ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জোহানেসবার্গের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন, নিহত ৭৪

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লেগে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ভয়াবহ আগুন থেকে যারা বেঁচে ফিরেছেন তারা সেই রাতের রোমহর্ষক ঘটনার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। পুলিশের ভয়ে বন্ধ ছিল মূল দরজা। আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়েন অনেকে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু ওই সময় ভবনটিতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার একমাত্র দরজাটি তালাবদ্ধ ছিল। এ কারণে কোনো বাসিন্দাই দরজা দিয়ে বের হতে পারেননি।

ভবনটির দরজা মূলত ইচ্ছেকৃতভাবেই রাতের বেলা বন্ধ করে রাখা হতো। কারণ, ওই ভবনে মূলত অবৈধ অভিবাসী ও অস্বচ্ছলরা থাকতেন। ফলে পুলিশের অভিযানের আশঙ্কা থাকত সবসময়। ভবনটিতে প্রায় ৪০০ মানুষের বাস ছিল।

পুলিশ যেন কোনো অভিযান চালাতে না পারে এবং চোর যেন কোনো কিছু চুরি করে নিয়ে যেতে না পারে এ কারণেই দরজা বন্ধ করে রাখা হতো।

গার্ডিয়ান আরও জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর উদ্ধারকারীরা ভবনটির প্রতিটি ফ্লোরে ফ্লোরে গিয়ে মরদেহ বা জীবিত মানুষের সন্ধানে সারাদিন কাটায়। ওই সময় দেখা যায় ভবনটির প্রায় সব জানালা ভাঙা। এগুলো কিছু আগুনের তাপে ভেঙে গেছে। আর বেশিরভাগই ভবনের বাসিন্দারা ভেঙেছেন। যারা বেঁচে গেছেন তারা মূলত জানালা ভেঙে নিচে লাফিয়ে পড়েই বেঁচেছেন।

ওই ভবনের ভেতর যারা থাকতেন তাদের পরিচিতজনরা বৃহস্পতিবার পুলিশের তথ্যকেন্দ্রে ভীড় জমান। এমপাথো মোতানি নামের এক ব্যক্তি জানান তার বোনকে খুঁজতে এসেছেন তিনি। কিন্তু এখনো কোনো খোঁজ পাননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। আমরা খুবই হতাশ।’

ভবনটিতে থাকতেন দক্ষিণপূর্ব আফ্রিকার মালাওইয়ের নাগরিক ওমর আরাফাত। তিনি আগুন লাগার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেছেন, “আমি রাত ১টায় প্রচণ্ড জোরে শব্দ ও মানুষের ‘আগুন আগুন’ চিৎকারে জেগে ওঠি। আমি ভবনের মূল দরজার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আগুনের কারণে সেটির কাছে যাওয়া যায়নি। কোনো উপায় না পেয়ে তিন তলার জানালা ভেঙে িচে লাফ দেই।”

ওমর আরাফাত জানিয়েছেন, লাফ দেওয়ার পর আর তার কিছু মনে নেই। এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা পর যখন জ্ঞান ফিরে আসে তখন তিনি তার আশপাশে অনেক অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দেখতে পান। এছাড়া তার আশপাশে অসংখ্য দেহ পড়ে ছিল।

তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন জেগে ওঠি তখন, আমি মনে করি, আমার বোন কোথায়?’

ওমর জানিয়েছেন, তার বোনও ওই ভবনে থাকতেন। কিন্তু এখনো তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে তার দুই বছরে শিশু সন্তানকে জানালা দিয়ে কেউ একজন নিচে ছুড়ে মারেন। নিচে থাকা অন্যরা তখন শিশুটিকে লুফে নিতে সমর্থ হন। বর্তমানে অন্যরা তার বোনের সন্তানকে দেখভাল করছে।

তানজানিয়ার অভিবাসী ও মুদির দোকানি মুসা জানিয়েছেন, তিনিও তিন তলা থেকে লাফ দেন। তা সত্ত্বেও আহত না হয়ে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু তার ছোট ভাইয়ের ভাগ্য এতটা ভালো ছিল না। তিন তলা থেকে লাফ দিয়ে তার ভাইয়ের কোমরের অংশ ভেঙে যায় এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান।

এদিকে যে ভবনটি আগুন লেগেছিল সেটি জোহানেসবার্গ সিটি কর্তৃপক্ষের ছিল। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহল পরিত্যক্ত ভবনটি দখল করে সেখানে অভিবাসী ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে ভাড়া দিয়েছিল। এছাড়া সেখানে গৃহহীনরাও থাকতেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান


জোহানেসবার্গ   আগুন   নিহত ৭৪  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির জন্য প্রার্থনায় গোটা দেশ, শোকে পাথর ইরানিরা

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানের বাড়িতে বাড়িতে, গলি-মহল্লায়। শোক জানাতে রাতেই পথে বসে যান হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে মসজিদে চলে রাতভর প্রার্থনা।

তার বেঁচে ফেরার আশায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষ মসজিদে প্রার্থনায় বসে যান গোটা দেশবাসী। কেউ কেউ তসবি পাঠ এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন সারা রাত। ইরানিরা বলছেন, তাদের আবেগ আর অনুভূতির আরেক নাম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তারপরই যে যেখানে পেরেছেন প্রার্থনায় বসে যান। কিন্তু বিশেষ অভিযানের পর জানানো হয়, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় কোনো প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হেলিকপ্টার। তবে মরদেহ পাওয়া গেছে কিনা তা নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

দুর্ঘটনার ঠিক কিছুটা আগ মুহূর্তের একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়- হেঁটে স্বাভাবিক ভাবেই হেলিকপ্টারে উঠেছেন। ভেতরে বসে দেখেছেন কোন এলাকায় দুর্যোগে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর অল্প কিছুক্ষণ পরই খবর ছড়ায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে


রাইসি   প্রার্থনা   শোক   পাথর   ইরানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির কী হয়েছিল। কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা। আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও।

রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল ছিল বেল ২১২, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‌‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে

সোমবার (২০ মে) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলেল ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।


রাইসি   হেলিকপ্টার   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বাংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বিশ্বনেতারা ইরানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।


ইরান প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফিরতে চান দেশে

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় - হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিরগিজস্তানের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ডা. জেরিত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্তমানে কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষকরাও স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের হতে দিচ্ছি না। তবে আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।

কিরগিজস্তানের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের সবাই মেডিকেল শিক্ষার্থী। ডা. জেরিত বলেন, ‘এখানে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে হোস্টেলে থাকতে হয়। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর কেউ চাইলে বাইরে চলে যেতে পারেন। ফলে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের হোস্টেলে অবস্থান করছেন। অন্যরা বাইরের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন।

হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হোস্টেলে মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়। পরে মিসরীয় শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের মারধর করেন। ঘটনাটি তিন-চার দিন আগের। এরপর সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগিরই বিশকেক সফর করতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ মিসরের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকারকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।


কিরগিজস্তান   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুর্কি ড্রোনে রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

এর আগেত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।


তুর্কি ড্রোন   রাইসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন