দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে ‘অসম্মানিত বোধ করায়’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উড়োজাহাজ থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এমন খবর প্রচারিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক গণমাধ্যমে। ওই খবর কোনো ভারতবাসী যাতে পড়তে না পারেন, সে জন্য ওই গণমাধ্যম ভারত থেকে সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার অবশ্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে প্রচারিত ওই খবর নাকচ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও সরকারি সূত্রের মতে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের অভিযোগ অসত্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই গণমাধ্যমের নাম ‘দ্য ম্যাভেরিক’। তাতে লেখা হয়, ২২ আগস্ট ‘অসম্মানিত’ প্রধানমন্ত্রী মোদি জোহানেসবার্গের কাছে প্রিটোরিয়ায় ওয়াটারক্লুফ বিমানঘাঁটিতে উড়োজাহাজ থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কারণ, অবতরণের আগে নাকি জানা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে সে দেশের এক মন্ত্রীকে।
দ্য ম্যাভেরিক লিখেছে, মোদি অসম্মানিত বোধ করেছিলেন। কারণ, আগের দিন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নিজে।
ওই ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোদির অসন্তোষ দূর করতে তড়িঘড়ি করে বিমানবন্দরে পাঠানো হয় সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট পল মাশাটাইলকে।
দ্য ম্যাভেরিকে প্রকাশিত ওই খবর এবং সাইবার আক্রমণের অভিযোগ তুলে ধরে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার’ এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে লেখা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ওই গণমাধ্যমের শিরোনাম ছিল, ‘কঠিন প্রেমের ত্রিভুজ: সিকে রামাফোসার খাতির যত্ন, ক্ষুব্ধ মোদি বিমান থেকে নামতে নারাজ’।
কেন চীনা প্রেসিডেন্টকে রামাফোসা স্বাগত জানিয়েছিলেন—তার ব্যখ্যায় বলা হয়েছে, ব্রিকসের বৈঠক শুরুর আগে সি দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় সফরে। আগের দিন সোমবার। প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষেত্রেও তেমনটাই চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে মোদির পক্ষে এক দিন আগে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
দ্য ওয়াইর–এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত থেকে সাইবার আক্রমণের অভিযোগ এনেছেন দ্য ম্যাভেরিকের প্রধান নির্বাহী স্টাইলি চারালামবস। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘স্ক্রোল.ইন’কে তিনি বলেছেন, ওই প্রতিবেদন যাতে দেখা না যায়, সে জন্য ভারত থেকে সাইবার আক্রমণ চালানো হয়। সেই হানাকে বলা হচ্ছে ‘ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস’ বা ‘ডিডিওএস’। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের সার্ভারকে ব্যাপক ইন্টারনেট ট্রাফিক দিয়ে প্লাবিত করে দেওয়া হয়, যাতে ব্যবহারকারীরা তাতে ঢুকতে না পারেন।
দ্য ম্যাভেরিকের ওই প্রতিবেদন দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
সে দেশের অন্য এক গণমাধ্যম ‘দ্য নিউজ২৪’ সরকারের ওই অস্বীকৃতির কথা প্রচার করেছে। সে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বিভাগের (ডিআইআরসিও) মুখপাত্র লুঙ্গা এনকেনগেলেলের মতে, ব্রিকসের সদস্যদের কারা স্বাগত জানাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করা হয়। রাষ্ট্রপ্রধানদের ওয়ার্কিং ভিজিটের সময় সাধারণত স্বাগত জানান ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা। যেমন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেডি প্যানডর। তাঁর মতে, ভারতের দিক থেকে কোনো অসন্তোষও প্রকাশ করা হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাশাটাইলের মুখপাত্র ভুকানি এমডেও দ্য ম্যাভেরিকের প্রতিবেদনকে নাকচ করে করে দিয়েছেন। দ্য নিউজ২৪ সেই অস্বীকৃতির খবর জানিয়ে বলেছে, তাঁরা আগেই জানতেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে হবে। মোদির উড়োজাহাজ অবতরণের আগেই তিনি বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। ভাইস প্রেসিডেন্টকে চটজলদি তলব করে ওয়াটারক্লুফ বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হয়নি।
দ্য নিউজ২৪ অবশ্য লিখেছে, ভারতীয়দের উত্তেজনা নিরসনে বুধবার ব্রিকস নেতাদের ছবি তোলার পর্বে প্রেসিডেন্ট রামাফোসা সবার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন।
শি জিন পিং অভ্যর্থনা বিমান নরেন্দ্র মোদি
মন্তব্য করুন
ভারতে উৎপত্তি হওয়া তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কম রাজনীতি করেনি ভারত। তিস্তায় ভারতের বাঁধের খেসারত দিচ্ছে উত্তরের জনপদের মানুষ। শুধু তাই নয় এই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেই রয়েছে বিরোধ। এছাড়া হড়পা বানে গত বছরের অক্টোবরে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সিকিম।
জানা গেছে, সম্প্রতি রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউট নদীপথ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সেচ দপ্তর। কোথায় নদী কতটা সরে গেছে, কতটা কোথায় চওড়া হয়েছে, কোথায় কতটা সরু হয়েছে তা সেই রিপোর্টে থাকবে। সেই অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে সেচ দপ্তর। কারণ সেই অনুসারেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে সেচ দপ্তর ২৮ কোটি টাকার কাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করতে হবে। পুরনো গতিপথ বদলে ফেলার জেরে নতুন নতুন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেবক থেকেই সমতলের উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। আর সেই পাথুরে জমির পর থেকেই তিস্তাও তার গতিপথ বদলে ফেলেছে।
এর আগেও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তিস্তার বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। উপগ্রহের মাধ্যমে সেই ছবি ধরা পড়েছে। আর সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একাধিক জায়গায় তিস্তার গতিপথ বদলে গেছে।
গত ৪ অক্টোবর তিস্তা নদীতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেঙে যায় বাঁধ। লোনাক হ্রদ ঝাঁপিয়ে পড়ে তিস্তার উপর। তারপরেই তিস্তার ভয়াবহ হড়পা বানে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭৭ জন নিখোঁজ হন। এছাড়া প্রায় ৮৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিকিমে।
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের এক অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এতে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নাম। নিউজের জেরে তোলপাড় চলছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘দুবাই আনলকড’ নামের এ নথিটি প্রকাশ করা হয়। এতে
অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ
করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের ভূমি দফতরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া
তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। অনুসন্ধানের বিশেষ করে ২০২০ থেকে
২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত
চিত্র উঠে আসে। এতে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায়
থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীদের নামও উঠে এসেছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা
প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)
ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর।
ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ
ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে
ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী
ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের
বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন
তারা। ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের
তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানি। যার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার।
সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম
দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলী তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায়
৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল
সিটিতে তাদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিল তার সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস
‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের
সম্পদের মালিক।
সুহাইল বাহওয়ান নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিকের নাম এসেছে।
১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ
বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ
১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ২ কোটি ৩০
লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
বিনোদ আদানি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের
মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস
হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল
সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে
বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের
সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের নাগরিক সকেট বর্মণ। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের
উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট
বর্মণের।
সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
নগিব সাবিরিস নামে মিসরের নাগরিকের নাম এসেছে। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের
পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ১ কোটি
ডলারের সম্পদ রয়েছে।
আফগান নাগরিকদের নামও আছে তালিকায়। দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত
আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও রয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায়।
তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে
উল্লেখ করা হয়েছে।
আছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্যরাও। পাকিস্তানের পত্রিকা
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের
মালিক
তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের
মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট
আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা
ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী
নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে
সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।
তালিকায় আরও রয়েছেন চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি
ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে
থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও।
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।
পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর।
সফরকালে পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করবেন তাঁরা।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চীন। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।
বেইজিং সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেন–সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেন–সংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।
মন্তব্য করুন
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে। এমন দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই ঘোষণা দেন মমতা।
দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোট সরকার গঠন করলে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব ধরনের সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেবো, যাতে আমার মা-বোনদের কোনো অসুবিধা না হয়। ১০০ দিনের কাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
তবে পশ্চিমবঙ্গে কোন ধরনের ইন্ডিয়া জোট নেই সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরবেন না। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে জোটে নেই। ওরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। ওরা বিজেপিকে সাহায্য করে।
এদিনের নির্বাচনী সভায় মমতার ‘জোটের বাইরে থেকে সমর্থন’ নিয়েই রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অতীতে সিপিআইএমসহ বাম দলগুলোকে এধরনের ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল।
১৯৮৮ সালে কেন্দ্রে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গঠন করে, তখন বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন মমতা। যদিও এরপরে বিভিন্ন সময় কখনো বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়, আবার কখনো মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রথম চার দফার ভোটে এরই মধ্যে ৩৭৯ আসনের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ভোটগণনা আগামী ৪ জুন।
দিল্লি ইন্ডিয়া জোট সরকার মমতা তৃণমূল
মন্তব্য করুন
স্লোভাকিয়া প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের এক অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এতে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নাম। নিউজের জেরে তোলপাড় চলছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশে।
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে। এমন দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই ঘোষণা দেন মমতা।