ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কারা এই হামাস?

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের উপর গত শনিবার নজিরবিহীন এক আক্রমণ করেছে। হামাস যোদ্ধারা অভিনব এক কৌশলে ঘুণাক্ষরেও কাউকে টের পেতে না দিয়ে এক প্রকার আকস্মিকভাবেই গাজা উপত্যকার কাছাকাছি ইরায়েলি বসতিগুলোতে ঢুকে পড়ে এবং অতর্কিত হামলা চালায়। আর এতে বহু ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয় এবং অনেককে জিম্মি করে হামাস। কে বা কারা এই ‘হামাস’?

কে এই হামাস?

১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের এক ভোটাভুটিতে যখন ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে দুটি পৃথক ইহুদী এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়। তখন আরব নেতারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন ছাড়ার পর থেকেই উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদী নেতারা ফিলিস্তিনে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো শুরু করে। শুরু হয় যুদ্ধ।

আমন্ত্রণ বিহীন অতিথি হয়ে মাটি গেড়ে বসে থাকা অনাহুত ইসরায়েলরা যখন অত্যাচার অবিচারের সকল সীমানা পার করে ফিলিস্তিনিদের পূর্ব জেরুজালেমসহ বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে নিয়ে পুরো জেরুজালেম নগরীকেই তাদের রাজধানী বলে দাবী করা শুরু করলো ঠিক সেসময়ই তাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে শুরু হয় গণজাগরণ। যার ফলে রক্তাক্ত ফিলিস্তিনে জন্ম নেয় এক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’।

১৯৮৭ সালের দিকে সেসময় হামাসের দাবী ছিল পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজাকে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করা। এ প্রয়াস সফল করতেই কট্টর ইসরায়েল বিরোধী দুই নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন ও আবদেল আজিজ রানতেসী চিন্তা করেন একটি স্বাবলম্বী দল তৈরি করার। আর এ উদ্দেশ্যেই তৈরি হয় আজকের ইসরায়েলের আতঙ্ক 'হামাস' নামক সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

হামাসের একটি অংশের নাম ইজ্জেদিন আল কাশেম বিগ্রেডস। আর এ শাখার কাজ হলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে তোলা। এর উদ্দেশ্যে বর্তমান ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীর নিয়ে একটি একক মুসলিম রাষ্ট্র গড়ে তোলা। তবে এর বাকি শাখাগুলোর মূল এজেন্ডা ইসরায়েলি হামলা থেকে ফিলিস্তিনিদের পূর্নবাসন ও নানা জনকল্যাণমূলক কাজ। ইসরায়েলে হামলার পর বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ 'হামাস' কে একটি জঙ্গি বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দেয়। কিন্তু আসলেও কি তারা তাই?

জবাব নাকি সন্ত্রাসবাদ?

রাজনীতিতে ‘হামাস’ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। পরের বছর মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাত্তাহকে হারিয়ে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদে জয় পায় তারা। করে সরকার গঠন। সেই থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণ দলটির হাতে, এরপরও সেসময় থেমে ছিল না ইসরায়েল বিরোধী সংগ্রাম। ২০০৮ সালে বেড়ে যায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি। ঐ বছর দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একই বছর ডিসেম্বরে হামাসের বিরুদ্ধে আগ্রাসী আক্রমণ শুরু করে তেলআবীব। ২০০৯ সাল পর্যন্ত গড়ায় সেবারের যুদ্ধ। এ সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সংগঠনটির। এরপর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের সাথে চারটি বড় যুদ্ধে জড়িয়েছে হামাস। এ দীর্ঘ সংগ্রামে মূলত ইরান, সিরিয়া ও লেবাননের হিজবুল্লাহ'র গোপন কিংবা প্রকাশ্য সমর্থন পেয়েছে গোষ্ঠীটি।

বিগত কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। সবচাইতে বেশি ভয়ংকর হামলায় জর্জরিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার মানুষগুলোর ভাষ্যমতে তারা শেষ কবে একটু শান্তিতে ঘুমোতে পেরেছেন, সেটা তাদের মনে পড়ে না। নিজেদের বাড়িঘর ফেলে উদ্বাস্তুর মত শুধু প্রাণ বাঁচানোর আশায় ছুটে চলা। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলি বর্বরতায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের ঘরবাড়ি ফেলে পালাতে বাধ্য হয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে তাদের দখলীকৃত জায়গায় ইহুদী বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে। আর এদিকে ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের নিজেদের রাষ্ট্রেই নেই নিজেদের কোনো দখল। ইসরায়েলি দখলদারীত্বের আগ্রাসনে তারা শুধু প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েই বেড়াচ্ছে।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে প্রতিরোধ আসবেই। আর বিগত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের ওপর চলা ইসরায়েলিদের বর্বরতার কঠিন জবাব দিতে হামাস যে হামলা চালিয়েছে তাতে তাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আখ্যা দেবার যৌক্তিকতা কোথায়?

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে হামাস। দশকের পর দশক ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন আর বর্বরতার জবাব দিতেই তাদের এ হামলা।


হামাস   ইসরায়েল   গাজা   ফিলিস্তিন   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন