ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে কেবল লাভবান হবে হামাস: হোয়াইট হাউস

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলে হামলার পাল্টা জবাবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যেন এক বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলায় গাজায় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সংঘাতের শুরু থেকেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে এ হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল যা এখনো চলমান।

এই নির্মম গণহত্যা প্রতিরোধে তাই জোর দাবি উঠছে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের। তবে এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে সেটি কেবল হামাসকেই সাহায্য করবে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধবিরতি কেবল হামাসকে সাহায্য করবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে তাদের দাবি, গাজায় অত্যাবশ্যক সহায়তা দেওয়ার জন্য চলমান ইসরায়েলি হামলায় মানবিক ‘বিরতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

এএফপি বলছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণের শিকার হওয়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ বিতরণ ‘যথেষ্ট দ্রুতগতিতে করা হয়নি বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করার পর হোয়াইট হাউসের এই  বক্তব্য সামনে এলো।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি হলে সেটি আসলেই শুধুমাত্র হামাসের উপকার করবে।

এছাড়া মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা চলমান যুদ্ধে কিছুটা বিরতির আহ্বান জানানোর কথা বিবেচনা করছেন।

কিরবি বলেন, ওয়াশিংটন পূর্ণ যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করলেও মানবিক সাহায্য সরবরাহের সুবিধার্থে লড়াই কিছুটা থামানোর ‘বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমরা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাই এবং সামরিক অভিযানে বিরতি একটি কৌশল হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য হতে পারে।

প্রসঙ্গত, মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড নামের একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাসের এই অভিযানে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে ইসরায়েল।

হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪০০ ইসরায়েলি। নিহতদের মধ্যে ২৮৬ জন সেনাসদস্য রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। হামাসের হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া আরও দুই শতাধিক মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস।

হামাসের হাতে আটক বিপুল এসব বন্দির মধ্যে ইসরায়েলি এবং দ্বৈত নাগরিকও রয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় আটক সব বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। এছাড়া মানবাধিকার গোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্দিদের পরিবারও তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

কিন্তু এর পর থেকেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলিরা চালাচ্ছে নির্বিচারে অব্যাহত বোমা হামলা। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা ভূখণ্ড।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন গত সোমবার বলেন, যে কোনও যুদ্ধবিরতির ‘আলোচনা কেবল তখনই শুরু হতে পারে যখন হামাসের হাতে আটক থাকা ২০০ জনেরও বেশি বন্দি মুক্তি পাবে।

এদিকে কিরবি দাবি করেছেন, গাজায় বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অনুরোধ করলেও নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের হতাহত হওয়ার কিছু ঘটনা অনিবার্য ছিল।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের অবিরাম নির্বিচার এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার।

এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় গাজায় শুধুমাত্র গত একদিনে ৭০৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


হামাস   হামাস   ইসরায়েল যুদ্ধ   ফিলিস্তিন   ইসরায়েল   গাজায় হামলা   যুক্তরাষ্ট্র   মধ্যপ্রাচ্য   মধ্যপ্রাচ্য সংকট   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন সাংবাদিক সম্মেলন করেন না, ব্যাখ্যা দিলেন মোদি

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

১০ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্ব কালে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি নরেন্দ্র মোদি। খুব সামান্য কিছু সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের চার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন না। কারণ দর্শালেন তিনি, বললেন সংবাদমাধ্যম এখন আর আগের মতো নেই। যার মূল কথা, এখনকার গণমাধ্যম নিরপেক্ষ নয়।

মোদি জানান, সংবাদমাধ্যম এখন এক অন্য পথে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই পথে তিনি যেতে চান না। তিনি আরও বলেন, “আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমি দরিদ্র মানুষের বাড়ি যেতে চাই। আমি বিজ্ঞান ভবনের ফিতে কেটে ছবি তুলতেই পারি, কিন্তু আমি তা করি না। আমি ঝাড়খণ্ডের একটা ছোট্ট গ্রামে চলে যাই, সেখানে ছোট প্রকল্পের কাজ করি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি এক নতুন কর্মসংস্কৃতি এনেছি, মিডিয়ার তা পছন্দ হলে বলবে, না হলে বলবে না।” এরপর তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম এখন আর কোনও আলাদা সত্তা নয়। আগে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল সংবাদমাধ্যম কিন্তু এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে তাকে ছাড়াই আম জনতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তাছাড়া মোদির মতে, তিনি জবাব দিতে বাধ্য সংসদে এবং সেখানেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন।

নরেন্দ্র মোদি   ভারতের প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় মশলায় ক্যানসারের উপাদান, নেপালে বিক্রি বন্ধ

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের গুঁড়া মশলা আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেপাল। ভারতীয় এই মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদানের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

এর আগে ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়েছিল হংকং ও সিঙ্গাপুর। 

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। ভারতীয় এই দুই কোম্পানির মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রার স্তরও নেপাল পরীক্ষা করছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন।

মূলত এই দুটি ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড পাওয়ার খবরে নেপাল এটিকে নিষিদ্ধ করে।

নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে জানিয়েছেন, 'নেপালে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মশলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মশলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল এবং এখন আমরা বাজারে এই মশলার বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মশলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি কতটা তা জানতে পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। হংকং এবং সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যেই এটি নিষিদ্ধ করেছে, তাদের পদক্ষেপের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'

দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রপ্তানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।

ভারতীয় মশলার অন্যতম জনপ্রিয় কোম্পানি এভারেস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান। ১৯৩০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা এমডিএইচ জনপ্রিয়তা পায় তাদের বিজ্ঞাপন ও প্যাকেজিংয়ের কারণে।

প্যাকেটের গায়ে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ধরমপাল গুলাতির মোটা গোঁফ আর মাথায় পাগড়ির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। ভারতে ‌'স্পাইস কিং' বা 'মশলা রাজা' হিসেবে পরিচিত ধরমপাল গুলাতি ২০২০ সালে মারা যান।


ভারতীয় মশলা   ক্যানসারের উপাদান   নেপাল   বন্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জার্মানিতে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আগুনে পুড়ে নিহত ৩

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জার্মানির ডুসেলডর্ফে একটি আবাসিকভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। 

দমকল ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয়তলা বাড়িটির একতলায় একটি খাদ্য ও পানীয়র দোকান ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তারপর আগুন লাগে। আশপাশের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়।   

ওই বাড়িতে আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। দুই ও তিনতলার বাসিন্দাদের অনেকেই কাচ ছড়ানো রাস্তায় লাফিয়ে নামেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আগুন কেন লাগলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাদের মনে হয়েছে আগুন লাগানো হয়নি।

দমকল, পুলিশ ও জরুরি সার্ভিসের প্রায় একশটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের প্রথমে উদ্ধার করা হয়।

দমকলবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয় ঘণ্টা ধরে চলা অপারেশনে ৭০ জনকে তারা সাহায্য করেছেন।

এই ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। একজন তার অ্যাপার্টমেন্টে। বাকি দুইজন সিঁড়িতে। ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িটিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণ হয়েছিল, নাকি এটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল বা আগুন লাগানো হয়েছে, তা এখানো স্পষ্ট নয়।


জার্মানি   বিস্ফোরণ   আগুন   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বেচ্ছামৃত্যুতে ব্যতিক্রমী আয়োজন নেদারল্যান্ডসের তরুণীর

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের তরুণী জোরায়া বিক। ২০২০ সালে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন ২৯ বছর বয়সী এ তরুণী। আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার মে মাসে তিনি অনুমতি পেয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন এ ডাচ তরুণী।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন জোরায়া বিক। ছোটবেলা থেকেই দীর্ঘস্থায়ী হতাশা, উদ্বেগ, ট্রমা এবং ব্যক্তিত্বের অভাব বোধ করতেন তিনি। এমনকি তার অটিজম ধরা পড়েছে। যখন জোরায়া তার প্রেমিককে খুঁজে পান তখন ভেবেছিলেন তার প্রেমিক তাকে যে নিরাপদ পরিবেশ দিয়েছিল তা তাকে সুস্থ করে তুলবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তারপরও জোরায়া নিজের ক্ষতি করা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন।

এ ধরনের সমস্যার জন্য তিনি চিকিৎসা নেওয়া শুরু করলেও দীর্ঘমেয়াদি কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে একপর্যায়ে তিনি বাঁচার আশা হারিয়ে ফেলেন। তবে তার এক স্কুলের বন্ধুর আত্মহত্যা ও পরিবারের ওপর বিরূপ প্রভাব তাকে আত্মহত্যা করতে নিরুৎসাহিত করে। তারপরই স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য আবেদন করেন জোরায়া।

দীর্ঘ ও কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণের পর গত সপ্তাহে তার আবেদন গ্রহণ করা হয়। নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আইন রয়েছে। যেসব ব্যক্তি কঠিন রোগে ভুগছেন এবং সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই তারাই কেবল স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেতে পারেন।

এরই মধ্যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সকল প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে তাও জানিয়েছেন জোরায়া বিক। মৃত্যুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তার বাড়িতেই চিকিৎসক আসবেন। শুরুতে তাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি কোমাতে যাচ্ছেন। তারপর তাকে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধের ওষুধ দেওয়া হবে। বিষয়টি এমন হবে যে তিনি মনে করবেন তিনি ঘুমিয়ে পড়ছেন। এ সময় জোরায়ার সঙ্গে তার প্রেমিক উপস্থিত থাকবেন, তবে মৃত্যুর আগমুহূর্তে তার প্রেমিক চাইলে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন বলেও জানান জোরায়া।

জোরায়া জানান, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে তার ভয় লাগে। অপরদিকে পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তবে তিনি সব জেনে বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন।


স্বেচ্ছামৃত্যু   নেদারল্যান্ডস   তরুণী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি সত্য নয়: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হচ্ছে, এমন দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মূখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক জানতে চান-বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে। এ বিষয়ে বিচার বিভাগকে বলা হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

এই দাবি কী সত্য?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এমন দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা সমূহ আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ কমার কথা স্বীকার করেছেন ডোনাল্ড লু।

ঢাকায় আলোচনায় তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র দপ্তর, হোয়াইট হাউসও র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে। তবে এটি আইনি বিষয়। এটি পুরোপুরি তাদের হাতেও নেই। ডোনাল্ড লু র‌্যাবের উন্নতির প্রশংসার পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী অন্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।


র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন