ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

‘শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে ইসরায়েল’ শিরোনামে বিখ্যাত জায়নবাদী সাংবাদিক ও লেখক (আরি শাবিত) এর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি পত্রিকা ‘হারেৎজ’। নিবন্ধে লেখক বলেছেন যে, ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে ইসরায়েল এবং এ সমস্যার সমাধান টানার জন্য ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি দিয়ে অধিকার এবং দখলের অবসান করতে হবে।’

নিবন্ধনের শুরুতে তিনি লেখেন যে, ‘আমরা এখন পয়েন্ট অব নো রির্টান পার হয়ে গেছি। ইসরায়েলের পক্ষে দখলদারিত্বের অবসান এবং শান্তি অর্জন করা আর সম্ভব হবে না। মনে হচ্ছে এদেশে জায়নবাদের সংস্কার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি এমন হয়, তবে এদেশে বেঁচে থাকার আর আগ্রহ নেই। ‘হারেৎজ’ এ লেখার আগ্রহ নেই, ‘হারেৎজ’ পড়ার রুচি নেই।  দুই বছর আগে রজেল আলফার যা পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশ ছেড়ে যাওয়ার, আমাদের অবশ্যই এখন তা করতে হবে।’  

যদি ‘ইসরায়েলিতা’ ইহুদি পরিচয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান না হয় এবং যদি কারও পাসপোর্ট থাকে তবে তার উচিৎ দেশ ছেড়ে সান ফ্রান্সিসকো, বার্লিন বা প্যারিসে যাওয়া। এটা কেবল প্রযুক্তিগত দিক থেকে নয়, মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকেও দেখতে হবে।

ইহুদিদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের তলিয়ে যাওয়া দেখতে অবশ্য আমাদের তিন ধাপ পিছিয়ে যেতে হবে। আমেরিকান বা জার্মানির মতো নব্য চরম জাতীয়তাবাদের দেশ থেকে ইসরায়েলের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে ইসরায়েল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছে।

তবে আমরা হয়তো এখনও পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন অতিক্রম করিনি। দখলদারিত্বের অবসান, ইহুদিবাদের সংস্কার, গণতন্ত্র বাঁচানো ও দেশ ভাগ করা এখনও সম্ভব।

তিনি বলেন, “ট্রাম্প, কুশনার, বাইডেন, বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা এই দখলের অবসান ঘটাবে না। আমি নেতানিয়াহু, লিবারম্যান এবং নব্য-নাৎসিদেরকে প্রলাপ থেকে জেগে উঠতে সতর্ক করেছিলাম।”

জাতিসংঘ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নও বসতি স্থাপন বন্ধ করবে না । একমাত্র ইসরায়েলিরাই পারে এ সংকট থেকে নিজেদের বাচাঁতে। একটি নতুন রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে যা বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দেয় এবং বাস্তবতাকে হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা এই ভূমির আদিগোষ্ঠী। এখানে অকাল মৃত্যুবরণ না করে বেঁচে থাকার লক্ষে আমাদের এ সমস্যার নতুন সমাধান খুঁজতে হবে।

লেখক নিবন্ধে আরও বলেন:  ফিলিস্তিনে এসে ইসরায়েলীরা বুঝতে পেরেছে যে তারা ইহুদিবাদী আন্দোলনের দ্বারা সৃষ্ট একটি মিথ্যার ফল। এ আন্দোলন বিশ্বকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিল যে প্যালেস্টাইন হল প্রতিশ্রুত ভূমি এবং কথিত মন্দিরটি আল-আকসা মসজিদের নীচে অবস্থিত।

আমেরিকা ও ইউরোপীয় অর্থে ইসরায়েলকে পরিচালিত করা হয় এবং দেশটিকে একটি পারমাণবিক দানবে পরিণত করা হয়।

পশ্চিমা এবং ইহুদি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ‘ইসরায়েল ফ্লিন্টস্টাইন’ এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে,‘ মন্দিরটি একটি মিথ্যা এবং একটি রূপকথার গল্প যার অস্তিত্ব নেই এবং হাজার হাজার বছর আগে সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে, এটি অনেক ইহুদি রেফারেন্সেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।

জেরুজালেমের ব্রিটিশ স্কুল অফ আর্কিওলজিতে খননের পরিচালক ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ডক্টর ক্যাটলিন কাবিনোস জেরুজালেমে ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে শেষ খননকাজটি চালিয়েছিলেন। আল-আকসা মসজিদের নীচে সলোমনের মন্দিরের চিহ্নগুলির উপস্থিতি সম্পর্কে "ইসরায়েল" মিথের কথা প্রকাশ্যে আনার কারণে তাকে ফিলিস্তিন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। 

ডক্টর ক্যাটলিন বলেন, ‘খননকাজটির পর আমি এ সিদ্ধান্তে আসি এখানে যে সলোমনের মন্দিরের কোনও চিহ্ন নেই এবং ইসরায়েলিরা এ সম্পর্কে মিথ্যা বলে। সলোমনের আস্তাবল বিল্ডিং" প্যালেস্টাইনের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণত নির্মিত একটি প্রাসাদের একটি স্থাপত্য মডেল। এর সাথে সলোমন বা আস্তাবলের কোন সম্পর্ক নেই।’ 

বাইবেলের লেখায় প্যালেস্টাইন নিয়ে কি বলা হয়েছে তা উদঘাটন করার জন্য প্যালেস্টাইন এক্সপ্লোরেশন ফান্ড সোসাইটির ‘ক্যাথলিন কেনিয়ন’ গবেষনা চালান।

তিনি জানান,  মিথ্যাই এতোদিন ইসরায়েলিদের তাড়া করে বেড়িয়েছে তবে এখন তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদেরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। প্যালেস্টাইন কোন জনমানব হীন স্থান না যেখানে ইসরায়েলিরা বসবাস করতে পারে।

বামপন্থী জায়নবাদী লেখক গিডিয়ন লেভি বলেন, আমি শুধু ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্বই স্বীকার করিনা বরং ইসরায়েলীদের উপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করি।

তিনি বলেন,  ফিলিস্তিনিদের প্রকৃতি বাকি মানব গোষ্ঠীগুলো থেকে আলাদা। আমরা তাদের জমি দখল করেছি এবং তাদের যুবকদের পতিতা ও মাদকাসক্ত বলেছি। আমরা ভেবেছিলাম যে কয়েক বছরে তারা তাদের জন্মভূমি ভুলে যাবে। কিন্তু তাদের তরুণ প্রজন্ম ১৯৮৭ সালের ইন্তিফাদা আন্দোলনের বিস্ফোরণ ঘটায়। 

২০০০ সালে সশস্ত্র বিদ্রোহের সাথে ফিলিস্তিনিরা আবার ফিরে আসে তাদের দাবি নিয়ে। আমাদের এতো অবরোধের পরও তারা শক্তি সংগ্রহ করে আবারও ফিরে আসে এবং আমাদের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করে এবং আমরা তা প্রতিরোধের উপায় খোঁজ করতে থাকি। আমরা দেয়াল ও কাঁটাতার দিয়ে তাদের জন্য পরিকল্পনা শুরু করি। .

তারা ভূগর্ভ থেকে এবং টানেলের মাধ্যমে আমাদের হত্যা করতে আসে এবং যুদ্ধ শেষ না করে তারা ক্ষান্ত হবে না। ফিলিস্তিনি যুবকরা আমাদের স্যাটালাইট চ্যানেল হ্যাক করে আমাদের হত্যার হুমকি দেয়, এর আগে যেভাবে তারা ইসরায়েলের চ্যানেল টু এর নিয়ন্ত্রণি নিয়েছিলো। বর্তমানে আমরা তাদের সাথে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধে সম্মুখীন হচ্ছি। এবং তাদের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া এবং দখলদারিত্বের অবসান ছাড়া তাদের জন্য কোন সমাধান নেই।


ইসরাইলে   গাজা   হামলা   প্যালেস্টাইন   মিসাইল   হারেৎজ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন