ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত-কানাডা খালিস্তান ইস্যু: উভয় সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে আলাদা ও স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জারকে গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই খুনের পেছনে নরেন্দ্র মোদির সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। আর এতেই শুরু হয় তোলপাড়। দুই দেশই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার করা ছাড়াও একে অপরকে নানা রকম নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে।

তবে ভারত-কানাডার এই ইস্যুতে বেশ ভালো রকমের শাখের করাতের মধ্যে পড়েছে দুই দেশেরই মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে বন্ধুরাষ্ট্র বা পাশের দেশ অন্যদিকে রাজনীতির মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সহায়ক মিত্র। কার পক্ষ নেবে যুক্তরাষ্ট্র, এ নিয়ে এরই মধ্যে তলব দেখা দিয়েছে।

যদিও এ ইস্যুতে ভারত ও কানাডার মধ্যে এমন টানাপোড়নের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই বলেছে ভারতের উচিত কানাডাকে সহযোগিতা করা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের এ ইস্যুতে কানাডার প্রতি ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে তার দেশ। কিন্তু আদতে যুক্তরাষ্ট্র আসলে পড়েছে উভয় সঙ্কটে। কোনো রাষ্ট্রের প্রতিই জোড়ালো সমর্থন দেখাতে পারছেন না তারা। গাঁ বাঁচিয়ে চলা মন্তব্যই যেন এ মুহূর্তে তাদের ভরসা। কারণ কৌশলগতভাবে আমেরিকার কাছে ভারত সবদিক থেকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন এত প্রয়োজন 

জনসংখ্যার দিক দিয়ে প্রতিবেশী চীনকে ভারত ছাড়িয়ে গেছে বহু আগেই। এখন ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। স্বেচ্ছাচারী ও ক্রমশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠা এই চীনকে মোকাবিলা করতে ভারতের বিকল্প নেই। তাই, চীনের সাথে টেক্কা দিতে ভারতকে খুব ভালোভাবেই প্রয়োজন বাইডেন প্রশাসনের।

এমনকি রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের মত ইস্যুতেও ভারতের অবস্থান নিয়ে চুপ থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন আগ্রাসনের পর রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করাই যেখানে মার্কিনদের মূল উদ্দেশ্য, সেখানে সেই উদ্যোগকে সমর্থনের প্রস্ত্যাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে পুরোনো মিত্র মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে দিল্লি।

এ বিষয়ে উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা চালায়, তখন ভারতের অবস্থানে ‘বেশ উদ্বিগ্ন’ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও বিষয়টি তারা মেনে নিয়েছে।

কুগেলম্যান আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, যুদ্ধের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মধ্যস্থতা ও আলোচনায় ওয়াশিংটন ভারতকে কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিতে চাইবে। সেটা ওয়াশিংটনের মাথায় আছে।

এদিকে চলমান ভারত কানাডা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা ‘মাইকেল রুবিন’ও ভারত কানাডা ইস্যুতে ভারতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে বলা হলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকেই বেছে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন।

মূলত, যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ও গণতন্ত্র ইস্যু নিয়ে যদি কথা বলতে শুরু করে, সেটা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো ঝুঁকি তৈরি করবে। আর বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেক্ষেত্রে ভারতের দিকে নয়াদিল্লির সঙ্গে অটোয়ার এই দ্বন্দ্ব নিয়ে তেমন কোনো শক্ত অবস্থান থাকবে না যুক্তরাষ্ট্রের, এটা সহজেই অনুমেয়।

তবে একেবারেই পাশের দেশ কানাডাকে নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র বেশ উদ্বিগ্ন। তাই, মিত্রদেশ কানাডার প্রতি তাদের অবস্থান বিশ্বস্ত হলেও সতর্কতা ঠিকই অবলম্বন করছে বাইডেন প্রশাসন।

এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ্জার হত্যার অভিযোগের এ বিষয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। তারাও চায় কানাডার যে তদন্ত সেটি এগিয়ে যাক এবং অপরাধীরা বিচারের মুখোমুখি হোক। আপাতত তদন্তের অগ্রগতির ওপরে নজর রাখার ব্যাপারেই মন্তব্য করে মার্কিন প্রশাসন।

সর্বোপরি দিল্লি না অটোয়া, এক উভয় সঙ্কটের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র। আইনের শাসনের নীতিমালা, না রাজনীতির কঠোর বাস্তবতা এসব বাছবিচার করাই এখন দেশটির জন্য বড় পরীক্ষা।


খালিস্তান   ভারত   কানাডা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন আমির

প্রকাশ: ১২:৩৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ টেলিভিশন এই ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত করেছেন তিনি। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। এছাড়া আমির কিছু সাংবিধানিক অনুচ্ছেদকে চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করেছেন।

এদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভা গ্রহণ করবে বলে উপসাগরীয় এই দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।

 শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ বলেছেন, ‘কুয়েত ইদানীং কিছু কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে ... যার ফলে দেশকে বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বা বিলম্বের কোনও অবকাশের সুযোগ নেই।’


কুয়েত   পার্লামেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দখলদার ইসরায়েলের ৪ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় বিস্ফোরণে দখলদার ইসরায়েলের আরও ৪ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) সকালে গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, একটি স্কুলে হামলা চালাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইসরায়েলি সেনারা। খবর  টাইমস অব ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী জানিয়েছে, জেইতুনের একটি সরু গলিতে বিস্ফোরিত হয়ে তাদের চার সেনা নিহত হয়েছে। নিহত সেনাদের কাছে তথ্য ছিল হামাস সেখানে নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। যেখানে স্কুলটি অবস্থিত, সেটির পাশে একটি সুড়ঙ্গ ও অস্ত্র পাওয়ার দাবি করেছিল ইসরায়েল।

এদিকে আলাদা একটি ঘটনায় দক্ষিণ গাজার রাফাতে দুই সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন। এদিকে শুক্রবার ৪ জনের মৃত্যুর মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলিদের সেনাদের মৃতের সংখ্যা ২৭১ জনে পৌঁছেছে। তবে এ ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের।


গাজা   ইসরায়েল   সেনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত অন্তত ৬০, নিখোঁজ শতাধিক

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশের আকস্মিক এই বন্যায় আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। শুধু তাই নয়, ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই বন্যায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিবিসি বলছে, দেশটি উত্তরাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশের পাঁচটি জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আরও কয়েক ডজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই অঞ্চলে আরও দুটি ঝড়ের পূর্বাভাসের দেওয়া হয়েছিল। এতে করে সেখানে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ভয়াবহ এই বন্যা দেশটির এই অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানে অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে বন্যায় দেশটিতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বিবিসিকে বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার মানুষ। সেখানে দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন।

আফগান সরকারের এই কর্মকর্তা এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারের জন্য হেলিকপ্টারগুলোকে বাঘলানে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকাটি রাজধানী কাবুলের সরাসরি উত্তরে অবস্থিত। তবে রাতে দৃষ্টিশক্তির ঘাটতির কারণে ‘অপারেশন সফল নাও হতে পারে’ বলে জানান তিনি।

এদিকে, স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি কর্মীরা ‘কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করছেন’। এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ঘরবাড়ি হারিয়েছে এমন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।


আফগানিস্তান   বন্যা   বৃষ্টিপাত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ায় সেতু ভেঙে নদীতে বাস, নিহত ৭

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি সেতু থেকে রেলিং ভেঙে বাস নদীতে পড়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার (১০ মে) জরুরি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুশ তদন্তকারী কমিটি জানিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে ছয় জন। ওই বাসে ২০ জনের মতো যাত্রী ছিল।

সেতু ভেঙে বাসটি নদীতে পড়ে যাওয়ার পরই ডুবে যায়। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা এটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। ওই সেতুর পাশে উদ্ধারকারীদের নৌকা এবং অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে স্থানীয়রা ওই নদীতে নেমে উদ্ধার কাছে অংশ নেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ বাস দুর্ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এতে দেখা যাচ্ছে সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি নদীতে পড়েই ডুবে যায়। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাসের চালককে আটক করা হয়েছে।


রাশিয়া   বাস দুর্ঘটনা   সেন্ট পিটার্সবার্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১০:১৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে  বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাড়ছে ক্ষোভ।

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল হয়তো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের সময় কিছু ক্ষেত্রে আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, এটি ‘মূল্যায়ন করা যুক্তিসঙ্গত’ যে, যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেগুলো ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ উপায়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে, বিলম্বের পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। হোয়াইট হাউসের নির্দেশিত পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশটি কীভাবে গত বছর সংঘর্ষের শুরু থেকে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

যদিও এই প্রতিবেদনটিতে গাজায় কিছু ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবেই তিরস্কার করা হয়েছে, তারপরও ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে এটিতে নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি।

ইসরায়েলকে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘অসাধারণ সামরিক চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলেও এতে বলা হয়েছে। এমনকি এতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্রের আইনি ব্যবহার মেনে চলার বিষয়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে পাওয়া আশ্বাস ছিল ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য’ এবং তাই (ইসরায়েলে) অস্ত্রের চালান অব্যাহত রাখা যেতে পারে।

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু হামাস ‘সামরিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক অবকাঠামো এবং বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে’, তাই সক্রিয় যুদ্ধের মধ্যে বৈধ লক্ষ্যবস্তুগুলো ঠিক কী তা নির্ধারণ করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টাকে ‘অসঙ্গত, অকার্যকর এবং অপর্যাপ্ত’ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ এবং মানবিক সংস্থাগুলো।

স্টেট ডিপার্টমেন্ট দেখতে পেয়েছে, সংঘাতের প্রথম মাসগুলোতে গাজায় মানবিক সহায়তা ‘বাড়ানোর’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার সাথে পুরোপুরি সহযোগিতা করেনি ইসরায়েল। তবে এতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সরকার গাজায় মার্কিন মানবিক সহায়তা পরিবহন বা বিতরণ নিষিদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে সীমাবদ্ধ করছে বলে আমরা এখন মূল্যায়ন করছি না।’

বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যার কয়েকদিন আগেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা করলে ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রতিবেদন প্রকাশের কিছুক্ষণ আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’ এমনকি প্রয়োজনে ইসরায়েল ‘একাই লড়াই করবে’ বলেও দাবি করেন তিনি।


ইসরায়েল   গাজা   আন্তর্জাতিক   আইন   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন