ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপবাসীর উদ্দেশে এক ফিলিস্তিনির খোলা চিঠি

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

ফিনল্যান্ডের টাম্পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেস্টাইন রিসার্চ গ্রুপে পিএইচডিপ্রার্থী এক শিক্ষার্থী ইউরোপবাসীর উদ্দেশ্য একটি খোলাচিঠি প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে তিনি ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় দুর্দশাগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের সংকটময় অবস্থার কথা প্রকাশ করেছেন।

জার্মানির বার্লিনে বসবাসরত এই শিক্ষার্থীর নাম মাজেদ আবুসালামা। তিনি প্যালেস্টাইন স্পিকস ইন জার্মানি এবং সুমুদ-দ্য ফিনিশ প্যালেস্টাইন নেটওয়ার্কের সহপ্রতিষ্ঠাতা। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এখনো সময় আছে। ইতিহাসের ভুল জায়গায় অবস্থানের লজ্জা থেকে নিজেদের বাঁচান। তাঁর চিঠিটি গত বৃহস্পতিবার আল–জাজিরা অনলাইনে প্রকাশ করেছে। চিঠিটির অনুবাদ প্রকাশ করো হলো।

প্রিয় ইউরোপবাসী, লাখো ফিলিস্তিনির মতো আমিও ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি-না জানি আবার কখন আমাদের নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়। এটি এমন একটি বিষয়, যাকে আপনারা সাধারণভাবে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি’ বলে উল্লেখ করছেন। 

আমি যখন এসব কথা লিখছি, তখন আল–আহলি আল–আরাবি হাসপাতালে বোমা হামলায় কয়েক শ শিশু, নারী, পুরুষ নিহত হয়েছেন। এসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয় ভেবে ওই হাসপাতালকে বেছে নিয়েছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা আগেই পেলাম আমার বন্ধু মোহাম্মেদ মোখিয়েমার, তাঁর স্ত্রী সাফা এবং তাঁদের তিন মাস বয়সী শিশুসন্তান এলিয়ানার মৃত্যু সংবাদ। 

ইসরায়েলিদের নির্দেশ মেনে তাঁরা অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে গিয়েছিলেন। তারপরও তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলের চালানো ওই বিমান হামলায় তাঁরাসহ আরও ৭০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এই মুহূর্তে আমার যে অনুভূতি, তা শুধু আরবি ‘কহর’ (অভিশাপ) শব্দটি দিয়ে কিছুটা বোঝাতে পারব। এ শুধু বেদনা নয়, নিদারুণ যন্ত্রণা আর ক্ষোভের অনুভূতি। ৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে জাতিগত নিধন, গণহারে হত্যা, অবিচার, দমনপীড়ন, উপনিবেশ স্থাপন, দখলদারি এবং জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত অনুভূতি এটি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই অনুভূতি ছড়িয়ে আছে। প্রতিটি ফিলিস্তিনির মজ্জায় মজ্জায় এ অনুভূতি গেঁথে আছে। এটি এমন এক অনুভূতি যাকে সঙ্গী করে আমাদের পুরো জীবন কাটিয়ে দিতে হয়।


শৈশবের স্মৃতি

গাজা উপত্যকায় একটি শরণার্থী পরিবারে জন্মসূত্রে এ বোধটুকু আমার মধ্যেও আছে। আমার দাদা-দাদি ইসদুদ গ্রাম (বর্তমান আশদদ) এবং বায়িত জিরজা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা ঘর ছেড়ে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি থেকে শরণার্থীশিবিরের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ‘কহর’ সম্ভবত আমার শৈশবে মায়ের মুখে দেখা প্রথম আবেগ-অনুভূতির চিহ্ন। প্রথম ইন্তিফাদার সময় গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের সময় আমার তরুণ বয়সী মা তাঁর শিশুসন্তানদের বাঁচানোর চেষ্টায় মরিয়া ছিলেন।

আমার কহরের অনুভূতি হয়েছে তখন, যখন ইসরায়েলিরা প্রথম আমাদের বাড়িতে অভিযান চালাল, যখন প্রথম আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করল, তাঁকে বিনা বিচারে ও বিনা অভিযোগে বারবারই আটক করা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি সেনারা যখন গুলি চালান, তখন আমার মন কহরে ভরে উঠেছিল। নিজে গুলিবিদ্ধ হয়ে যে যন্ত্রণা অনুভূত হয়েছিল, তার চেয়েও কহরের অনুভূতি কঠিন।

২০০৮, ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০২০ এবং ২০২১ সালে গাজায় ইসরায়েল যত হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে; অঙ্গচ্ছেদ করেছে; আমার পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা দিয়েই কহরকে সংজ্ঞায়িত করা যায়।


ইউরোপীয় নেতাদের দ্বিচারিতা

আজ আমি আমার দেশে যা কিছু হতে দেখছি, তাতে আমার কহরের অনুভূতি হয়। গভীর ক্ষোভ আর হতাশাও হয়। প্রিয় ইউরোপবাসী, যা কিছু চলছে, তা নিয়ে আপনাদের নেতারা যে ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাতে আবারও তাঁদের নৈতিক ব্যর্থতা এবং দ্বৈত আচরণ প্রকাশ পেয়েছে।

১১ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লেয়েন ইসরায়েলকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপ ইসরায়েলের পাশে আছে। আমরা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন দিই।’ গাজাকে যে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ করে রেখেছে,  বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে—আইনবিশেষজ্ঞরা যাঁকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়েছেন, সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি।

মাত্র কয়েক দিন আগে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের সহকর্মী কমিশনার অলিভার ভারহেলি ফিলিস্তিনি জনগণকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যার অর্থ গণহারে নির্বিচার সাজা দেওয়া। অলিভার বলেন, ‘ইসরায়েল ও দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও নৃশংসতার মাত্রাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একে সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।’ সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত পরে প্রত্যাহার করা হলেও যা ক্ষতি হওয়ার, তা তো হয়েই গেছে। সব ফিলিস্তিনি ‘নৃশংস সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ফিলিস্তিনিদের ‘পশু’ এবং ‘অর্ধ–মানব’ বলে যাচ্ছেতাই বলছেন এবং এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছেন। আর সে ব্যাপারে ইউরোপের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। আরও হতবাক করা বিষয় হচ্ছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ‘আরবদের হত্যা কর’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করলেও কখনো সেটার নিন্দা জানানো হয়নি।

প্রবাসী ফিলিস্তিনি ও তাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের গাজার জনগণের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ইউরোপীয় রাষ্ট্র প্রতিবাদ-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং পুলিশ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের হয়রানি ও মারধর করছে।

ইউরোপের বিভিন্ন দলের রাজনীতিকেরা ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অথচ একই রাজনীতিকেরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয়দের সমর্থন দিচ্ছে।

তাঁদের আচরণটা এমন যে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ করার অধিকার আছে, ফিলিস্তিনিদের নেই। ইউক্রেনীয়রা ‘মুক্তিযোদ্ধা’ আর ফিলিস্তিনিরা ‘সন্ত্রাসী’। বেসামরিক বাড়িঘর আর অবকাঠামোর ওপর নির্বিচারে চালানো বোমা হামলায় ইউক্রেনীয়দের প্রাণহানির ঘটনা অত্যন্ত শোকের। অথচ একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রাণ হারানোর ঘটনা তারা এড়িয়ে যায়। অথবা একে তারা ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার হিসেবে আখ্যা দেয়। ইউরোপীয়দের এমন দ্বৈত আচরণ সত্যিকার অর্থে ভয়াবহ।

নিজেদের নৈতিকভাবে উচ্চ অবস্থানসম্পন্ন বলে দাবি করা ইউরোপীয় নেতা এবং রাজনীতিকেরা  ফিলিস্তিনিদের ‘নৃশংস সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন।


ইউরোপে ইহুদি গণহত্যা, ভুগছে ফিলিস্তিন

প্রিয় ইউরোপবাসী, স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আপনাদের মহাদেশে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইহুদিবিদ্বেষী নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে রক্তক্ষয়ী ঘটনা, ইউরোপীয় ইহুদিদের বিরুদ্ধে গণহারে হত্যা, বহিষ্কার, উচ্ছেদ এবং হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষ যখন ব্যাপক হারে ফিলিস্তিনে চলে যেতে শুরু করেছিল, তখন ইউরোপের ইহুদিবিদ্বেষীরা একে উৎসাহিত করেছেন। 

তাঁদেরই একজন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর। তিনি ১৯১৭ সালে একটি অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করেন। সেখানে বলা হয়, ফিলিস্তিনে বসবাসকারী ইহুদিদের জন্য ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে ন্যাশনাল হোম প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকার সমর্থন দেবে। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জাতিসংঘে ভোটাভুটি হলে ইউরোপীয় দেশগুলো সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি সমর্থন করে। তখনো বিশ্বের অর্ধেকের বেশি দেশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীন ছিল। তারা ভোট দিতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে হলোকস্ট বা ইউরোপীয় ইহুদিদের ওপর গণহত্যার ঘটনা ঘটে।

ইউরোপীয়দের ইহুদিবিদ্বেষী নৃশংসতার জন্য ফিলিস্তিনি জনগণ মূল্য চোকাবে কি না, তা তাদের কাছে জানতেই চাওয়া হয়নি। পরের বছর ইসরায়েলি মিলিশিয়ারা সাড়ে সাত লাখের বেশি ফিলিস্তিনির ওপর জাতিগত নিধন চালিয়েছিল, যা আমাদের কাছে নাকবা নামে পরিচিত। যার মানে বিপর্যয়।

মার্কিন লেখক জেমস বাল্ডউয়িন ১৯৭৯ সালে লেখা একটি নিবন্ধে এমন বাস্তবতা তুলে ধরেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘ইহুদিদের রক্ষার জন্য ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়নি, এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পশ্চিমা স্বার্থকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বিভাজন নীতি এবং ইউরোপের খ্রিষ্টানদের ৩০ বছরের বেশি সময়ের দোষী অনুভূতির মাশুল গুনছে ফিলিস্তিনিরা।’


ইতিহাসে ইউরোপীয়দের স্থান কোথায়

প্রিয় ইউরোপবাসী, ইউরোপের খ্রিষ্টানেরা নিজেদের দোষী মনে করার এ অনুভূতি ৭৫ বছর ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর যেসব কর্মকাণ্ড চলছে, তাতে সমর্থন জুগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কি আপনারা নিজেদের কখনো দোষী মনে করেছেন?

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে নৃশংস আচরণ করা হচ্ছে, তা অনুভব করাটা কঠিন কিছু নয়। নিজেরাই নিজেদের জিজ্ঞাসা করুন, এটা ঠিক হচ্ছে কি না। ইতিহাসের বই খুলে তা পড়ে ফিলিস্তিনে কী ঘটছে, তা জানতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার লড়াই সম্পর্কে বুঝতে হবে—বিষয়টা এতটা কঠিন হওয়ার কথা নয়। এটা এমন কোনো কঠিন বিষয় নয় যে আমাদের অধিকার রক্ষার পক্ষে জাতিসংঘের দেওয়া অসংখ্য সমাধান প্রস্তাব পড়তে হবে। 

মানবাধিকার, সমতা এবং গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে কোনো দেশের (বিদ্বেষী ও দখলদার) নৃশংস কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ না করতে পারাটা লজ্জার।

যুদ্ধের প্রথম ছয় দিনে ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকায় ছয় হাজার বোমা ফেলেছে ইসরায়েল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি আণবিক বোমার এক–চতুর্থাংশের সমতুল্য। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় তিন হাজারের (যুদ্ধের ১২তম দিন) বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। তবে বাস্তবতা হলো, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা কত, তা আমরা এখনো নিশ্চিত নই। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে, যাদের বের করে আনার কেউ নেই। 

গত সপ্তাহে অবিরাম বোমা হামলার মধ্যে গাজা থেকে ১১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিকে নিরাপদে সরে যাওয়ার আদেশ দেয় ইসরায়েল। ছবিতে যেভাবে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ছেড়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা গেছে, তা আমাদের নাকবার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে। 

এর মধ্যে আমার পরিবারের সদস্যরাও আছেন। যে বাড়িতে তারা সারা জীবন কাটিয়েছেন, সে বাড়ি হামলায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। 

যেকোনো মুহূর্তে পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যুর খবর পাওয়ার আশঙ্কা নিয়েই আমি এ কথাগুলো লিখছি। আমার পরিবারে আছে বাবা ইসমাইল, মা হালিমা, ভাই মোহাম্মেদ, ভাবী আসমা এবং আমার দুই ফুটফুটে ভাতিজি এলিয়া (৬ বছর) এবং নায়া (২ মাস)।

আমার চাওয়া, আপনারা নামগুলো মনে রাখুন। আমি চাই না, তাদের নিছকই নিহত হওয়ার সংখ্যা হিসেবে উপস্থাপন করা হোক। এখন আর আমি তাদের প্রাণের ভয় করি না। 

প্রিয় ইউরোপবাসী, হয়তো আপনাদের মতামত নেওয়া হয়নি। কিন্তু আপনাদের নির্বাচিত ইউরোপীয় সরকারগুলো ইসরায়েলের অপরাধের ব্যাপারে নীরব রয়েছে। তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সমর্থন দিচ্ছে। 

এমন এক দিন আসবে যখন ফিলিস্তিন মুক্ত হবে। তখন হিসাব চোকাতে হবে। আপনাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, ইসরায়েলিরা যখন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারি আর বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তখন আপনারা কী করছিলেন। নিজেদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার জন্য তখন আপনারা কী জবাব দেবেন?

এখনো সময় আছে। ইতিহাসের ভুল জায়গায় অবস্থানের লজ্জা থেকে নিজেদের বাঁচান। বেল হুকস (মার্কিন লেখক) যেমনটা বলেছেন, ‘সংহতি প্রকাশ করেও সক্রিয় থাকা যায়।’ 

গাজায় নিধনযজ্ঞ বন্ধ করতে আপনারা কি এখন সক্রিয় হবেন?



ফিনল্যান্ড   টাম্পের বিশ্ববিদ্যালয়   প্যালেস্টাইন   পিএইচডিপ্রার্থী   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদী ফের প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের সর্বনাশ হবে: কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৮:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশটিতে মানুষের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু-মুসলিম লড়াই বাধিয়ে দেবেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও 'ইন্ডিয়া' জোটের মুখ মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। তার আগে রোববার (৫ মে) মালদার সুজাপুর হাতিমারি ময়দানে আয়োজিত জনসভায় উত্তর মালদা ও দক্ষিণ মালদা আসনগুলোতে বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম এবং ইশা খান চৌধুরীর সমর্থনে ভাষণ দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে খাবার খান, তা হজম করার জন্য কংগ্রেসের নামে কু-কথা বলতে হয়। কু-কথা না বললে তার খাবার হজম হয় না।

কংগ্রেস সভাপতি বলেন, কংগ্রেস সরকার মনরেগার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে, গরিবদের পেট ভরার জন্য ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্ট'র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে। নরেন্দ্র মোদী কি এ ধরনের কোনো প্রকল্প দিয়েছেন? আমাদের সরকার শিক্ষা সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ভারতে অশিক্ষার আলো জ্বালাতে চান। গরিবকে আরও গরিব করে রাখতে চান। এ ধরনের মানুষ তিনি।

মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ভাই এবং বোনেরা বলা ছাড়া নরেন্দ্র মোদী দেশের জন্য কিছুই করেননি। এখানে এসে বলেছিলেন, কংগ্রেসের নেতারা বিদেশে বেআইনি অর্থ রেখেছেন, সেই অর্থ আমি সুইস ব্যাংক থেকে আনবো, আর ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ রুপি দেওয়া হবে। কোথায় গেলো সেইসব অর্থ?

এরপর বিজেপি নেতাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, প্রতি বছর দুই কোটি যুবককে চাকরি দেবো। ১০ বছরে কত চাকরি হওয়ার কথা ছিল? ২০ কোটি। ভারতে বেকার যুবকরা কি ২০ কোটি চাকরি পেয়েছে? পায়নি।

তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী জনগণকে কখনো সত্যি কথা বলেন না। এ কারণেই বলতে হয়, মোদীজি, আপনি মিথ্যাবাদীদের সর্দার।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান আরও বলেন, এখন নরেন্দ্র মোদী আরও একটি মিথ্যা কথা বলছেন যে, জাতীয় কংগ্রেস জনগণনা প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। আর সেই সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের দিতে চায়। কিন্তু আমি নরেন্দ্র মোদীকে বলবো, আপনি জেনে রাখুন, ভারতের সংবিধানে রয়েছে, সবার সমান অধিকার। মুসলিমদের যেমন সমান অধিকার, তেমনি হিন্দুদেরও সমান অধিকার। শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান- সবার জন্য সমান অধিকার, যা বাবা সাহেব বিআর আম্বেদকর লিখে গেছেন।

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান এ নেতা বলেন, আমরা সবসময় দেশকে একজোট করে রাখতে চাই। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী কখনোই দেশকে একজোট করে রাখতে চান না। কখনো জাতির নামে, কখনো হিন্দু-মুসলিমদের নামে, কখনো নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের নামে দেশকে ভাগাভাগি করতে চান। তিনি আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হলে একনায়ক হয়ে দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দেবেন। দেশে জাতিগুলোর মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা নষ্ট করে ফেলবেন, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে লড়াই বাধিয়ে দেবেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেস কখনো দেশকে ভাঙতে দেবে না। আমরা সবাই এক হয়ে লড়াই করবো দেশের জন্য।


নরেন্দ্র মোদী   ভারত   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আল জাজিরা বন্ধ করতে ইসরায়েলের সংসদে ভোট

প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা ইসরায়েলে আল জাজিরার কার্যক্রম বন্ধ করার পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। 

চলমান গাজা যুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত বিদেশি টিভি চ্যানেল অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার অনুমতি চেয়ে একটি আইন পাস করেছিল ইসরায়েলের সংসদ। এরপরই রবিবার দেশটির মন্ত্রিসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুমোদিত আইন অনুযায়ী নেতানিয়াহু ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ৪৫ দিনের জন্য ইসরায়েলে বিদেশি টিভির কার্যালয় বন্ধ করতে পারবে, যা নবায়নযোগ্য। এটি জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত বা গাজায় বড় সামরিক অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।

নেতানিয়াহু আল জাজিরাকে উস্কানিমূলক গণমাধ্যম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলে উস্কানিমূলক চ্যানেল আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হবে। 


আল জাজিরা   বন্ধ   ইসরায়েল   সংসদ   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় বন্যা, প্রাণহানি বেড়ে ২২৮

প্রকাশ: ০৬:৫০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৮ জনে পৌঁছেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত কয়েকদিনে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতে কেনিয়াজুড়ে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে। দেশটিতে মে মাসে আরও খারাপ আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্যায় আরও নিচু, নদী তীরবর্তী এলাকা ও শহরাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় খাড়া ঢালু, উঁচু পাহাড় ও গিরিখাত এলাকায় ভূমিধস অথবা কাদা ধস ঘটতে পারে।

বন্যায় পূর্ব আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় আরও কমপক্ষে ১৬৪ জন আহত ও ২ লাখ ১৩ হাজার ৬৩০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


কেনিয়া   বন্যা   প্রাণহানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের কয়েক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলা

প্রকাশ: ০৬:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ ও দিনপ্রো ও ওডিশায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলা দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং একটি খাদ্য কারখানায় আগুন ধরে যায়। তাছাড়া বেশ কিছু বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, হামলায় বিভিন্ন ধরনের আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৭০টি গাইডেড এরিয়াল বোম ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স খারকিভ ও দিনপ্রো লক্ষ্য করে ছোড়া ১৩টি শাহেদ ড্রোন ভূপাতিত করে।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিল পাস হয়েছে মার্কিন সিনেটে। এরপরই কিয়েভের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।


ইউক্রেন   রাশিয়া   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি হত্যার ভিডিও প্রকাশ (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিউইয়র্কে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে বাংলাদেশি উইন রোজারিও (১৯) নামের বাংলাদেশি তরুণকে দুই পুলিশ গুলি করে হত্যা করার ৩৬ দিন পর ৩ মে পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) লেটিশা জেমস। 

সেই ভিডিও ফুটেজ দেখার পর ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে উইনের মা নট্যান আভা কোস্টা, বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও এবং ছোটভাই উৎস রোজারিও বলেছেন, ‘প্রতিটি দিনক্ষণ আমরা উইনের অনুপস্থিতি গভীর বেদনার সঙ্গে অনুভব করছি। এমন নিদারুন কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা আশা করছি সেই ফুটেজ জনসমক্ষে প্রকাশের কোনো প্রয়োজন নেই। ফুটেজ স্পষ্ট করেছে যে, উইনের বেঁচে থাকা উচিত ছিল। কিন্তু পুলিশ এসে তাকে হত্যা করেছে। আমাদের এবং উইনের সুরক্ষার পরিবর্তে পুলিশ অফিসাররা উইনকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় গুলি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন। তাই আমরা চাচ্ছি সেই দুই পুলিশ অফিসারকে বরখাস্ত করে যত দ্রুত সম্ভব তাদের বিচারে সোপর্দ করা হোক।’  

উল্লেখ্য, উইন রোজারিও ছিল মানসিক রোগী। গত ২৭ মার্চ দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির ওজোনপার্কে তার মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করলে ৯১১-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। নিউইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার বাসায় এসে উইনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টার একপর্যায়ে টেজার (এক ধরনের অস্ত্র, যা বিদ্ধ করে উত্তেজিত/অবাধ্য লোকদের নিস্তেজ করা যায়) ছোঁড়া হয়। সে সময়ে উইনের মা উইনকে জড়িয়ে ধরে পুলিশের প্রতি আকুতি জানাচ্ছিলেন গুলি না করার জন্য। তবুও পুলিশ সাড়া দেওয়ার পরিবর্তে উপর্যুপরি টেজার ছোড়ার আতঙ্কে মানসিক বিকারগ্রস্ত উইন চেয়ারের ওপরে রাখা মাছ/মাংস কাটার কেঁচি হাতে নিয়ে পুলিশের প্রতি ধেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই উভয় অফিসার কয়েক রাউন্ড গুলিতে উইনকে ধরাশায়ী করেন। ফুটেজে তা স্পষ্ট হয়েছে। 

ফুটেজ দেখে সুস্থ মস্তিষ্কের অনেকেই বলছেন যে, টেজার ছোড়ার পর উইনকে গুলি করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু পুলিশ অফিসারদ্বয় সে চেষ্টা করেননি। উইন হত্যাকান্ডের পর থেকেই পরিবার এবং কমিউনিটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছিল বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের জন্য। কিন্তু নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তা আমলে না নেওয়ায় স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল তা প্রকাশ করল। 


নিউইয়র্ক   বাংলাদেশি হত্যা   উইন রোজারিও  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন