক্রম। যেহেতু, তিনি সামরিক সমর্থন হারিয়ে ফেলেন সেহেতু একারণেই তাকে কৌশলগতভাবে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। আর দলটিকে ভেঙে দেয়ার চলছে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা। বর্তমানে তোশখানা দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত ইমরান খান কারাগারে আছেন। কিন্তু এবারে আর প্রথমবারের মত দেশটিতে এর বিরুদ্ধে তেমন আন্দোলনও দেখা যায়নি। যেমনটা দেখা গিয়েছিল প্রথমবার, তার সমর্থনে দেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। এবার সেসব কিছুই নেই।

পাকিস্তানি বিশ্লেষকরা এটাই মনে করেন যে পাকিস্তান যদি তাদের সামরিক ব্যয় এতটা না বাড়াতো আজ তাদের এই দুর্গতি হতো না। দেশের জনগণের খাবারের জোগানের খবর না রেখে সামরিক বাহিনীকে জোড়ালো করা কোনো কাজের কথা না। আর এই সামরিক ব্যয় বাড়াতে বাড়াতেই আজ এ দুর্যোগের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। মেক্সিকোকে খেয়েছে তাদের ড্রাগ কার্টেল, ইতালিকে মাফিয়া, আর পাকিস্তানকে মিলিটারি—এমন কথাই বিশ্লেষকেরা বলেন। সামগ্রিক অর্থে এটাই পাকিস্তানের সবচাইতে বড় ব্যর্থতা।


পাকিস্তান   ব্যর্থ রাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা। 

শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় আবু ওবেইদা বলেন, 'আমাদের জনগণের ওপর গত কয়েক মাস ধরে যে নির্মম আগ্রাসন চলছে, তা বন্ধের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।'  

ভিডিওবার্তায় আল-কাসেম ব্রিগেডের এই মুখপাত্র দাবি করেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ব্যাপক বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করছে। ইতোমধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সাধনেও সফল হয়েছে তারা; কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না।

প্রায় দু'সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।  

ভিডিওবার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গত ১০ দিনে পুরো গাজা উপত্যকায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আল-কাসেম ব্রিগেডের যোদ্ধারা। রাফা শহরে আমাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে আগ্রাসনকারী বাহিনীর তীব্র লড়াই হচ্ছে এবং শহরের পূর্বাঞ্চলে শত্রুরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে।'

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়। 


গাজা   যুদ্ধ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধার, খুশি নন ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া থেকে তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের যে দাবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু করেছেন, তাতে খুশি নন ইসরায়েলিরা। তারা তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে আরও কিছু করার দাবি করেছে।

ইসরায়েল জানায়, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের হামলার সময় নিহত তিন ব্যক্তির মরদেহ তারা গাজা থেকে উদ্ধার করেছে। ওই তিন ব্যক্তি হলেন আইজ্যাক গেলেরেন্টার, অমিত বুসকিলা এবং শানি লুক। তারা নোভা মিউজিক উৎসবে নিহত হয়েছিলেন এবং হামাস লাশগুলো গাজায় নিয়ে গিয়েছিল বলে ইসরায়েল দাবি করছে।

শুক্রবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, ওই তিন ব্যক্তির লাশ সেনাবাহিনী এবং ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেইতের অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, জীবিত হোক বা মৃত হোক, গাজা থেকে সকল জিম্মিকে মুক্ত করে আনব।

গত সপ্তাহে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেড এক ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বন্দী নাদাভ পপলওয়েল মারা গেছেন। গ্রুপটি জানায়, এক মাস আগে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন। ওই ক্ষত থেকেই তিনি মারা গেছেন।

জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর ঘরোয়া চাপ বাড়ার মধ্যে ওই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

জিম্মিদের স্বজন ও বন্ধুসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আরও কিছু করার জন্য তারা নেতানিয়াহুর প্রতি দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অনেকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে চাপ দিচ্ছেন।

এদিকে শুক্রবার জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা ইমরান খান বলেন, তিন লাশ উদ্ধার নিয়ে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তাতে জিম্মিদের পরিবারগুলো সন্তুষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ইসরায়েল সরকার নিষিদ্ধ করায় আল জাজিরাকে এখন বাইরে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

ইমরান খান বলেন, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য গঠিত অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দি ব্রিং দেম হোম ক্যাম্পেইন বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত কিছু করছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস। সেসময় নিহতদের মধ্যে ওই তিনজনও ছিল। তখন আরো ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।


জিম্মি   মরদেহ   উদ্ধার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ইরানে ২৬০ জন গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

'শয়তানবাদ' প্রচারের দায়ে ২৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিন ইউরোপীয় নাগরিকও রয়েছেন।পাশাপাশি ৭৩টি গাড়িও জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে  ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪৬ জন পুরুষ ও ১১৫ জন নারী রয়েছেন। তাদের কাছ থেকে মদ ও নিষিদ্ধ মাদক জব্দ করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত শাহরিয়ার শহরে অভিযান চালিয়ে শয়তানবাদ প্রচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নারী-পুরুষের পোশাক, মুখ ও চুলে শয়তানবাদের প্রতীক ছিল। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তেহরানের কাছাকাছি একটি বাগানে অনুষ্ঠিত অননুমোদিত রক কনসার্ট চলাকালে শয়তানের উপাসনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরান পুলিশ।


শয়তানবাদ   ইরান   গ্রেফতার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস: বিশ্বের শীর্ষ আইকনিক জাদুঘর

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আজ। দিনটিতে জাদুঘরের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়— যাতে ছাত্র, শিক্ষক, গবেষক ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং নাগরিকরা তার আপন ঐতিহ্য সম্পর্কে ভাবতে শেখেন। ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইসিওএম)। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে।

পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যতো ইতিহাস জমা হচ্ছে তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘরের ইংরেজি মিউজিয়াম শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ মিউজয়ন থেকে, যার অর্থ কাব্যাদির অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দির। বাংলায় জাদুঘর কথাটির অর্থ হলো, যে গৃহে আদ্ভুত পদার্থসমূহ সংরক্ষিত আছে এবং যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হতে হয়। চলুন বিশ্বজুড়ে কিছু বিখ্যাত যাদুঘরের ভার্চুয়াল সফর করি।

ল্যুভর মিউজিয়াম, প্যারিস

ফ্রান্সের প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়ামের উল্লেখ না করে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত জাদুঘরের কোনো তালিকা সম্পূর্ণ হবে না। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনা লিসার আইকনিক পেইন্টিংয়ের বাড়ি, দ্য ল্যুভর হল বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর এবং শিল্প উৎসাহীদের জন্য একটি অবশ্যই দেখার গন্তব্য৷ প্রাচীন সভ্যতা থেকে একবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ৩৮,০০০ টিরও বেশি শিল্পকর্মের সাথে, ল্যুভর হল মানুষের সৃজনশীলতা এবং কল্পনার ভান্ডার। 

স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন, ওয়াশিংটন, ডিসি

ওয়াশিংটন, ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন হল বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর, শিক্ষা এবং গবেষণা কমপ্লেক্স, যেখানে ১৯ টি জাদুঘর এবং গ্যালারী, ন্যাশনাল জুলজিক্যাল পার্ক এবং নয়টি গবেষণা সুবিধা রয়েছে। ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্ট্রি থেকে ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়াম পর্যন্ত, স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী এবং অভিজ্ঞতার অফার করে যা সব বয়সের এবং আগ্রহের দর্শকদের জন্য পূরণ করে। 

ব্রিটিশ মিউজিয়াম, লন্ডন

১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম বিশ্বের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহটি মানব ইতিহাস এবং সংস্কৃতির দুই মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত, প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক শিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী সহ। রোসেটা স্টোন, পার্থেনন ভাস্কর্য এবং মিশরীয় মমি যাদুঘরের সবচেয়ে আইকনিক এবং জনপ্রিয় প্রদর্শনী। 

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, নিউ ইয়র্ক

মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট, যা দ্য মেট নামেও পরিচিত, এটি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ব্যাপক শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত, দ্য মেটের সংগ্রহটি ৫,০০০ বছরেরও বেশি বিশ্ব সংস্কৃতি এবং শিল্পকে বিস্তৃত করে, যেখানে প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকর্ম থেকে সমসাময়িক চিত্রকর্ম এবং ভাস্কর্যের প্রদর্শনী রয়েছে। মেটের ছাদের বাগান এবং কস্টিউম ইনস্টিটিউট হল এর কিছু জনপ্রিয় আকর্ষণ। 

ভ্যাটিকান মিউজিয়াম, ভ্যাটিকান সিটি

ভ্যাটিকান সিটির ভ্যাটিকান মিউজিয়াম হল জাদুঘর এবং গ্যালারির একটি সংগ্রহ যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এবং উল্লেখযোগ্য শিল্প ও নিদর্শন রয়েছে। জাদুঘরের সংগ্রহে মাইকেলেঞ্জেলো, রাফেল এবং অন্যান্য বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ, সেইসাথে প্রাচীন রোমান এবং মিশরীয় শিল্পকর্ম রয়েছে। সিস্টিন চ্যাপেল, মাইকেলেঞ্জেলোর আঁকা তার চমৎকার ছাদ সহ, ভ্যাটিকান যাদুঘরের সবচেয়ে পরিদর্শন করা এবং আইকনিক আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি।

অ্যাক্রোপলিস মিউজিয়াম, এথেন্স

গ্রীসের এথেন্সের অ্যাক্রোপলিস যাদুঘরটি প্রাচীন দুর্গ এবং এর চারপাশের স্মৃতিস্তম্ভ, পার্থেনন, এথেনা নাইকির মন্দির এবং এরেকথিয়ন সহ নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ভাস্কর্য, মৃৎশিল্প এবং অন্যান্য নিদর্শন যা অ্যাক্রোপলিস এবং আশেপাশের এলাকা থেকে খনন করা হয়েছিল। যাদুঘরের কাঁচের মেঝে দর্শকদের বিল্ডিংয়ের নীচে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ দেখতে দেয়, একটি অনন্য এবং নিমগ্ন অভিজ্ঞতা তৈরি করে। 

জাতীয় প্রাসাদ যাদুঘর, তাইপেই

তাইওয়ানের তাইপেই ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম হল চীনের শিল্প ও নিদর্শনগুলির বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহ ওভার নিয়ে গঠিত প্রাচীন চীনা চিত্রকর্ম, মৃৎশিল্প, ক্যালিগ্রাফি এবং জেড খোদাই সহ ৭০০,০০০ বস্তু। জাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল জাদেইট বাঁধাকপি, জেডের একটি ছোট টুকরো যা বাঁধাকপির মাথার মতো খোদাই করা হয়েছে এবং এটি কিং রাজবংশের জেড খোদাইয়ের অন্যতম সেরা উদাহরণ হিসাবে বিবেচিত হয়। 

হারমিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পিটার্সবার্গ

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের হারমিটেজ মিউজিয়াম বিশ্বের বৃহত্তম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি। যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে ত্রিশ লাখেরও বেশি আইটেম, যার মধ্যে রয়েছে প্রাচীন শিল্পকর্ম থেকে শুরু করে আধুনিক শিল্প, বিশ্বের সব প্রান্ত থেকে প্রদর্শনী সহ। শীতকালীন প্রাসাদ, রাশিয়ান রাজাদের প্রাক্তন বাসস্থান, এটিও যাদুঘরের একটি অংশ এবং এটি রাশিয়ান রাজপরিবারের ঐশ্বর্যময় জীবনধারার একটি আভাস দেয়।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ নৃবিজ্ঞান, মেক্সিকো সিটি

জাতীয় জাদুঘর মেক্সিকো সিটিতে নৃবিজ্ঞানের একটি বিশ্ব-বিখ্যাত জাদুঘর যা মেক্সিকো এবং মেসোআমেরিকার প্রাচীন সভ্যতার জন্য নিবেদিত। জাদুঘরের সংগ্রহে অ্যাজটেক, মায়া এবং অন্যান্য প্রাচীন সংস্কৃতির শিল্পকর্ম রয়েছে, যেখানে প্রাক-কলম্বিয়ান শিল্প থেকে সমসাময়িক মেক্সিকান লোকশিল্প পর্যন্ত প্রদর্শনী রয়েছে। যাদুঘরের সবচেয়ে বিখ্যাত প্রদর্শনী হল অ্যাজটেক ক্যালেন্ডার স্টোন, একটি বিশাল পাথরের চাকতি যা অ্যাজটেকরা ক্যালেন্ডার এবং আনুষ্ঠানিক বস্তু হিসেবে ব্যবহার করত। 

উফিজি গ্যালারি, ফ্লোরেন্স

ইতালির ফ্লোরেন্সের উফিজি গ্যালারি হল বিশ্বের প্রাচীনতম এবং বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, যেখানে মিকেলেঞ্জেলো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং অন্যান্য ইতালীয় রেনেসাঁর মাস্টারদের কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁ পর্যন্ত ইতালীয় শিল্পের বিবর্তন প্রদর্শনের জন্য কালানুক্রমিক ক্রমে সাজানো প্রদর্শনী সহ যাদুঘরের সংগ্রহে রয়েছে পেইন্টিং, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য শিল্পকলা। জাদুঘরের ছাদের টেরেস ফ্লোরেন্স এবং আশেপাশের গ্রামাঞ্চলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়।


আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস   বিশ্ব   আইকনিক জাদুঘর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন