ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাসের হাতেই কি নিঃশেষ হবে ইসরায়েল?

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভয়ংকর এক অবস্থানে গিয়ে ঠেকেছে। দৃশ্যতঃ যুদ্ধ ইসরায়েল আর হামাসের মধ্যে মনে হলেও সকল বিশ্বনেতাদের মনেই চাপা এক আতঙ্ক কাজ করছে এ সংঘাতকে কেন্দ্র করে।ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনি স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হঠাৎ করে ঘটানো ঐ নজিরবিহীন হামলার পর, টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় যেন এক বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে ইসরায়েল। তাদের অব্যাহত বিমান হামলায় গত ৯ দিনে প্রায় আড়াই হাজার গাজাবাসী হয়েছে নিহত, আহত হয়েছে হাজার হাজার। গাজাকে যেন বিরানভূমি না করে তারা থামবেই না। আর এ বর্বর গণহত্যা থামাতে তাই একে একে বহু পরাশক্তির রাষ্ট্র চলে এসেছে ফিলিস্তিনির পক্ষে। অন্যদিকে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে তাদের বিরাট পরাশক্তির মিত্রদেশ পশ্চিমারা।

পুরো বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো যেন ধীরে ধীরে দু ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। দু পক্ষই তাদের ব্যাপক সামরিক শক্তির প্রয়োগ ঘটাতে চাইছে, কিন্তু এর পরিণাম কি হতে পারে? ধীরে ধীরে পুরো বিশ্ব কি জড়িয়ে যাচ্ছে এই ইসরায়েল হামাস সংঘাতে? প্রথমে ফিলিস্তিনের ওপর দশকের পর দশক ধরে চলা অমানবিক নির্যাতনের জবাব দিতে ইসরায়েলের ওপর হামাসের আকস্মিক হামলা, যার জের ধরে ইসরায়েলের চলমান জঘন্য বিধ্বংসী প্রতিশোধ, যা থামার কোনো নামই নিচ্ছে না- এসব কারণে পুরো বিশ্ব কি জড়িয়ে পড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত কোনো অশুভ দিকে?

যেভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়াও দলের বাইরে নয়:

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধের নামে যা চলছে তা স্রেফ গণফত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। হামলার নামে চলমান এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রথম থেকেই ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছেন এই বলে যে যদি অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকে তাহলে চলমান এই সংঘাত অন্যান্য ফ্রন্টেও শুরু হতে পারে। আর এর মাধ্যমে তিনি লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দিকে ইঙ্গিত করেন। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অবস্থান নেওয়ার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছাতে বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।

এই দুই প্রেসিডেন্ট টেলিফোনে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছিলেন। এ কথোপকথনে তারা ইসলামী ও আরব দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সকল স্বাধীন জনগণকে নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকদের অপরাধ থামাতে একটি ঐকমত্য অবস্থানে পৌঁছানোর আহ্বানও জানান।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্য অর্জনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ হামাস একে অপরকে ‘সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে’ একমত হয়েছে। যদিও ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর আঘাত হানা হামাসের হামলায় ইরানের সম্পৃক্ততা নেই তবুও হামাসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাসই দিয়েছে ইরান। আর হামাস নেতা হানিয়ার দৃঢ় বিশ্বাস এই যুদ্ধের পরে নতুন এক ইতিহাস রচিত হবে যা অতীতের মতো হবে না।

হানিয়া ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জাসিম আল থানির সাথেও দেখা করেছেন চলমান ফিলিস্তিন ও হামাসের এ সংঘাত নিয়ে। সেখান থেকেও ফলপ্রসূ কিছুই আশা করছেন তিনি।

অর্থাৎ, গাজায় ইসরায়েলের নেওয়া পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে, ইরান ইসরায়েলে কী করবে। আর এদিকে গাজায় ইসরায়েল বর্তমানে কি করছে তা সকলের কাছেই দৃশ্যমান।

এদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে লেবাননের হিজুবল্লাহ দলের সঙ্গে দ্বিতীয় ফ্রন্ট খুলতে পারে ইরান। কারণ, হিজবুল্লাহর প্রতি দীর্ঘদিনের সমর্থন রয়েছে ইরানের। ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনবাসী ও গাজায় ঘটানো যুদ্ধাপরাধের জবাব দিতে তারা কেউই ছাড় দেবে না বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

ইতোমধ্যেই লেবাননের ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে অন্তত ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীগোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাশেম বিগ্রেড। গতকালই (১৫ অক্টোবর) আল-কাশেম ব্রিগেডের পাশাপাশি ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার মত পরাশক্তির দেশও এ সংঘাত নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। এর মধ্যেই ইসরায়েল-গাজার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে ভোট চেয়েছে রাশিয়া। ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ বন্ধের খসড়া প্রস্তাবে ভোট হবে বলে আশা করছে দেশটি। আর এ ভোটে ফলপ্রসূ কিছু না হলে রাশিয়ার সংস্পর্শে এই ইসরায়েল হামাস সংঘাতের পরিণতি কি থেকে কি হয়ে যেতে পারে তা বলাই বাহুল্য। যদিও বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার মনোযোগ আছে অন্য দিকে, তবুও এ গণহত্যা কিন্তু তাদের নজর এড়ায়নি। আর চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রের যেখানে এ সংঘাতে আছে ইসরায়েলের সাথে অতপ্রত সম্পৃক্ততা, সেখানে চাইলেও রাশিয়া এ সংঘাত ভবিষ্যতে এড়িয়ে যাবে না।

ইসরায়েলের প্রতি একের পর এক দেশের ভৎর্সনা আসছেই:

এছাড়াও বিভিন্ন দেশ গাজার ওপর ইসরায়েলের চলমান এ বিভৎস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করছে।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হুমকি দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। আর এই ঘটনায় কলম্বিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। এর জেরেই দক্ষিণ আমেরিকান এই দেশটির কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করার হুমকি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেছেন, ‘যদি ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের বৈদেশিক সম্পর্ক স্থগিত করতে হয় তবে আমরা তা স্থগিত করব। তারপরও আমরা গণহত্যা সমর্থন করি না।‘ এদিকে মালয়েশিয়াও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিন্দা জানাতে পশ্চিমা চাপের কাছে মাথা নত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও এমন কথাই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে হামাসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার বিদ্যমান সম্পর্ক অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন তিনি। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নিন্দায় পশ্চিমা চাপের সাথে তিনি একমত নন, হামাসের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে এমনটাই জানান তিনি। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশও। একই সঙ্গে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

এ বিধ্বংসী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিরাট মদদ দাতা:

পৃষ্ঠার অপরপাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ। যারা ইসরায়েলের এমন ভয়ংকর গণহত্যাও যেন দেখে দেখছে না, বরং একের পর এক রণতরী পাঠাচ্ছে ইসরায়েলের সহায়তায়। মুখে বলছে গাজাবাসীর মানবিক সহায়তা দরকার কিন্তু অন্তরে বিষের ভাণ্ডার নিয়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে বেড়াচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করতে বিমান বহনকারী জাহাজ তারাই ইসরায়েলের কাছে নিয়ে গেছে। মার্কিন রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, একটি মিসাইল ক্রুজার ও চারটি মিসাইল বিধ্বংসী যান পাঠানো হয় ইসরায়েলের সহায়তায়। সামনের দিনগুলোতে ইসরায়েলে আরো অস্ত্র সহায়তা পাঠানো হবে জানিয়ে সম্প্রতি আরও রণতরী পাঠিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের এ যুদ্ধজাহাজ গুলো ইসরায়েল উপকূলে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। নিজ শক্তি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের এমন পৃষ্ঠপোষকতার সাহসেই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বর্তমানে গাজায় চলমান বিমান হামলার সাথে সাথে ভয়াবহ স্থল ও নৌ হামলারও পরিকল্পনা করেছে। কখন এ হামলা শুরু হতে পারে তা না জানলেও শত শত ট্যাংক নিয়ে লাখ লাখ ইসরায়েলি সেনা গাজা সীমান্তে অবস্থান করছে। যে কোনো সময়ই গাজায় স্থল অভিযানে নামতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অন্তরে বিষ থাকলেও মুখে ঠিকই ঝরে মধুর বর্ষণ। সম্প্রতি এক ন্সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘হামাস সকল ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি গাজায় একটি মানবিক করিডোর চালু করার কথা বলেন যাতে মানুষ অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায় এবং সেইসাথে গাজায় খাদ্য ও পানিসহ মানবিক সহায়তা বিতরণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া ইসরায়েলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু এদিক দিয়ে একের পর এক বিমানভর্তি রণতরী পাঠাচ্ছেন ইসরায়েলে। গত শনিবারও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে ফোনে কথা বলার সময় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অটুট সমর্থনের কথা জানান তিনি। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দারুণ দ্বিচারিতাি প্রকাশ পায়! মুখে যুদ্ধের বিপক্ষে থেকে ইরানকে যুদ্ধ না জড়াতে সতর্ক করে দিয়ে ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলিদের বর্বর গণহত্যার মত যুদ্ধাপরাধ বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

মূলত বর্তমানে এ অস্থির বৈশ্বিক পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে থামবে কেউ জানে না। হামাস-ইসরায়েলের এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যকে না জড়াতে বললেও তারা যেমন জড়িয়ে যাচ্ছে, তেমনি যুক্তরাষ্ট্র নিজেও একই কাজ করছে। এর ভবিষ্যত কি? হাজার হাজার বেসামরিক নিরীহ মানুষগুলোকে হত্যা করা হচ্ছে। তাদের দোষটা কোথায়? এভাবে যদি পুরো বিশ্ব ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে যায় এর দায় কি এড়াতে পারবে, হামাস, ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র?

ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিএনএনের মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণে বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বাইডেন বলেন, ‘আপনি যেমনটা বলেছিলেন ডোনাল্ড যে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে আপনি আমার সঙ্গে বিতর্কে আসতে প্রস্তুত, আমিও ঠিক তেমনই চাই। সিএনএন আমাকে আগামী ২৭ জুন বিতর্কের জন্য নিমন্ত্রণ করেছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

বাইডেনের এই পোস্টের কিছু সময় পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সিএনএন আমাকে বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমার জবাব হচ্ছে— হ্যাঁ, আমি (নিমন্ত্রণ) গ্রহণ করছি এবং আমি আসব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দেশটির নির্বাচনী সংস্কৃতির একটি অংশ। এই বিতর্ক আয়োজনের জন্য ‘দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ নামের একটি ফেডারেল কমিটিও রয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে তিনটি মুখোমুখি বিতর্কের আয়োজন করবে দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ইতোমধ্যে সেই বিতর্কগুলোর শিডিউলও ঠিক করা হয়েছে।

প্রথম বিতর্কটি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর, টেক্সাসে। দ্বিতীয়টি হবে ১ অক্টোবর, ভার্জিনিয়ায় এবং তৃতীয়টি হবে ৯ অক্টোবর, উটাহতে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক মার্কিন গণতন্ত্র ও নির্বাচনী সংস্কৃতির অংশ হলেও বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যকার বিতর্কের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক দ্বৈরথ এবং নির্বাচনের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা দুই জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সেটিই ধরতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, তারা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বিতর্কের আয়োজন করেছে এবং সেই বিতর্কেও উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন দুজনই।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। বুধবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলা নিয়ে খোঁচা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দু’বার বিতর্ক হয়েছিল এবং দু’বারই তিনি হেরেছিলেন। তারপর অনেক দিন আর বিতর্কের প্রতি তিনি আগ্রহ দেখাননি। এখন তিনি আবার আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে চাইছেন।’

‘আমি রাজি আছি ডোনাল্ড। আমার মনে যে কোনো বুধবার বিতর্কের জন্য ভালো দিন হবে; কারণ আমি শুনেছি যে ওই দিন মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকে এবং আপনি ফ্রি থাকেন।’

সেই ভিডিওবার্তার জবাবে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘কুটিল জো’র মুখোমুখী হওয়ার জন্য আমিও আগ্রহী।’


সিএনএন   বিতর্ক   জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন