ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এক সময়ের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ নাওয়াজকে কি আস্থায় নিতে পারবে সেনাবাহিনী

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলের নেতা নওয়াজ শরিফ নিজ দেশে ফিরেছেন। লন্ডনে চার বছর স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকার পর আজ শনিবার দুপুরে দুবাই হয়ে ইসলামাবাদে পৌঁছান তিনি।

পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফের দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বেশির ভাগ সময় দেশটির ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনীর পাশে তিনি ছিলেন একটি কাঁটার মতো।

৭৩ বছর বয়সী নওয়াজ শরীফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯০-১৯৯৩, ১৯৯৭-১৯৯৯ এবং ২০১৩-২০১৭ মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কোনোবারই পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।

১৯৯৩ সালে সামরিক-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করে, ১৯৯৯ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন।

সবশেষ পাকিস্তান ছাড়ার আগেও তিনি দুর্নীতির অভিযোগে কারারুদ্ধ ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার কথা বিবেচনা করে ২০১৯ সালের নভেম্বরে তাঁকে কারাগার থেকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি তখন লন্ডনে চলে যান।

তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সেনাবাহিনী নওয়াজকে উৎখাত করেছিল, তারাই আবার এখন তাঁকে অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি তাঁকে আবার প্রধানমন্ত্রীও করা হতে পারে।

আরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে। নওয়াজ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০১৮ সালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু এখন আর তিনি প্রধানমন্ত্রী নেই। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন এবং কারাগারে আছেন।  


নওয়াজ ফিরলেন, কী হতে পারে

নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন সর্বশেষ পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় ছিল। তাঁর ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এখন বড় ভাই দেশে ফিরেছেন।

গত চার বছর পর দেশে ফিরেছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ। ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত অনাস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নওয়াজের রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়তে দেখা যায়।

নওয়াজের বিরুদ্ধে মামলাগুলো এখনো শেষ হয়নি। তবে দেশে ফেরার পর নওয়াজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার হননি। গ্রেপ্তার  হওয়ার আশঙ্কাও নেই। আগামী সপ্তাহের শুনানি পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।


নওয়াজ কি আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন?

বিদেশে নির্বাসনে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। বিশেষ করে তিনি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান এবং সাবেক সেনাপ্রধানকে দায়ী করতেন। তবে তাঁরা দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নওয়াজের অভিযোগ, তাঁকে ‘ভুয়া মামলায়’ ফাঁসানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিচারপতিদের যোগসাজশ ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। নওয়াজের অভিযোগ, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের গণতন্ত্রকে পঙ্গু করে দিয়েছে। এসব কারণে পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।

তবে তার আগে ৭৩ বছর বয়সী নওয়াজকে কিছু বিষয় সামাল দিতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক সংকটের জন্য অনেকে নওয়াজের দলকে দায়ী করে থাকে। এ বিষয়টি তাঁকে সামাল দিতে হবে। শুধু তা–ই নয়, অনেকের আশঙ্কা প্রধান বিরোধী নেতাকে কারাগারে আটকে রেখে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না।  এ ছাড়া, নওয়াজকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গেও বোঝাপড়া করতে হবে। কারণ, পাকিস্তান কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নির্ধারণে দেশটির সেনাবাহিনীর ভূমিকা অনেক বেশি।

নওয়াজের রাজনৈতিক বিরোধীদের সন্দেহ, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে পিএমএল-এন নেতা দেশে ফেরার সুযোগ পেয়েছেন। তবে তাঁরা মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে নওয়াজ যে নির্বাচনে জয়ী হবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা জুলফি বুখারি বিবিসিকে বলেন, ‘আমি তাঁকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। তা ছাড়া আদালত তাঁকে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন।


ইমরানের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কি ইতি ঘটছে?

রাজনীতি বিশ্লেষক ওয়াজাহাত মাসুদ মনে করেন, যা কিছু হচ্ছে তাতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা পরিস্থিতির কোনো বদল ঘটবে না। শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনের মানুষগুলোরই অদল-বদল ঘটছে।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় ইমরান খান রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকে সুবিধা পেয়েছেন। এবার নির্বাচনে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নওয়াজ শরিফের পক্ষে কাজ করছে।

তবে নওয়াজকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখনো কিছু বলেনি।


নির্বাচন কি সুষ্ঠু হবে?

নওয়াজের প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন। তাঁর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র বিক্ষোভ করার কারণে সমর্থকদের ওপরও ধরপাকড় চালানো হয়েছে। এতে ইমরানের দল পিটিআই অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় অনেকে আশঙ্কা জানিয়েছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।

ইমরান খান গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পরিচালিত জনমত জরিপে তাঁর দল পিটিআই এগিয়ে ছিল। পিটিআই নেতা জুলফি বুখারি মনে করেন এখন আর নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।

বুখারি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাকে কীভাবে কারাবন্দী করে রেখেছেন আপনারা? আপনারা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করেন, তবে দেখবেন ইমরানের ভোটব্যাংক কতটা শক্তিশালী।’

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নওয়াজ যখন কারাগারে ছিলেন, তখন তাঁর দলের সদস্যরাও একই ধরনের কথা বলেছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে। তবে এবার পিটিআই লাভবান হবে না, এবার সুবিধা পাবে পিএমএল-এন।



সেনাবাহিনী কি নওয়াজের ওপর ভরসা করতে পারবে?

পাকিস্তানের রাজনীতিতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রভাবশালী ভূমিকা আছে। তারা দেশটিতে বেশ কয়েকবার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। নওয়াজের সঙ্গেও তাদের দীর্ঘদিনের তিক্ততা দেখা গেছে। তবে রাজনীতি পর্যবেক্ষক ওয়াজাহাত মাসুদ মনে করেন, এসবের পরও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নওয়াজকে আরেকটি সুযোগ দিতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে।

মাসুদ বলেন, প্রথমে সেনাবাহিনী ইমরান খানকে নিরাপদ ভেবেছিল এবং তাঁকে বেছে নিয়েছিল। তবে যখন তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল তখন ইমরানকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো।

নিজের ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকা নওয়াজ এখন কী ভূমিকা পালন করবেন, সে প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য নাদিম আফজাল চ্যান বলেন, তিনি (নওয়াজ) ‘ইয়েস স্যার’ বলার মতো ভূমিকা পালন করবেন না। নাদিম মনে করেন, নওয়াজ তাঁর সীমা সম্পর্কে জানেন। সে সীমা কখন ভাঙতে হবে তাও তিনি জানেন।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন নাদিম আফজাল।

তিনি এবং অন্য বিশ্লেষকদের ধারণা, কিছু ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব হবেই। এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তাঁরা মনে করেন, সর্বপ্রথমে নির্বাচনের তারিখ ঠিক  করতে হবে। অর্থনীতিকে ধসে পড়া থেকে রক্ষা করাই নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয হওয়া উচিত।



পাকিস্তান   সেনাবাহিনী   নওয়াজ   প্রধানমন্ত্রী   পিএমএল-এন   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খারকিভে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নতুন করে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। রুশ সেনারা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সাঁজোয়া বহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আকস্মিক এই অভিযান শুরু করে মস্কো। এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে একবার খারকিভের দখল নিয়েছিল রুশ সৈন্যরা। তবে ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে সেসময় শিহরটি ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় মস্কো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এত দিন রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে অভিযান চালালেও পুতিন এবার নতুন ফ্রন্ট খুলতে চাচ্ছেন।

এরই মধ্যে রুশ বাহিনী খারকিভ শহরের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়েও গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ প্রথমবারের মতো বলেছেন, রাশিয়া সুমি ও চেরনিহিভের কাছাকাছি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের কাছে খারকিভ শহরের উত্তরে সেনা সমাবেশ করেছিল। রুশ সেনারা ভোর ৫টার দিকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে হামলা শুরু করে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা খারকিভে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী খারকিভের সীমান্তবর্তী শহর ভভচানস্কে ব্যাপক গোলা ও বোমা হামলা চালিয়েছে। অবশ্য ইউক্রেন মাসখানেক আগেই এই অঞ্চলে রাশিয়া সেনা সমাবেশ করছে বলে জানিয়েছিল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া পাল্টা আক্রমণের একটি নতুন ঢেউ শুরু করেছে। বর্তমানে সেখানে ভয়ংকর যুদ্ধ চলছে। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রণক্ষেত্রে তীব্র লড়াই চলছে বলে তাকে রিপোর্ট করেছেন শীর্ষ কমান্ডার ওলেকজান্দর সিরস্কি। খারকিভের গভর্নর ওলেহ সাইনোহুবো জানিয়েছেন, খারকিভের আশপাশে রুশ সেনারা ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। তিনি জানান, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরুর পর খারকিভের শহরতলী ভভচানস্কের জনসংখ্যা ১৭ হাজার থেকে কমে মাত্র কয়েক হাজারে নেমে এসেছে।

রাশিয়া আক্রমণ শুরুর পর সেই কয়েক হাজারের মধ্য থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর খারকিভে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। পরে গত বছর ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের মুখে রুশরা পিছু হটতে থাকে। অবশেষে রুশ বাহিনী আবারও আক্রমণাত্মকভাবে খারকিভের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করল।


খারকিভ   রাশিয়া   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীতে দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আলোর ঝলকানি দেখল বিশ্ব। উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষ শুক্রবার রাতে এই সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এই আলোক ঝলকানির ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা গেছে, সমগ্র আকাশ বিভিন্ন রঙে ছেয়ে গেছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশ ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ১০টার দিকে কোরোনাল মাস ইনজেকশন পৃথিবীতে আঘাত হানে। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়।

এদিকে এই সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়াতে অরোরা আলোর ঝলকানি বা মেরুজ্যোতি দেখা গেছে।

এই সৌরঝড়ের দেখার পর স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইনজেকশন এবং সূর্যের মধ্যে সোলার ফ্লেয়ার ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌরশিখা দেখা গেছে।

সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এতে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।

ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সঙ্গে যুক্ত চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ওঠানামা করে দীর্ঘ তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে, যার ফলে ব্ল্যাকআউট হতে পারে। দীর্ঘ পাইপলাইনগুলো বিদ্যুতায়িত হতে পারে, যা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মহাকাশযানও উচ্চমাত্রার বিকিরণের ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও বায়ুমণ্ডল সৌরঝড়কে পৃথিবীতে পৌঁছতে বাধা দেয়।

নাসার কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, তারা মহাকাশচারীর নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীদের স্টেশনের মধ্যে সব থেকে বেশি সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।


পৃথিবী   সৌরঝড়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু : জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার ফলে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুধুমাত্র বাঘলানেই ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মোহাম্মদ ফাহিম সাফি, আইওএম-এর জরুরি প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্বদানকারী জাতীয় প্রোগ্রাম অফিসার, সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে শনিবার বলেন, 'বাঘলানি জাদিদ জেলায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন।'

শনিবার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত বাঘলান প্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হওয়া ফ্লাশ ফাডে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। এক তালেবান কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এর ফলে একাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তায় ঘোলা পানির বিশাল স্রোত বইছে। কালো এবং সাদা কাপড়ে ঢাকা মৃতদেহের ছবিও দেখা গেছে।

এর আগে, বন্যার কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে আফগানিস্তানে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় কোনো অঞ্চলই বন্যার হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই পায়নি। বন্যার কারণে হাজার হাজার আফগান নাগরিকের এখনো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। 


আফগানিস্তান   বন্যা   মৃত্যু   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন পর  শুক্রবার (১০ মে) জেল থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে মুক্তির পরপরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

কেজরিওয়ারের জেলমুক্তির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। রাজপথে তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্যই আমি আপনাদের সামনে। আমাদের দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।

এএপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, জেল থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি ইন্ডিয়া জোটের জন্য 'গেমচেঞ্জার' হয়ে উঠবে। ফলে ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বিরোধী দলগুলো।

আগামী ১ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরদিনই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন (৪ জুন) জেলেই কাটাতে হবে কেজরিওয়ালকে।


স্বৈরাচার   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   দুর্নীতি মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হানল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মে) রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে তারা। এসব রকেট ও কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। তবে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গতকাল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিনই ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বিমান হামলা গতকাল আঘাত হানে একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে। যেটি লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী প্রাণ হারান।

ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।


ইসরায়েলি   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন