ইসরাইল-ফিলিস্তিন চলমান সংঘাতের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের ত্রাণ ও অর্থ সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া। অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ এক রেডিও বার্তায় বলেন, বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য যে ১৯ মিলিয়ন ইউরো (২০ মিলিয়ন ডলার মিলিয়ন) সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছিল তা এই মুহূর্তে স্থগিত করছে তার দেশ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এদিকে হামাসের হামলার পর ফিলিস্তিনিদেরকে সহায়তা বন্ধ করা উচিত কিনা তা নিয়ে রোববার পর্যন্ত দ্বিধায় ছিল জার্মানি। দেশটি রোববার থেকে সহায়তা বন্ধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার দেশটির উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সভেঞ্জা সালজে জানিয়েছেন, এই মুহূর্ত থেকে সহায়তার অর্থ ছাড় দেয়া হবে না। আমি সহায়তার অর্থ বন্ধের কথা বলছি না। আমরা গাজার পরিস্থিতি সবসময় পর্যবেক্ষণ করছি। সরকার সবসময় সতর্ক থাকে যেন সরকারি অর্থ কেবল শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব গাজায় অবস্থানরত জঙ্গিগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ট আজ সোমবার এই ঘোষণা দেন।তেলআবিবের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এর মধ্যে তিনি বলেছেন, ‘আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণরূপে অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাস–সেখানে সব কিছুর সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আমরা ভয়ঙ্কর পশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
জার্মানি ইসরাইল অস্ট্রিয়া সহায়তা ত্রাণ অর্থ
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট
করা এক বার্তায় প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী
বাইডেন বলেন, ‘আপনি যেমনটা বলেছিলেন ডোনাল্ড যে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে আপনি
আমার সঙ্গে বিতর্কে আসতে প্রস্তুত, আমিও ঠিক তেমনই চাই। সিএনএন আমাকে আগামী ২৭ জুন
বিতর্কের জন্য নিমন্ত্রণ করেছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’
বাইডেনের এই পোস্টের কিছু সময় পর নিজের
মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন,
‘সিএনএন আমাকে বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমার জবাব হচ্ছে— হ্যাঁ, আমি (নিমন্ত্রণ)
গ্রহণ করছি এবং আমি আসব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের
মুখোমুখি বিতর্ক দেশটির নির্বাচনী সংস্কৃতির একটি অংশ। এই বিতর্ক আয়োজনের জন্য ‘দ্য
কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ নামের একটি ফেডারেল কমিটিও রয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনের
আগে তিনটি মুখোমুখি বিতর্কের আয়োজন করবে দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ইতোমধ্যে
সেই বিতর্কগুলোর শিডিউলও ঠিক করা হয়েছে।
প্রথম বিতর্কটি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর,
টেক্সাসে। দ্বিতীয়টি হবে ১ অক্টোবর, ভার্জিনিয়ায় এবং তৃতীয়টি হবে ৯ অক্টোবর, উটাহতে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক
মার্কিন গণতন্ত্র ও নির্বাচনী সংস্কৃতির অংশ হলেও বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যকার বিতর্কের
আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক দ্বৈরথ এবং
নির্বাচনের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা দুই
জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সেটিই ধরতে
চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, তারা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর
বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বিতর্কের আয়োজন করেছে এবং সেই বিতর্কেও উপস্থিত
থাকতে সম্মতি দিয়েছেন দুজনই।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা
শুরু করেছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। বুধবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান
মামলা নিয়ে খোঁচা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দু’বার
বিতর্ক হয়েছিল এবং দু’বারই তিনি হেরেছিলেন। তারপর অনেক দিন আর বিতর্কের প্রতি তিনি
আগ্রহ দেখাননি। এখন তিনি আবার আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে চাইছেন।’
‘আমি রাজি আছি ডোনাল্ড। আমার মনে যে
কোনো বুধবার বিতর্কের জন্য ভালো দিন হবে; কারণ আমি শুনেছি যে ওই দিন মামলার কার্যক্রম
বন্ধ থাকে এবং আপনি ফ্রি থাকেন।’
সেই ভিডিওবার্তার জবাবে ট্রুথ সোশ্যালে
এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘কুটিল জো’র মুখোমুখী হওয়ার জন্য আমিও আগ্রহী।’
সিএনএন বিতর্ক জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অষ্টম মাসে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটিতে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। বলা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাতগুলোর একটি চলছে গাজায়।
প্রাণহানির পাশাপাশি গাজার মানবিক সংকটও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দেশটির প্রগতিশীল ও ফিলিস্তিনপন্থী অনেক অধিকারকর্মী।
দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটন। ইসরায়েলকে প্রতিবছর প্রায় ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয় তারা। এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে অতিরিক্ত শত শত কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে দেশটি। ওই সহায়তা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার কাজে লাগানো হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই এককাট্টা সমর্থনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা অস্ত্র উৎপাদনকারীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণা খাতকে সহায়তা করে আসছে দেশটির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে বহু আগে থেকেই উদ্বেগ রয়েছে। যেমন ১৯৬১ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার শিক্ষা খাতে সামরিক শিল্পের প্রবেশের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বেসনার আল–জাজিরাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উত্থানের পথ তৈরি করে দিয়েছিল গত শতকে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধ।
১৯৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ-‘স্পুতনিক’ উৎক্ষেপণ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ওয়াশিংটন। পরের বছরই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স এডুকেশন অ্যাক্ট’ নামের একটি আইন পাস করা হয়। ফলে যুদ্ধের সঙ্গে একপ্রকার জড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।
শিক্ষাবিদ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই সম্পর্কের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে ক্যালিফোর্নিয়া। প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণা খাতের জন্য এই অঙ্গরাজ্যটির পরিচিতি রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অফিস জানিয়েছে, ২০২১ অর্থবছরে সেখানকার প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা আজও চলছে। অঙ্গরাজ্যটির শিক্ষার্থীরা এর আগেও ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের প্রতি মার্কিন সমর্থন ও ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিভাগের। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই বিভাগগুলোয় গবেষণা প্রকল্প, নিয়োগ, চাকরি মেলা ও অনুদানের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে অস্ত্র নির্মাতা ও মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার হার্ভে মাড কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘মাডার্স এগেইস্ট মার্ডার্সের’ এক সদস্য পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতো নিরপেক্ষ পরিচয় দিয়ে তারা আসে। সরাসরি অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমনটা প্রকাশ করে এই প্রভাব খাটানো হয় না।
অনেকেই আবার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ফলাও করে প্রচার করে। যেমন সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইসিএসবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স সেন্টার। অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেথিয়নের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ককে নিজেদের ওয়েবসাইটে তারা ‘সফলতার গল্প’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে অস্ত্র নির্মাতা রেথিয়ন, নর্থরোপ গ্রুম্যান, বোয়িং ও লকহিড মার্টিনের নাম রয়েছে। আর ২০২২–২৩ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে লকহিড মার্টিন ছাড়া ওপরের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এই সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে আল–জাজিরার কাছে কোনো মন্তব্য করেনি রেথিয়ন। তবে অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সমর্থন করে বলছে, এটি একটি অংশীদারত্বের সম্পর্ক, যার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষই উপকার পাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা মূল্যবান অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছে, অপরদিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে এমন বক্তব্যে বিশ্বাস করেন না অনেকে। অস্ত্র নির্মাতা ও সরকারি প্রতিরক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দূরে থাকার দাবি তুলেছেন তাঁরা। সান্তা ক্রুজের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসাবেল কাইন তাঁদেরই একজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিসার্চার্স এগেইনস্ট ওয়্যার’ নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
বিগত সপ্তাহগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বিক্ষোভ হচ্ছে। এসব কর্মসূচি থামাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ইউসিএলএ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মারমুখী হয়েছে পুলিশ। ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলপন্থীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করা হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে।
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগকে তাদের একটি বৃহৎ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ওই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইঞ্চি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্র্যাফটের গবেষক বেঞ্জামিন ফ্রিম্যান বলেন, ‘আপনি যেদিকেই তাকাবেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব দেখতে পাবেন। এই শিল্প খাতের আকার বিশাল। তারা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আসে, তখন সেখানকার মেধাকে ভিন্ন দিকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে বেঞ্জামিন ফ্রিম্যান বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন খাতে কাজ করার বদলে তরুণ ও উদীয়মান শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি এমন সব প্রতিষ্ঠানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে অস্ত্র তৈরি।’
মন্তব্য করুন
ভারতে উৎপত্তি হওয়া তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কম রাজনীতি করেনি ভারত। তিস্তায় ভারতের বাঁধের খেসারত দিচ্ছে উত্তরের জনপদের মানুষ। শুধু তাই নয় এই নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যেই রয়েছে বিরোধ। এছাড়া হড়পা বানে গত বছরের অক্টোবরে তিস্তার ভয়াবহ রূপ দেখেছিল সিকিম।
জানা গেছে, সম্প্রতি রিভার রিসার্চ ইন্সটিটিউট নদীপথ নিয়ে সমীক্ষা করেছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে সেচ দপ্তর। কোথায় নদী কতটা সরে গেছে, কতটা কোথায় চওড়া হয়েছে, কোথায় কতটা সরু হয়েছে তা সেই রিপোর্টে থাকবে। সেই অনুসারেই ব্যবস্থা নেবে সেচ দপ্তর। কারণ সেই অনুসারেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে সেচ দপ্তর ২৮ কোটি টাকার কাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় বন্যা রোধে স্পার তৈরি করতে হবে। পুরনো গতিপথ বদলে ফেলার জেরে নতুন নতুন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। সেবক থেকেই সমতলের উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। আর সেই পাথুরে জমির পর থেকেই তিস্তাও তার গতিপথ বদলে ফেলেছে।
এর আগেও উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তিস্তার বদলে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল। উপগ্রহের মাধ্যমে সেই ছবি ধরা পড়েছে। আর সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একাধিক জায়গায় তিস্তার গতিপথ বদলে গেছে।
গত ৪ অক্টোবর তিস্তা নদীতে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভেঙে যায় বাঁধ। লোনাক হ্রদ ঝাঁপিয়ে পড়ে তিস্তার উপর। তারপরেই তিস্তার ভয়াবহ হড়পা বানে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭৭ জন নিখোঁজ হন। এছাড়া প্রায় ৮৮,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সিকিমে।
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের এক অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এতে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নাম। নিউজের জেরে তোলপাড় চলছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) ‘দুবাই আনলকড’ নামের এ নথিটি প্রকাশ করা হয়। এতে
অংশ নিয়েছে ৫৮টি দেশের ৭৪টি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনটি ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ
করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুবাইয়ের ভূমি দফতরসহ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফাঁস হওয়া
তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। অনুসন্ধানের বিশেষ করে ২০২০ থেকে
২০২২ সাল নাগাদ দুবাইয়ে এসব ব্যক্তির মালিকানায় থাকা ও ব্যবহার করা সম্পদের বিস্তারিত
চিত্র উঠে আসে। এতে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায়
থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীদের নামও উঠে এসেছে। অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকতা
প্রকল্পের সমন্বয় করেছে অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিসিআরপি)
ও নরওয়ের সংবাদমাধ্যম ই-টোয়েন্টিফোর।
ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ (সিফোরএডিএস)। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক অপরাধ
ও সংঘাত নিয়ে গবেষণা করে থাকে। পরে এসব তথ্য-উপাত্ত ই-টোয়েন্টিফোর এবং ওসিসিআরপির সঙ্গে
ভাগাভাগি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অংশ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী
ফোর্বসও। ফোর্বস ২২ ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৬০ কোটি ডলারের
বেশি মূল্যের ৭৬টি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে। বিশ্বের চারটি মহাদেশের ১০টি দেশ থেকে এসেছেন
তারা। ফোর্বসের প্রতিবেদনে ১০ ধনকুবেরের নাম, তাদের নিট সম্পদ ও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের
তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক মুকেশ আম্বানি। যার নিট সম্পদ ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার।
সম্পদের উৎস হিসেবে ‘বিভিন্ন খাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ কৃত্রিম
দ্বীপে তার আনুমানিক ২৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
ভারতীয় নাগরিক এম এ ইউসুফ আলী তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ প্রায়
৭৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। পাম জুমেইরাহ, দুবাই মেরিনা ও ইন্টারন্যাশনাল
সিটিতে তাদের ৭ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
আরেক ভারতীয় শামশীর ভায়ালিল তার সম্পদ ৩৫০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস
‘স্বাস্থ্যসেবা’ খাত। দুবাই হিলস ও দুবাই প্রোডাকশন সিটিতে তিনি ৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের
সম্পদের মালিক।
সুহাইল বাহওয়ান নামে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের নাগরিকের নাম এসেছে।
১৯০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক সুহাইল বাহওয়ান। সম্পদের উৎস ‘বিভিন্ন খাত’। জুমেইরাহ
বে আইল্যান্ড, মেদান ও ডাউনটাউন দুবাইয়ে তার সাড়ে ৪ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে।
রাশিয়ার নাগরিক আন্দ্রেই মোলচানভ ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ
১৩০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘নির্মাণসামগ্রী’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ২ কোটি ৩০
লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে।
বিনোদ আদানি সাইপ্রাসের নাগরিক। ২ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদের
মালিক এই বিনোদ আদানি। তার সম্পদের উৎস দেখানো হয়েছে ‘অবকাঠামো ও পণ্যদ্রব্য’। এমিরেটস
হিল, জুমেইরাহ লেক টাওয়ারস, জুমেইরাহ পার্ক, ডাউনটাউন দুবাই, দুবাই মেরিনা, ইন্টারন্যাশনাল
সিটি ও দুবাই সিলিকন ওয়েসিসে তার ২ কোটি ডলারের সম্পদ রয়েছে। অবশ্য ওসিসিআরপির ওয়েবসাইটে
বিনোদ আদানিকে ভারতীয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কানাডার নাগরিক চ্যাংপেং ঝাও ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
সম্পদের উৎস ‘ক্রিপ্টো মুদ্রা বিনিময়’। ডাউনটাউন দুবাইয়ে তাঁর ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের
সম্পদ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের নাগরিক সকেট বর্মণ। তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। সম্পদের
উৎস ‘ভোগ্যপণ্য’। দুবাইয়ের পাম জুমেইরাহ দ্বীপে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলারের সম্পদ রয়েছে সকেট
বর্মণের।
সাইপ্রাসের নাগরিক ইগর মাকারভ। তিনি ২১০ কোটি ডলারের সম্পদের মালিক।
সম্পদের উৎস ‘বিনিয়োগ’। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তিনি ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের সম্পদের মালিক।
নগিব সাবিরিস নামে মিসরের নাগরিকের নাম এসেছে। নগিব সাবিরিস ও তার পরিবারের সম্পদের
পরিমাণ ৩৮০ কোটি ডলার। সম্পদের উৎস ‘টেলিকম’ খাত। পাম জুমেইরাহ এলাকায় তাঁদের ১ কোটি
ডলারের সম্পদ রয়েছে।
আফগান নাগরিকদের নামও আছে তালিকায়। দারিদ্র্যপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত
আফগানিস্তানের অন্তত সাত নাগরিকের নামও রয়েছে দুবাইয়ে গোপনে সম্পদ গড়া ব্যক্তিদের তালিকায়।
তাদের মধ্যে ছয়জনকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একজনকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তি হিসেবে
উল্লেখ করা হয়েছে।
আছে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পরিবারের সদস্যরাও। পাকিস্তানের পত্রিকা
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথি অনুযায়ী দুবাইয়ে ১৭ হাজার পাকিস্তানি সম্পদের
মালিক
তবে তথ্য-উপাত্ত ও অতিরিক্ত সূত্র ব্যবহার করে এ সংখ্যা ২২ হাজারের
মতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। ওই তালিকায় নাম রয়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট
আসিফ আলী জারদারির ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, বাখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি ও আসিফা
ভুট্টো জারদারি; স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভির স্ত্রী মিসেস আশরাফ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী
নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসাইন নওয়াজ এবং আলোচিত সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার ছেলে
সাদ সিদ্দিক বাজওয়ারের।
তালিকায় আরও রয়েছেন চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকদের পাশাপাশি
ইয়েমেন, নাইজেরিয়া ও কেনিয়ার মতো দেশের নাগরিকদের নামও রয়েছে। রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অধীনে
থাকা মিয়ানমারের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর নামও।
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।
পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর।
সফরকালে পুতিন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন করবেন তাঁরা।
ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চীন। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।
আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।
বেইজিং সফরের প্রাক্কালে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন। এতে তিনি বলেন, ইউক্রেন–সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে চীনের পরিকল্পনায় তাঁর সমর্থন রয়েছে। কেননা ইউক্রেন–সংকটের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে বেইজিংয়ের পূর্ণ ধারণা আছে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্পের এক অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে। এতে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের নাম। নিউজের জেরে তোলপাড় চলছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশে।