ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘লাইগো-ইন্ডিয়া’ মহাকাশ গবেষণায় ভারতের নতুন যুগের সূচনা

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চন্দ্র, সূর্য এবার লাইগো-ইন্ডিয়া। মহাকাশ জয়ে ভারত যেন আটঘাট নেমেই পড়েছে। এবার মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্তকরণে যুগান্তকারী এক উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ভারত। লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি (এলআইজিও-লাইগো) প্রকল্প ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মিত হবে। যা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন যুগের দুয়ার খুলে দেবে। লাইগো হলো একটি আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরির নেটওয়ার্ক; যার উদ্দেশ্য মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে শনাক্ত করা।

লাইগোতে দুটি বড় লেজার ইন্টারফেরোমিটার রয়েছে যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা রাজ্যের হ্যানফোর্ড, ওয়াশিংটন ও লিভিংস্টনে অবস্থিত। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দুটি লাইগো লেজার ইন্টারফেরোমিটার প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করে।

জানা গেছে, মুম্বই থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পূর্বে হিঙ্গোলি জেলায় প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে এই প্রকল্প। এ জেলায় ইতোমধ্যে ১৭৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গত ১১ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রথম বিশেষ মানমন্দির, লাইগোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

পারমাণবিক শক্তি বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে লাইগো-ইন্ডিয়া তৈরি হচ্ছে। ভারতের মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলি জেলায় অবস্থিত লাইগো-ইন্ডিয়া ২০৩০ সালে তার বৈজ্ঞানিক কার্যক্রম শুরু করতে চলেছে। আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলা ছাড়াও, এই প্রকল্পটি ভারতে বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

এদিকে আমেরিকায় দুটি, জাপান ও ইতালিতে একটি করে মানমন্দির রয়েছে। এখন ভারতও যোগ দিতে চলেছে এই তালিকায়। শুধু তাই নয়, লাইগো-ইন্ডিয়া দুটি মার্কিন মানমন্দিরের সহযোগিতায় কাজ করবে। আগামী দিনে এই মানমন্দির দেশের শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও অধ্যয়নের আরও ভালো সুযোগ দেবে। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ মহাকাশে একটি অদৃশ্য, কিন্তু অত্যন্ত দ্রুত তরঙ্গ। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আলোর গতিতে ছুটে বেড়ায়। যার গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ লাখ ৬ হাজার মাইল।

পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যখন দুটি দেহ যেমন গ্রহ বা নক্ষত্র একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে, তখন এই গতি মহাকাশে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। এই ঢেউগুলো পুকুরে পাথর নিক্ষেপের তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা এই তরঙ্গগুলোকে মহাজাগতিক মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বলে থাকেন। এই তরঙ্গগুলো অনুধাবন করার জন্য লাইগো-ইন্ডিয়া তৈরি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করেন। এর জন্য লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি (লাইগো) নামে সংবেদনশীল যন্ত্র ব্যবহার করেন। বিজ্ঞানীদের মতে, দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষে প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল। এই সংঘর্ষগুলো ১.৩ বিলিয়ন বছর আগে ঘটেছিল।

জানা গেছে, লাইগো ল্যাবরেটরি ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় পরিচালিত হবে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- ইন্দোরে রাজা রামান্না সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড টেকনোলজি, আহমেদাবাদের ইনস্টিটিউট ফর প্লাজমা রিসার্চ এবং পুনেতে ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


লাইগো-ইন্ডিয়া   মহাকাশ গবেষণা   মহাকর্ষীয় তরঙ্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চলন্ত ট্রেনে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে। 

২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। 

অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান। 

এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 

গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। 

পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।


ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ: অধ্যাপকের পাঁজরের হাড় ও হাত ভেঙে দিল পুলিশ

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি। 

এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিক্ষোভ   অধ্যাপক   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২১

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়েতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। শুক্রবার ভোরে উচ্চগতির একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দিয়ামের জেলা উদ্ধার কর্মকর্তা শওকত রিয়াজের মতে, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কারাকোরাম হাইওয়ের কাছে গুনার ফার্মের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়, এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।


পাকিস্তান   সড়ক দুর্ঘটনা   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন বাইডেন

প্রকাশ: ১১:৪৯ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক বলতে অন্য দেশের মানুষ বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝায়। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলে দাবি করেন বাইডেন।

মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন।

বাইডেন বলেন, আমাদের অর্থনীতি কীভাবে এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানাই। চীনের অর্থনীতির হাল কেন এত খারাপ। জাপানে এত সমস্যা কেন। কেন রাশিয়া ও ভারতেরও এই হাল? কারণ তারা সবাই জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।

বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে 'অলঙ্ঘনীয়' বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।

তাছাড়া মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত বর্তমানে দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ জানায়, নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনো দেশের অপরাধের কথা বলেননি।

বাইডেনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন অনেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের সবেক উপ-সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব এলব্রিজ কোলবি বলছেন, জাপান ও ভারত আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের কথা বলা উচিত।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন অভিবাসী নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বাইডেন এসব কথা বলেছেন। কোনো দেশকে তিনি অবমূল্যায়ন করেননি।


ভারত   জাপান   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।

শুক্রবার (৩ মে) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মেলা-মেশা করছেন না রুশ সেনারা। তবে নাইজারের রাজধানী নিয়ামে ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ এর একটি পৃথক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন তারা।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, নাইজারের কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে ৬০ জনের মতো রুশ সেনা নাইজারে থাকবেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেননি তিনি।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা ও আইএসআইএল প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয়ে নাইজারের মরুভূমির শহর আগাদেজে এই বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল। রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ৯২০ কিলোমিটার দূরের এ বিমানঘাঁটিটি মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন নজরদারি ফ্লাইট এবং অন্যান্য অপারেশনের জন্য এতদিন ব্যবহার করে আসছিল মার্কিন সেনারা।

২০২৩ সালের ২৬ জুলাই এক অভ্যুত্থানে নাইজারের পশ্চিমাপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তারপর একের পর এক পশ্চিমবিরোধী পদক্ষেপ নিতে থাকে জান্তা সরকার। সামরিক সরকারের সঙ্গে জনগণ যোগ দিলে সেপ্টম্বরে নাইজার থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে মার্কিন মিত্র ও নাইজারের সাবেক উপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল এবং নাইজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি মহামান লামিন জেইনের মধ্যকার আলোচনার পর নাইজার থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছে। এসব সেনাকে জার্মানি পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছে বাইডেন প্রশাসন।


মার্কিন ঘাঁটি   রুশ সেনা   নাইজার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন