মিয়ানমারের জেট ফুয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই নিষেধাজ্ঞা বুধবার আরও সম্প্রসারিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে বিদেশি কিছু কোম্পানি এবং ব্যক্তি, যারা দেশটির সামরিক
জান্তাকে জেট জ্বালানি সংগ্রহ করতে সহায়তা করে।
ট্রেজারি বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে,
মিয়ানমারের জান্তা সরকার তাদের জনগণের ওপর বিমান
হামলা চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে জেট জ্বালানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে।
ট্রেজারি বিভাগ তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দু'জন
ব্যক্তি, খিন ফিউ উইন এবং জাও মিন তুন, পাশাপাশি তাদের সাথে সম্পৃক্ত তিনটি সংস্থাকেও
যুক্ত করে, যারা সেনাবাহিনীর জন্য জেট জ্বালানি সংগ্রহ ও বিতরণের সাথে জড়িত।
ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, তারা একটি প্রজ্ঞাপন জারি
করছে। ওই প্রজ্ঞাপনে, মিয়ানমারের জেট ফুয়েল সেক্টরকে চিহ্নিত করে প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেনের স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশের কথা বলা হয়েছে। ওই নির্বাহী আদেশের আওতায়
বাইরের কোম্পানিগুলিকে দেশটির প্রতিরক্ষা খাতের সাথে কাজ করতে বাধা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশ মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের ওপর কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের অভিযোগ, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নেতৃত্বে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছিল সামরিক জান্তা, এছাড়া তারা হাজার হাজার বিরোধীকে হত্যা করেছে এবং একটি তিক্ত বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছে।
ওয়াশিংটন গত জুন মাসে দুটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন
ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, রাজস্ব-উৎপাদনকারী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগগুলি
ছাড়াও, মুদ্রা বিনিময়ের জন্য ওই ব্যাঙ্ক দুটি ব্যবহৃত হতো। ওই পদক্ষেপে বিদেশী মুদ্রায়
জান্তার নাগাল পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে কর্মীরা আশা করেছিল।
জেট ফুয়েল নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমার যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন