দুই পরিবারের সম্মিতেই
তাদের বিয়ে হয়েছে। দুটি সন্তানও রয়েছে তাদের। কিন্তু নিজের স্ত্রী যে একজন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী
সেটা তিনি জানলেন বিয়ের ১৪ বছর পর। এরপরই স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন
ঐ স্বামী। এমনকি স্ত্রী তাকে ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন
ওই স্বামী।
আদালতের কাছে তার
আরজি দুই সন্তানকে উদ্ধার করে তাদের বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, সেই সাথে ভারতীয়
আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হোক ও অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত
পাঠানো হোক। স্বামীর অভিযোগ তাকে ব্যবহার করেই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার লোভেই ওই
বাংলাদেশি নারী নিজের আসল পরিচয় গোপন করে তাকে বিয়ে করেছিলেন।
জানা গেছে, পেশায়
লেদার ব্যবসায়ী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী তাবিশ এহসানের সাথে
এক বিয়ে বাড়িতে পরিচয় হয় নাজিয়া আমব্রীন কুরেশি নামে এক নারীর। নাজিয়া সেসময়
নিজেকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এরপর দুই পরিবারের মতে ২০০৯
সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সাল পর্যন্ত সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। যদিও ওই বছরের নভেম্বর
মাসেই জানতে পারেন স্ত্রী বাংলাদেশি নাগরিক।
তাবিশ জানান, ‘একটি
বিয়ে বাড়িতে আমাদের দুইজনের পরিচয় হয়েছিল। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০০৯ সালের
১৯ নভেম্বর আমরা বিয়ে করি। বিয়ের সময় নাজিয়া আমাকে জানিয়েছিল সে উত্তরপ্রদেশের
বাসিন্দা, উত্তরপ্রদেশেই বড় হয়েছেন। সেখানকার দেউড়িয়া নামক জায়গায় থেকে দশম শ্রেণি
এবং দ্বাদশ শ্রেণির স্কুলের সনদ দেখায়। ওটা দেখেই আমি বিয়ে করি। স্বাভাবিকভাবেই তার
কথাবার্তায় এবং তার নাগরিকত্ব নিয়ে আমার কোনদিন সন্দেহ হয়নি।’
কিন্তু তাদের দ্বিতীয়
সন্তান জন্মের সময়ই স্নেহের অস্বাভাবিক ব্যবহার দেখেই সন্দেহ হয় তাবিশের। সে জানায়,
‘আমাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মের আগে হঠাৎ করে সে উত্তরপ্রদেশে বাপের বাড়িতে চলে যায়।
সেখান থেকে ফোনে জানায় সে আর আমার সাথে আর সংসার করবে না। এমনকি আমাকে হুমকিও দেয়।
পরে আমার বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ৪৯৮এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলাও করে। পরে সেই মামলায়
কলকাতার আলিপুর আদালত থেকে জামিন পাই।
এর মধ্যেই-২০২২ সালের
নভেম্বর মাসে আমি জানতে পারি নাজিয়া ভারতীয় নাগরিক নন, তিনি একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।
তাবিশ জানায়, ‘আমি যখন আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নাজিয়ার নাগরিকত্বের বিষয়টি জানতে
পারলাম তখন খুব অবাক হয়েছিলাম।
এর আগে ২০০২-০৩ সালে
বাংলাদেশে মমিনুল নামে এক শিক্ষককে বিয়ে করেছিলেন নাজিয়া। সেখানেও আগের স্বামীর বিরুদ্ধে
ভুয়া মামলা করে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাকে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে একপ্রকার বাধ্য
করেন নাজিয়া। এরপরই গোটা পরিবারকে সাথে নিয়ে কোনরকম বৈধ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ভিসা
না নিয়েই নাজিয়ার পরিবার ভারতে চলে আসে। আর ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে আমাকে ব্যবহার
করেছি তার পরিবার। আমার বিয়েটা ছিল কেবলমাত্র একটা ষড়যন্ত্রের শিকার।’
গোটা বিষয়টি সামনে
আসার পরই কলকাতার তিলজোলা থানায় নাজিয়া কুরেশি এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
করেন তাবিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৭১, ৩৬৩ এবং বিদেশি নাগরিক আইনের
১৪এ (বি) ধারা, পাসপোর্ট আইনের ১৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলাটি এখন বিচারাধীন।
কিন্তু অভিযুক্তর
বিরুদ্ধে সমস্ত নথি আলামত জমা দেওয়ার পরেও পুলিশের ভূমিকায় এক প্রকার হতাশ অভিযোগকারী
তাবিশ। তার অভিযোগ পুলিশ সবকিছু জেনেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এদিকে ঐ স্বামী জানান,
‘আমি ওদের পরিবারের লোকের কাছ থেকে জানতে পারি নাজিয়া পড়াশোনার জন্য ২০০৭ থেকে ২০০৯
সাল পর্যন্ত কানাডায় ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে তাকে প্রথম ভারতীয় পাসপোর্ট ইস্যু করা
হয়। সেক্ষেত্রে কিভাবে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া কানাডা গেলেন? কিভাবে কানাডা সরকার তার
ভিসা মঞ্জুর করল? প্রশ্ন তার।
স্ত্রী বাংলাদেশি
নাগরিক, এই বিষয়টি জানার পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনার, কলকাতা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পশ্চিমবঙ্গের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাস কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানান
তাবিশ।
তাবিশের দাবি তিনি
যাতে ন্যায় বিচার পান। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় আইন অনুযায়ী নাজিয়ার সাজা হোক এবং তাকে
ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। সেই সাথে আমার সন্তানদের আমার কাছে ফেরত দেয়া
হোক ‘
তিনি আরও বলেন,
‘আমি চাই আমি যাতে ন্যায়বিচার পাই। আমার দুই সন্তান রয়েছে তাদেরকে ঠিক ঠাক করে দেখতে
পাই।’
তার আশঙ্কা ‘আমার
স্ত্রী বাংলাদেশে চলে গেছে কিনা, আমার সন্তানদের বিক্রি করে দিয়েছে কিনা আমি কিছু
জানি না। কারণ আমার স্ত্রী লুকোচুরি খেলছে, তারা ঠিকানা বদল করছে। ফলে পুলিশের পক্ষেও
তাদের সন্ধান করা অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক
অপরাধ প্রবণতাও রয়েছে।’
তাবিশের আইনজীবী
সায়ন সচীন বসু জানান, ‘তথ্য জানার অধিকার (RTI) আইনে আমরা জানতে পেরেছি যে অভিযুক্ত
নাজিয়া আমব্রীন কুরেশি ভুয়া নথি ও স্কুলের সনদ দেখিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছে।
এই সমস্ত তথ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর ভিত্তিতে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় নাজিয়ার পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তারা যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছে সে
কথাও আদালতের কাছে জানানো হয়েছে।
বিয়ে ১৪ বছর স্বামী স্ত্রী বাংলাদেশি মামলা
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার ছাত্র আন্দোলন গাঁজায় গণহত্যা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন
কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো
মন্তব্য করুন
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক টোবি ওয়ালশ বলেন, কিলার রোবট শুনলে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির মুভিতে দেখা রোবটের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, এগুলো এখন বাস্তবে হচ্ছে৷ এগুলো টার্মিনেটর রোবট নয়৷ এগুলো একধরনের ড্রোন যার ব্যবহার আমরা ইউক্রেন যুদ্ধে দেখতে পাচ্ছি৷ এসব ড্রোনকে মানুষের চেয়ে কম্পিউটার দিয়ে নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বাড়ছে৷
ট্যাঙ্ক, পরিখায় সৈন্য- ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুতে আমরা এমনটা দেখেছিলাম৷ কিন্তু পরবর্তীতে দুই পক্ষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু করে৷ যেমন বায়রাক্তার ড্রোন৷ একেকটির দাম ১১ মিলিয়ন ইউরোর বেশি৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার কাছে থাকা অনেক অস্ত্রকে পরবর্তীতে এআই-সমৃদ্ধ করা হয়েছে৷ ফলে যুদ্ধে পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন রাশিয়াকে আমরা এআই-সমৃদ্ধ গ্লাইড বোমা ব্যবহার করতে দেখেছি৷ আর ইউক্রেনের এআই-সমৃদ্ধ অস্ত্রের মধ্যে আছে ড্রোন৷ যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাসে ইউক্রেন যে কার্যকর ও সফল ছিল, তার কারণ ছিল তারা পরিস্থিতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল৷
সামরিক সংঘাত মানে হলো, তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারা৷ কত দ্রুত সেটা করা যাচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ৷ এআই সেটা করতে পারে ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
মিউনিখের বুন্ডেসভেয়ার ইউনিভার্সিটির আক্সেল শুলটে বলেন, এখন অনেক কিছু স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাওয়ায় মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে শ্রম বিভাজন করতে গিয়ে আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে৷ মানুষের উদ্দেশ্য আছে, যন্ত্রের নেই৷ আমরা এসব যন্ত্রকে, এসব স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকে, হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করি৷
কিন্তু ড্রোন কি হিউম্যানয়েড কিলার রোবট বা টার্মিনেটর হতে পারে? আক্সেল শুলটে বলেন, টার্মিনেটর? না সেটা সম্ভব না৷ আমরা এখনো প্রযুক্তিগতভাবে অতদূর এগোইনি৷ হ্যাঁ, ইউটিউবে আমরা বস্টন ডাইনামিক্সের দারুন সব ভিডিও দেখি বটে৷ আমরা দেখি, গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব যন্ত্রের দক্ষতা বেশ ভালো৷ তারা ডিগবাজি বা সে রকম কিছু দিতে পারে৷ কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সেগুলো বিপজ্জনক কিলার রোবট হয়ে গেছে৷
২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়ে গেছে- যা একটি রেকর্ড৷ ৭৫০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীনও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছে৷ ২০২২ সালে রাশিয়া তার সামরিক বাজেট নয় শতাংশ বাড়িয়েছিল৷
জার্মান প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. গারি শাল বলেন, যদি আপনার এমন বাহিনী থাকে যেটা এআই ব্যবহার করে, তাহলে, অন্য যারা এআই ব্যবহার করে না, তাদের চেয়ে আপনার কৌশল ভিন্ন হবে৷ এটা শুধু যন্ত্রের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঢোকানোর বিষয় নয়৷ এটা পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিষয়: প্রশিক্ষণ, কৌশল, সংগঠন সবক্ষেত্রে৷
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরিতে কাজ করছে পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশ। শান্তিপূর্ণ প্রয়োজনে রোবট বানাচ্ছে তারা। তবে এসকল রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের দিকে ঝুঁকলে নিঃসন্দেহে তা হবে ভয়ংকর।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি)তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এ আদালতের দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমর্থন করেছে। মস্কো ওয়াশিংটনের এই আচরণকে ‘কপট’ উল্লেখ করে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভণ্ডামি।
আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে সংস্থাটি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না । এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা। তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। তবে ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না। জাখারোভা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।
রাশিয়া আইসিসির সদস্যদেশ নয়। ইসরায়েলও এর সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলবে না; কিন্তু বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের ধারণা, আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। একই সঙ্গে হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।
হলিউড সিনেমাতে হরহামেশাই আমরা দেখে থাকি, অস্ত্র চালনা কিংবা হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাট, যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রোবট। কখনো মানুষের পক্ষে কখনো মানুষের বিপক্ষে বিরাট রোবট বাহিনী। এবার সিনেমাতে নয়, বাস্তবেই যুদ্ধের ময়দানে দেখা যাচ্ছে রোবট। সিনেমায় দেখানো রোবটের মতো এত উন্নত প্রযুক্তির না হলেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেখা যাচ্ছে কিলার রোবটের ব্যবহার।