ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অসাম্প্রদায়িকতার চাদরে মোড়া সাম্প্রদায়িক ভারত, ভবিষ্যৎ কি?

প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের সংবিধান হলো বিশ্বের দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান। দেশের প্রতিটি মানুষের ধর্ম, বর্ণ এবং সম্প্রদায়ের কথা চিন্তা করেই সংবিধানটি প্রণয়ন করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এই সংবিধানের অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্ট্য।

কিন্তু বর্তমানে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত এ দেশটিতে যা ঘটছে তাতে কি আদৌও তার অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় থাকছে নাকি মোদী সরকারের হিন্দুত্ববাদ তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছে এর গৌরব সেটাই ভেবে দেখবার বিষয়।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া মাত্র ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজে বিশ্বের বৃহত্তম গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের আরেকটি নোংরা চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।

প্রযুক্তিগত উন্নতি যখন ভারতকে চাঁদে নিয়ে যাচ্ছে ঠিক সে সময় দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিজেপির শাসিত রাষ্ট্র মনিপুরে সংখ্যালঘু কুকি উপজাতীয় দুই নারীকে নগ্ন করে রাস্তায় হাটানো একটি ভিডিও স্তম্ভিত করে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে।

নগ্ন করে রাস্তায় হাটানোর পর প্রকাশ্য দিবালোকে ঐ দুই নারীকে (মা ও মেয়ে) গণধর্ষণ করা হয়। ভয়ংকর এ ঘটনার পর সর্বত্রই একটি প্রশ্ন, হিন্দুত্ববাদী এ রাজনীতি ভারতকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়ে আসছে সংখ্যালঘু মুসলমানরা। পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো এবং মারধর করে তাদের 'জয় শ্রীরাম' বলতে বাধ্য করা এসব হয়ে ওঠে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু ভারতের অন্য ধর্মের সংখ্যালঘুরাও যে বিজেপির হাতে নিরাপদ নয় তা এবার এই ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

মনিপুরে গত প্রায় আড়াই মাস ধরে চলা জাতিগত দাঙ্গা ও সহিংসতার মধ্যে গত ৪ মে ন্যাক্কারজনকভাবে এই ভিডিওটি ধারণ করা হলেও গত ১৯ জুলাই বুধবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি ছড়িয়ে পড়ে।

৪ মে সংঘটিত ঐ ঘটনার পর গত ১৮ মে নিগ্রহের শিকার একজন নারী স্থানীয় এক থানায় (এফআইআর) দাখিল করেন। কিন্তু পুলিশ ঐ দুর্বৃত্তদের ধরার কোনো উদ্যোগই নেয়নি বরং পুলিশ (এফআইআর)টি নিজেদের ভাষায় লিপিবদ্ধ করে।

এতে বলা হয়, 'দাঙ্গায় ভিক্টিমদের গ্রাম যখন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছিলো তারা বাড়ি থেকে পালানোর সময় পথে পুলিশের একটি টহল দল তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুলে নেয়, এবং তাদের থানায় হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যেই মেইতি সম্প্রদায়ের একদল উত্তেজিত জনতা পুলিশি হেফাজত থেকেই তাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপরই মা, মেয়েকে এভাবে রাস্তায় হাটিয়ে পরবর্তীতে গণধর্ষণ করা হয়েছে।

পরে গত ১৯ জুলাই ভিক্টিম দু'জন নারীর একজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে টেলিফোনে কথা বললে আসল সত্যতা সম্পর্কে জানা যায়।

কথোপকথনে ভিক্টিম দাবী করে, পুলিশ আসলে হামলাকারীদের সাথেই ছিল। তারা বাড়ির কাছ থেকে প্রথমে ভিক্টিমদের গাড়িতে তুলে নিয়ে, গ্রামের একটু বাইরে গিয়েই রাস্তায় ছেড়ে দেয়। পুলিশই ঐ জনতার হাতে তাদের তুলে দিয়েছিল, তাদের ছিনিয়ে নেয়া হয়নি বলে ভিক্টিম এই সংবাদমাধ্যমকে জানায়। এরপরই উন্মত্ত জনতা তাদের নগ্ন করে রাস্তায় হাটাতে বাধ্য করে ও গণধর্ষণ করে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ইতোমধ্যেই ভারতের জাতীয় রাজনীতিকে উত্তাল করে তুলেছে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুধু বিরোধীদল গুলোই নয়, সুপ্রিমকোর্টও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই ঘটনায়।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারের উচিত এখনই ব্যবস্থা নেয়া। সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিমকোর্ট জরূরীভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।

এদিকে, ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করতে না দেয়ায়, বিরোধী সদস্যরা পার্লামেন্টের কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন।

এছাড়া, ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'দুই নারীকে নগ্ন করে হাটানো ও গণধর্ষণের ঘটনাটি গত ১২ জুন, ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনারকেও জানানো হয়েছিল লিখতভাবে। কিন্তু মোদী সরকারের নিয়ন্ত্রিত এই কমিশনও অভিযোগ তদন্তে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

মনিপুরের বিজেপি দলীয় মুখ্যমন্ত্রী 'এন বিরেন সিং' নিজেও মেইতি সম্প্রদায়ের একজন মানুষ। পুলিশ চারজনকে আটকের পর তিনি এক টুইটে বলেছেন, তার সরকার এ ঘৃণ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। বর্তমানে এই ঘটনা নিবিড় তদন্তাধীন আছে এবং অপরধীদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে এর আগে ভারতীয় পার্লামেন্টের সদ্য উদ্বোধন হওয়া নতুন ভবনের দুই কক্ষেই মনিপুর পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি আলোচনার দাবী জানান বিরোধীদল। কিন্তু সভার স্বাভাবিক কাজ বন্ধ রেখে আলোচনায় রাজী হননি, লোকসভার স্পিকার "ওম বিড়লা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান "জগদেশ ধনখের"। ফলে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে দুই কক্ষেই উত্তেজনা তৈরি হয়। বিরোধীরা তীব্র ভাষায় সরকারকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে দু কক্ষের অধিবেশনই সারাদিনের মত মুলতবি হয়ে যায়।

প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি 'মল্লিকারজন খারগে' ঐ ভিডিওটির প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, মনিপুরে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে আপনারা মবক্রেসিতে পালটে ফেলেছেন। তারপরও আপনি চুপ। ভারত আপনাকে ক্ষমা করবে না।"

বিরোধীদলের এক কথা। পার্লামেন্টে সব কাজ ফেলে অবিলম্বে মনিপুর নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

এছাড়া, কুকি উপজাতীর হাংলাল ভেইফেই নামক ২১ বছর বয়সী এক কলেজছাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে গত ৩০ এপ্রিল ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় তাকে ৫ মে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ হেফাজতেই সে মারা যায়। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত ঐ ছাত্রের পরিবারকে জানানো হয় কারাগার থেকে কোর্টে নেয়ার সময় মেইতি গোষ্ঠীর হামলায় সে মারা গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মনিপুরে বিজেপির সমর্থিত মেইতি সম্প্রদায় কুকিদের উপর যে নিপিড়ন চালিয়েছে তার ক্ষত সহজে মুছবে না। ইতোমধ্যেই কুকি সম্প্রদায়ের লোকেরাও তাদের হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলো দীর্ঘদিন থেকেই স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বর্তমানে খ্রিস্টান কুকি সম্প্রদায়ের উপর নিপিড়ন এ অঞ্চলের সশস্ত্র সংগ্রামের রুপ বদলে দিতে পারে। কুকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল মিয়ানমার ও পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলো থেকে সহযোগিতা পাবে। কুকি তরুনদের মধ্যে যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে তা সহজে থামবে না।

এদিকে খ্রিস্টান অধ্যুষিত মনিপুরের কুকিদের উপর নিপিড়ন, গীর্জা পুড়িয়ে দেয়া এবং ধর্ষণের ঘটনায় মোদি সরকার পড়েছে বড় ধরনের কুটনৈতিক চাপে। ইতোমধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মনিপুর বিষয়ে প্রস্তাব পাশ করিয়েছে। এখন ধর্ষণ ও যৌন নিপিড়নের এসব ঘটনায় মোদি শাসিত ভারতের ভয়ংকর রুপ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও চাপে পড়েছেন মোদি, যা আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। একইসাথে উত্তর পূর্ব ভারতে যে সশস্ত্র সংগ্রাম চলছে তাতে নতুন মাত্রা যোগ দিতে পারে।

সর্বশেষ ভারতের বিরোধীদলের নেতা রাহুল গান্ধী মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতি তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। বেশ কয়েক মাস ধরে চলমান মণিপুরের এই সহিংসতা নিরসনে মোদি সরকারের অদ্ভুত নিরবতায় বিরোধী দলের সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দেয়। অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের অংশ হিসেবে রাহুল গান্ধী লোকসভায় তার বক্তব্যের মাধ্যমে উত্তাপ ছড়িয়ে দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মীয় কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বিরোধ চলে আসছে। এসব ঘটনায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

আসলে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তা মুসলমান হোক আর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি সম্প্রদায় হোক, একটি রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতা বিলুপ্ত হলে এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনাই সাধারণ হয়ে ওঠে এবং ঘটতেই থাকে। আর অসাম্প্রদায়িকতার চাদরে মোড়া হিন্দুত্ববাদের রাজনীতি নিয়ে ভারত এসব ঘটনার একের পর এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেই চলেছে, যার ভবিষ্যৎ অজানা।


ভারত   অসাম্প্রদায়িকতা   ধর্মনিরপেক্ষতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহে বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯) ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্রামে  কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নয়ন রায় (২৩) প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

ছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের খারকিভে চলছে কঠিন লড়াই

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরেকঠিন লড়াইচলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতিঅত্যন্ত কঠিন’, তবেনিয়ন্ত্রণেরয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সম্প্রতি রুশ বাহিনীর সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে খারকিভ অঞ্চলে। অবশ্য পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।


ইউক্রেন   খারকিভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন, নিহত ১১ জন

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর  এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।


নাইজেরিয়া   মসজিদ   আগুন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

গত বছরের অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।

গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। 


ইসরায়েল   বিমানঘাঁটি   ড্রোন   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন