ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অবশেষে ‘রাজনৈতিক’ সফরে ঢাকায় আসছেন সের্গেই লাভরভ

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা জোটের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবার কথা ঢাকায়। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই বৈঠকে যোগ দেবেন বলে কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি।

আইওআরএর বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। তখন সের্গেই লাভরভের সফরের কথা শুনে অনেকেই কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলেন। কারণ, রাশিয়ার ক্ষমতার পরিমণ্ডলে লাভরভ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া যুদ্ধে জড়ানোর পর বিশ্বের নানা প্রান্ত ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার দায়িত্বটা তাঁর কাঁধেই ওঠে

ওদিকে রাশিয়া তখন সবে আইওআরএর পর্যবেক্ষক হয়েছে। এরপরই মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে সের্গেই লাভরভের বাংলাদেশ আসার বিষয়টি ঠিক হয়েছিল, যা অনেককে অবাক করেছিল।

কিন্তু সেবার ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সের্গেই লাভরভের সৌজন্য সাক্ষাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে লাভরভের ঢাকা সফর বাতিল করে মস্কো।

সফরটি বাতিলের পর থেকেই রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। সের্গেই লাভরভ যে ঢাকায় আসতে চান, সেটি তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সফর বাতিলের পর ফোন করে নিশ্চিত করেছিলেন।

রই ধারাবাহিকতায় ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাকার্তা থেকে ঢাকায় আসছেন লাভরভ। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পরদিন অর্থাৎ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাকরবেন। ওই দিন বিকেলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লির পথে ঢাকা ছাড়বেন লাভরভ।

পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বন্ধুত্ব ঝালাইয়ের পাশাপাশি নতুন বন্ধু খোঁজাও রাশিয়ার অগ্রাধিকার। সে ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশকে স্বাভাবিকভাবেই পাশে চাইবে তারা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও গত ৩০ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, সের্গেই লাভরভ ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবেন। তিনি ঢাকা সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মিত্র সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে এ পর্যন্ত কোনো মন্ত্রী বাংলাদেশে আসেননি। গ্লাসনস্ত (উদার সমাজ গঠন) ও পেরেস্ত্রোইকার (অর্থনৈতিক পুনর্গঠন) পথে গিয়ে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির পরও ঢাকা-মস্কো সম্পর্কের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সেই বিবেচনায় সের্গেই লাভরভের সফরটিই হবে রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।

কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর পশ্চিমা চাপে কোণঠাসা রাশিয়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর বিষয়টি জোর দিচ্ছে।

পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বন্ধুত্ব ঝালাইয়ের পাশাপাশি নতুন বন্ধু খোঁজাও রাশিয়ার অগ্রাধিকার। সে ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশকে স্বাভাবিকভাবেই পাশে চাইবে তারা।

অবশ্য ঢাকাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘দ্বৈরথের ক্ষেত্র’ বানানোর নেপথ্যে ছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে রাশিয়া।

চিরাচরিতভাবে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নীরব রাশিয়া বছরখানেক ধরে বাংলাদেশের বিষয়ে নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দিয়ে আসছে। সেটি ঢাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং মস্কোর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করেছে দেশটি।

দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে রাশিয়ার এই খোলস ছেড়ে বের হওয়ার নেপথ্যে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ, সেটি রাশিয়া মোটেও গোপন করছে না।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রাজনীতিবিদদের ভূমিকাকে নব্য উপনিবেশবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রাশিয়া। মস্কো মনে করে, এ ধরনের পদক্ষেপ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ’।

অবশ্য ঢাকাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘দ্বৈরথের ক্ষেত্র’ বানানোর নেপথ্যে ছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা জাহাজে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য খালাস করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে রাশিয়া। রুশ জাহাজটির নাম ছিল ‘স্পার্টা-৩’। সেটি পরিবর্তন করে ‘উরসা মেজর’ নাম দিয়ে রাশিয়া রূপপুর প্রকল্পের পণ্য পরিবহন করছিল।

কিন্তু ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে কূটনৈতিক পত্র দেওয়ার পর বাংলাদেশ উরসা মেজরকে এ দেশের জলসীমায় ঢুকতে দেয়নি। পরে তৃতীয় দেশে গিয়ে রাশিয়া ওই পণ্য খালাস করতে বাধ্য হয়েছে। ঘটনাটি গত ডিসেম্বরের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের একাধিক কূটনীতিক প্রথম আলোকে এই আভাস দিয়েছেন যে সের্গেই লাভরভ ঢাকায় যে দুটি আলোচনায় বসবেন, সেখানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় থাকা রুশ জাহাজকে কেন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো না, সেটি তুলতে পারেন।

খসড়া সফরসূচি

ঢাকা ও মস্কোর কূটনৈতিক সূত্রগুলো প্রথম আলোকে জানিয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনা শেষে সের্গেই লাভরভের ঢাকার সফরসূচি মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত সবশেষ আলোচনা অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাকার্তা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন লাভরভ।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ওই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে প্রথমে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর নৈশভোজ। সেখানে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামসহ আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিকেলে ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে সাবেক সোভিয়েত আমলে বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী রাশিয়ায় গিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।

আলোচনায় যা থাকছে

সের্গেই লাভরভ যখন ঢাকায় আসবেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। বিশেষ করে রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মস্কোর দিক থেকে আলোচনার আভাস মিলেছে।

দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ঢাকা-মস্কো সম্পর্ক জোরদার, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রেক্ষাপটে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের প্রসঙ্গগুলো আসবে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সইয়ের অপেক্ষায় থাকা প্রায় ২০টির মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সইয়ের অপেক্ষায় থাকা ২০টির মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে অন্তত চারটি চুক্তি প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য বিনিময়, প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত কারিগরি বিষয়ে মেধাস্বত্ব অধিকার, প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের প্রশিক্ষণ।

জানা গেছে, দুই দেশ বন্দী প্রত্যর্পণ, কারাবন্দীদের হস্তান্তর, মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারসহ অন্তত ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক নিয়ে কয়েক বছর ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এগুলো সইয়ের জন্য নানা স্তরে রয়েছে।

পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়ে যাওয়ায় লাভরভের সফরটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব দিল্লি ইউনিভার্সিটির বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কারণে বৈশ্বিকভাবে রাশিয়ার প্রভাব এবং গুরুত্ব দুটিই কমেছে। আবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাশিয়া। পশ্চিমাদের চাপের মুখে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে বাংলাদেশ কীভাবে তুলে ধরে, সেটিও দেখার বিষয়।


সের্গেই লাভরভ   রাজনৈতিক সফর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প নাকি বাইডেন, বিশ্বের স্বার্থে কে এগিয়ে

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মতামত জরিপে জানা গেছে বেশিরভাগ মার্কিন জনগণ উভয় প্রার্থীর কাউকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে তেমন আগ্রহী নন। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প-বাইডেনের মনোনয়ন পাওয়াকেই স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই দুই প্রার্থীর কাকে বিশ্বের স্বার্থে এগিয়ে রাখা যায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা শ্রম ও পেনশন কমিটির চেয়ারম্যান বার্নি স্যান্ডার্স 
দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। 

বার্নি স্যান্ডার্স দ্য গার্ডিয়ানে লিখেছেন যে,  আমি জানি বাইডেন তেমন জনপ্রিয় নন এবং আমিসহ অনেক প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ইসরায়েলের চলমান বিপর্যয়কর যুদ্ধ–সম্পর্কিত তার অনুসৃত নীতির সঙ্গে একেবারেই একমত নন।

তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাইডেন আসন্ন ভোটে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প যদি পুনরায় নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি আগের চেয়ে খারাপ আচরণ করবেন। সেই দিক তুলনা করে বলছি, বাইডেন যেকোনো বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে হাজার গুণ ভালো হবেন।

আপনি যদি জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা আলোচনা হয়ে থাকে, সেটি একটি ‘ফালতু আলাপ’।

অন্যদিকে বাইডেন টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতায় ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করেছেন।

ইসরায়েলের বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে যদি আপনার নেতিবাচক ধারণা থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

বাইডেন একজন প্রথাগত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, যিনি গণতন্ত্র, অবাধ নির্বাচন এবং ভিন্নমতের অধিকারে বিশ্বাস করেন। আর ট্রাম্প এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করেন না। যারা ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেছিলেন, সেই আট শতাধিক আক্রমণকারীকে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্ষমা করে দেবেন বলে ভাবছেন।



জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে নিশানা করে ৭৫টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৭৫টি রকেট ছুড়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। 

শুক্রবার(১৭ মে) দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য জানিয়েছে। 

তবে কয়েক ডজন রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোন ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা জানিয়েছে, আপার গ্যালিলিতে রকেট হামলায় দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত দুজনের বয়সেই ৬০ বছরের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় ছিল।

হিজবুল্লাহর রকেট হামলার মধ্যে গোলান হাইটস এবং লেবানন সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহ।

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর ৩০০ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় কতজন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন সেটি নিশ্চিত নয়। তবে তাদের এ সংঘর্ষে অনেক নিরীহ বেসামরিকও নিহত হয়েছেন।


ইসরায়েল   রকেট   হিজবুল্লাহ   আইডিএফ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কানাডার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। ফিলিস্তিনি বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় প্রথমবারের মতো দেশটি এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের (পশ্চিম তীরে) বিরুদ্ধে 'হিংসাত্মক ও অস্থিতিশীল' পদক্ষেপের জন্য প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে লেনদেন এবং কানাডায় তাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ বেশ পুরোনো। গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। উগ্র ইহুদিরা আদিবাসীদের বসতঘরে হামলা করছে। প্রকাশ্যে দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট করছে।

এ সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করে আলজাজিরা। তাতে দেখা যায়, দিনেদুপুরে কয়েকজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী হাতে কুড়াল ও লোহার পাইপ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন।

নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত ইসরায়েলিরা হলেন- ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইয়োসেফ ও মোশে শারভিত। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কানাডা।


ইসরায়েল   নিষেধাজ্ঞা   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাটিচাপা দেওয়ার ৪দিন পর বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জীবন্ত কবর দেওয়ার চারদিন পরে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ মলদোভায়। 

সোমবার (১৩ মে) দেশটির উতসিয়া অঞ্চল থেকে ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই দিন নিজ বাড়িতে ৭৪ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়ার খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেসময় তারা এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। পরে মাটি খুঁড়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সদস্যরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি অস্থায়ী বেজমেন্ট খুঁজে পান। সেটির ভেতর থেকেই এক বৃদ্ধকে টেনে বের করে আনছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত বৃদ্ধের ঘাড়ে ক্ষত ছিল। এ ঘটনায় এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় ওই কিশোরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এই কিশোরই রোববার (১২ মে) রাতে কিংবা সোমবার সকালে ৭৪ বছর বয়সী নারীকে হত্যা করেছে।

ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, রোববার অভিযুক্ত ওই কিশোরের সঙ্গে মদপান করছিলেন তিনি। সেসময় একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কিশোরটি তখন বৃদ্ধকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও তাকে বেজমেন্টের ভেতর নিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধকে ভেতরে রেখেই বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে বেজমেন্টের প্রবেশদ্বার মাটি দিয়ে ঢেকে দেয় অভিযুক্ত কিশোর।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রসিকিউটররা হত্যাকাণ্ড ও হত্যা চেষ্টার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই কিশোরের যাবজ্জীবন কারাবাসের সম্মুখীন হতে হবে।


ইউরোপ   মলদোভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন