ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে ভারত: দ্য হিন্দু

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২১ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতিবেশী ভারত সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য হিন্দু। সোমবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই মন্তব্য করা হয়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন পত্রিকাটির সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট এডিটর কল্লোল ভট্টাচার্য।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানোর কয়েকদিন পর ভারত ঢাকার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনার পরিধি বাড়িয়েছে।

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল রোববার তিন দিনের সফরে ভারতে গেছে। এই সফরের প্রেক্ষাপটে আজ সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিকটি।

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলকে আতিথ্য দেওয়ার দিন কয়েক পর ঢাকার রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে ভারত। তারা জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদলকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জি এম কাদের ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে একটি সর্বদলীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতীয় পার্টির এই প্রতিনিধিদলের ভারত সফরে আসাটা তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ভারত আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আতিথ্য দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই সম্মেলনে বাংলাদেশকে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কেন্দ্রে রয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলটির দাবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আসন্ন নির্বাচন যথাসময়ে করার ব্যাপারে জোর দিয়ে আসছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ছাড়াই এই নির্বাচন করতে চায় তারা। কারণ, ২০১১ সালে এক সংসদীয় আইনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল হয়ে গেছে।

টেলিফোনে দ্য হিন্দুকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জি এম কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও বিএনপি—উভয় পক্ষের সঙ্গে নিজের একটা সমদূরত্বের ভাব বজায় রাখেন। তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে এগিয়ে আসাটা সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই, সব পক্ষ বসুক। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে তারা আলোচনা করুক।’

জি এম কাদের অবশ্য বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেননি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টিতে জোর দিয়ে আসছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন ঠিক কেমন হওয়া উচিত, তা তারা স্পষ্ট করেনি। জি এম কাদেরকে একটি তৃতীয় বিকল্প সমর্থন করতে দেখা গেছে। এটি একটি সমঝোতামূলক ফর্মুলা, যা পক্ষগুলোর অনমনীয় অবস্থানের একটা সমাধান দিতে পারে। তিনি দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘আমাদের ভাবনায় একটি ফর্মুলা আছে। যখন সর্বদলীয় সংলাপ হবে, তখন আমরা তা আলোচনার টেবিলে উপস্থাপন করব।’

গত পক্ষকাল ধরে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দিক থেকে যোগাযোগসহ নানা মন্তব্য আসতে দেখা গেছে। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হলো জি এম কাদেরের ভারত সফর।

গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের দুই সদস্য রিচ ম্যাককরমিক ও এড কেইস বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে তাঁরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দুজনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ কংগ্রেসম্যান (এড কেইস) স্পষ্টভাবে আমাদের বলেছেন, তাঁরা এমন একটি নির্বাচন দেখতে চান, যা নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্ব এই নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু হিসেবে গণ্য করবে।’

১৭ আগস্ট উভয় কংগ্রেসম্যানকে ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (ওআরএফ) আতিথ্য দেওয়া হয়। সেখানে তাঁরা একটি ‘রুদ্ধদ্বার আলোচনায়’ যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকটির এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তন প্রতিষ্ঠান মিডল ইস্ট ফোরামের ওয়াশিংটন প্রজেক্টের পরিচালক ক্লিফোর্ড স্মিথের সঙ্গে ওআরএফের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বাংলাদেশে বিকাশমান পরিস্থিতির ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্র সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

বৈঠকে ক্লিফোর্ড স্মিথ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছিল ‘বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস’।

ক্লিফোর্ড স্মিথ অবশ্য উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা র‍্যাব দেশটিতে ধর্মীয় মৌলবাদীদের দমনে যথেষ্ট কাজ করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বিভাগের যুগ্ম সচিব স্মিতা পন্তকে ঢাকার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিদ্যমান অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করতে দেখা যায়। ১৫ আগস্ট তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘শেখ মুজিবের খুনিরা তাঁর আদর্শকে মুছে দিতে পারেনি।’

গত শনিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ ভারত। ভারতে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের আগমনের মাধ্যমে চলমান যোগাযোগ-বিনিময় স্পষ্টতই প্রসারিত হচ্ছে। ঢাকার কিছু সূত্রের ইঙ্গিত, অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মহলেও একই ধরনের যোগাযোগের উপায় খোলা রয়েছে।

এগুলো ছাড়াও সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা আরও গভীর হবে। কারণ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—উভয়ে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে যাবেন। ব্রিকসের সদস্যপদ চাইছে, এমন কয়েকটি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

ভারত   বাংলাদেশের নির্বাচন   দ্য হিন্দু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহে বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।

অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯) ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।

ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্রামে  কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নয়ন রায় (২৩) প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)

মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।

ছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের খারকিভে চলছে কঠিন লড়াই

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরেকঠিন লড়াইচলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতিঅত্যন্ত কঠিন’, তবেনিয়ন্ত্রণেরয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সম্প্রতি রুশ বাহিনীর সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে খারকিভ অঞ্চলে। অবশ্য পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।


ইউক্রেন   খারকিভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন, নিহত ১১ জন

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর  এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।


নাইজেরিয়া   মসজিদ   আগুন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

গত বছরের অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।

গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। 


ইসরায়েল   বিমানঘাঁটি   ড্রোন   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন