ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিছু করে দেখানোর এটাই শেষ সুযোগ জেলেনস্কির!

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার মতো সমর্থন আদায় করে নিতেই তার এ সফর বলে অনেকে মনে করেন। আরও প্রায় ১৪ কোটি ডলারের অস্ত্র সহায়তা তিনি আদায় করে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। তবে সামগ্রিক অর্থে ইউক্রেনের বর্তমান অবস্থা যুদ্ধ চালিয়ে নেয়া এবং ফলপ্রসূ কোনো অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য কতটুকু সমর্থ তা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। এবারের মতো যুদ্ধ চালিয়ে নেয়ার রসদ যোগাড় হলেও পরবর্তীতে জেলেনস্কির সামনে সমূহ বিপদ বলেই মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।

সুনির্দিষ্টভাবে এই সফরে মার্কিন কংগ্রেস ইউক্রেনকে সামরিক খাতে নতুন করে সহায়তার জন্য যে ২৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে, সেটার যাতে অনুমোদন মেলে সেই চেষ্টা করবেন। তবে এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে এত বড় অঙ্কের অর্থ ছাড় করা কঠিন।

বাইডেন প্রশাসন তাই ইউক্রেনের জন্য প্রতিশ্রুত সহায়তার ১৩ দশমিক ১ বিলিয়ন সামরিক সহায়তা, ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানবিক সহায়তা এবং ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছে।

এদিকে কিয়েভ ছাড়ার আগমুহূর্তে জেলেনস্কি তাঁর ছয়জন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করেন। তার এই পদক্ষেপ এটাই প্রমাণ করে যে বাইডেন প্রশাসন খোলা হাতে ইউক্রেন সরকারকে যে সহায়তা দিয়ে চলেছে, তার একটা বড় অংশ গায়েব হয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার ঠিকমতো ব্যয় হচ্ছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখবার বিষয়।

তবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যেকোনো শান্তি প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অস্ত্র-গোলাবারুদের ভান্ডার ফুরিয়ে আসার আগের ঘটনা। একই সঙ্গে পুতিনকেও ছুড়ে ফেলার চেষ্টার আগের ঘটনা। ব্যর্থতার খেসারত হিসেবে ওয়াশিংটন ও ন্যাটো ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অস্ত্র তুলে দিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চেয়েছে।

কিন্তু বাস্তবে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভাঙার ক্ষেত্রে বিরাট কোনো সাফল্য আসেনি। ইউক্রেনের এরই মধ্যে তাদের কৌশলগত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মজুত ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। জাপোরিঝঝিয়া ফ্রন্টে ২৫তম এয়ার মোবাইল ও ৮২তম এয়ার অ্যাসল্ট—গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি ব্রিগেডের অনেক সৈন্য ও সরঞ্জাম খুইয়েছে। এ দুটি ব্রিগেডের বেশির ভাগ অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান দিয়েছিল ন্যাটো। তা সত্ত্বেও যুদ্ধে কোনো পারদর্শিতা দেখাতে না পারায় তাদের প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে।

ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই তাদের জনবল ও সামরিক সরঞ্জাম দরকার পড়ছে। প্রতিবেদন বলছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রতিদিন এক হাজারের বেশি সেনা হারাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কয়েকটি সদস্যের এটা ভালো করে জানা উচিত যে ইউক্রেন যে সামরিক কৌশল নিয়েছে, সেটা আসলে কাজ করছে না। যদিও ন্যাটোর সরবরাহ করা গোয়েন্দা তথ্য ও অন্যান্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করেই সামরিক কৌশল প্রণয়ন করে ইউক্রেন।

যেকোনো দেশ কিংবা ব্যক্তি একটি শান্তি পরিকল্পনা দিতে পারে অথবা মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসতে পারে—এ ধরনের কয়েকটি প্রচেষ্টা প্রাথমিক পর্যায়েও আছে। তবে ইউক্রেনের দিক থেকে কয়েকটি শর্ত আছে।

এক. ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন কোনো আলোচনায় যাবে না। তবে রাশিয়ার সঙ্গে তারা আলোচনা করতে পারে। ইউক্রেন সরকার এ বিষয়ে ফরমান জারি করেছে, যেখানে সই করেছেন জেলেনস্কি।

দুই. কোনো পরিস্থিতিতেই ইউক্রেন তাদের এক ইঞ্চি ভূমিও কারও কাছে ছেড়ে দেবে না। ক্রিমিয়া থেকে দনবাস—কোনো অঞ্চলই তারা ছাড় দেবে না। যদিও প্রথম পর্যায়ে ক্রিমিয়ার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনায় সম্মত ছিল কিয়েভ।

তিন. ইউক্রেনের দাবি হলো, রাশিয়ান সব সৈন্যকে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছাড়তে হবে। পুতিনসহ সব যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

চার. ন্যাটোর কাছে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা অথবা সদস্যপদ চায় ইউক্রেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদও চায় কিয়েভ, কিন্তু মাঝপথেই সেটা থমকে আছে। যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছে দাবি করলেও বাস্তবে সেই প্রচেষ্টায় স্থবিরতা এসেছে।

এই ফাঁকে ইউক্রেন ন্যাটোর কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ দূরপাল্লার অস্ত্র চেয়েছে, যাতে রাশিয়ার ভূখণ্ডে তারা হামলা চালাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমজিএম-১৪০ এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র এবং জার্মানির কাছে টাওরাস ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কেউই এ ধরনের অস্ত্র দিতে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।

যাহোক, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড চাইছেন ইউক্রেন যাতে রাশিয়ার অতি মূল্যবান স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাতে পারে। ন্যুল্যান্ডের প্রচেষ্টা যদি জয়ী হয়, তাহলে এমজিএম-১৪০ এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেন পাবে। বাস্তবে সেটা ঘটলে যুদ্ধের ক্ষেত্রে রাশিয়ার যে উদ্দেশ্য, তাতে প্রভাব ফেলবে।

রাশিয়া এখন দনবাস, খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল ও ক্রিমিয়াতে বেশির ভাগ লড়াই কেন্দ্রীভূত রেখেছে। কিন্তু রাশিয়ার নেতারা বারবার করে বলছেন, ইউক্রেনে সরকার পরিবর্তন, ওদেসাসহ অন্য শহরগুলোতে যুদ্ধের বিস্তার ঘটাতে হবে। সেটা করতে হলে রাশিয়াকে সেনাবাহিনীতে আরও সেনা নিয়োগ দিতে হবে এবং নতুন নতুন অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরি করতে হবে।

অন্যদিকে যুদ্ধ যদি নতুন ফ্রন্টে বিস্তার হয়, সেটা হবে ইউক্রেনের জন্য ভয়ংকর। তাদের এখন এমনিতেই জনবল ও সামরিক রসদের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের সেই চাপ নেওয়ার সক্ষমতা কতটা রয়েছে, সেটা কেউই জানে না। ইউক্রেনের কতজন সেনা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চাইবেন, সেটাও পরিষ্কার নয়।

যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও অসন্তুষ্টি বাড়ছে। এই যুদ্ধ চীন ও রাশিয়ার মধ্যে নতুন করে মৈত্রী বাড়াচ্ছে এবং সামরিক রসদের ভান্ডার শূন্য করে দিচ্ছে। এতে এশিয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তাইওয়ানের প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে দেরি হচ্ছে।

মার্কিন কংগ্রেসকে মানিয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দ করে নিতে সক্ষম হয়েছেন বটে কিন্তু এটিই হয়তো তার জন্য শেষ উল্লাস।

সূত্র: এশিয়া টাইমস (ইংরেজি থেকে অনূদিত)


জো বাইডেন   রাশিয়া   রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ   ভলোদিমির জেলেনস্কি   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার গোপন সম্পর্ক ফাঁস

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অধিকাংশ মুসলিম দেশের মতো ইন্দোনেশিয়ারও ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। তবে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তে ওঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে ইন্দোনেশিয়া। ওই তদন্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলের অন্তত ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পাইওয়্যার ও সাইবার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছে জনসংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম এই মুসলিম দেশটি। শুক্রবার (০৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ল্যাবের এক তদন্তে ইসরায়েলের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্কের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তারা বলছে, ৪টি ইসরায়েলি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এন-এস-ও, কান-দিরু, উইন-টেগো ও ইন্টে-লেক্সারের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি অফিস ও সংস্থার যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জার্মান প্রতিষ্ঠান ফিন-ফিশারের কাছ থেকেও নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছে দ্বীপ দেশটি। এর আগে বিরোধীদের ওপর নজরদারি করতে বাহরাইন ও তুরস্ক ফিন-ফিশারের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল।

অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সরকারি অফিসে এ ধরনের অসংখ্য স্পাইওয়্যার আমদানি বা স্থাপন করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ এবং জাতীয় সাইবার ও ক্রিপ্টো এজেন্সির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য এসব নজরদারি স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছে। অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির এসব স্পাইওয়্যার দিয়ে কারও ওপর নজরদারি করলে সেটা যেমন ধরা যায় না, আবারও কোনো প্রমাণ পাওয়াও প্রায় অসম্ভব।

তদন্তে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার হয়ে এসব নজরদারি প্রযুক্তি কিনে দিয়েছে সিঙ্গাপুরের কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে আগেও ইন্দোনেশিয়া সরকারের জন্য নজরদারি প্রযুক্তি কেনার নজির রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার নিউজ ম্যাগাজিন টে-ম্পো, ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেতজ এবং গ্রিস ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংবাদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কয়েক মাস ধরে এই তদন্ত চালানো হয়।

ইন্দোনেশিয়ার ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার কেনার নজির এটাই প্রথম নয়। গেল বছর টে-ম্পো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ার সরকার আলোচিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এন-এস-ও’র পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। ২০২১ সালে ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তার ওপর পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ কয়েকটি আরব দেশ ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পর তখন ইন্দোনেশিয়ার নামও শোনা গিয়েছিল। এরপর মাঝে বেশি কিছু শোনা না গেলেও সম্প্রতি ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানান, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চলমান আছে। আবার দুই দেশের মধ্যে প্রতি বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে জানিয়েছেন ইসরায়েল-এশিয়া সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রেবেকা জেফেরত।


ইসরায়েল   ইন্দোনেশিয়া   গোপন   সম্পর্ক   ফাঁস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হোয়াইট হাউসের সামনে চালক নিহত

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

হোয়াইট হাউসের গেটে গাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে চালকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মারাত্মক সংঘর্ষটি ‘কেবল একটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে’ তদন্ত করা হচ্ছে এবং এটি প্রেসিডেন্টের বাসভবনের জন্য কোনো হুমকি ছিল না।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, পুরুষ চালককে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার কিছু আগে দুর্ঘটনার পর গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সের বাইরের একটি গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালককে তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করা যায়নি।

ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ (এমপিডি) জানিয়েছে, গাড়িটি দুটি রাস্তার সংযোগস্থলে একটি নিরাপত্তা বাধার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সময়ে এমপিডির মেজর ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশন ইউনিট ঘটনাটিকে শুধু একটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে তদন্ত করছে।

এ ছাড়া নিরাপত্তা প্রোটোকল বাস্তবায়িত হলেও হোয়াইট হাউসের জন্য কোনো হুমকি ছিল না বলে সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে।

তবে সিক্রেট সার্ভিস বিষয়টির তদন্ত চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি মেট্রো পুলিশও কাজ করবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।


হোয়াইট হাউস   চালক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচন: বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের দল

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ১টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে। সবার চোখ লন্ডন শহরের মেয়র পদের ফলাফলের দিকেও। তবে এই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। অপরদিকে গত চার দশকে নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। খবর বিবিসি।

এমনকি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও ফলাফলের বিশ্লেষণে হারিয়ে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় বেলা ২টা পর্যন্ত ১০৭টি কাউন্সিলের মধ্যে ১০৩টি কাউন্সিলের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সবশেষ ফলাফলে দেখা যায়, লেবার পার্টি ১ হাজার ৬১টি কাউন্সিলর পদে জয় লাভ করেছে। ৫০৮টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। অপরদিকে ৫০৪টি কাউন্সিলর পদ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

লন্ডনের মেয়র পদের দিকেও রয়েছে সবার চোখ। এখানে টানা দুবার নির্বাচিত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান পুনরায় বিজয়ী হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক করা প্রথম কোনো মেয়র। অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টির সোসান নির্বাচিত হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের প্রথম নারী মেয়র।

নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গণমাধ্যমে বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টি বড় জয় পেলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দেবে। কারণ, কনজারভেটিভ পার্টি আলোকিত ব্রিটেন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করা লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ জানিয়ে দিয়েছেন তারা পরিবর্তন চান।

উল্লেখ্য, স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল করায় ঋষি সুনাককে উদ্দেশ্য করে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।


যুক্তরাজ্য   স্থানীয় সরকার নির্বাচন   বিপর্যয়   ঋষি সুনাক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ খুললেন জয়শংকর

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

খালিস্তান নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় ৩ ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, তিন ভারতীয়কে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। এখন কানাডা তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য সরবরাহ করবে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি। অভিযুক্তরা কোনো গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করতে পারে। তবে পুলিশ কী বলে সে বিষয়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'আমরা আমাদের অভিমত তাদের (কানাডা) জানিয়েছি। কারণ তারা ভারত থেকে সংগঠিত অপরাধ বিশেষ করে পাঞ্জাবের কর্মকাণ্ডকে কানাডা থেকে পরিচালিত করার সুযোগ দিয়েছে।' 

জয়শঙ্কর বরাবরই বলে আসছেন, কানাডায় শিখ সন্ত্রাসবাদীরা অনেক দিন থেকেই ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে আসছে। ভারত তাদের আন্দোলনের বিরোধিতায় কানাডা সরকারকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছে। কিন্তু ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন তারা তা করছে না।

ভারতের অভিযোগ, নিজ্জর হত্যা সম্পর্কে কানাডা আজও কোনো তথ্য ভারতকে দেয়নি। অথচ ভারত বারবার তা জানানোর দাবি করে আসছে। কানাডার অভিযোগ, ভারত ওই হত্যায়  হাত থাকার খবর অস্বীকার করে চলেছে। তারা তদন্তে কোনো সহযোগিতাই করতে চাইছে না।

এর আগে, সম্প্রতি কানাডার এডমন্টন শহর থেকে ওই তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) ও করণপ্রীত সিং (২৮)। আদালতের নথি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তারা তিন থেকে পাঁচ বছর সে দেশে রয়েছে।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছি। এটা কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের পুলিশ অবশ্যই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তদন্তে সাক্ষেপে প্রতিবেদন তৈরি করবে। 

গত বছরের জুনে শিখ নেতা ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জরকে কানাডায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। 


নিজ্জর   হত্যা   এস জয়শঙ্কর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের স্বীকার ফিলিস্তিনি নারী

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

জার্মানির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত উন্নয়ন সংস্থার একজন ফিলিস্তিনি নারী কর্মী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে যে কারাগারে তাকে মারধর ও নির্যাতন করা হচ্ছে। রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মান এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের জন্য কাজ করেন ৩৪ বছর বয়সী বারা ওদেহ। গত ৫ মার্চ কাজ থেকে ছুটি পেয়ে জার্মানি থেকে রামাল্লায় তার বাড়িতে ফেরার সময় ইসরায়েলি সীমান্তরক্ষীরা তাকে আটক করে। এরপর থেকে তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই তিন মাসের জন্য কারাগারে আটকে করে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন বন্দী অধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলি কারাগারে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, ইসরায়েলের পদ্ধতিগত নির্যাতনের বিষয়ে সতর্কতা বাড়িয়েছে।


ইসরায়েল   কারাগার   নির্যাতন   ফিলিস্তিনি নারী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন