ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যেভাবে হত্যা করা হয় হরদীপ সিংকে: ৩৪ টি গুলি লাগে তার শরীরে

প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যু নিয়ে বর্তমানে ভারত-কানাডায় চলছে চরম বৈরি সম্পর্ক। গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের একটি শিখ মন্দিরের বাইরে এই শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিজ্জারের এই হত্যাকাণ্ডে অন্তত ছয়জন অংশ নেয়ার কথা জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল দুটি গাড়ি। হামলাকারীরা হরদীপকে লক্ষ্য করে প্রায় ৫০টি গুলি ছুড়েছিলেন। যার মধ্যে ৩৪টি তার শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী ও তদন্তকারীদের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

কানাডার স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, তদন্তকারীরা এ হত্যা নিয়ে তাদের খুব কম তথ্যই দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল দেরিতে। ওই মন্দিরের কাছের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য শুনতে বা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিতে তাদের কাছে যাননি তদন্তকারীরা।

হরদীপ হত্যার পর সম্প্রতি গত সপ্তাহে কানাডার পার্লামেন্টে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, এই হত্যায় ভারতের হাত আছে, এমন ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ তিনি পেয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানকারী নেটওয়ার্ক ফাইভ আইসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযোগ করেন ট্রুডো।

যে মন্দিরের বাইরে ৪৫ বছর বয়সী হরদীপকে হত্যা করা হয়, সেটির সভাপতি ছিলেন তিনি। ভারতে শিখদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র খালিস্তান গঠনের দাবিতে যে আন্দোলন তার পক্ষে সক্রিয় ছিলেন হরদীপ।

হরদীপের এই হত্যা নিয়ে কানাডার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ভারত। একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। ভারতের তালিকায় আগে থেকেই হরদীপ একজন ‘সন্ত্রাসী

হরদীপ হত্যার ঘটনা ধরা পড়েছে ওই মন্দিরে স্থাপন করা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। ৯০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও তদন্তকারীদেরও দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, হরদীপের একটি ধূসর পিকআপ ভ্যান মন্দিরের কাছে পার্কিং থেকে বের হচ্ছে। এ সময় সাদা একটি গাড়িও কাছাকাছি দেখা যায়। পরে সেটি হরদীপের পিকআপের পাশাপাশি চলতে থাকে।

পিকআপটি পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় সাদা গাড়িটি সেটির সামনে এসে পথরোধ করে দাঁড়ায়। এ সময় কাছের একটি জায়গা থেকে বেরিয়ে দুজন পিকআপটির দিকে যান। তারা মাথা ঢাকা পোশাক পরে ছিলেন।

পিকআপের চালকের আসনের দিকে বন্দুক তাক করেন তারা। এরপর পার্কিং থেকে সাদা গাড়িটি বের হয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। বন্দুকধারী দুজনও একই দিকে দৌড়ে যান।

ওই মন্দিরের এক স্বেচ্ছাসেবক ভূপেন্দরজিৎ সিং। হত্যাকাণ্ডের সময় কাছেই একটি পার্কে ফুটবল খেলছিলেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে প্রথমে আতশবাজির শব্দ বলে মনে হয়েছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় দ্বিতীয় যে চিন্তা এসেছিল, তা হলো গুলি চালানো হয়েছে। আর আমাদের সভাপতি সেখানে রয়েছেন।

হরদীপকে হত্যার পর প্রথম তার পিকআপের কাছে পৌঁছেছিলেন ভূপেন্দরজিৎ। তিনি বলেন, গাড়ির কাছে গিয়েই তিনি চালকের পাশের দরজা খোলেন। সেখানে হরদীপ ছিলেন। তিনি তাঁর কাঁধে হাত দেন। বুঝতে পারেন যে তিনি আর শ্বাস নিচ্ছেন না।

শিখ সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যরা বলেছেন, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে হরদীপের ওপর প্রায় ৫০টি গুলি চালানো হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৪টি তার শরীরে লেগেছিল।

ভূপেন্দরজিৎ সিং বলেন, চারপাশে রক্ত ও ভাঙা কাচ পড়ে ছিল। মেঝেতে গুলি ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল। এর পরপরই গুরমিত সিং নামে মন্দিরের আরেক নেতা পিকআপ নিয়ে সেখানে আসেন। ভূপেন্দরজিৎ ওই পিকআপে ওঠার পর তারা বন্দুকধারীদের ধরতে বেরিয়ে পড়েন।

সম্প্রতি হরদীপের পিকআপের চাকায় অবস্থান শনাক্তের যন্ত্র (ট্র্যাকার) খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান ব্রিটিশ কলাম্বিয়া শিখ গুরুদুয়ারা কাউন্সিলের মুখপাত্র মনিন্দর সিং। তিনি বলেন, হরদীপের মতো তাঁর নামও হত্যাকারীদের তালিকায় আছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো তাঁকে জানিয়েছিল। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁকে জানানো হয়নি। এ তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে কি না, তাও জানেন না তিনি।

মন্দিরের কমিটির আরেক সদস্যের নাম মালকিত সিং। হরদীপকে হত্যার সময় তিনিও ফুটবল খেলছিলেন। মাথা ঢাকা পোশাক পরা দুজনকে কাছের কোউগার ক্রিক পার্কের দিকে দৌড়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। ওই দুজনকে তাড়া করেছিলেন মালকিত। তবে তাদের চিনতে পারেননি তিনি।

মালকিত সিং বলেন, দুজনকে দেখে শিখ বলেই মনে হয়েছে তাঁর। একজনের উচ্চতা পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি এবং স্থূলকায়। দ্রুত দৌড়াতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। আরেকজন ছিলেন প্রথমজনের চেয়ে প্রায় চার ইঞ্চি লম্বা এবং রোগাপাতলা।

ঐ দুই ব্যক্তি দৌড়ে গিয়ে একটি রুপালি গাড়িতে ওঠেন। ওই গাড়িতে আরও তিনজন অপেক্ষা করছিলেন। তাদের কারও চেহারা দেখতে পাননি তিনি। এরপর গাড়িটি সেখান থেকে চলে যায়।

নিজ্জার হত্যার এ ঘটনাটি তদন্ত করছে দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। তারা জানিয়েছে, ১৮ জুন রাত ৮টা ২৭ মিনিটে প্রথম হরদীপকে হত্যার খবর পায় পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি চলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের আসতে ১২ থেকে ২০ মিনিট সময় লেগেছিল। এটি অবাক করার বিষয়। কারণ, এই এলাকায় অনেক পুলিশ সদস্য নিয়মিত টহল দেন।

এদিকে হত্যার এক মাসের বেশি সময় পর ২১ জুলাই দুই বন্দুকধারী ব্যক্তিকে শনাক্তের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চান তদন্তকারীরা। আর ১৬ আগস্ট রুপালি গাড়ি ও সেটির চালককে শনাক্তের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়।

এ ছাড়া যে পথ দিয়ে দুই বন্দুকধারী পালিয়েছিলেন, সেখানকার ৩৯টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ি পরিদর্শন করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে সেসব ব্যবসার মালিক ও বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড তদন্তের বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।

হরদীপের জীবননাশের হুমকি নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কিত ছিল স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়। যে মন্দিরের বাইরে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটির সদস্যদের অনেকেই হরদীপের একাকী গাড়ি চালানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

হরদীপের ছেলে বলরাজ সিং নিজ্জর বলেন, তার বাবা বুলেটপ্রুফ গাড়ি চালাতে চাইতেন। তবে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এমন গাড়ি চালানো অবৈধ। তা ছাড়া নিরাপত্তার জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও পরতে চাইতেন তিনি। এমন জ্যাকেট ব্যবহারের জন্য সরকারের অনুমতি লাগে।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো হত্যাকান্ডের এ বিষয়টি সামনে আনায় এখন তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বেশ আশাবাদী মন্দিরের কমিটির সদস্য মালকিত সিং।

মালকিত বলেন, ‘গত সপ্তাহে ট্রুডোর ঘোষণার আগপর্যন্ত হরদীপ হত্যার রহস্যের সমাধান হবে বলে আমার বিশ্বাস ছিল না। এ হত্যা নিয়ে তদন্তকারীরা আমার সঙ্গে মাত্র একবার কথা বলেছেন। আর কয়েক মাসের মধ্যে তাঁরা কিছুই আমাদের জানাননি। তবে গত সপ্তাহে সবকিছু বদলে গেল। ট্রুডো যদি শেষ পর্যন্ত বুঝতেই পারেন যে ভারত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে, তাহলে গোয়েন্দারা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।‘


ভারত   কানাডা   নিহত   নিজ্জার হত্যাকাণ্ড   ভারত-কানাডা ইস্যু   খালিস্তান আন্দোলন   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খারকিভে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নতুন করে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। রুশ সেনারা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সাঁজোয়া বহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আকস্মিক এই অভিযান শুরু করে মস্কো। এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে একবার খারকিভের দখল নিয়েছিল রুশ সৈন্যরা। তবে ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে সেসময় শিহরটি ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় মস্কো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এত দিন রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে অভিযান চালালেও পুতিন এবার নতুন ফ্রন্ট খুলতে চাচ্ছেন।

এরই মধ্যে রুশ বাহিনী খারকিভ শহরের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়েও গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ প্রথমবারের মতো বলেছেন, রাশিয়া সুমি ও চেরনিহিভের কাছাকাছি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের কাছে খারকিভ শহরের উত্তরে সেনা সমাবেশ করেছিল। রুশ সেনারা ভোর ৫টার দিকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে হামলা শুরু করে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা খারকিভে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী খারকিভের সীমান্তবর্তী শহর ভভচানস্কে ব্যাপক গোলা ও বোমা হামলা চালিয়েছে। অবশ্য ইউক্রেন মাসখানেক আগেই এই অঞ্চলে রাশিয়া সেনা সমাবেশ করছে বলে জানিয়েছিল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া পাল্টা আক্রমণের একটি নতুন ঢেউ শুরু করেছে। বর্তমানে সেখানে ভয়ংকর যুদ্ধ চলছে। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রণক্ষেত্রে তীব্র লড়াই চলছে বলে তাকে রিপোর্ট করেছেন শীর্ষ কমান্ডার ওলেকজান্দর সিরস্কি। খারকিভের গভর্নর ওলেহ সাইনোহুবো জানিয়েছেন, খারকিভের আশপাশে রুশ সেনারা ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। তিনি জানান, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরুর পর খারকিভের শহরতলী ভভচানস্কের জনসংখ্যা ১৭ হাজার থেকে কমে মাত্র কয়েক হাজারে নেমে এসেছে।

রাশিয়া আক্রমণ শুরুর পর সেই কয়েক হাজারের মধ্য থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর খারকিভে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। পরে গত বছর ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের মুখে রুশরা পিছু হটতে থাকে। অবশেষে রুশ বাহিনী আবারও আক্রমণাত্মকভাবে খারকিভের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করল।


খারকিভ   রাশিয়া   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীতে দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আলোর ঝলকানি দেখল বিশ্ব। উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষ শুক্রবার রাতে এই সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এই আলোক ঝলকানির ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা গেছে, সমগ্র আকাশ বিভিন্ন রঙে ছেয়ে গেছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশ ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ১০টার দিকে কোরোনাল মাস ইনজেকশন পৃথিবীতে আঘাত হানে। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়।

এদিকে এই সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়াতে অরোরা আলোর ঝলকানি বা মেরুজ্যোতি দেখা গেছে।

এই সৌরঝড়ের দেখার পর স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইনজেকশন এবং সূর্যের মধ্যে সোলার ফ্লেয়ার ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌরশিখা দেখা গেছে।

সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এতে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।

ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সঙ্গে যুক্ত চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ওঠানামা করে দীর্ঘ তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে, যার ফলে ব্ল্যাকআউট হতে পারে। দীর্ঘ পাইপলাইনগুলো বিদ্যুতায়িত হতে পারে, যা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মহাকাশযানও উচ্চমাত্রার বিকিরণের ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও বায়ুমণ্ডল সৌরঝড়কে পৃথিবীতে পৌঁছতে বাধা দেয়।

নাসার কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, তারা মহাকাশচারীর নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীদের স্টেশনের মধ্যে সব থেকে বেশি সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।


পৃথিবী   সৌরঝড়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু : জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার ফলে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুধুমাত্র বাঘলানেই ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মোহাম্মদ ফাহিম সাফি, আইওএম-এর জরুরি প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্বদানকারী জাতীয় প্রোগ্রাম অফিসার, সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে শনিবার বলেন, 'বাঘলানি জাদিদ জেলায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন।'

শনিবার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত বাঘলান প্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হওয়া ফ্লাশ ফাডে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। এক তালেবান কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এর ফলে একাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তায় ঘোলা পানির বিশাল স্রোত বইছে। কালো এবং সাদা কাপড়ে ঢাকা মৃতদেহের ছবিও দেখা গেছে।

এর আগে, বন্যার কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে আফগানিস্তানে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় কোনো অঞ্চলই বন্যার হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই পায়নি। বন্যার কারণে হাজার হাজার আফগান নাগরিকের এখনো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। 


আফগানিস্তান   বন্যা   মৃত্যু   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন পর  শুক্রবার (১০ মে) জেল থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে মুক্তির পরপরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

কেজরিওয়ারের জেলমুক্তির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। রাজপথে তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্যই আমি আপনাদের সামনে। আমাদের দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।

এএপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, জেল থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি ইন্ডিয়া জোটের জন্য 'গেমচেঞ্জার' হয়ে উঠবে। ফলে ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বিরোধী দলগুলো।

আগামী ১ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরদিনই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন (৪ জুন) জেলেই কাটাতে হবে কেজরিওয়ালকে।


স্বৈরাচার   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   দুর্নীতি মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হানল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মে) রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে তারা। এসব রকেট ও কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। তবে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গতকাল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিনই ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বিমান হামলা গতকাল আঘাত হানে একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে। যেটি লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী প্রাণ হারান।

ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।


ইসরায়েলি   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন