শেষ হলো বিশ্বের
শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০ এর শীর্ষ সম্মেলন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে নয়াদিল্লিতে (৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর) দুইদিনব্যাপী এ সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লির সম্মেলন সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জি-২০ জোটে ভারতের প্রেসিডেন্সির
মেয়াদও শেষ হয়। বর্তমানে জোটটির নতুন প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিলের
কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত।
এর প্রেক্ষিতে ব্রাজিলের
প্রেসিডেন্ট লুলা দি সিলভার হাতে প্রেসিডেন্সি হস্তান্তরের প্রতীক জি-২০ এর ‘হাতুড়ি’তুলে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী এক বছর
জি-২০ জোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন ব্রাজিলের লুলা।
ভারতে অনুষ্ঠিত এ
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেনসহ বিশ্বের অন্যান্য নেতারাও অংশ নেন। আজ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বিশ্বনেতারা
রাজঘাটের মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরআগে গতকাল শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়। এদিন নয়াদিল্লির ভারত মান্দাপাতামে এক এক করে সব নেতাকে বরণ করে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের প্রথমদিন ‘দিল্লি ঘোষণাপত্রে’ সম্মতি প্রকাশ করেন সব নেতা।
দিল্লি ঘোষণাপত্রে
বিশ্বের সব দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখার বিষয়টি বলা হয়। তবে
এতে ইউক্রেনে হামলা চালানো রাশিয়ার সমালোচনা করে কোনো শব্দ ব্যবহার না করায় বিষয়টি
নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় ইউক্রেন।
এবারের সম্মেলনে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় ছিল— যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সৌদি আরব ও ইউরোপের মধ্যে রেল বন্দর নেটওয়ার্ক তৈরি করা। এছাড়া গতকাল জি-২০ জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয় আফ্রিকান ইউনিয়ন।
সূত্র: এনডিটিভি
জি-২০ বিশ্ব সংবাদ ভারত নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি সেতু থেকে রেলিং ভেঙে বাস নদীতে পড়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।
সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাছে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।
রাশিয়া বাস দুর্ঘটনা সেন্ট পিটার্সবার্গ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের
গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও
বেশি সময় ধরে চালানো
এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত
হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি।
বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে
বিশ্বজুড়ে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে
বাড়ছে ক্ষোভ।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল হয়তো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের সময় কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এটি ‘মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত’ যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেগুলো ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ উপায়ে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, বিলম্বের পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশটি কীভাবে গত বছর সংঘর্ষের শুরু থেকে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
যদিও এই প্রতিবেদনটিতে গাজায় কিছু ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই তিরস্কার করা হয়েছে, তারপরও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এটিতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।
ইসরায়েলকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘অসাধারণ সামরিক চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলেও এতে বলা হয়েছে। এমনকি এতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্রের আইনি ব্যবহার মেনে চলার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাস ছিল ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য’ এবং তাই (ইসরায়েলে) অস্ত্রের চালান অব্যাহত রাখা যেতে পারে।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু হামাস ‘সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক অবকাঠামো এবং বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে’, তাই সক্রিয় যুদ্ধের মধ্যে বৈধ লক্ষ্যবস্তুগুলো ঠিক কী তা নির্ধারণ করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টাকে ‘অসঙ্গত, অকার্যকর এবং অপর্যাপ্ত’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেখতে পেয়েছে, সংঘাতের প্রথম মাসগুলোতে গাজায় মানবিক সহায়তা ‘বাড়ানোর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সাথে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে এতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সরকার গাজায় মার্কিন মানবিক সহায়তা পরিবহন বা বিতরণ নিষিদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করছে বলে আমরা এখন মূল্যায়ন করছি না।’
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যার কয়েকদিন আগেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা করলে ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল গাজা আন্তর্জাতিক আইন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। এর ফলে শুক্রবার (১০ মে) তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষনীয় মহাকাশীয় আলো বা অরোরা দেখা দিয়েছে। বিরল এই সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটেছে। সূর্য থেকে প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্র বেরিয়ে আসার ঘটনাকে সিএমই বলা হয়ে থাকে।
পরে এটি ‘মারাত্মক’ ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে পরিণত হয়। ২০০৩ সালের অক্টোবরে তথাকথিত ‘হ্যালোইন স্টর্মস’-এর পর এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ২১ বছর আগের ওই সৌর ঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আগামী দিনগুলোতে আরও সিএমই পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিরল এই সৌরঝড় যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের শঙ্কা আনলেও একইসঙ্গে তৈরি করেছে মনোমুগ্ধকর দৃশ্যও।
সৌরঝড়ের কারণে বর্তমানে উত্তর ইউরোপ থেকে করে অস্ট্রেলেশিয়া পর্যন্ত অরোরা বা নর্দার্ন লাইট দেখা যাচ্ছে আকাশে। সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সোলার ফ্লেয়ার বা সৌর অগ্নিশিখা সাধারণত আলোর গতিতে ভ্রমণ করে এবং প্রায় আট মিনিটের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সেই তুলনায় সিএমইর গতি অনেকটাই ধীর। এর গড় গতি প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ কিলোমিটারের মধ্যে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
ভয়াবহ
বন্যায় আরও বিপর্যস্ত পড়েছে ব্রাজিলের
দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো
সুল। আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
থাকায় পানি বাড়ার শঙ্কায়
বানভাসীরা। এদিকে মৃতের সংখ্যা ঠেকেছে ১২৬ জনে বলে
নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
বেসামরিক
প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়,
বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। চারদিকে
পানি আর পানি। তলিয়ে
গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। পানিবন্দি দেশটির লাখ লাখ বাসিন্দা।
মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১শ। নিখোঁজ প্রায়
১৪১ জন। বাস্তুহারা হয়েছেন
প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এরমধ্যে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।
দুর্গতদের
সাহায্যে উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিমান বাহিনী এবং ক্রীড়াবিদেরা। ত্রাণ
বিতরণ, মানুষ ও পোষা প্রাণিদের
উদ্ধারের সহায়তার পাশাপাশি অনুদান নিয়েও এগিয়ে এসেছেন অনেক খেলোয়াড়। আসন্ন
অলিম্পিকের স্বপ্নকে দূরে ঠেলে বন্যা
কবলিত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন
তারা।
সবচেয়ে
বেশি দুর্ভোগে আছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয়
প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো
সুলের বাসিন্দারা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রদেশের
রাজধানী পোর্তো অ্যালেগ্রে এবং আশেপাশের শহরে
পানির স্তর আরো বাড়তে
পারে। এদিকে, বন্যার কারণে বিকল হয়ে পড়েছে
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সঙ্কট দেখা দিয়েছে নিরাপদ
খাদ্য ও পানির।
এদিকে,
বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন শহর সাও জেরোনিমোতে
হেলিকপ্টারে ত্রাণ সরবরাহ করছে দেশটির বিমানবাহিনী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে শহরটির পাশে বয়ে যাওয়া
জাকুই নদীর পানি ফুলে
ফেপে উঠেছে। এতে ডুবে গেছে
অসংখ্য ঘরবাড়ি।
মন্তব্য করুন
নতুন
এক ধরনের সম্পর্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এশিয়ার
দেশ জাপানে। ইংরেজিতে যার নাম দেওয়া
হয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ’। দেশটির যুব
সমাজের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই প্রবণতা।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সম্পর্কে জড়িতরা যৌন সম্পর্ক না গড়ে প্লেটনিক অংশীদার হয়ে উঠছে। জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। তার মধ্যে শতকরা প্রায় এক ভাগ এমন সম্পর্ককে বেছে নিচ্ছে। অর্থাৎ এমন সম্পর্কে লিপ্ত মানুষের সংখ্যা হাজার হাজার। তারা অভিন্ন মূল্যবোধ এবং স্বার্থের ভিত্তিতে জড়াচ্ছে এ সম্পর্কে।
এ
বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একটি এজেন্সির নাম
কালারাস। নতুন এই প্রবণতা
সম্পর্কে ডাটা শেয়ার করেছে
তারা। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের মার্চ
থেকে এই ধরনের বৈবাহিক
সম্পর্কে যুক্ত হয়েছেন জাপানের ৫০০ মানুষ। এমনকি
কোনও কোনও সম্পর্কে সন্তান
লালন-পালন করছে।
ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ : ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হচ্ছে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে অংশীদাররা আইনগতভাবে দম্পতি। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও রোমান্টিক ভালোবাসা বা যৌন সম্পর্ক নেই। তারা একসঙ্গে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে পারেন। কৃত্রিম পদ্ধতিতে দম্পতিরা সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।
এই সম্পর্কে লিপ্ত দু’জন ব্যক্তি অবাধে অন্যদের সঙ্গে বিয়ে বাদে সম্পর্ক গড়তে পারেন। কারণ, এ বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতার চুক্তি থাকে। তিন বছর ধরে এমন সম্পর্কে লিপ্ত আছেন এমন একজন বলেছেন, ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হল- এমন একটি ব্যবস্থা যেমন একই স্বার্থে একজন রুমমেট খুঁজে নেওয়া। আমি কারও গার্লফ্রেন্ড হতে চাই না। কিন্তু আমি একজন ভালো বন্ধু হতে চাই। আমি এমন একজনকে চাই, যার সঙ্গে একই আনন্দ ভাগ করতে পারব। চ্যাট করতে পারব। হাসি-তামাশা করতে পারব।
এই
অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রথাগত রোমান্টিক ভালোবাসা বা একজন বেস্টফ্রেন্ডকে
বিয়ে করা নয়। পক্ষান্তরে
এই ব্যবস্থার অধীনে দম্পতিরা বিয়ের আগে দেখা-সাক্ষাৎ
করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি
দিনের পর দিন দিন
তাদের জীবন নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করে। যেমন- তারা
একসঙ্গে খাবার খেতে চায় কি
না। কীভাবে তারা খরচ করবে।
কে কাপড় লন্ড্রি করবে।
কীভাবে রেফ্রিজারেটরের জন্য জায়গা বের
করবে।
কারা বেছে নিচ্ছেন এই প্রথা? এই রীতিতে যারা আগ্রহী তাদের গড় বয়স ৩২.৫ বছর। জাতীয় গড়ের চেয়ে তাদের আয় বেশি। অযৌন সম্পর্কে লিপ্ত এবং সমকামিতায় লিপ্ত ব্যক্তিরাও এ সম্পর্কে জড়িত হচ্ছেন। তারা প্রচলিত বিয়ে থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। অনেক সমকামী আছেন, যারা প্রচলিত বিয়ে বা ভালোবাসার সম্পর্ক পছন্দ করেন না। তারা সামাজিক চাপে থাকেন। ফলে তারাও এখন এই প্রবণতাকে আলিঙ্গন করছেন। যদিও এই সম্পর্কের ইতি হচ্ছে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে, তবে সুবিধা হল তারা পলিসি সুবিধা পাচ্ছে। কালারাস বলেছে, এই সম্পর্ক রোমান্টিক না হলেও শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ এই সম্পর্কের দম্পতিরা একসঙ্গে সুখেই বসবাস করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কিছু দম্পতির একসঙ্গে সন্তানও আছে।
জাপান জনপ্রিয় ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ
মন্তব্য করুন
পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়। এর ফলে শুক্রবার (১০ মে) তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষনীয় মহাকাশীয় আলো বা অরোরা দেখা দিয়েছে। বিরল এই সৌরঝড় আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং এর কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।