মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার প্রয়োজনে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশকে।
নিষেধাজ্ঞার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করলে প্রয়োজন অনুসারে যেকোনো বাংলাদেশির
বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র, এমনটাই বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
একইসঙ্গে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসসহ অন্য সকল কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
বাংলাদেশের আসন্ন
নির্বাচন ছাড়াও নাগরিকদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ নিয়ে এদিনের সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা হয়।
এছাড়া স্টেট ডিপার্টমেন্টের
এই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
প্রসঙ্গটিও উঠে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত
বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এক
সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকদের ওপর ভিসা নীতি
কার্যকরের বিষয়ে জানতে চান।
যুক্তরাষ্ট্র কি
বাংলাদেশে নতুন করে আরও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে কিনা সে বিষয়েও জানতে চাওয়া
হয়। বিশেষ করে সরকারপন্থি মিডিয়াসহ যারা সরকারকে ক্ষমতাশালী হতে সাহায্য করেছে, তাদের
বিরুদ্ধে? এর উত্তরে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পরিধি
আরও বিস্তৃত করছে। অর্থাৎ মিডিয়াসহ অপপ্রচারে জড়িতরাও এর আওতায় আসবে।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার
বলেন, আমি এখন নির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছি না। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া
বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার
এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভীসা নীতি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমরা শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, গত
২৪ মে ভিসা নীতি ঘোষণার সময় আমরা এটা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি। আমরা ভিসা নীতির কথা
বলেছি তবে কারেও নাম উল্লেখ করিনি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্থ
করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনেও বাংলাদেশির ক্ষেত্রে এই ভিসা নীতি কার্যকর হবে।
অন্য যেকোনেও ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি আমরা মনে করি তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা
প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা এই নীতি প্রয়োগ করব।
পৃথক প্রশ্নে ওই
সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশের স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে
নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকি
শুধু তার নিরাপত্তা উদ্বেগই নয়, দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন
তিনি। তার এই উদ্বেগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে সাম্প্রতিক
বছরগুলোতে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর বেশ কয়েকটি হামলা হতে দেখেছি। মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, আমি মার্কিন দূতাবাস বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তার
বিষয়ে নির্দিষ্ট বিবরণ নিয়ে আলোচনা করব না। তবে আমি বলব, অবশ্যই আমাদের কূটনৈতিক
কর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিয়েনা কনভেনশনের
কূটনৈতিক সম্পর্কের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি স্বাগতিক দেশ অবশ্যই সকল দূতাবাসের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা মেনে চলবে। পাশাপাশি কূটনীতিকদের ওপর যেন কোনও ধরনের হামলা
না হয় তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
ম্যাথিউ মিলার আরও
বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল বিদেশি দূতাবাস এবং
কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সেসময় টুইট করে এই ঘোষণা দেন। এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় - তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র
দপ্তরের এক বিবৃতিতে সেসময় জানানো হয়, বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক
ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর
সদস্যরাও এর আওতায় পড়বেন।
যে সব কর্মকাণ্ড
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচালের আওতায় পড়বে সেগুলোও মার্কিন বিবৃতিতে উল্লেখ
করা হয়েছে।
এসব কর্মকাণ্ডের
মধ্যে আছে – ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার
প্রয়োগ করা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য সহিংসতাকে কাজে লাগানো, এবং এমন কোন পদক্ষেপ
– যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা সংবাদমাধ্যমকে তাদের মত প্রচার থেকে
বিরত রাখা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন
প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওই বিবৃতিতে জানান, ‘স্টেট ডিপার্টমেন্ট আজ গণতান্ত্রিক
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের
ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য,
ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্য রয়েছেন।’
সর্বশেষ বাংলাদেশে
নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া
ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেন। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যেই ব্যাপক উদ্বেগ
সৃষ্টি হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করলে প্রয়োজন অনুসারে যেকোনও বাংলাদেশির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানাল যুক্তরাষ্ট্র।
ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন বিশ্ব সংবাদ বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন
পাকিস্তান এখন কংগ্রেস নেতাদের বিজয়ের জন্য দোয়া করছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পাকিস্তানের 'মুরিদ' বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি ভিডিও শেয়ার করে প্রশংসা করার পরদিনই এমন মন্তব্য করেছেন মোদি। মোদি বলেছেন, পাকিস্তান কাঁদছে কারণ এখানে কংগ্রেস মারা যাচ্ছে। পাকিস্তানি নেতারা কংগ্রেসের জন্য প্রার্থনা করছেন। পাকিস্তান 'শেহজাদাকে' (রাহুল গান্ধী) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে আগ্রহী। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই কারণ আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে কংগ্রেস পাকিস্তানের 'মুরিদ'। পাকিস্তান ও কংগ্রেসের মধ্যে পার্টনারশিপ এটাই প্রমাণ করে যে দেশের শত্রুরা শক্তিশালী সরকার গঠন পারবে না।
গুজরাটের আনন্দে একটি নির্বাচনী সমাবেশের সময় নরেন্দ্র মোদি বিরোধী নেতা সালমান খুরশিদের ভাগ্নি মারিয়া আলমের 'ভোট জিহাদের' আহ্বানের জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই বিবৃতি একজন শিক্ষিত মুসলিম পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে এসেছে। কিন্তু কোনো কংগ্রেস নেতাই এর নিন্দা জানায়নি।
মোদি আরও অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস মুসলিমদের রিজার্ভেশন প্রদানের জন্য দেশের সংবিধান সংশোধন করতে চায়। তারা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) থেকে সুবিধা সরাতে চায়। ধর্মভিত্তিক সুবিধা প্রদানের জন্য সংবিধান পরিবর্তন করবে না; এমন বিবৃতি লিখতভাবে কংগ্রেসকে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মোদি।
পাকিস্তান কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
মন্তব্য করুন
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৬৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন।
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের এই সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বরাবরই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।
সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।
গত ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো বেইত হানুন (ইরেজ) ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা উপত্যকার উত্তর দিকের একটি সীমান্ত ক্রসিং। জর্ডান থেকে ওই ক্রসিং দিয়ে ৩১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধসহ হামাসের সঙ্গে কোনও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে।
নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।
আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন।
এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
মোদির মিমিক্রি করেই মূল জনপ্রিয়তা পান রঙ্গিলা। এবার ভোটে তিনি মোদিকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গণমাধ্যমের রঙ্গিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে তিনি মোদির অনুসারী ছিলেন। তার সমর্থনে অনেক ভিডিও শেয়ার করেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপক্ষে ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এসব ভিডিও দেখে যে কারো মনে হতেই পারে তিনি আগামী ৭০ বছর কেবল বিজেপিকেই ভোট দেবেন। তবে গত ১০ বছরে পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটা। এবার তিনি মোদির বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চলতি সপ্তাহেই বারানসিতে গিয়ে মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মন্তব্য করুন
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, ইরানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ছিল মাত্রা ৪ দশমিক ৫।
ইরানের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কেরমান প্রদেশের ফারিয়াব জেলায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অথবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে, বুধবার ইরানের একই প্রদেশে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হেনে থাকে।
ইরানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি আহত হন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।
এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সাথে মিশে যায়। এতে এই শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।
মন্তব্য করুন
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৬৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন। গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের এই সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন। এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।