ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কাজ করলেও কেন ভারতকে ছাড়ে না ওয়াশিংটন: এএফপির বিশ্লেষণ

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কাজ করলেও কেন ভারতকে ছাড়ে না ওয়াশিংটন?

যুক্তরাষ্ট্র প্রায় আড়াই দশক ধরে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। এই সময়ের মধ্যে যত প্রেসিডেন্ট এসেছেন, তাঁদের সবাই ভারতের অগ্রগতিকে উৎসাহিত করেছেন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতকে মোটামুটি তাঁরা সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছেন। ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি–২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে বেশ প্রফুল্লচিত্তে থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে দুই দেশের এই উষ্ণ সম্পর্কের মধ্যেও মাঝেমধ্যে তিক্ততা ভর করে। এমনকি মার্কিন কর্মকর্তারাই স্বীকার করছেন, ভারতের স্বার্থ নিয়ে অনেক সময় ওয়াশিংটনের সঙ্গে মতভেদ দেখা যায়।

জি–২০ সম্মেলন এমন এক সময় হচ্ছে, যে বছর ভারত জনসংখ্যায় প্রতিবেশী দেশ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। এ বছরই আবার ভারত তাদের সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটেনকে হটিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এসব অর্জনের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ উৎসবের মেজাজে এবার আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।

জি–২০ সম্মেলন সামনে রেখে ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো তানভি মদন বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার মাধ্যমে এখন ভারতকে বিশ্বমঞ্চে বড় শক্তি হিসেবে জানান দিতে চান। তাঁর সেই সময়টা এসেছে বলে মনে হয়।’

যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতকে তাদের স্বভাবজাত মিত্র বলে মনে করে। এই দেশই পারে স্বেচ্ছাচারী ও ক্রমশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠা চীনকে মোকাবিলা করতে। ইতিমধ্যেই এই দুই দেশের মধ্যে সীমান্তের বিতর্কিত বিভিন্ন অংশে সংঘর্ষ হয়েছে।

চীনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। আবার এই ভারতই কখনো কখনো যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার ইস্যুতে তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। যেমন ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার মার্কিন উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করে পুরোনো মিত্র মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে দিল্লি।

জি–২০ সম্মেলনে ভারত ভূরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে খুব বেশি নাড়াচাড়া করার পক্ষে নয়। বরং সে চায় উন্নয়ন বিশেষ করে ঋণ মওকুফ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে সব দেশ যেন ঐকমত্য হয়।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোও অভিযোগ করছে, হিন্দুত্ববাদীরা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং সরকার সমালোচক গণমাধ্যমকে হয়রানি করছে। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতার অধীনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবনতি হলেও পশ্চিমারা নরেন্দ্র মোদিকে কাছে টেনে নিচ্ছেন।

পশ্চিম ও দক্ষিণের সেতুবন্ধন

পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে আলিসা আইরেস ওয়াশিংটনের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি বলছিলেন, স্নায়ুযুদ্ধকালে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে ভারত এখনো ‘প্রচণ্ডভাবে স্বাধীন’ থাকতে চাইবে—এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

আলিসা বলেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতভেদের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসংগতি দেখে না। কারণ, এই দেশটি ‘সারা দুনিয়ার সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক’ রাখতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির এলিয়ট স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ডিন আলিসা বলেন, ভারতীয় নেতৃত্বের ভূমিকা এখন দেখার বিষয়। দেখার বিষয়, জি–২০–এর সভাপতি হিসেবে ভারত বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে বৈশ্বিক দক্ষিণের সেতুবন্ধ গড়তে কতটা প্রকাশ্যে ভূমিকা রাখতে পারে।

বাইডেন প্রশাসন বারবার মোদির নেতৃত্বকে কুর্নিশ করেছে। তারা বলেছে, জি–২০–এর সাফল্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠানের সংস্কারসহ তারা ভারতের সঙ্গে কাজ করবে।

বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায়, ওয়াশিংটনের ভূমিকা বৃদ্ধির মাধ্যমে জি–২০ সারা বিশ্বের জিডিপির ৮৫ শতাংশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এমন একসময় তারা এই বিষয়ে নজর দিচ্ছে, যখন ব্রিকস ক্লাব অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে সম্প্রসারিত হতে চলেছে। চীনের নেতৃত্বে ভারত আবার এই ক্লাবেরও সদস্য।

হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ অপর্ণা পান্ডে বলেন, বিশ্বমঞ্চে নিজের ভূমিকা বাড়াতে সচেষ্ট ভারত অবশ্য একক শক্তির প্রভাব বলয়ের বাইরে বহুমুখী (মালটিপোলার) বিশ্ব দেখতে চায়।

অপর্ণা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মতভিন্নতা সত্ত্বেও ভারত একই সময়ে এই দেশটিকে শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে চায়। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বী চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তার কাছে ভেড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

অপর্ণা পান্ডে বলছিলেন, ‘বৈশ্বিক দক্ষিণ অর্থাৎ সাবেক উন্নয়নশীল ও জোটনিরপেক্ষ দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এটাই ভারতকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য সেতুবন্ধ হিসেবে হাজির করেছে।’

রাশিয়া বিষয়ে সম্মতি-অসম্মতি

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জি-২০ সম্মেলনে আসছেন না। তাঁদের অনুপস্থিতি বাইডেনকে বাড়তি সুবিধা দেবে। নিশ্চিত তিনি সেই সুবিধা কাজেও লাগাতে চাইবেন।

সি চিন পিং নয়াদিল্লিতে হয়তো শীতল ও কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে অভ্যর্থনা পেতেন। অন্যদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় ভারত যোগ দেয়নি। জি–২০ সম্মেলনে পুতিনের উপস্থিতি ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিত। কারণ, পশ্চিমা বিশ্ব তাঁকে এড়িয়ে চলছে। আবার দিল্লিতে আসলে তিনি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখে পড়তেন।

উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা চালায়, তখন ভারতের অবস্থানে ‘বেশ উদ্বিগ্ন’ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও বিষয়টি তারা মেনে নিয়েছে।

কুগেলম্যান বলেন, ‘আমার মনে হয়, যুদ্ধের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মধ্যস্থতা ও আলোচনায় ওয়াশিংটন ভারতকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিতে চাইবে। সেটা ওয়াশিংটনের মাথায় থাকতে পারে।’

কুগেলম্যান বলেন, তিনি মনে করেন, মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া বাইডেন প্রশাসন ভারতের অভ্যন্তরে নানা ঘটনায় ‘বেশ উদ্বিগ্ন’। তবে এসব বিষয় নিয়ে তারা ‘চুপ থাকার’ নীতি নিয়েছে।

এই মার্কিন বিশেষজ্ঞ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যু নিয়ে কথা বলতে শুরু করে, সেটা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো ঝুঁকি তৈরি করবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।


যুক্তরাষ্ট্র   ভারত   ওয়াশিংটন   এএফপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মদ খাইয়ে নারী এমপিকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাদক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ব্রিটানি লউগা নামের এক নারী এমপি। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রোববার (০৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের এমপি ব্রিটেনি লগা অস্ট্রেলিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন যে সম্প্রতি তাকে জোরপূর্বক মাদক দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে। নিজের সংসদীয় সীমানার বাইরে ইয়েপুনে রাতে তিনি আক্রমণের শিকার হন। ব্রিটেনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অস্ট্রেলিয়া নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর গত রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি প্রথমে পুলিশ স্টেশনে যান এবং পরে হাসপাতালে যান। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, হাসপাতালে পরীক্ষায় শরীরে মাদকের অস্তিত্ব মিলেছে। আমি এসব মাদক গ্রহণ করিনি। এগুলো শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান তিনি।

কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস (কিউপিএস) নিশ্চিত করেছে যে তারা ইয়েপুনে রোববার যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

তারা জানিয়েছে, তারা পানীয়র বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং পানীয়ের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানোর বিষয়টি কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে তদন্ত করছে। এ ছাড়া যৌন হয়রানির সঙ্গে নেশাজাতীয় পানীয়ের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার এ নারী এমপি কেপাল থেকে ২০১৫ সালে নির্বাচিত হন। এরপর থেকে প্রায় এক দশক ধরে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের আবাসনমন্ত্রী মিয়াগান স্ক্যানলন এ ঘটনাকে বিস্ময়কর এবং ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনি আমাদের সহকর্মী। সে অমার বন্ধু। এটা অগ্রহণযোগ্য যে নারীরা ঘরে এবং বাইরে যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আমাদের সরকার নারীদের সুরক্ষা এবং সহিংসতা বন্ধ করতে যা যা করণীয় তা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


নারী এমপি   যৌন হেনস্তা   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার 'ওয়ান্টেড' তালিকায় জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে রাশিয়া। মামলাটি করে তার নাম 'ওয়ান্টেড' তালিকায় যুক্ত করেছে দেশটি।

শনিবার (৪ মে) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেন ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রাশিয়ার পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রীসহ লাটভিয়ার আইনসভার সাবেক কয়েকজন সদস্যকে 'ওয়ান্টেড' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুগের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলার অভিযোগ আনা হয়।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক কৌঁসুলির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওই কৌঁসুলি গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রস্তুত করতে কাজ করেছিলেন।

এদিকে জেলেনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করায় রাশিয়ার সমালোচনা করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

জেলিনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় রাখার বিষটিকে রাশিয়ার মিথ্যা প্রপাগান্ডা চর্চার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


রাশিয়া   ওয়ান্টেড   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে শিকাগোতে ৬৮ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। এবার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের 'শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউট' এর বিক্ষোভ থেকে ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কলাম্বিয়া কলেজ এবং শিকাগোর স্কুল অব আর্ট ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের স্থাপন করা ক্যাম্পে হানা দেয় স্থানীয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের স্থাপন করা তাঁবু গুড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে অন্তত ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এবিসি৭ টেলিভিশন জানিয়েছে, ছয় দিন ধরে এই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল শিক্ষার্থীরা। তবে এই প্রথম ফিলিস্তিনিপন্থী ওই শিবিরে পুলিশ এভাবে চড়াও হল।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   শিকাগো   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘুমিয়ে ছিলেন স্টেশন মাস্টার! সিগন্যালের অপেক্ষায় ট্রেন

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনেক সময় চালকের ঘুমের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এবার ঘটেছে এক ভিন্ন ঘটনা। ডিউটির মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছেন স্টেশন মাস্টার! এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। এ ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের। 

একটি স্টেশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্টেশন মাস্টার। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস। 

গত ৩ মে (শুক্রবার) এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে ইটাওয়াহর কাছে উড়ি মোর রোড স্টেশনে। পরে অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে শোকজ করেছে রেল কতৃপক্ষ। 

জানা গেছে, পাটনা-কোটা এক্সপ্রেসের চালক বারবার হর্ন দিয়েও ঘুম ভাঙাতে পারছিলেন না স্টেশন মাস্টারের। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর স্টেশন মাস্টারের ঘুম ভাঙে এবং সেটি সবুজ সিগন্যাল পায়। 

ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, ঘটনার সময় পয়েন্টম্যান লাইন পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। ঘুম ভাঙাতে পাশে কেউ ছিলেন না। তার ফলেই বিপত্তি ঘটে।

আগ্রা রেলওয়ে ডিভিশন পি আর ও প্রশান্ত শ্রীবাস্তব বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। ইতোমধ্যে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্টেশন মাস্টার   ট্রেন   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির। এ ধ্বংসযজ্ঞ যখন পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সামনে এলো গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করুণ চিত্র।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী খুবই কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। হতাহতের শিকার এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজা   অন্তঃসত্ত্বা   নারী   পানিশূন্যতা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন