ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফ্রান্সে বোমা হামলা আতঙ্কে খালি করা হলো ছয় বিমানবন্দর

প্রকাশ: ০৯:০৩ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি ফ্রান্সে একাধিকবার হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এর অগে আইফেল টাওয়ারে বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়। আজ বুধবারও (১৮ অক্টোবর) ই-মেইলে আরও একটি হামলার হুমকি এসেছে । বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে দেশটির ছয়টি প্রধান বিমানবন্দর। পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি। 

হুমকি যেকোনো সময় বাস্তবে পরিণত হতে পারার ভয়ে ইতোমধ্যেই লিলে, লিয়ন, নানতেস, নাইস, তোলোস ও বেউভাইস বিমানবন্দর খালি করে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ।

এএফপি বলছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিকভাবে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ হামলার পর ফ্রান্স ইসরায়েলের পক্ষ গ্রহন করে। এরপর থেকেই ফ্রান্সে একের পর এক হামলার হুমকি আসছে।

নাইস বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে লেখে, ‘একটি পরিত্যক্ত ব্যাগেজ আইটেম পাওয়ার কারণে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। তবে, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক।’ একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছে লিয়নস ব্রোন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও।

ডিজিএসির ওয়েবসাইটে গিয়ে লিলে, লায়ন ও তোলোস বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্বের বিষয়টি দেখা গেছে।

লিলে বিমানবন্দরের মুখপাত্র বলেন, ‘তিনটি ফ্লাইটকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।’ 


ফ্রান্স   বিমানবন্দর   আইফেল টাওয়ার   বোমা হামলা   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চাবাহার বন্দর চুক্তি: ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রী এই চুক্তিকে ‘‘ভারত-ইরান সম্পর্কের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে ইরানের সাথে ভারতের চুক্তির বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত তিন বছরে ছয় শতাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই চুক্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’

তবে ওয়াশিংটনের এই বিবৃতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

২০১৮ সালের শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ভারত। বন্দরটি পাকিস্তানের স্থলপথ এড়িয়ে আফগানিস্তান এবং মধ্য-এশিয়ায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহের একটি নতুন ট্রানজিট রুট খুলে দেয়। কর্মকর্তারা বলছেন, এখন পর্যন্ত চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে আফগানিস্তানে ২৫ লাখ টন গম ও ২ হাজার টন ডাল পাঠানো হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে সোমবার ভারতের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইরানের সড়ক ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী— চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে আইপিজিএল অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের পাশাপাশি আরও প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর ফলে এই বন্দরে ভারতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৩৭০ মিলিয়ন ডলারে।

আর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, চুক্তিটি চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ পরিষ্কার করবে।


ভারত   ইরান   তেহরান   চাবাহার বন্দর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মিকে ঘুষ দিয়েছি: কোহেন

প্রকাশ: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের নির্দেশেই পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দিয়েছেন বলে হাবি করেছেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন।

সোমবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় মাইকেল কোহেন এ কথা বলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় কৌঁসুলি সুসান হফিংগারের প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, “আমি যা করেছি, ট্রাম্পের নির্দেশনায় এবং তার লাভের জন্যই করেছি।' 

কোহেনের এই বক্তব্য ঘুষের অর্থ প্রদানের নেপথ্যে যে ট্রাম্প ছিলেন, সে বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কৌঁসুলিদের সুবিধা হবে।

একপর্যায়ে ফোন রেকর্ড বের করেন কৌঁসুলিরা। তারা দেখান যে, ঘুষ দেওয়ার ওই সময় ফোনে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প ও কোহেন। কোহেন ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর ট্রাম্পকে কল দিয়ে পাঁচ মিনিটের বেশি সময় কথা বলেন। আর ওই দিনই স্টর্মির সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছিল।

কোহেন আরও বলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি স্টর্মির আইনজীবীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার হস্তান্তর করেছিলেন। স্টর্মি সমঝোতা চুক্তি এবং অতিরিক্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন যা তাকে নীরব হতে বাধ্য করেছিল।

বিষয়টি ট্রাম্প জানতেন কি না- কৌঁসুলি সুসানের এমন প্রশ্নের জবাবে কোহেন বলেন, 'তাৎক্ষণিকই' জেনেছেন। তিনি বিষয়টি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন। তাকে দেওয়া কাজটি যে সম্পন্ন হয়েছে তিনি তা জানতেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এ দিনও জবানবন্দি দেবেন কোহেন। সোমবার যখন কোহেন জবানবন্দি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আদালত কক্ষে বসা ট্রাম্পকে চোখ বন্ধ করে সেসব শুনতে দেখা যায়।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টর্মিকে। ব্যবসায়িক রেকর্ডে এ তথ্য গোপন করেছিলেন ট্রাম্প।


মাইকেল কোহেন   পর্ন তারকা   ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তিনি।  

সোমবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) প্লাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলিন্ডা নিজেই। খবর রয়টার্সের।

ওই পোস্টে মেলিন্ডা গেটস লিখেছেন, বিল ও আমি একসঙ্গে যে ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলাম, তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত। তবে বিল গেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি মোতাবেক আমি ফাউন্ডেশন থেকে সরে যাচ্ছি। আমার হাতে বাড়তি ১২.৫ বিলিয় ডলার থাকবে নারী ও অসহায় পরিবারগুলোকে সহায়তায় কাজ করার জন্য।

মেলিন্ডার এ ঘোষণার পরপরই এক্স পোস্টে বিল গেটস লেখেন, মেলিন্ডার চলে যাওয়াতে আমি দুঃখিত। তবে আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে সে তার জনহিতকর কাজে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

আগামী ৭ জুন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন মেলিন্ডা। মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে তার তখনকার স্বামী বিশ্বের অতি ধনী বিল গেটসকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এ ফাউন্ডেশন থেকে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনাকারী সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ফাউন্ডেশন।

২৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। তবে দুজনই তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।

বর্তমানে বিশ্বে জনস্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেগুলোর অন্যতম বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় এই ফাউন্ডেশন থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলার ব্যয় করা হয়ে থাকে।

ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পতি নিজেদের অর্থ থেকে এই ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছেন।


গেটস ফাউন্ডেশন   মেলিন্ডা গেটস   বিল গেটস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুম্বাইয়ে ভয়াবহ ধূলিঝড়ে ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৬ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাইয়ের ধূলিঝড়ে ভেঙে পড়েছে বিশালাকৃতির একটি বিলবোর্ড। সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঘাটকোপারে এক জ্বালানি স্টেশনে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন। 

পুলিশ জানিয়েছে, ওই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছিলেন অনেকেই। ৬৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতের জাতীয় দুযোর্গ মোকাবিলা বাহিনী ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) কর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সরানো সম্ভব হয় ধ্বংসস্তূপ।

ধ্বংস্তূপ সরানোর পর মৃত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের।

সেই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৬৭ জনকে। এদের সবাই কম-বেশি আহত হয়েছেন। অনেককেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে।


মুম্বাই   ধূলিঝড়   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: বিজেপির আসন বাড়ার পরীক্ষা হয়ে গেল

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

৪০০ পারের স্লোগান দিয়ে ভোট ময়দানে নামা বিজেপি আশা করেছিল দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া ঝড় উঠবে। সেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ভোট শেষ হয়ে গেল আজ চতুর্থ দফায়। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ভোট হয়েছে। কেরেলা, কর্নাটকেও মিটেছে ভোট-পর্ব। চতুর্থ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় নির্বাচন। বিজেপির আশা, এই দুই রাজ্যেই আগেরবারের থেকে অনেক ভালো ফল করবে দল।

প্রথম তিন দফায় ভোটারদের মধ্যে সেভাবে উৎসাহ চোখে পড়েনি। তিন দফাতেই ভোটের হার কমেছে। ভোটের হার কমাটা বিজেপির জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিভিন্ন মহল। গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও গোবলয় নিয়ে উদ্বেগের আভাস রয়েছে। যদি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান বা বিহারে আসন খোয়াতে হয়, তাহলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য মূলত অন্ধ্র এবং তেলেঙ্গানাকে টার্গেট করছে গেরুয়া শিবির।

বিজেপির আশার উৎস প্রধানত অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। এই দুই রাজ্যের ৪২ আসনের ভোট আজ সোমবার হয়ে গেল। সেই সঙ্গে হলো অন্ধ্র প্রদেশের ১৭৫ বিধানসভা আসনেরও ভোট। লোকসভার গত দুটি ভোটে অন্ধ্র প্রদেশে বিজেপি একটি আসনেও জিততে পারেনি। তেলেঙ্গানায় পেয়েছিল ৪টি আসন। বিজেপির আশা, এবার দুই রাজ্য মিলিয়ে তারা জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে ২২ থেকে ২৫টি আসন আদায় করে নেবে। তা হলে তারা তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পথে এগিয়ে যাবে অনেকটাই।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নিয়েও আশাবাদী বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ঘাঁটি ছেড়ে ভোট এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। এই দফায় ৮ আসনে ভোটের গতিপ্রকৃতি বুঝিয়ে দেবে, গতবার পাওয়া ১৮ আসন তারা এবার ধরে রাখতে পারবে কি না। ৮ আসনের নিরাপত্তা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন তৎপর। প্রায় চার হাজার বুথ তাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর।

পাশের রাজ্য অন্ধ্রে আগের দুই নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তবে এবার টিডিপি (টিডিপি) এবং জন সেনার সঙ্গে জোট রয়েছে বিজেপির। ২৫ আসনের মধ্যে লোকসভায় বিজেপি লড়ছে ৬ আসন। জোটে ভর করে অন্ধ্রেও এবার একাধিক আসন পাওয়ার আশায় গেরুয়া শিবির। জোট হিসাবে সেরাজ্যেও অন্তত ১৫-১৭ আসন পাওয়ার আশা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উত্তরপ্রদেশে যে ১৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে ১১টিতে গত বার বিজেপি জেতে। এবার সে রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস জোট ভালো লড়াই দিচ্ছে বিজেপিকে। প্রথম তিন পর্বে মুসলিম, যাদব এবং জাঠ, রাজপুতদের একাংশ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। এই পর্বেও তেমন হলে চাপে পড়ে যাবে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, বিহারেও এবার শক্তিশালী বিরোধী জোট বাধা হতে পারে বিজেপির জন্য। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির কিছু আসন ঘাটতি হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। দক্ষিণের দুই রাজ্যে বাড়তি আসন পেয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করতে চায় গেরুয়া শিবির।

এই ৯৬ আসনের মধ্যে উনিশে এনডিএ জোট পায় ৪৯ আসন। বিজেপি একা পায় ৪২টি। ৪৭টি আসন ছিল বিরোধী শিবিরের দখলে। গেরুয়া শিবির সার্বিকভাবে এই পর্বেই স্ট্রাইক রেট বাড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি দেখছে। সেটা মূলত তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন