ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনে কয়লা খনিতে ভয়াবহ আগুনে ১৬ জন নিহত

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

চীনে একটি কয়লা খনিতে ভয়াবহ আগুন লেগে ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের গুইঝো প্রদেশে ওই কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় পানঝৌ শহরের সমস্ত কয়লা খনি একদিনের জন্য উৎপাদন স্থগিত করেছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে সানজিয়াওশু কয়লা খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে পানঝৌ সিটি সরকার রোববার রাতে তাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘কনভেয়ার বেল্টে আগুন লেগেছিল বলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আগুনের ফলে ১৬ জন লোক খনিতে আটকা পড়েছিল।

অবশ্য অগ্নিকাণ্ডে ঠিক কী ক্ষতি হয়েছে বা কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সে সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বিশদ কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, এই অঞ্চলটির প্রতি বছর প্রায় ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে যার বেশিরভাগই কোকিং কয়লা।

এর আগে গত আগস্টে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। সিসিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় খনিতে প্রায় ৯০ জন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৯ জন ভেতরে আটকা পড়েন।

দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে দেশটির এমন সব খনিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীনের স্বায়ত্তশাসিত ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের একটি কয়লা খনিতে ধসে অন্তত ৫৭ জন নিখোঁজ হন। ইনার মঙ্গোলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় আলক্সা লীগ এলাকায় এই খনি দুর্ঘটনা ঘটে।

আগে খনি দুর্ঘটনার অনেক খবরই দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হতো না। দেশটির কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস ধরে ইনার মঙ্গোলিয়ায় খনি ধসের ঘটনায় চূড়ান্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। গত জুনে এই দুর্ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, খনি ধসে ৫৩ জন মারা গেছেন।

এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিনজিয়াং প্রদেশের একটি সোনার খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় খনি ধসের ঘটনায় সেখানে কর্মরত অন্তত ৪০ জন চাপা পড়েন।

এছাড়া ২০২১ সালে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শানজি প্রদেশে একটি কয়লা খনিতে আকস্মিক বন্যায় দেড় ডজনের বেশি শ্রমিক আটকা পড়েন। তাদের মধ্যে অন্তত দুজনের প্রাণহানি ঘটে এবং বাকিদের উদ্ধার করা হয়।


চীন   দুর্ঘটনা   অগ্নিকাণ্ড   নিহত   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে ইরানে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন

প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক মৃত্যুতে একদিকে যখন শোকের ছায়ায় ভাসছে বিশ্বের একাংশ অন্যদিকে উল্লাসেও ফেটে পড়েছে আরেক অংশ। যেখানে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনগণ, ইসরায়েল-আমেরিকাবিরোধীরা রাইসির মৃত্যুতে অনেকটাই হতভম্ব সেখানে খোদ ইরানে রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতেছে ইরানিদের একাংশ।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির নির্দেশে একসময় রাইসি নৃশংসতা চালিয়েছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে দেশটির হাজার হাজার কারাবন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে যারা আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মিনু মাজিদির মেয়েরা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে প্রতিবাদ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যারা হতাহত হন তাদের মধ্যে একজন মিনু মাজিদি (৬২)। রাইসির মৃত্যুতে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

তাদের উদযাপনের পরেই দুই ইরানি নারী মারসেদেহ শাহিনকার ও সিমা মোরাদবেগি, নেচে এবং হাসি দিয়ে রাইসির মৃত্যুর সংবাদে প্রতিক্রিয়া জানান। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাইসির মৃত্যু ঘিরে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপনের বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এসব ভিডিও- এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনেই অনেকে উদযাপন শুরু করে। এ নিয়ে তেহরানের এক বাসিন্দা তাদের কাছে ভিডিও পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আসুন রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সুসংবাদ উদযাপন করি। এ ছাড়া আরও অনেক ভিডিওতে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে অনেককে উল্লাস করতে দেখা গেছে।

এক ব্যবহারী এক্সে লিখেছেন, আমার মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একমাত্র দুর্ঘটনা যেখানে কেউ বেঁচে গেলে মানুষ চিন্তায় পড়বেন। হ্যাপি ওয়ার্ল্ড হেলিকপ্টার ডে। অন্যদিকে রাইসির বিমান দুর্ঘটনার খবরে লন্ডনে ইরানি প্রবাসীরাও উল্লাস প্রকাশ করেছেন।

ইরানি প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী এবং দেশটির ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এবার তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এএফপির।

এতে বলা হয়েছে, ৪৮ বছর বয়সী আসমা বিশেষ চিকিৎসা প্রোটোকলের মধ্য দিয়ে যাবেন; যার জন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এর ফলে তিনি সরকারি কিংবা জনসংশ্লিষ্ট কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

এর আগে, ২০১৯ সালের আগস্টে সিরিয়ার এই ফার্স্ট লেডি বলেছিলেন, তিনি ব্রেস্ট ক্যানসার থেকে পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ব্রেস্ট ক্যানসার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকাকালীন তা শনাক্ত করায় চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্রিটিশ-বংশোদ্ভূত সাবেক এই ব্যাংকার বিভিন্ন ধরনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে জড়িয়ে পড়েন। দেশটিতে যুদ্ধে নিহত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সাথে সংশ্লিষ্টতা বাড়ালেও দেশটিতে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

সিরিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরিয়া ট্রাস্ট ফর ডেভেলপমেন্ট পরিচালনা করেন আসমা আল-আসাদ। তার এই প্রতিষ্ঠানের ছায়াতলে সিরিয়াজুড়ে অনেক দাতব্য ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে অন্যান্য সংস্থা।

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত বছর প্রথমবারের মতো স্বামী বাশার আল-আসাদের সাথে বিদেশ সফরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান আসমা আল-আসাদ। ওই সফরে তিনি আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মা শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


লিউকেমিয়া   সিরিয়া   ফার্স্ট লেডি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ঢল তাবরিজে

প্রকাশ: ০২:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজে দেশটির সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান ও অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে তাবরিজে।

মঙ্গলবার (২১ মে) এ তথ্য দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের জানিয়েছে, সকালে ইরানের তাবরিজ শহরে নিহতদের জানাজা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে শহরটির একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে হেঁটে রওনা হন লাখো ইরানি। এ সময় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

উল্লেখ্য, রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ বাকিরাও নিহত হয়েছেন।


ইব্রাহিম রাইসি   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   হোসেন আমির-আব্দোল্লাহিয়ান   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েও পায়নি ইরান

প্রকাশ: ০১:১৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ও উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর তাদের সন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এই তথ্য সামনে এনেছে।

তবে 'কোনও কারণে' ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে সেই সহায়তা করতে পারেনি। মঙ্গলবার (২১ মে) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলছেন না। তবে ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে তারা সেটা দিতে পারেননি।

ম্যাথু মিলার ইঙ্গিত দেন, রবিবার দুপুরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চেয়েছিল ইরান। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি উদ্ধার করে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর ঘটনায় আনুষ্ঠানিক শোক জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন বলেছে, রাইসির হাতে 'রক্ত' লেগে আছে। 

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।

ম্যাথু মিলার শুধু বলেন, রবিবার কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বলে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, ইরান এখন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় ইরানের জনগণ ও তাদের মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আবার তার সমর্থন জানাচ্ছে।

মার্কিন প্রশাসন বলেছে, এটি একটি রেওয়াজমাফিক শোকবার্তা। এটি রাইসির প্রতি কোনো রকম সমর্থন প্রকাশ করছে না। রাইসি সেই ব্যক্তি, যিনি বিচারক থাকাকালে গণহারে রাজবন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কর্তৃপক্ষ নারীদের গণ–আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করেছে।

এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।


যুক্তরাষ্ট্র   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে না: বাইডেন

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষে তার অবস্থান পূনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না এবং গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা নয়।

সোমবার (২১ মে) হোয়াইট হাউসে ইহুদিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।রয়টার্সের খবর 

হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মান্থ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, 'আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিপরীতে আমি বলতে চাই, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করি।'  

এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সিদ্ধান্তও প্রত্যাখ্যান করেন।

এদিকে গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম খান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। 


গাজা   ইসরায়েল   গণহত্যা   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন