ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ প্রস্তাবের নিন্দা

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক একটি প্রস্তাবনার তুমুল নিন্দা জানানো হয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক সম্মেলন চলাকালীন সময়ে এ নিন্দা প্রকাশ করা হয়।

এ সম্মেলনের পর সংবাদমাধ্যম ‘ইইউ টুডে’র সঙ্গে কথা বলেন জার্মান এমইপি ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই এর বিপক্ষে ছিলাম। কারণ সাধারণত এই প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আমি সত্যিই খুব সন্দিহান থাকি। কারণ এগুলো ঠিকমতো ক্রসচেক করা হয় না। আর বর্তমানে এসব কেইস এনজিও থেকে আসছে।’

তিনি এইসব এনজিওকে ভুয়া বলে এদের প্রতিবেদনকে দেশের আইনি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার একটি অপচেষ্টা বলেও উল্লেখ করেন।

ম্যাক্সিমিলিয়ান আরও বলেন, ‘তারা সাধারণত এসব বিষয়ে যত্ন নেয় না। আমি অন্তত এগুলো দুবার চেক করার চেষ্টা করি। আমি দূতাবাসগুলিকে তাদের যুক্তি দেয়ার সুযোগ দেই এবং আমি সব দিক থেকে গুগল করে এর সত্যতা যাচাই বাছাইয়ের চেষ্টা করি। আসলে সাধারণত আমি মনে করি না যে এই মামলাগুলি বিশ্বাসযোগ্য।’

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ভুল তথ্যের প্রস্তাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে বলে আমার ধারণা। এর আগে একজন এনজিও কর্মী পুলিশি সহিংসতার বিষয়ে একটি ভুল বিবৃতি দিয়েছিলেন এবং এর কারণে একটি দাঙ্গার হওয়ার দারুণ ঝুঁকি ছিল। আর এই ধরনের ভুল তথ্য ইউরোপেও শাস্তিযোগ্য। আমরা ইউরোপে যে আচরণের বিচার করব সেই আচরণের জন্য আমরা বাংলাদেশিদেরও দোষারোপ করব।’ 

কিছু ভুয়া ও প্রতারণামূলক এনজিও নিয়মিত মানবাধিকার সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আর এরা প্রায়শই আইনী প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার অভিপ্রায়ে অবিশ্বস্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দ্বারা অর্থায়ন বা নির্দেশিত হয়। 

সাম্প্রতিক কাতারগেট কেলেঙ্কারির মতো তারা সুসংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথেও যুক্ত বলে অনেক বিশ্লেষকের ধারণা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতিকে প্রভাবিত করার অভিপ্রায়ে এ সকল এনজিওকে বিদেশী সংস্থার দ্বারা নিয়োগ বা অর্থায়ন করা হয় বলেও ম্যাক্সিমিলিয়ন উল্লেখ করেন। ইইউ প্রতিষ্ঠানগুলি বর্তমানে এই সমস্যার সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।

ইইউ টুডে কীভাবে এ বিষয়টি মোকাবেলা করতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ চাইলে ক্রাহ বলেন, ‘অবশ্যই যখন ভুল তথ্য আসবে তখন আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। তবে এই এনজিও শক্তির পুরো কাঠামোর ওপর সবার আগে ফোকাস করতে হবে।’

মানবাধিকার বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু মন্তব্য করে ক্রাহ বলেন, ‘সারা বিশ্বে পশ্চিমা পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থকে উন্নীত করার জন্য ‘মানবাধিকার’ বর্তমানে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। খুবই স্পর্শকাতর মানবাধিকার ইস্যুগুলি নিয়ে বর্তমানে এনজিওগুলোও অনেক তৎপর। কারণ এই ইস্যু দিয়েই বর্তমান পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো তাদের পররাষ্ট্র নীতি সারাবিশ্বের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই এই আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় এনজিওর কাঠামোগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ আমরা আমাদের দেশীয় রাজনীতিতে বিদেশী প্রভাবকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই না’

ক্রাহকে প্রশ্ন করা হয়, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই রেজুলেশন বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ককে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’ আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই রেজুলেশন যার কোনও আইন প্রণয়ন ক্ষমতাও নেই, সেটি এমন কোনো হুমকি হবে না বলেই তিনি মনে করেন।

এছাড়াও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অক্সফোর্ড ম্যাট্রিক্সের আইনী পরামর্শদাতা ড. রায়হান রশিদ (ডিফিল, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়)। ডক্টর রশিদও এ প্রস্তাবটিকে সমানভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং এ রেজুলেশনে প্রচুর ভুল তথ্য রয়েছে বলেই মন্তব্য করেছিলেন।

ড. রায়হান রশিদ এ ব্যাপারে বলেন, ‘অবশ্যই, সংসদ সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি গল্প শোনার পরে যেমনটা বোঝার কথা তেমনই বুঝেছেন। কারণ তারা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ বিষয়ে কিন্তু আসল ঘটনার পুরো ছবি সম্পর্কে তাদের সম্পূর্ণরূপে জানানো হয়নি।’

তাহলে এ ঘটনা কিভাবে ঘটতে পারে জানতে চাওয়া হলে ড. রশিদ আমাদের বলেন, ‘এই পুরো ঘটনাটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা শুরু হওয়ার কারণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে তখন হেফাজত ইসলামি নামক তালেবানবাদী জঙ্গি বিদ্রোহ দলের তাণ্ডব চলছিল। দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনো অবকাঠামো ধ্বংসের দিকেই তারা অগ্রসর হচ্ছিল। তাই তাদের থামাতে তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন হলেও তা ছিল উন্মুক্ত এবং বিবিসিসহ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের উপস্থিতিতেই তা করা হয়েছিল। মিডিয়ার উপস্থিতিতে এই ধরনের ইসলামি জঙ্গিদের শুধুমাত্র ছত্রভঙ্গ করতেই এই ক্র্যাকডাউন চালিয়েছিল পুলিশ। 

‘কিন্তু পর দিন, অধিকার (একটি বাংলাদেশভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা) বানানো এক গল্প নিয়ে আসে যে ৬৩ জন নিখোঁজ। হেফাজত (মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের একটি অতি-ডানপন্থী ইসলামিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ) তো ২০,০০০ লোকের মতো বড় সংখ্যা সামনে নিয়ে এসেছিল। হেফাজতের মতামতের ভিত্তিতে, অধিকার বলছিল যে ক্র্যাকডাউনের কারণে নাকি ৬৩ জন নিখোঁজ হয়েছে।’

ড. রশিদ ব্যক্তিগতভাবে নিজেও একজন মানবাধিকার কর্মী। সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে তাকেও এ ব্যাপারে  প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল কয়েক দিন পর যাদের নিখোঁজ হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তারা সকলেই বহাল তবিয়তেই আছে। বর্তমানে মিডিয়া বা মানবাধিকার সংস্থাগুলি এ ভুল তথ্যের ফায়দা লুটছে এবং তারা তাদের এ মিথ্যা দাবিগুলো আজও প্রত্যাখ্যান করেনি।’

ড. রশিদকে ‘অধিকার’ সংস্থাটি সরকারের কাছে কোনো বিশেষ দাবি করেছে কি না? জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ‘যখন তারা এই মিথ্যা তথ্যটি নিয়ে এসেছিল, তারা তদন্তের দাবী করেছিল। একটি দেশে, এমনকি একটি তালেবানী অভ্যুত্থান বা অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রচেষ্টা করলেও, ৬৩ জন লোক নিখোঁজ হওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমিসহ সবাই তদন্ত চেয়েছি। কিন্তু তারপর এটির আসল রহস্য উন্মোচন হয়ে যায়। অধিকারের সমস্যা হচ্ছে যে তারা তাদের গল্পটি সংশোধন করেনি বরং তারা আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থাগুলির মধ্যে এই গল্পের পুনরাবৃত্তি করেছিল। শুধুই নিজেদের স্বার্থে। আর আন্তর্জাতিক এই সংস্থাগুলির বাংলাদেশে কোনো কার্যালয়ও নেই। তাদের সক্রিয় কোনো অনুসন্ধানী ব্যবস্থাও নেই, তাই তারা অধিকারের সংস্করণের ওপর নির্ভর করছে। সুতরাং, অধিকারের গল্পটিই বারবার পুনর্ব্যবহৃত হয়েছে।’

‘অধিকার’ তালেবানের সাথে যুক্ত কিনা বা এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ আছে কিনা জানতে চাইলে, ড. রশিদ বলেন, ‘না, অধিকারের জন্য আমি এটা বলব না। আমার মনে হয় অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের জন্যই এর গুরুত্ব বেশি ছিল। তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী হলেও বিএনপি শাসনামলে তিনি একজন অ্যাটর্নি জেনারেলও ছিলেন। আমি জানি না তার মনে বা তার সংগঠনের মধ্যে কী চলছে বা তাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কিনা।’

২০১৩ সালে হেফাজতের লক্ষ্য কী ছিল জিজ্ঞেস করা হলে ড. রশিদ বলেন, তারা ১৩ টি দাবি উত্থাপন করেছিল, 

১. রাষ্ট্রীয় নীতির একটি মৌলিক নীতি হিসাবে সংবিধানে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ বাক্যাংশটি পুনঃস্থাপন করা।
২. আল্লাহ, ইসলাম ও নবী মুহাম্মদকে অপমান করার জন্য এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে একটি আইন পাস করুন।
৩. শাহবাগ আন্দোলনের ‘নাস্তিক নেতা’, নাস্তিক ব্লগার এবং অন্যান্য ইসলাম বিদ্বেষীদের দ্বারা নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে সকল অপপ্রচার এবং ‘অপমানজনক মন্তব্য’ বন্ধ করা এবং তাদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা।
৪. নবীপ্রেমিক ইসলামিক স্কলার, মাদ্রাসার ছাত্র এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস নিয়ে ঐক্যবদ্ধ মানুষের ওপর হামলা, গুলি, হত্যা, নির্যাতন বন্ধ করা।
৫. গ্রেপ্তার সকল ইসলামী আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্রদের মুক্তি দেয়া।
৬. মসজিদের ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য বাধা দূর করা।
৭. কাদিয়ানীদের (আহমাদিয়া) অমুসলিম ঘোষণা করা এবং তাদের প্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
৮. বিদেশী সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। যার মধ্যে নারী-পুরুষের অবাধ মিলন এবং মোমবাতি-আলোর জাগরণ রয়েছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে সংঘটিত ব্যভিচার, অবিচার এবং নির্লজ্জতার অবসান ঘটান।
৯. মসজিদের শহর ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে পরিণত করা বন্ধ করা এবং রাস্তার মোড়ে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধ করা।
১০. ইসলাম বিরোধী নারী নীতি ও শিক্ষানীতি বাতিল করা এবং প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
১১. কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ইসলামী পণ্ডিত, ইমাম ও খতিবদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করা।
১২. মিডিয়ায় ইসলামি সংস্কৃতির অপপ্রচার করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করা বন্ধ করা।
১৩. পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং দেশের অন্যত্র বেসরকারী সংস্থার ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড, কাদিয়ানিদের অপচেষ্টা এবং খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরিতকরণ বন্ধ করা।

এই এনজিও এবং হেফাজতের মধ্যে কোনো সংযোগ আছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে ড. রশিদ বলেন, ‘২০১৩ সালে, এই ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির (হেফাজত) মাদ্রাসা থেকে আসা ছাত্রদের বিশাল সমর্থনের ভিত্তি ছিল। তারা আসলে একটি ইসলামিক স্টেট বা বলা যায় একটি তালেবান-স্টাইল ইসলামিক স্টেটের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল। আর তাদের দাবিগুলো ছিল হুবহু তালেবানের আদেশের মতোই। নারী সম্পর্কে, শিক্ষা সম্পর্কে, সবকিছু সম্পর্কে। তারা ছিল তালেবানদের একটি কার্বন-কপি।

‘দুর্ভাগ্যবশত, অন্যান্য ইসলামিক বড় বড় স্কলারদের কাছ থেকেও তাদের অনেক সমর্থন ছিল, যারা রাস্তায় নেমেছিল এবং মূলত দেশটি তখন একরকম বন্ধের পথেই ছিল। এ সময় সরকার গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে এসব গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর হঠাৎ করেই তারা ২০ হাজার লোক নিখোঁজ হওয়ার কথা রটিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ২০ হাজার নয়, ৬৩ জন দাবী করা হয়। এর ভিত্তিতেই অধিকার দাবি করে ৬৩ জন নিখোঁজ হয়েছে।

অধিকার একটি মানবাধিকার সংস্থা যার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) শাসনামলে থাকা একজন অ্যাটর্নি জেনারেল। তাই সম্ভবত একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে থাকতে পারে বলেই ড. রশিদ মনে করেন।

ভবিষ্যতে এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা প্রতিরোধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কী করা উচিত? জিজ্ঞেস করা হলে ড. রশিদ ইইউ টুডেকে বলেন, ‘ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচিত তাদের নিজস্ব হোমওয়ার্ক করা। প্রতিটি সংসদ সদস্যেরই তাদের সহযোগী ও গবেষকদের একটি পুরো দল থাকে। আমি মনে করি তারা অন্য কারও চেয়ে অনেক বেশি সজ্জিত। সাধারণ মানুষ নয় তাদের আসলে নিজেদেরই ক্রসচেক করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সোর্স থেকে শুনে জেনে তারপর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচিত নিজের মন তৈরি করা। কারণ এই ভুল তথ্যের ব্যবহার মানবাধিকারের জন্য সহায়ক কিছু নয়’।

সূত্র: ইইউ টুডে
অনুবাদ: অনামিকা নাহারিন

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট   বাংলাদেশ   মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার একটি সরকারি বৈঠক শেষে ফেরার পথে তিনি তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। স্লোভাক গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর।

হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দিল জর্ডান

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। 

বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল।

জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।

জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।


ইরান   অস্ত্র   চোরাচালান   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সব সফর স্থগিত করলেন জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের খারকিভে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনারা। এরপর সেখান দিয়ে একের পর এক অঞ্চল দখল করে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে তারা।

এরমধ্যেই নিজের সব আন্তর্জাতিক সফর স্থগিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

বুধবার (১৫ মে) তার দপ্তর থেকে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'আগামী কয়েকদিনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অন্যান্যদের যেসব আন্তর্জাতিক সফর ছিল সেগুলো স্থগিত এবং সফরগুলোর সময় পুনরায় নির্ধারিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কায়রাইলো বুদানোভ সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, খারকিভের সম্মুখভাগের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়েছে। এরপরই জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে খারকিভের রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সেনারা তীব্র হামলার মুখে পড়েছে এবং তাদের আরও সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেন সাধারণত সেনাদের প্রত্যাহার করার সরাসরি ঘোষণা দেয় না। এর বদলে তারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে 'সেনাদের সুবিধাজনক স্থানে' নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

সেনাবাহিনীর এ মুখপাত্র আরও বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন রুশ সেনাদের তারা শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছেন না।

এদিকে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান খারকিভের ভোভচানস্ক এবং লুকিয়ান্তসি থেকে সব মানুষকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার এমন আহ্বানের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সেদিকটায় তড়িৎ গতিতে এগিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনারা।

রুশ বাহিনী খারকিভে কী লক্ষ্য নিয়ে প্রবেশ করছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন তারা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চান। যেন ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতর কোনো ধরনের হামলা না চালাতে পারে।


সফর   স্থগিত   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০ বছর পর ক্ষমতা ছাড়ছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং। 

টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'।

বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।

১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে সিঙ্গাপুর। এরা সবাই দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিপল'স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সদস্য। প্রথমজন লি কিউয়ান ইয়িউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের স্থপতি। বর্তমান বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংয়ের পিতা লি কিউয়ান ইয়িউ টানা ২৫ বছর দেশটির সরকারপ্রধান ছিলেন। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম গোহ চোক তং।

৭২ বছর বয়সী লি সেইন লুং অবশ্য এখনই রাজনীতি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির পর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সদস্য থাকবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের সাংবাদিকদের শেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লি সেইন। সেই সাক্ষাৎকারে এত বছর ধরে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও অন্যদের চেয়ে বেশি গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টা করিনি; বরং চেষ্টা করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে চলতে।’

‘এবং আমি মনে করি, গত ২০ বছরে জাতিগতভাবে আমরা কিছু সাফল্য অর্জন করেছি। তবে এটা আমি স্বীকার করব যে, দুই পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমার কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল।’

১৯৮৪ সালে তরুণ বয়সে সাধারণ কর্মী হিসেবে পিএপিতে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার বাবা লি কিউয়ান ইয়িউ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে বাবা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও সে সময় দল থেকে তেমন কোনো আনুকূল্য পাননি তিনি। আর দশজন সাধারণ কর্মীর মতোই ছিলেন।

লি সেইনের উত্থান ঘটা শুরু হয় দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং’য়ের সময়। গোহ চোক তং’য়ের একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে নিজেকে দলের ভেতর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি এবং তার ধারবাহিকতাতেই ২০০৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন।

প্রথম দিকে অবশ্য লি সেইনকে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রায় সবই ছিল স্বজনপ্রীতিমূলক (নেপোটিজম)। বলা হতো, সিঙ্গাপুর লি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে আর সেই পরিবারের সংরক্ষক হলেন গোহ চোক তং।  

তবে পরবর্তী ২০ বছরে বহুবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্ব সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বহুমুখী এবং বিকশিত হয়েছে, একটি সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দেশটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র এবং ট্যুরিস্টদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে; মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া তার শাসনামলের ২০ বছরে কখনও মূল্যস্ফীতি বা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়নি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও নয়।

ভূরাজনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন লি সেইন। পরস্পরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দুই শক্তিমান দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি।

তবে অন্য সব রাজনীতিবিদের মতো লি সেইনও সমালোচনার ঊর্ধে নন। বিভিন্ন আইনী প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা সীমিত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। এ কারণেও তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল। মূলত তার শাসনামলেই ২০১১ এবং ২০২০ সালের ভোটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিল পিএপি।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড ল’ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও লি সেইনই আসলে সিঙ্গাপুরের জনগণের প্রকৃত নেতা। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।’


ক্ষমতা   সিঙ্গাপুর   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহব্যাপী চলা ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় শনিবার মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি থেকে শীতল লাভা নির্গত হয়েছে। ফলে এর কাছাকাছি অবস্থিত বিভিন্ন জেলার বাড়ি-ঘর, রাস্তা এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহরিয়ানতো বলেন, সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন। তিনি জানিয়েছেন, এখনো ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যেই ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   ভারী বৃষ্টি   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন