ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বৈঠকের মাঝেই হামলার সাইরেন, বাঙ্কারে আশ্রয় নেন ব্লিংকেন-নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ১১:১৩ এএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল যেমন গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে, তেমনি ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরেও রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস। তেমনই এক হামলার সম্মুখীন হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (১৬ অক্টোবর) তেল আবিবে হঠাৎই বেজে ওঠে সাইরেন। এসময় শহরটিতে বৈঠক করছিলেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

পরে তারা বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেল আবিবে বৈঠক করার সময় সেখানে রকেট হামলার সাইরেন বেজে ওঠে এবং এর জেরে তারা পাঁচ মিনিটের জন্য একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।

মূলত অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যকার বৈঠকের মধ্যে কী হয়েছিল তা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত চার দিন ধরে মধ্যপ্রাচ্য চষে বেড়াচ্ছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর তিনি আরব বিশ্বের ছয় দেশ জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর সফর করেছেন। এই সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেন তিনি।

 

তার এই সফরের উদ্দেশ্য গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কীভাবে সর্বোত্তম মানবিক সহায়তা এবং বিদেশি নাগরিকদের চলে যেতে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আরব বিশ্বের চিন্তা-ভাবনা শোনা, জানা এবং আলোচনা করা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি এই অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্তা জানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সাজানো হয়। সেই বার্তাটি হল, হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থনে বাধা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরে ইরান অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র্র ইরানের এই সহায়তা ঠেকাতে চায়।

সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন ব্লিংকেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি, নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা বোঝে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল এই কাজে সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাবে।


হামাস   হামাস   ইসরায়েল   যুদ্ধ ফিলিস্তিন   ইসরায়েল   অ্যান্টনি ব্লিনকেন   বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু   মধ্যপ্রাচ্য   মধ্যপ্রাচ্য সংকট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারি থেকে এ অঞ্চলের অন্তত ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে  রুশ বাহিনী। এছাড়া সম্মুখসারিতে ইউক্রেনের কামানগুলোকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে কিয়েভ জানিয়েছে, সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে।

চলতি মাস থেকে খারকিভে হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের ১২টি গ্রাম দখলের দাবি করেছে তারা। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবোভ বৃহস্পতিবার বলেছেন, খারকিভের সীমান্তবর্তী গ্রাম লিপৎসির কাছে পৌঁছেছেন রুশ সেনারা। ভভেচানস্ক শহর দখলের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এই মুহূর্তে ইউক্রেন বাহিনীর মূল লক্ষ্যটা হলো এ অঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখসারিতে স্থিতিশীলতা আনা।

তবে খারকিভের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার দেশটির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, খারকিভের ১০ কিলোমিটার ভেতরে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী। এর বেশি তারা এগোতে পারেনি। ইউক্রেনের সেনাসদস্যরা রুশ বাহিনীকে থামিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে চীন সফরে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খারকিভ প্রসঙ্গ তোলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, খারকিভ শহর দখল করাটা মস্কোর বর্তমান পরিকল্পনায় নেই। এই অঞ্চলে রুশ সেনারা অভিযান চালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একটি বেসামরিক এলাকা তৈরি করতে চাচ্ছেন। আর তা পরিকল্পনামাফিক এগোচ্ছে।


ইউক্রেন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প নাকি বাইডেন, বিশ্বের স্বার্থে কে এগিয়ে

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

মতামত জরিপে জানা গেছে বেশিরভাগ মার্কিন জনগণ উভয় প্রার্থীর কাউকেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে তেমন আগ্রহী নন। তা সত্ত্বেও ট্রাম্প-বাইডেনের মনোনয়ন পাওয়াকেই স্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা। তবে এই দুই প্রার্থীর কাকে বিশ্বের স্বার্থে এগিয়ে রাখা যায় এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা শ্রম ও পেনশন কমিটির চেয়ারম্যান বার্নি স্যান্ডার্স 
দ্য গার্ডিয়ানে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। 

বার্নি স্যান্ডার্স দ্য গার্ডিয়ানে লিখেছেন যে,  আমি জানি বাইডেন তেমন জনপ্রিয় নন এবং আমিসহ অনেক প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ইসরায়েলের চলমান বিপর্যয়কর যুদ্ধ–সম্পর্কিত তার অনুসৃত নীতির সঙ্গে একেবারেই একমত নন।

তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, বাইডেন আসন্ন ভোটে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন না। তিনি যার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তিনি আমেরিকান ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প যদি পুনরায় নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি আগের চেয়ে খারাপ আচরণ করবেন। সেই দিক তুলনা করে বলছি, বাইডেন যেকোনো বিবেচনায় ট্রাম্পের চেয়ে হাজার গুণ ভালো হবেন।

আপনি যদি জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে থাকেন, তাহলে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা আলোচনা হয়ে থাকে, সেটি একটি ‘ফালতু আলাপ’।

অন্যদিকে বাইডেন টেকসই জ্বালানি ও জ্বালানি দক্ষতায় ইতিহাসের যেকোনো প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে সহায়তা করেছেন।

ইসরায়েলের বিষয়ে বাইডেনের অবস্থান নিয়ে যদি আপনার নেতিবাচক ধারণা থাকে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান বাইডেনের চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।

বাইডেন একজন প্রথাগত আমেরিকান রাজনীতিবিদ, যিনি গণতন্ত্র, অবাধ নির্বাচন এবং ভিন্নমতের অধিকারে বিশ্বাস করেন। আর ট্রাম্প এর কোনোটাতেই বিশ্বাস করেন না। যারা ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেছিলেন, সেই আট শতাধিক আক্রমণকারীকে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ক্ষমা করে দেবেন বলে ভাবছেন।



জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে নিশানা করে ৭৫টি রকেট ছুড়ল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ৭৫টি রকেট ছুড়েছে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। 

শুক্রবার(১৭ মে) দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এই তথ্য জানিয়েছে। 

তবে কয়েক ডজন রকেট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোন ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা জানিয়েছে, আপার গ্যালিলিতে রকেট হামলায় দুজন সামান্য আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত দুজনের বয়সেই ৬০ বছরের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ যেসব হামলা চালিয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম বড় ছিল।

হিজবুল্লাহর রকেট হামলার মধ্যে গোলান হাইটস এবং লেবানন সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে যোগ দেয় লেবাননের হিজবুল্লাহ।

এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর ৩০০ যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন। অপরদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় কতজন ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছেন সেটি নিশ্চিত নয়। তবে তাদের এ সংঘর্ষে অনেক নিরীহ বেসামরিকও নিহত হয়েছেন।


ইসরায়েল   রকেট   হিজবুল্লাহ   আইডিএফ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কানাডার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। ফিলিস্তিনি বেসামরিক বাসিন্দাদের রক্ষায় প্রথমবারের মতো দেশটি এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের (পশ্চিম তীরে) বিরুদ্ধে 'হিংসাত্মক ও অস্থিতিশীল' পদক্ষেপের জন্য প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে লেনদেন এবং কানাডায় তাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ বেশ পুরোনো। গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। উগ্র ইহুদিরা আদিবাসীদের বসতঘরে হামলা করছে। প্রকাশ্যে দোকানে ভাঙচুর করে লুটপাট করছে।

এ সংক্রান্ত একটি ছবিও প্রকাশ করে আলজাজিরা। তাতে দেখা যায়, দিনেদুপুরে কয়েকজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী হাতে কুড়াল ও লোহার পাইপ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন।

নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত ইসরায়েলিরা হলেন- ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইয়োসেফ ও মোশে শারভিত। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও লুটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে কানাডা।


ইসরায়েল   নিষেধাজ্ঞা   কানাডা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মাটিচাপা দেওয়ার ৪দিন পর বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জীবন্ত কবর দেওয়ার চারদিন পরে এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপের দেশ মলদোভায়। 

সোমবার (১৩ মে) দেশটির উতসিয়া অঞ্চল থেকে ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই দিন নিজ বাড়িতে ৭৪ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়ার খবর পায় পুলিশ। পরে সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেসময় তারা এক ব্যক্তির চিৎকার শুনতে পান। পরে মাটি খুঁড়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে স্থানীয় পুলিশ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সদস্যরা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি অস্থায়ী বেজমেন্ট খুঁজে পান। সেটির ভেতর থেকেই এক বৃদ্ধকে টেনে বের করে আনছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত বৃদ্ধের ঘাড়ে ক্ষত ছিল। এ ঘটনায় এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় ওই কিশোরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, এই কিশোরই রোববার (১২ মে) রাতে কিংবা সোমবার সকালে ৭৪ বছর বয়সী নারীকে হত্যা করেছে।

ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন, রোববার অভিযুক্ত ওই কিশোরের সঙ্গে মদপান করছিলেন তিনি। সেসময় একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কিশোরটি তখন বৃদ্ধকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও তাকে বেজমেন্টের ভেতর নিয়ে যায়। পরে বৃদ্ধকে ভেতরে রেখেই বাইরে তালা লাগিয়ে দিয়ে বেজমেন্টের প্রবেশদ্বার মাটি দিয়ে ঢেকে দেয় অভিযুক্ত কিশোর।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোরকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও প্রসিকিউটররা হত্যাকাণ্ড ও হত্যা চেষ্টার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই কিশোরের যাবজ্জীবন কারাবাসের সম্মুখীন হতে হবে।


ইউরোপ   মলদোভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন