ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মামলায় গ্রেপ্তার ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মামলায় গ্রেপ্তার ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় ২০২০ সালে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) তাঁকে জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তারের পর বেশিক্ষণ কারাবন্দী থাকতে হয়নি সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে। সিএনএনের সরাসরি সম্প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, তিনি কারাগার ছিলেন ২০ মিনিটের মতো। এ নিয়ে চলতি বছরে দুবার গ্রেপ্তার হলেন ট্রাম্প। এর আগে গত এপ্রিলে পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই সময় নিউইয়র্কে ম্যানহাটানের আদালতে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ট্রাম্প ও তাঁর ১৮ সহযোগী ২০২০ সালে জর্জিয়ায় নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, এমন অভিযোগ আনা হয় গত ১৪ আগস্ট। ওই দিন ৯৮ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে ট্রাম্পসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ৪১টি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। জর্জিয়ার গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পসহ তাঁদের বিরুদ্ধে র‍্যাকিটেরিং ইনফ্লুয়েন্সড অ্যান্ড করাপ্ট অর্গানাইজেশন (আরআইসিও) আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফ্যানি উইলিস এসব অভিযোগ তুলেছেন। গত ১৪ আগস্ট ফ্যানি উইলিস বলেছিলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জর্জিয়ার আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বনের বদলে অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ভোটের ফল বদলে দিতে এই পথে হাঁটেন তাঁরা।

এরপর ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তারের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প নিজেই। বৃহস্পতিবার তাই ঘটল। তবে ২ লাখ ডলারের মুচলেকা সাপেক্ষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারের নথির বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন। এতে বলা হয়, ট্রাম্পের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। কারা নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর ওজন ৯৭ কেজি ৫০০ গ্রাম। তাঁর চোখের রং নীল। চুলের রং সোনালী বা স্ট্রবেরি।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ 

গত ১৪ আগস্ট ট্রাম্পের এই অভিযোগপত্র দেওয়ার আগের দিন আদালতের ওয়েবসাইটে ১৩ অভিযোগসংবলিত একটি নথি প্রকাশ করা হয়েছিল। পরে এই নথি সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি ট্রাম্প জর্জিয়ার শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। এ সময় ট্রাম্প ওই কর্মকর্তাকে বলেন, কিছু ভোট খুঁজে বের করুন, যাতে নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়া যায়। ট্রাম্পের ওই আহ্বানে সাড়া দেননি কর্মকর্তা।

এর ছয় দিন পর কংগ্রেস ভবন ইউএস ক্যাপটিলে ব্যাপক হামলা চালান ট্রাম্পের সমর্থকেরা। সেই দিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দিতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসেছিল। কংগ্রেস সদস্যরা যাতে জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করতে না পারেন, এ লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছিলেন তাঁরা।

ওই অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর ভোটের আগে থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীরা বেশ কিছু অপরাধ করেছেন। এর মধ্যে ২০২০ সালের নির্বাচন যাচাই-বাছাইয়ে আইনপ্রণেতাদের গঠিত কমিটিতে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা, নির্বাচনী সরঞ্জাম ভাঙচুরের অভিযোগও আনা হয়েছে ট্রাম্প ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছে, জর্জিয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় ভোটারদের তথ্য চুরি ও ব্যালটের ছবি তুলেছেন ট্রাম্পের সমর্থকেরা। এ ছাড়া তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হয়রানিও করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

যদিও ট্রাম্পও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, এসব অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি যাতে আর প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন, সেই চক্রান্ত  হচ্ছে।


নির্বাচন   হস্তক্ষেপ   মামলা   গ্রেপ্তার   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় ১৬জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পেরুতে পাহাড়ী আয়াকুচো অঞ্চলে বাস উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।  

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৫ মে) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বাসটি ৪০ জন আরোহী নিয়ে আন্দিজ পর্বতের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। খবর এএফপির। 

আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ বাসের নিচে আটকা পড়ে আছে। তিনি ওই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াইবার ভেগা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টিসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরের যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে পেরুতে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মোট তিন হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের দক্ষতার অভাব, ক্লান্তি বা সাধারণ কিছু কারণে হয়ে থাকে।


পেরু   বাস দুর্ঘটনা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ছাত্র আন্দোলনে কেন বার বার জড়াচ্ছে মার্কিন শিক্ষার্থীরা?

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে বিশ্বের বিভিন্ন  দেশে। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে মারমুখী অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক ক্যাম্পাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড ও গুলিও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায়, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিছপা হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এখনও অটুট। 

মূলত, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতি বছরই মার্কিন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলন করতে দেখা যায়। আর এই আন্দোলন গুলো সব সবসময় তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য  করে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা তারা আন্দোলন করে।   

এর আগেও, ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র ৭ দিনে ৭০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। কিন্তু তারপরেও দমিয়ে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তারা কমান্ড দিয়ে গেছে। 

সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও চলমান আন্দোলনের  কোনো দাবি এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার। 

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতির কথা না ভেবে আন্দোলনের জড়ালো তখন শুধু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় থাকে মানবতাবাদ। যেখানে ধর্ম,বর্ণ বা জাতি কোনটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এখন যে আন্দোলনটা চলমান সেখানেও সবাই মুসলমান বা সবাই ইহুদি নয়। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই রয়েছে আন্দোলনে। এমনকি অনেক ইহুদি ছেলেমেয়েরাও এ আন্দোলনে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় যে মানবতাবাদ সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

আর এই মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ছাত্র আন্দোলন   মার্কিন শিক্ষার্থী   ফিলিস্তিন   ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৩০০ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চের তুলনায় এই মাসে আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে এই হার ছিল ১১ শতাংশ। এপ্রিলে তা হয়েছে আট দশমিক আট শতাংশ। এটাকেই তাদের জয় হিসাবে দেখছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের অফিস।

তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোই হবে তার প্রথম কাজ।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তার মৃত্যু-পরোয়ানায় সই করা হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২৮৯ দশমিক চার শতাংশ।

মিলেই যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি। মিলেই কড়া হাতে অর্থনীতির হাল ধরেন। সরকারি খরচ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কম করার চেষ্টা করেন।

তিনি ৫০ হাজার সরকারি চাকরি শেষ করে দেন। সরকারি কাজের জন্য নতুন বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করেন। তেল পরিবহনে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেন। আইএমএফ এবং বিনিয়োগকারীরা এই সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইএমএফ মঙ্গলবারই আর্জেন্টিনাকে ৮০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

মিলেইয়ের সমালোচকরা দাবি করেছেন, তার নীতির ফলে গরিব শ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, গরিবদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। তার সমালোচকদের মতে, খরচ কমানো অর্থ না থাকার কারণে এটা ঘটেছে।

আর্জেন্টিনার জিডিপি এই বছর দুই দশমিক আট শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার দিকে যেতে পারে মেসির দেশ।


আর্জেন্টিনা   মুদ্রাস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’। 

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।


জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুইজারল্যান্ডে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও পুলিশ

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের অভিযানে সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভের আপাতত ইতি ঘটল। সুইস দৈনিক লে টেম্পসের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অন্তত ২৫ জন পুলিশ সদস্য অতর্কিতভাবে বিক্ষোভস্থলে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন।

পুলিশের অভিযানের সময় অনেক শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের স্থাপন করা ক্যাম্প ভেঙে দেয়। শিক্ষার্থীদের অপরাধীর মতো চেপে ধরে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়।

এরপর তাদের জড়ো করার পর ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের গাড়িতে তোলার আগ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনপন্থি স্লোগান দিতে থাকেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। শক্ত অবস্থানে আছে পুলিশ।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানান।


সুইজারল্যান্ড   ফিলিস্তিন   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন