ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৭৭তম বছরে এসেও বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail ৭৬তম বছরে এসেও বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পাকিস্তান।

আজ ১৪ আগস্ট, পাকিস্তানের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে তৎকালীন ভারতবর্ষ দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়। যার একটি পাকিস্তান। কিন্তু ভৌগলিকভাবে পাকিস্তান পূর্ব এবং পশ্চিম এই দুই অংশে বিভক্ত ছিল, যা ১৯৫৫ সালের মারি চুক্তির ভিত্তিতে পূর্ব বাংলা থেকে পূর্ব পাকিস্তান এবং মূল পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে পরিণত হয়। গড়ে ওঠে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি।

কিন্তু, জন্মের শুরু থেকেই পাকিস্তান রাষ্ট্রটি পূর্ব বাংলার প্রতি ভয়াবহ রকমের বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেছিল। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পূর্ব পাকিস্তান ছিল প্রচণ্ড অবহেলিত ও নিষ্পেষিত। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তারা সবসময় প্রাধান্য দিয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানকে। যার প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ জনগণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। জন্ম নেয় আজকের স্বাধীন রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’।

সময় বদলেছে। প্রায় শূন্য থেকে শুরু করলেও বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে সেই পূর্ব বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশ আজ অনেক পরিণত। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অর্থনীতি, রাজনীতিতে করেছে ব্যাপক উন্নতি যা পাকিস্তানের জন্য রীতিমতো ঈর্ষনীয়। যে পাকিস্তান বাংলাদেশকে দ্বার করিয়ে দিয়েছিল ধ্বংসের প্রান্তে, আজ তাদের থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রায় সব সূচকেই পাকিস্তানকে অনেকাংশে টপকে গেছে বাংলাদেশ। 

বিশেষ করে অর্থনীতির প্রতিটি খাতে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।


২০২৩ সালের বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের তুলনামূলক এমন কতগুলো সূচক আছে, যা থেকে স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয় যে, স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তান আজ আর কোনো তুলনীয় রাষ্ট্র নয়। সূচকগুলো হলো-

এক. বাংলাদেশের মোট জিডিপি ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের জিডিপি ৩৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা আমাদের চেয়ে ১১৯ বিলিয়ন কম। 

দুই. পাকিস্তানের মোট জিডিপি আমাদের চেয়ে কম, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। সেখানে জনসংখ্যা প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ১ শতাংশ; আর বাংলাদেশে এ হার ১ দশমিক ২ শতাংশ। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যা বর্তমানে ২২ কোটি; আর বাংলাদেশে ১৭ কোটি। অথচ ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৬ কোটি; আর সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটিরও বেশি। 

তিন. মাথাপিছু আয়কে সামনে আনা যাক। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২৭৬৫ ডলার। যেখানে পাকিস্তানের কমে গিয়েছে ১১ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে যা ১৩৯৯.১ ডলার। 

চার. রপ্তানি আয়ের পার্থক্যটাও লক্ষণীয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি আয় ৫৫.৫ বিলিয়ন ডলার; যেখানে পাকিস্তানের ৩৯.৪ বিলিয়ন ডলার। 

পাঁচ. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সরকারের ও আইএমএফের হিসাবে গরমিল আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে সরকারি হিসাবমতে কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু আইএমএফ বলছে সঠিক হিসাব হলো, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি নয়। আমরা যদি সর্বনিম্ন হিসাবটিও ধরি, তাহলেও তা দিয়ে তিন মাসেরও বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। অন্যদিকে একই সময়ে পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে মাত্র ৩ সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটান যেতে পারে। 

ছয়. বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ জিডিপির ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ; আর পাকিস্তানের বেলায় তা জিডিপির প্রায় ৪৭ শতাংশ। 

সাত. নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাড়ির আঙিনার বাইরে গিয়ে কর্মরত নারীর অনুপাত পাকিস্তানে ১৪ শতাংশের বেশি নয়; অথচ বাংলাদেশের বেলায় এ হার ৩৬ শতাংশেরও বেশি। 

আট. আমাদের দেশে শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ২১ জন; অন্যদিকে পাকিস্তানে বর্তমানে তা হাজারে ৫৯ জন। 

নয়. বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু যেখানে ৭৩ বছর; পাকিস্তানের বেলায় তা মাত্র ৬৬ বছর। 

দশ. বাংলাদেশে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে; কিন্তু পাকিস্তানে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে অবস্থান করছে। 

এগারো. স্থানীয় মুদ্রার কথায় আসি-২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রুপির মূল্যমান বাংলাদেশের টাকার চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি ছিল। ২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশের বাজারে ১০৭ টাকায় ১ ডলার কেনা যায়; কিন্তু পাকিস্তানে ১ ডলার কিনতে হলে ২৭৭ রুপি খরচ করতে হয়। 

বারো. বাংলাদেশের জনগণের সাক্ষরতার হার হচ্ছে ৭৬ শতাংশ; আর পাকিস্তানের বেলায় তা মাত্র ৫৯ শতাংশ। 

তেরো. জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকেও বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে। ২০২২ সালের মানব উন্নয়ন সূচকে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯; আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৭।

এছাড়া, বর্তমান বাংলাদেশ জঙ্গী ও সন্ত্রাসী মুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির দেশ। যেখানে, পাকিস্তানে একটি সরকারও তার মেয়াদ পূর্ণ করেতে পারেনি। বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আছেন জেলে। নির্বাচন নিয়ে তাদের দেশে চলছে রীতিমতো রঙ্গতামাশা। অথচ বাংলাদেশের ২ জন নেন্ত্রী সফলভাবে দেশ চালিয়ে আসছেন।

এসব সূচক বিচেনায় নিয়ে স্পষ্টভাবেই বলা চলে, আজকের বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো তুলনা চলে না। বাংলাদেশের তুলনা হতে পারে সফল কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে। অর্থাৎ, বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তানের চেয়ে অনেকাংশেই উন্নত।


৭৬তম   বছর   বাংলাদেশ   পিছিয়ে   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। পরে দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আর এর মাধ্যমে অনুসন্ধান অভিযানও সমাপ্ত করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

সোমবার ইরানের রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং অন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এর মাধ্যমে অনুসন্ধান অভিযানও শেষ হয়েছে। 

রেড ক্রিসেন্ট প্রধান পীর হোসেইন কুলিভান্দ রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেন, 'আমরা শহীদদের মরদেহ ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। তল্লাশি অভিযান শেষ হয়েছে।'

প্রসঙ্গত, রোববার উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানায়।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছিল, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে 'কোনও জীবিত ব্যক্তি' পাওয়া যায়নি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হেলিকপ্টারে থাকা সকল যাত্রী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন'।

পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহসেন মনসুরি এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বিবৃতিতে রাইসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ

প্রকাশ: ০৩:৫১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সন্ধান মিলল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি কেউই আর বেঁচে নেই।

সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি-ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

ইরানের রাষ্ট্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল প্রেস টিভি একাধিক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে।

এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে 'কোনও জীবিত ব্যক্তি' পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত রোববার (১৯ মে) একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।


ইব্রাহিম রাইসি   হেলিকপ্টার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:৪১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ানের নিহতের ঘটনায় পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ইরান। সোমবার (২০ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে এমন পরিস্থিতিতে ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবেরের নাম অনুমোদন করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।

ইরানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ গার্ডিয়ান কাউন্সিল সোমবার (২০ এপ্রিল) জানিয়েছে, মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করার ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনি জানিয়েছেন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবারকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি।

আলি খামেনির বরাত দিয়ে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনা জানায়, মোখবার দেশের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।

উল্লেখ, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ ৯ জন নিহত হয়।


ইব্রাহিম রাইসি   ইরান   হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা   রাষ্ট্রীয় শোক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানকে সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় সব করতে প্রস্তুত রাশিয়া

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ার পর রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে ইরানের এমন পরিস্থিতিতে সহযোগিতা করার জন্যও হাত বাড়িয়েছে বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্র।

ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরানকে সহযোগিতা করার জন্য এই মুহূর্তে যা যা প্রয়োজন সব করতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন মস্কোয় ইরানি রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালির সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর শুনে প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরানি রাষ্ট্রদূতকে তার কার্যালয়ে জরুরি আমন্ত্রণ জানান। এ সময় তিনি দুর্ঘটনার বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং ইরানের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রস্তুতির কথা জানান।

যদিও রোববার রাশিয়ায় সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন ছিল তবুও প্রেসিডেন্ট পুতিন জরুরিভিত্তিতে তার অফিসে আসেন এবং ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সেখানে শীর্ষপর্যায়ের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এই দুর্ঘটনায় তারা অত্যন্ত দুঃখিত এবং মর্মাহত। রাশিয়ার পক্ষ থেকে শোকবার্তা ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তিনি রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালীকে অনুরোধ জানান।

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য তারা দুটি বিমান প্রস্তুত রেখেছেন, সঙ্গে রয়েছে ৫০ সদস্যের একটি শক্তিশালী ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দল।

এর আগে রোববার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এ দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইব্রাহিম রাইসি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক। রাইসি বিশ্ব রাজনীতিতেও অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তার কারণেই দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা কমেছে।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।


পুতিন   রাশিয়া   রাইসি   ইরান   ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান মারা গেছেন। এর ফলে ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মোখবেরের নাম অনুমোদন করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মারা গেলে বা কোনো কারণে দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

নতুন প্রেসিডেন্ট যিনিই হন না কেন, তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদন নিতে হবে। ইরানে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি। ক্ষমতাকাঠামোয় এরপরই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাকে সরকারের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

রাইসি নিহত হওয়ায় খামেনির অনুমোদন সাপেক্ষে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের ইরানের পরবর্তী কাণ্ডারি হওয়ার পথ খুলে গেছে বলা যায়।

আগে ইরানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছিল। ১৯৮৯ সালে তা বিলুপ্ত করা হয়। সরকারে প্রেসিডেন্টের পরবর্তী পদে বসানো হয় একজন ভাইস প্রেসিডেন্টকে। তবে প্রেসিডেন্টের মতো এই পদ নির্বাচিত নয়। ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের আগস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট হন ইব্রাহিম রাইসি। এর পরপরই খামেনির অনুমতি সাপেক্ষে মোহাম্মদ মোখবারকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংবিধান সংশোধনের পরবর্তী সময়ে ইরানের সপ্তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে মোহাম্মদ মোখবার ইরানের সিতাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এটা ইরানের অন্যতম শক্তিশালী একটি অর্থনৈতিক কনগ্লোমারেট (একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অধীন থাকা বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী)। মূলত দাতব্যকাজের জন্য এ প্রতিষ্ঠান বিশেষভাবে পরিচিত। সর্বোচ্চ নেতার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এটা পরিচালিত হয়। একসময় ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের গভর্নর ছিলেন মোহাম্মদ মোখবার।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন