ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোশিনের উড়োজাহাজ
বিধ্বস্ত হওয়ার এক দিন পর এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি ওয়াগনার গ্রুপের পূর্বের বিদ্রোহের দিকে ইঙ্গিত করে প্রিগোশিনের ভুল সম্পর্কেও
মুখ খোলেন। প্রিগোশিনকে মন্দ কপাল নিয়ে জন্মানো এক মেধাবী ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করেছেন
তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায়
নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। প্রিগোশিনকে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে
চিনতেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। গত জুনে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের দিকে ইঙ্গিত করে পুতিন
বলেন, ‘এই ব্যক্তি জটিল ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তাঁর জীবনে মারাত্মক ভুল করেছিলেন।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রিগোশিনের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ‘এমব্রেয়ার লিগেসি’
রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজে
প্রিগোশিন এবং তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উতকিনসহ সাতজন যাত্রী ছিলেন। আর
ক্রু ছিলেন তিনজন। তাঁদের সবাই নিহত হয়েছেন।
মস্কো থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে টিভিয়ের এলাকায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার
পর সেই খবর আন্তর্জাতিক সব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিনই প্রতিক্রিয়া
জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে
প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তারা এ ঘটনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দায়ী করেছে।
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার বিষয়টি তাঁকে জানানো
হয়েছে গতকাল সকালে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তদন্ত শেষ হতে সময় লাগবে। ভাষণে
ইউক্রেনে লড়াইয়ে ওয়াগনার গ্রুপের অবদানের কথাও উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
একসময় প্রিগোশিনের পরিচয় ছিল পুতিনের ‘পাঁচক’ হিসেবে। তখন থেকেই ঘনিষ্ঠতা
দুজনের। সেই সূত্র ধরে ওয়াগনারের হাল ধরেন প্রিগোশিন। ওয়াগনার রাশিয়ার হয়ে আফ্রিকা
ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধেও মস্কোর বড় সফলতা এসেছে বাহিনীটির হাত
ধরে। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ ঘোষণা করেন
প্রিগোশিন। ঘটনাটি ছিল ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পুতিনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর
একটি। পরে অবশ্য বিদ্রোহ থেকে পিছু হটেছিলেন প্রিগোশিন। তবে ওয়াগনারের ওই বিদ্রোহকে
‘পিঠে ছুরি মারার মতো’ বলে আখ্যা দেন পুতিন। অনেক বিশ্লেষকের আশঙ্কা ছিল, বিদ্রোহের
পরিণতি মোটেও ভালো হবে না প্রিগোশিনের জন্য। কারণ, পুতিন তার শত্রুদের ছেড়ে দেন না।
প্রিগোশিনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা
যায়নি। ভাগনার গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন বলেছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে নিজেদের দাবির
পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোও প্রিগোশিনকে বহনকারী উড়োজাহাজটি
ভূপাতিত করার কথা বলছে। তাদের ধারণা, এখানে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল সিকিউরিটি
সার্ভিসের (এফএসবি) হাত রয়েছে। এই এফএসবিই সোভিয়েত ইউনিয়নের আমলে পরিচিত ছিল কেজিবি
নামে। কেজিবির একজন কর্মকর্তা ছিলেন পুতিন। এফএসবিতে তাঁর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
এর আগেও এফএসবির গোয়েন্দারা পুতিনের হয়ে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেমন
২০২০ সালের আগস্টে সাইবেরিয়ায় রাশিয়ার প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির
ওপর বিষ প্রয়োগের অভিযোগ ওঠে। সন্দেহের তীর যায় এফএসবির দিকে। তবে সে যাত্রায় প্রাণে
বেঁচে গিয়েছিলেন নাভালনি।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়াটা নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ ফ্রান্সও। একটি
টেলিভিশন চ্যানেলকে ফরাসি সরকারের মুখপাত্র অলিভিয়ের ভেরান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ
করার যুক্তিসংগত কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন,
প্রিগোশিনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের খবরে তিনি মোটেই অবাক হননি। কারণ, রাশিয়ায় এমন ঘটনা
খুব কমই ঘটেছে, যেগুলোর পেছনে পুতিন কলকাঠি নাড়েননি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির
জেলেনস্কি বলেছেন, ভাগনারপ্রধানের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পেছনে কাদের হাত আছে ‘তা সবাই
জানে’। উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় পুতিনের দিকে আঙুল তুলেছে সুইডেন, জার্মানি, পোল্যান্ড
ও এস্তোনিয়াও।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে
দেখা গেছে, টিভিয়ের এলাকার কুঝেনকিনো গ্রামে আকাশ থেকে একটি উড়োজাহাজ নিচের দিকে পড়ছে।
এ সময় সেটি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। মাটিতে পড়ার পর উড়োজাহাজটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
এ ছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে
পান। এরপর উড়োজাহাজটি মাটিতে এসে পড়ে। আনাতোলি নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন,
আকাশে যে শব্দটি হয়েছিল সেটি বজ্রপাতের মতো ছিল না। এটা ধাতব কিছু বিস্ফোরণের শব্দ
ছিল।
এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন রুশ কর্মকর্তারা। গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে তদন্তকারীদের
মরদেহবাহী কালো ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা গেছে। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সেখানে কয়েকটি তাঁবুও
খাটানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের
রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাতিয়ানা স্তানোভায়া বলেন, সবাই এ ঘটনাকে পুতিনের প্রতিশোধ হিসেবেই
দেখবেন। আর প্রিগোশিনের মৃত্যু রাশিয়ার অনেক সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জন্য
শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে।
বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে প্রিগোশিন ছিলেন এমন খবর জানার পর শোক প্রকাশ করেছেন
ওয়াগনার গ্রুপের অনেক সমর্থক। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ ও নভোসিবিরস্ক শহরে বাহিনীটির
কার্যালয়ে বাইরে অনেককে প্রিগোশিনের ছবিতে ফুল দিয়ে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে
দেখা গেছে। মস্কো থেকে বিবিসির সাংবাদিক উইল ভেরনন জানান, প্রিগোশিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে
খারাপ কিছুই আশঙ্কা করছিলেন রুশ নাগরিকেরা। এমন ঘটনা আগেই ঘটেনি কেন, সে বিষয়ে হয়তো
বিস্মিত ছিলেন অনেকে।
পুতিন রাশিয়া প্রিগোশিন ওয়াগনার
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক
রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটিতে কো-স্পন্সর
করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের
স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি
উত্থাপন করেন।
স্থায়ী মিশন বলছে, এ বছর আলোচ্য রেজ্যুলেশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য
বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ
করেছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের
মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।
এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘ
সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য
৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির
সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বিভিন্ন
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই
ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত
করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের
চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
এবারের রেজ্যুলেশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির
২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদযাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি
উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া এ রেজ্যুলেশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক
ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ
অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে
এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি
আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের
একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের
পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।
রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারণ পরিষদে
একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে ।
এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির
কথা পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত
করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
১১২টি দেশ এ বছর বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে,
যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত
সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।
জাতিসংঘ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।
কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন
বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্র ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ইউসিএলএ লস অ্যাঞ্জেলেস
মন্তব্য করুন
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক।
কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি উত্থাপন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।