ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে কানাডা জড়িয়ে গেল খালিস্তানিদের সাথে

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কানাডার মাটিতে একজন শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত ও কানাডার মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক টানাপোড়েনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা নিয়ে বর্তমানে তোলপাড় চলছে। সম্প্রতি শিখ নেতা হরদ্বীপ সিং নিজ্জার খুনের পেছনে নরেন্দ্র মোদির সরকারের হাত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগপাওয়া গেছে বলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন। এরপর পরই শুরু হয় এই সংকটময় অবস্থা।

উল্লেখ্য, ভারতের পাঞ্জাবকে শিখদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিজ্জরকে গত ১৮ জুন ব্রিটিশ কলম্বিয়ার একটি সংস্কৃতি কেন্দ্রের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়। খালিস্তান আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিন আলোচনার বাইরে থাকলেও নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের জের ধরে এই প্রসঙ্গ পূর্ণমাত্রায় ফিরে এসেছে।

উত্তর ভারতের পাঞ্জাবে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ শিখের বসবাস। এই শিখ সম্প্রদায় আবাসভূমি পাঞ্জাবকে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে দেখতে চায়। ভারতের বাইরে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাস করা প্রায় ৮০ লাখ শিখও এই দাবিকে সমর্থন করে যাচ্ছেন।

হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক রাষ্ট্র করার ধারণা নিয়ে দেশ ভাগ করার অনেক আগে থেকেই শিখ সম্প্রদায় নিজেদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ার আন্দোলন করে আসছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মুসলমানদের জন্য যেভাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, সেভাবে তাদের জন্যও ‘শিখিস্তান কিংবা ‘খালিস্তান নামের একটি ভূখণ্ড দেওয়া হোক।

যেহেতু পাঞ্জাবেই তাদের মূল আবাস, সেহেতু সেখানেই তারা তাদের জন্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবি তুলেছিলেন। কিন্তু ভারত এই ধারণার ঘোরতর বিরোধী ছিল। সে সময় পাঞ্জাবকে এমনভাবে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল যাতে তার এক ভাগ পাকিস্তানে পড়ে আর এক ভাগ ভারতে পড়ে। এর ফলে শিখদের অখণ্ডতাকেও বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল।

কিন্তু শিখরা তাদের এই রাজনৈতিক চিন্তা ও দাবির জায়গা থেকে সরেননি। ১৯৬০এর দশকে শিখ আন্দোলনের পুনর্জাগরণ হয় এবং তারা পাঞ্জাব রাজ্যের সীমানা পুনরায় নির্ধারণ করে সেটিকে অখণ্ড পাঞ্জাব হিসেবে গড়ে তুলে সেখানে তাদের জন্য আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি তোলেন। তাদের এ আন্দোলন আংশিক সফল হয়েছিল এবং তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার পাঞ্জাবি সুবা গঠন করেছিল।

পাঞ্জাবি সুবার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল পাঞ্জাবি ভাষাভাষীদের (যাদের বেশির ভাগই ছিল শিখ সম্প্রদায়ের) বসতি এলাকার ভিত্তিতে। পুনর্গঠিত পাঞ্জাবে এখন যারা বাস করেন তাঁদের ৫৮ শতাংশ শিখ সম্প্রদায়ের।

১৯৮০ এর দশকে ভারত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ‘খালিস্তান’ রাষ্ট্রের ধারণা নিয়ে শিখদের নতুন আন্দোলন শুরু হয়। ওই সময় অনেক শিখ নেতা সশস্ত্র আন্দোলনে যুক্ত হন কারণ তাঁরা শিখদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র চাচ্ছিলেন।

ওই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শিখ মিলিশিয়াদের সংঘাতে কয়েক হাজার প্রাণহানি ঘটেছিল। ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লু স্টার পরিচালনা করা হয়। সেই অভিযানে খালিস্তান আন্দোলনের শীর্ষ নেতা জারনেইল সিং বিন্দারানওয়ালেসহ বহু শিখ নেতা নিহত হন।

এই ঘটনায় শিখদের ক্ষোভ চূড়ান্ত মাত্রায় রূপ নেয়। এর কিছুদিন পরই ইন্দিরা গান্ধীকে তাঁর দুই শিখ দেহরক্ষী গুলি করে হত্যা করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে শিখদের আন্দোলন কার্যক্রম আবার ঘনীভূত হচ্ছে এবং ভারত সরকার আবার ১৯৮০ এর দশকের মতো সহিংসতা ফিরে আসার শঙ্কা করছে। সেই ধরনের সমস্যা যাতে মহিরুহ হওয়ার আগে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেওয়া যায়, সে কারণে নরেন্দ্র মোদি আন্দোলনকে দানা পাকানোর আগেই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

প্রশ্ন হলো, খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক কী?

মূলত ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের জের ধরে ১৯৯০ এর দশকে ভারত সরকার শিখ সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক অভিযান চালানোর পর শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা পালিয়ে কানাডায় চলে যান।

সেখানে থাকা প্রবাসী শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে খালিস্তানিদের স্বাগত জানান। আগে থেকেই ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও অন্টারিও এলাকায় শিখদের বাস ছিল। ভারত থেকে নতুন করে পালিয়ে যাওয়া শিখদের উপস্থিতি সেখানে খালিস্তান আন্দোলনকে নতুন করে উজ্জীবিত করে তোলে।

কানাডায় বাস করে অবাধে রাজনৈতিক আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকায় তাঁরা কানাডাকে নিরাপদ দেশ মনে করেছিল। ভারতে যেহেতু খালিস্তান আন্দোলন নিষিদ্ধ সেহেতু আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে তাঁরা কানাডার মাটিকে অধিকতর নিরাপদ মনে করেছেন। খালিস্তান গঠনের ধারণা নিয়ে বিশ্বের সবখানে ছড়িয়ে থাকা শিখ সম্প্রদায়ের লোক কানাডায় তৎপর আন্দোলনকর্মীদের সমর্থন দিয়ে আসছেন।

এখানে আরও একটি প্রশ্ন হলো, এই খালিস্তিনি আন্দোলনের প্রতি কানাডা সরকারের সহমর্মিতা থাকার কারণ কি?

কানাডার মোট জনসংখ্যার ২.১ শতাংশ লোক শিখ সম্প্রদায়ের। ভারতে বসবাসরত শিখদের চেয়েও তারা সংখ্যায় বেশি। কানাডায় বসবাসরত এই শিখরা সে দেশের রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। ভারতের মন্ত্রিসভায় যতজন শিখ আছেন তার চেয়ে বেশি সংখ্যক শিখ আছেন কানাডার মন্ত্রিসভায়।

জাস্টিন ট্রুডো যদিও ভারতের সরকারকে আশ্বস্ত করেছে, তার সরকার যে কোনো সহিংসতার সাজা নিশ্চিত করবেন; পাশাপাশি তিনি কানাডাবাসীকেও আশ্বাস দিয়েছেন যে তার সরকার যে কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শকে সম্মানের চোখে দেখবে এবং শিখদের দাবি দাওয়ার কথা তিনি বিনা বাধায় বলতে দেবেন।

সম্প্রতি ভারত সরকার জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়া অতিথিদের স্বাগতিক দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া উল্লেখ না করে ‘ভারত উল্লেখ করেছে। এই ‘ভারত কথাটি মূলত হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রতিনিধিত্ব করে। একই সঙ্গে এটি ভারতে বসবাসরত সংখ্যালঘু মুসলমান ও শিখ সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোতেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করা হয়।

জাস্টিন ট্রুডো এ কারণে কানাডায় শিখদের জনসংখ্যাধিক্যের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তার দেশে বসবাসরত শিখদের হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিরোধিতা করার অধিকারকে উপেক্ষা করতে পারেননি।

আর এটিই দুই দেশের সম্পর্ককে অনেকখানি তিক্ত করে তুলেছে। তবে আশার কথা হলো, কানাডা ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্ক আছে। চীন ইস্যুতে এই দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন কৌশলগত নীতি রয়েছে। তাই এই উত্তেজনাকর অবস্থা হয়তো খুব বেশি দিন থাকবে না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার যেহেতু হিন্দু জাতীয়তাবাদের ঘোর সমর্থক, সেহেতু তারা শিখদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনের দাবিকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে মনে করে।

সূত্র: এশিয়া টাইমস (ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত)


খালিস্তান   কানাডা   যোগসূত্র   শিখনেতা হত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে মরুর বুকে উট চলাচলে ট্রাফিক সিগন্যাল

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মরুভূমির জাহাজ বলা হয় উটকে। শত শত মাইল ধু ধু মরুভূমিতে যখন কোনোকিছু চলার উপায় থাকে না তখন একমাত্র বাহন উট। কিন্তু শত শত বছর ধরে এই প্রাণী মরুর বুকে বসবাস করে আসছ। তবে তাদের চলাচলে কখনো যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এমন খবর শোনা যায় নি। কারণ তাদের জন্য উন্মুক্ত থাকে মাইলের পর মাইল এলাকা। তবে এবার উটের ভিড় এড়াতে ট্রাফিক সিগন্যাল চালুর খবর মিলেছে।

প্রতি মে মাসে চীনের গানসু প্রদেশে উটের পিঠে চড়ার ধুম পড়ে। এ সময় কুমটাগ মরুভূমির মিংশা পাহাড় ও ক্রিসেন্ট স্প্রিং অঞ্চলের মনোরম পরিবেশ উপভোগের জন্য এ বাহন খুবই জনপ্রিয়। এ কারণে সড়কেও অনেক সময় ট্রাফিক জ্যাম লেগে যায়। তাই যানজট এড়াতে কর্তৃপক্ষ সেখানে ‘স্পেশাল ক্যামেল ট্রাফিক সিগন্যাল’ ব্যবস্থা চালু করেছে। 

গানসু প্রদেশের মিংশা পাহাড় ও তার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে ক্রমশ পর্যটনশিল্প উন্নতি লাভ করেছে। আর এ মরুঞ্চালের পর্যটকদের কাছে পরিবহনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে মরুভূমির জাহাজ উট। 

গত বছর এ সময়ে অন্তত ২৪০০ উটের পিঠে চড়ে হাজার হাজার পর্যটক এ এলাকা ভ্রমণ করেন। এতে অনেক সময় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। তবে এর মধ্যেই বেশকিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মৃত্যু হয় কয়েকটি উটের। সেই সমস্যার সমাধান করতে এ বিশেষ ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা। বিশেষ এ ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর পর যানজট সমস্যার সমাধান হয়েছে। 


চীন   ট্রাফিক   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৭

প্রকাশ: ১১:২৪ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে বাসডুবির ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন । শনিবার সকালের দিকে ঘটেছে এই ঘটনা।

রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা দপ্তরের সেইন্ট পিটার্সবার্গ শাখা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাসটিতে চালকসহ যাত্রী ছিলেন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার এই ৯ জনের মধ্যে জীবিত ছিলেন মাত্র ২ জন।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, নদীতে পড়ার আগে অন্তত  কয়েক জন যাত্রীর বাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষার সুযোগ ছিল, কিন্তু সম্ভবত পরিস্থিতির আকস্মিকতায় তারা সবাই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় মোড় ঘোরার সময় বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন চালক। ওই অবস্থাতে বাসটি এলোমেলোভাবে কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে ব্রিজের দিকে যেতে থাকে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়ে পুরোপুরি ডুবে যায়।

বাসটি ডুবে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের ১৮টি বিশেষায়িত ইউনিটের ৬৯ জন কর্মী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। 


রাশিয়া   বাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব: জো বাইডেন

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, হামাস যদি নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে মুক্তি দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব গাজায়। শুক্রবার রাজধানী ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।


হামাস   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শিখ নেতা নিজ্জর হত্যা: কানাডায় তিন ভারতীয়সহ গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১০:৪৩ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

শিখ নেতা ও কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩ মে সন্দেহভাজন তিন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শনিবার (১১ মে) কানাডার টরন্টো শহর থেকে আমানদীফ সিংহ (২২) নামের আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ।

এক বিবৃতিতে কানাডিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আমানদীপের বিরুদ্ধে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’ এবং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তারা হলেন- করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)।

গত বছরের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ভ্যানকুভারের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনাকে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য তীব্র অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।


শিখ   নিজ্জর   ভারত   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়লেন ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এজন্য রাগে-ক্ষোভে বৈশ্বিক সংস্থাটির সনদের একটি কপি ছিন্নভিন্ন করেছেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি এই কাণ্ড করেন। খবর এনডিটিভির।

শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদের ব্যাপারে একটি ভোটাভুটি হয়। সেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ১৪৩ দেশ ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।

প্রস্তাবে ফিলিস্তিন যে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গত মাসে মার্কিন ভেটোর কারণে ফিলিস্তিনি পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আটকে যাওয়ার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের ফিলিস্তিনপন্থী এই অবস্থান ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েল। ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এরদান এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

২০১১ সালে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল ফিলিস্তিন। সেই আবেদন এখনো পড়ে আছে। গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা আর পাস হয়নি।

তবে পূর্ণ সদস্যপদের আবেদন আবারও সচল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন। সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবারের এই প্রস্তাব পাস হওয়ায় কার্যকরভাবে তা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।


জাতিসংঘ   ইসরায়েল   রাষ্ট্রদূত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন