মালয়েশিয়ার পশ্চিম উপকূলীয় প্রদেশ সেলানগরের এলমিনা শহরে যাত্রীবাহী ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সেলানগর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএএম) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরজামান মাহমুদ দেশটির সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমসকে বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানটি বিচক্রাফট মডেল-৩৯০ এর। যার নিবন্ধন নম্বর এন২৮জেভি।
দেশটির পরিবহন সংস্থা জেটভ্যালেট এসডিএন বিএইচডির পরিচালিত বিমানটি দুপুর ২টা ৮ মিনিটে ল্যাংকাউই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে অবতরণের কথা ছিল ছোট এই বিমানের।
সংস্থাটি বলেছে, সুবাংয়ের সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে বিমানটির প্রথম যোগাযোগ হয়েছিল দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে। আর বিমানটিকে অবতরণের ছাড়পত্র দেওয়া হয় দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে। সুলতান আব্দুল আজিজ শাহ বিমানবন্দরের দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল।
দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে কন্ট্রোল টাওয়ারের কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও পাইলট কোনও জরুরি কল করেননি।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার বলছে, বিমানটি এলমিনা শহরের একটি সড়কে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সেখানকার একটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
সেলানগর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর সময় ফ্লাইটের ভেতরে কমপক্ষে দুজন ক্রু ও ছয়জন যাত্রী পেয়েছি। যাদের সবাই ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
তিনি বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে সড়কে একটি গাড়ির চালক ও একজন মোটরসাইকেল আরোহীও মারা গেছেন। তবে গাড়ির ভেতরে আরও লোকজন ছিল কি না আমরা এখনও তা নিশ্চিত হতে পারিনি। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য ক্লাংয়ের টেংকু আম্পুয়ান রহিমাহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র: দ্য স্টার, নিউ স্ট্রেইটস টাইমস, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
মালয়েশিয়া বিমান বিধ্বস্ত প্রাণহানি
মন্তব্য করুন
বোমা সরবরাহ স্থগিত রাখলেও ইসরায়েলকে আরও ১০০ কোটি ডলার মূল্যের
অস্ত্র দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে
তিনি কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সহায়তার আওতায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র
যেসব অস্ত্র দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে ট্যাংক খাতে রয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার, আরও ৫০০ মিলিয়ন
ডলার রয়েছে কৌশলগত যানবাহনে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে মর্টার শেলে।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
করতে গিয়ে শেষ হয়ে আসা ইসরায়েলি অস্ত্রভাণ্ডার পূর্ণ করতে এসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য, সবকিছু ইসরায়েলে পৌঁছাতে কয়েক বছর লেগে যাবে।
সম্প্রতি ইসরায়েলে বড় আকারের বোমা সরবরাহ স্থগিত রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। গাজার রাফায় এসব বোমা ব্যবহৃত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ওইসব তা সরবরাহ স্থগিত রেখেছে আমেরিকা।
মন্তব্য করুন
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডার লেখক এলিস মুনরো আর নেই। সোমবার
(১৩ মে) কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপে একটি সেবা কেন্দ্রে তার মৃত্যু হয়। এই নোবেল
বিজয়ী লেখকের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
এলিস মুনরো ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ছোট গল্প লিখেছেন। কানাডার গ্রামীণ
জীবনকে উপজীব্য করেই তার বেশির ভাগ লেখা। এলিস মুনরোর গল্পে যে অন্তর্দৃষ্টি ও সমবেদনা
ফুটে উঠত, সেজন্য তাকে প্রায়ই রাশিয়ার লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হত।
২০১৩ সালে এলিস মুনরো সাহিত্যে নোবেল পান। সে সময় পুরস্কারের ঘোষণায়
মুনরোকে ‘সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে নোবেল কমিটি বলেছিল, ‘তিনি খুব সুন্দর
করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী।’
মুনরোর জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম
এলাকায়। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশেই তাঁর বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামার মালিক,
মা স্কুলশিক্ষক।
মাত্র ১১ বছর বয়সেই মুনরো ঠিক করে ফেলেন, বড় হয়ে একজন লেখকই
হবেন। সে মতোই এগিয়েছে সবকিছু। নিজের পেশা নিয়ে পরবর্তী সময়ে আর কখনো তিনি দ্বিধাদ্বন্দ্বে
ভোগেননি।
মুনরোর প্রথম গল্প দ্য ডাইমেনশন অব আ শ্যাডো। প্রকাশিত হয় ১৯৫০
সালে। তখন তিনি ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। সেখানেই পরিচয় হয়
স্বামী জেমস মুনরোর সঙ্গে। তাঁরা বিয়ে করেন ১৯৫১ সালে।
রপর সংসার করার পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে গেছেন এলিস মুনরো। জেমসের
সঙ্গে তাঁর দুই দশকের সংসার ভেঙে যায় ১৯৭২ সালে। এর আগে তিন কন্যাসন্তানের মা হন তিনি।
চার বছর পর আবার বিয়ে করেন জেরাল্ড ফ্রেমলিনকে।
তখন থেকে গড়ে প্রায় চার বছরে তাঁর একটি করে বই বেরিয়েছে। তার
বেশির ভাগ গল্পে উঠে এসেছে কানাডার গ্রামাঞ্চলের পরিবেশ। অন্য বড় লেখকদের মতো তিনি
বিশ্বভ্রমণে বের হননি। স্বাভাবিকভাবেই নিজের চারপাশের গণ্ডির বাইরের বিষয় নিয়ে তাঁর
লেখালেখিও কম।
মুনরো গভর্নর জেনালের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনবার। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত
ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস, ১৯৭৮ সালে হু ডু ইউ থিংক ইউ আর এবং ১৯৮৬ সালে দ্য প্রোগ্রেস
অব লাভ বইয়ের জন্য। তিনি কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কারও পেয়েছেন। আর সাহিত্যে
নোবেলের পর সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। দ্য
বেয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন বইয়ের জন্য তিনি ওই পুরস্কার পান। তাঁর এই বই অবলম্বনে
পরিচালক সারাহ পলি তৈরি করেন সিনেমা অ্যাওয়ে ফ্রম হার।
মুনরোর প্রকাশিত অন্যান্য ছোটগল্পের সংকলনের মধ্যে আছে লাইভস অব
গার্লস অ্যান্ড উইম্যান-১৯৭১, সামথিং আই হ্যাভ বিন মিনিং টু টেল ইউ-১৯৭৪, দ্য মুনস
অব জুপিটার-১৯৮২, ফ্রেন্ড অব মাই ইয়োথ-১৯৯০, ওপেন সিক্রেটস-১৯৯৪, দ্য লাভ অব আ গুড
উইম্যান-১৯৯৮, হেটশিপ ফ্রেন্সশিপ কোর্টশিপ লাভশিপ ম্যারিজ-২০০১, রানঅ্যাওয়ে-২০০৪,
টু মাচ হ্যাপিনেস-২০০৯ এবং ডিয়ার লাইফ-২০১২।
সাহিত্য নোবেল বিজয়ী এলিস মুনরো
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক মস্তিষ্কের ক্যানসার
মন্তব্য করুন
ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’
তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী— চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে।
আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।
ভারত ইরান তেহরান চাবাহার বন্দর
মন্তব্য করুন
ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।