ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৪২ ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের হামলাচেষ্টা, নস্যাৎ করে দিল রাশিয়া

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৫ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

একে একে ইউক্রেনের ৪২টি ড্রোন আটকে দিয়েছে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের এ ড্রোন হামলাচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রাতের আঁধারে এসব ড্রোন হামলা চালাতে এসেছিল এবং বেশিরভাগ ড্রোনকে ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।

এছাড়া কিছু ড্রোনকে সরাসরি ধ্বংসও করে দিয়েছে বলে জানায় দেশটির রুশ কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাতের আঁধারে ৪২টি ড্রোন দিয়ে রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের প্রচেষ্টা রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ব্যর্থ করে দিয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে মস্কো।

 এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে লিখেছে,

‘ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে নয়টি ইউএভি (মানুষবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল) ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার দিয়ে আরও ৩৩টি ইউএভি দমন করা হয়েছে এবং সেগুলো লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে বিধ্বস্ত হয়েছে।’ 

অবশ্য এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানায়নি রুশ এই মন্ত্রণালয়।

 প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এই অঞ্চলটি ইউক্রেনীয় আক্রমণের শিকার হতে শুরু করে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ও হামলার চেষ্টা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিয়েভ বারবার বলেছে, তারা ক্রিমিয়াকে নিজেদের দখলে ফিরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, তার বাহিনী ‘বিশেষ অভিযান চলাকালীন রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় পতাকা উড়িয়েছে।

এদিকে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম আছে। বুধবার তারা সেই সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে বলে ইউক্রেনের দাবি। ওইদিন ইউক্রেনীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ক্রিমিয়ায় একটি বড়সড় বিস্ফোরণ হয়।

এরপরই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।

রাশিয়া অবশ্য এর তাৎক্ষণিক কোনও জবাব দেয়নি। তবে রাশিয়ার এক সেনা ব্লগার জানিয়েছে, এস-৩০০ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে। পরে অবশ্য রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ার সাথে এই উপদ্বীপের সংযোগকারী রাশিয়ান নির্মিত ক্রিমিয়ান সেতুতে হামলার জন্য ইউক্রেনকে বারবার অভিযুক্ত করে আসছে মস্কো।

এমনকি রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ পুনর্দখল করাই ইউক্রেনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

গত বুধবার কিয়েভে এক অনুষ্ঠানে জেলেনস্কি বলেন, দুঃখজনক সত্য হলো, এখনও ইউক্রেনের বহু জায়গা রাশিয়ার দখলে। ক্রিমিয়া তার অন্যতম। ইউক্রেনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্রিমিয়াকে পুনর্দখল করা।

এর পাশাপাশি রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অন্যান্য ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করাও কিয়েভের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।


ড্রোন   ইউক্রেন   রাশিয়া   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাভালনির মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার একটি কারাগারে বন্দি অবস্থায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনি। এরপরই তার মৃত্যুর জন্য এককভাবে পুতিনকে দায়ী করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। তবে সম্প্রতি রুশ এ নেতার মৃত্যু নিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন গোয়েন্দারা জানান, নাভলনিকে হত্যার জন্য পুতিন কোনো নির্দেশ দেননি। আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালি স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।

নাভালনির মৃত্যুর পর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। এমনকি তার মৃত্যুকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি জানান, বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় নাভালনিকে পশ্চিমা দেশের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত ছিল নাভালনি আর কখনো রাশিয়ায় ফেরত আসবেন না।

নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। প্রায় দুই মাসের তদন্ত শেষে গেল শনিবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, নাভালনিকে হত্যার সরাসরি নির্দেশ দেননি পুতিন। তবে কী কারণে বা কীভাবে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন অনুমান’ বলে উল্লেখ করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ। রুশ এ কর্মকর্তা জানান, প্রতিবেদনটি তার নজরে এসেছে, এটি মানসম্পন্ন কোনো অনুসন্ধান নয় যে তাতে মনোযোগ দেওয়ার দরকার আছে।


আলেক্সি নাভালনি   মৃত্যু   যুক্তরাষ্ট্র   চাঞ্চল্যকর তথ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলি হামলায় আবু তাহা নামের একটি পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোট শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া সদস্য সে।

খবর অনুসারে, রাফায় আবু তাহার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারটির একজন প্রতিবেশী আল-জাজিরাকে জানান, হামলায় বাড়িতে থাকা পরিবারের ৯ সদস্য মারা গেছেন। তিনি শুধু পরিবারটির এক মেয়েশিশুকে ব্যালকনি থেকে বের করে আনতে পেরেছেন। এতে ওই শিশুর প্রাণ বাঁচে।

রবিবার রাফায় কয়েকটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। এ ছাড়া গাজা নগরীতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজনের প্রাণ গেছে।

এদিকে রয়টার্স বলছে, রাফায় অন্তত তিনটি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ জনের। আহত হয়েছেন অনেকেই। হামাস নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নিহতের সংখ্যা ১৫। গাজা নগরীতেও দুটি বাড়িতে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে।


রাফা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট ইবু পর্বতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। রোববার (২৮ এপ্রিল) এই বিষয়ে তথ্য প্রদান করে সেন্টার ফর ভলকানোলজি অ্যান্ড জিওলজিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন জানিয়েছে, পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার উত্তর মালুকু প্রদেশের হালমাহেরা দ্বীপে বিস্ফোরণটি ঘটেছে।

সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তখন সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে থাকেন। প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছাই দেখা গেছে বলেও জানা গেছে।

নিউজ এজেন্সি সিনহুয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, পিভিএমবিজি জানিয়েছে আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ২০৬ সেকেন্ড ধরে বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয় সময় ১২টা ৩৭ মিনিট নাগাদ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। যার ফলে পাহাড়ের চূড়া থেকে সাড়ে ৩ হাজার মিটার উপরে উঠেছিল ছাই।

উল্লেখ্য, মাউন্ট ইবু আগ্নেয়গিরি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩২৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই আগ্নেয়গিরিকে সর্বোচ্চ স্তর চারের নিচে দ্বিতীয় বিপদ স্তর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।

এদিকে, পিভিএমবিজি স্থানীয়দের ক্রেটার (আগ্নেয়গিরির পাহাড়ের মুখ) থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো কার্যকলাপ না করার নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ে মুখোশ ও চশমা পরার পরামর্শ দিয়েছেন। 

চলতি মাসের শুরুতে উত্তর সুলাওয়েসির মাউন্ট রুয়াং অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে ক্রেটার থেকে ১০০ কিলোমিটারেরও (৬২ মাইল) বেশি দূরে থাকা মানাডো শহরের স্যাম রাতুলাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল।


ইন্দোনেশিয়া   আগ্নেয়গিরি   বিস্ফোরণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন