সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের
সেরা কারেন্সি হিসেবে উঠে এসেছে আফগানিস্তানের আফগানি। কিন্তু তাদের মত দেশের পক্ষে
কি করে সম্ভব হলো এ মান বজায় রাখা, এ প্রশ্ন এখন সকলেরই মনে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের
প্রভাবসহ নানা কারণেই বৈশ্বিক মন্দা চলমান থাকায় অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মুদ্রার
মান কমেছে। যেখানে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান ১১০ টাকার ওপরে, এক আমেরিকান ডলার ভারতের প্রায়
৮৩ টাকার সমান। সেখানে ডলারের সাপেক্ষে আফগান মুদ্রার মূল্য ৭৫ টাকার সামান্য বেশি।
সকল রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন, একঘরে হয়ে থাকা এই আফগানিস্তান কী ভাবে করলো এই অসাধ্য
সাধন?
আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থা:
২০২১ সালের ১৫ অগস্ট। আফগানিস্তানের রাজধানী
কাবুল দখল করে নেয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তালেবান। বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে আফগান ছেড়ে চলে
যায় আমেরিকার সেনারা, যদিও সেসব শর্ত কোনোটাই রক্ষা হয়নি। আর এরপরই ভারতের উত্তর-পশ্চিমের
পড়শি রাষ্ট্রে গঠিত হয় তালেবান সরকার।
সেই থেকে আফগানিস্তানের প্রশাসনিক সকল কাজকর্ম
পরিচালনা করছে এ জঙ্গি সংগঠনটি। তারা দেশের নাগরিকদের উপর নানারকম অমূলক নিয়মকানুন,
বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দিয়ে চলেছে।
কট্টর ইসলামপন্থী তালেবানরা দেশটির মহিলাদের
সাথে করছে সবচেয়ে ভয়াবহ আচরণ। তাদের যেকোনো মৌলিক স্বাধীনতায় তারা হস্তক্ষেপ করে চলেছে
বলেই অভিযোগ। তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে মহিলারা বেশি দূর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন
না। তাদের বাড়ি থেকেও একা বেরোনো নিষিদ্ধ।
পার্ক, সিনেমাহল, রেস্তরাঁয় মহিলাদের প্রবেশ
নিষিদ্ধ করেছে তালেবান সরকার। আফগান মহিলাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে হিজাব এবং বোরখায়
আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হয়।
এই সকল পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানে গত দু’বছরে
অর্থনীতি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের
তালেবানি শাসককে সরকার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি অধিকাংশ রাষ্ট্র। আফগানিস্তানের সঙ্গে
বাণিজ্য বন্ধ করেছে অনেক দেশ।
আনুষ্ঠানিক ভাবে কেবল পাকিস্তান, সৌদি আরব
এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সমর্থন পেয়েছে তালেবান সরকার। এ ছাড়া চিন, রাশিয়া, ইরান,
মায়ানমার, কাতার, বেলারুস, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়ার মতো দেশ সরকারি ভাবে না বললেও তালেবানের
সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভাল।
আফগানিস্তানের এহেন হতদরিদ্র অবস্থায় যেখানে
সেখানকার জনগণ একাধিক মৌলিক সুবিধা পাচ্ছে না বলে বারেবারে মিডিয়া রিপোর্টে উঠে আসে,
এমন পরিস্থিতিতে সেই দেশের মুদ্রার করছে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স। যা চমকে দিচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের অর্থনীতি আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক
বড়। তবে দুই দেশের মুদ্রার মূল্যে ফারাক সামান্যই। এমনকি, এ ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে
এগিয়েই আছে তালিবানশাসিত পড়শি দেশ।
২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে,
ভারতীয় মুদ্রার সঙ্গে আফগান মুদ্রা আফগানির বিনিময় হার ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ, ভারতের এক
টাকা আফগানিস্তানের ৮৯ পয়সার সমান।
আর শুধু ভারত নয়, আফগানিস্তানের মুদ্রা আফগানি
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইরানের মুদ্রার চেয়েও শক্তিশালী। ডলারের নিরিখে আফগানির
মূল্য অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম।
বর্তমানে এক আমেরিকান ডলার মোটামুটি ভাবে
ভারতের ৮৩ টাকার সমান। সেখানে ডলারের সাপেক্ষে আফগানিস্তানের মুদ্রার মূল্য মাত্র ৭৫.৭২
আফগানি।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের উপর
আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলি একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিদেশি সাহায্য হিসাবে আফগানিস্তানের
৮০০ কোটি ডলার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এত কিছুর পরও আফগান মুদ্রার দর কি করে এত
বেশি? কী ভাবে বাংলাদেশ বা ভারতের টাকার চেয়েও এগিয়ে গেল আফগানি?
আফগানির উত্থান:
বিশেষজ্ঞদের মতে আফগানের এই সাফল্যের নেপথ্যে
রয়েছে আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক কাঠামো। আফগানিস্তান এমন একটি দেশ, যেখান থেকে প্রচুর
পরিমাণে ফল এবং অন্য জিনিসপত্র রফতানি করা হয়। তুলনায় খুব কম পণ্যই বাইরে থেকে কেনে
তালিবান সরকার।
এ প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের
মুখপাত্র হাসিবুল্লাহ্ নুরি বলেন, ‘‘দেশের অভ্যন্তরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রকল্পের
সূচনা, বিদেশি মুদ্রার পাচার রোধ, রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি আফগানির স্থায়িত্ব এবং গুরুত্ব
বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেছে।’
ক্ষমতায় আসার পর আমদানিতে চোরাচালান, দুর্নীতি
কঠোর ভাবে রোধ করা হয়েছে। ব্যাঙ্কের লেনদেনের উপরেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে
তালিবান।
আকরিক লোহা, মার্বেল, তামা, দস্তা, সোনা এবং
বেশ কিছু বিরল খনিজ পদার্থকে কাজে লাগিয়ে অর্থ রোজগার করেছে তালেবান। দেশের কর ব্যবস্থাও
তাদের ভান্ডার পূর্ণ করেছে।
খনিই আফগানদের সম্পদের মূল ভিত্তি। দেশে ১৪০০-র
বেশি খনি রয়েছে। কয়লা, তামা, সোনা, লোহা, সীসা, ক্রোমাইটের মতো ধাতু এখানে পাওয়া যায়।
লিথিয়াম আফগানিস্তানের কাছে তুরুপের তাস হয়ে
উঠছে। কারণ এই ধাতুর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিপুল। লিথিয়ামের খনি থাকায় চিন আফগানিস্তানে
অনেক টাকা ঢালে।
আফগানিস্তানে খনিজ তেলও মেলে। এ ছাড়া বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পাথর, সালফার, লিথিয়ামের খনি আফগানিস্তানে রয়েছে। এগুলি থেকেই দেশটির
অনেক রোজগার।
আফগানিস্তানের রোজগারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
উৎস বিদেশি অনুদান। তালেবান সরকারকে পছন্দ না করলেও দেশের সাধারণ মানুষের হিতার্থে
বহু বিদেশি সংগঠন আফগানিস্তানে অর্থসাহায্য পাঠায়। ব্যক্তিগত ভাবেও সাহায্য করেন অনেকে।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
প্রতি বছর বিদেশ থেকে ১৫ থেকে ২০ কোটি ডলার নগদ অর্থসাহায্য লাভ করে। সরাসরি তালিবানের
হাতে না গেলেও সেই কাঁচা টাকা আফগানিস্তানের বাজারকে সচল রাখে।
তালিবান আমলে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক
থেকে এখবন পর্যন্ত কোনো টাকা ছাপানো হয়নি। নতুন টাকা ছাপালে ডলারের সাপেক্ষে তার দাম
বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
এ কারণে বাজারে মুদ্রার অভাব দেখা দিলে তালেবান
পুরনো মুদ্রা ব্যবহারে সম্মতি দেয়। বাজারে ঘুরতে থাকা টাকা দিয়েই তারা তাদের অর্থনীতিকে
সচল রেখেছে। তালিবানের মুদ্রার স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ সরকারের এই অর্থনৈতিক
নীতি।
আফগানিস্তান তালেবান সরকার আফগানি রুপি টাকা রিয়েল ডলার সেরা কারেন্সি
মন্তব্য করুন
পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়েতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। শুক্রবার ভোরে উচ্চগতির একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দিয়ামের জেলা উদ্ধার কর্মকর্তা শওকত রিয়াজের মতে, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কারাকোরাম হাইওয়ের কাছে গুনার ফার্মের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়, এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তান সড়ক দুর্ঘটনা নিহত আহত
মন্তব্য করুন
ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক বলতে অন্য দেশের মানুষ বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলে দাবি করেন বাইডেন।
মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, আমাদের অর্থনীতি কীভাবে এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানাই। চীনের অর্থনীতির হাল কেন এত খারাপ। জাপানে এত সমস্যা কেন। কেন রাশিয়া ও ভারতেরও এই হাল? কারণ তারা সবাই জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।
বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে 'অলঙ্ঘনীয়' বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।
তাছাড়া মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত বর্তমানে দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ জানায়, নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনো দেশের অপরাধের কথা বলেননি।
বাইডেনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন অনেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের সবেক উপ-সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব এলব্রিজ কোলবি বলছেন, জাপান ও ভারত আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের কথা বলা উচিত।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন অভিবাসী নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বাইডেন এসব কথা বলেছেন। কোনো দেশকে তিনি অবমূল্যায়ন করেননি।
মন্তব্য করুন
আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।
শুক্রবার (৩ মে) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মেলা-মেশা করছেন না রুশ সেনারা। তবে নাইজারের রাজধানী নিয়ামে ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ এর একটি পৃথক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন তারা।
মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, নাইজারের কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে ৬০ জনের মতো রুশ সেনা নাইজারে থাকবেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেননি তিনি।
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা ও আইএসআইএল প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয়ে নাইজারের মরুভূমির শহর আগাদেজে এই বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল। রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ৯২০ কিলোমিটার দূরের এ বিমানঘাঁটিটি মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন নজরদারি ফ্লাইট এবং অন্যান্য অপারেশনের জন্য এতদিন ব্যবহার করে আসছিল মার্কিন সেনারা।
২০২৩ সালের ২৬ জুলাই এক অভ্যুত্থানে নাইজারের পশ্চিমাপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তারপর একের পর এক পশ্চিমবিরোধী পদক্ষেপ নিতে থাকে জান্তা সরকার। সামরিক সরকারের সঙ্গে জনগণ যোগ দিলে সেপ্টম্বরে নাইজার থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে মার্কিন মিত্র ও নাইজারের সাবেক উপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল এবং নাইজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি মহামান লামিন জেইনের মধ্যকার আলোচনার পর নাইজার থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছে। এসব সেনাকে জার্মানি পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছে বাইডেন প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
শহরের আল-জুহুর আশপাশে আঘাত হানা হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াফা নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ শহরের পশ্চিমে তাল আল সুলতানপাড়ায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মধ্য গাজার বুরেজ ক্যাম্প লক্ষ্য করে বোমা হামলায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ নগরীতে অভিযান চালানো হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মঙ্গলবার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চলার মাঝে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৯৬ জনে। এ ছাড়া ইসরাইলি বর্বর আক্রমণে আরও ৭৭ হাজার ৮১৬ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৫১ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
মন্তব্য করুন
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। নিজেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মচারী বলে দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নারী হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানান। যদিও এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যপাল। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।
এদিকে এই মুহূর্তে কলকতায় অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার রাত তিনি রাজভবনেই কাটিয়েছেন। মোদী কলকাতায় আসার আগেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ওই নারী।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী হেয়ার স্ট্রিট থানায় এসেছে। লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারাও রয়েছেন থানায়। রয়েছেন ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার সাবেক রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে রাজ্যপালের। তবে জমিজমা সংক্রান্ত কোনো দেওয়ানি মামলা করা যেতেই পারে।
তথাগত আরও বলেন, এই ধরনের অভিযোগ অতীতে উঠেছে বলে আমার মনে পড়ছে না। ফলে আদালতে বিষয়টি গেলে কী হবে, তা আমার জানা নেই। সুপ্রিম কোর্ট একে কী ভাবে ব্যাখ্যা করবে, তা তো বোঝা সম্ভব নয়।
ওই নারীর অভিযোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষ এরই মধ্যে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ভয়াবহ! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় যাচ্ছেন। রাজভবনে তার রাত্রিবাস করার কথা।
তবে গোটা ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্ত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তথাগত। তিনি বলেন, আমি আনন্দ বোসকে অনেক দিন ধরে চিনি। দক্ষ আইএএস অফিসার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পিছনে কোনো চক্রান্ত আছে বলেই মনে হয়। বিভিন্ন দুর্নীতি ও সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেও এ রকম অভিযোগ তোলা হয়ে থাকতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যপাল যৌন হয়রানি
মন্তব্য করুন
ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক বলতে অন্য দেশের মানুষ বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলে দাবি করেন বাইডেন।