ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল এবং গাজা নিয়ে ভাবনা

প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

‘থটস অন ইসরায়েল অ্যান্ড গাজাশিরোনামে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার লেখা একটি কলাম প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা মাধ্যম ‘মিডিয়াম। বাংলা ইসনাইডারের পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনায় লেখাটির হুবুহু অনুবাদ প্রকাশ করা হল।


ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হওয়ার পর ১৭ দিন পেরিয়ে গেছে। এই অবর্ণনীয় বর্বরতার পর মার্কিন সরকারের মতো দেশের নাগরিকেরাও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে শোকে একাত্ম হয়েছেন, স্বজনদের ফিরে আসার প্রত্যাশায় প্রার্থনা করেছেন এবং ইসরায়েলি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

এর আগের পোস্টে আমি বলেছিলাম, এমন বেপরোয়া সহিংসতা থেকে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অভিযানে সমর্থন দিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে আহ্বান, আমি তার সঙ্গে একমত। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘকালীন মিত্র ইসরায়েল হামাসের সামরিক সক্ষমতাকে গুঁড়িয়ে দিতে এবং শত শত জিম্মিকে উদ্ধার করে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চায়।

কিন্তু এত সমর্থনের পরও ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধকৌশল ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে আমাদের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। বিশেষ করে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে কথাটি বারবার জোর দিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন, ইসরায়েলের সামরিক কৌশল যেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে, যে আইনে বেসামরিক জনগোষ্ঠীর মৃত্যু বা নির্যাতন যত দূর সম্ভব এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। নৈতিকতার স্বার্থে এবং মানুষের জীবনের যে মূল্য আছে, সেই মূল্যবোধকে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। এই মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে আমরা মৈত্রী গড়ি এবং মূল্যবোধের ভিত্তিতেই আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি তার প্রকাশ ঘটে। এদিকে নজর দেওয়া জরুরি ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার জন্যই।

এটা একটা অত্যন্ত জটিল কাজ। যুদ্ধ সব সময় দুঃখজনক এবং কখনো কখনো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করা হলেও বেসামরিক নাগরিকেরা ঝুঁকিতে পড়েন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলে তাঁর সাম্প্রতিক অভিযানে একটা কথা বলেছিলেন যে, আমেরিকা নিজেও যুদ্ধের সময় তার উচ্চ মানবিক মূল্যবোধ ঠিক রাখতে পারেনি।

যাদের সঙ্গে আমরা একমত নই, তাদের নিকৃষ্ট ভাবা উচিত নয়। এই অন্তহীন বিদ্বেষ, ট্রল আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য/ভুয়া তথ্যের কালে, অনেক রাজনীতিক ও দৃষ্টি আকর্ষণকারীরা আলোর চেয়ে তাপ ছড়াতে ব্যস্ত। এই রক্তাক্ত সময়ে দাঁড়িয়ে ভদ্রোচিত সংলাপের আশা করা হয়তো অবান্তর। কিন্তু আমরা যদি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি শিশু ও আমাদের নিজেদের সন্তানদের শান্তি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে দায় আমাদের।

৯/১১-এর পর যুক্তরাষ্ট্র আল-কায়েদার বিরুদ্ধে অভিযানে এমনকি মিত্রদের পরামর্শও কানে তোলেনি। এখন যখন হামাস ইসরায়েলি নাগরিকদের নির্বিচার খুন করেছে, তখন ইহুদিদের ওপর অতীতে সংঘটিত বর্বরতার স্মৃতি মনে করে শিহরিত হচ্ছেন অনেকেই। বুঝতে কষ্ট হয় না, অনেক ইসরায়েলি আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার দাবি করছেন। এদিকে হামাসের সামরিক কার্যক্রম গাজায় কেন্দ্রীভূত। তাদের নেতারা বেসামরিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে মিশে আছে। যে মানুষগুলোকে তারা প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করে, তাদের প্রত্যেককে এভাবে ঝুঁকিতে ফেলেছে হামাস।

এই অঞ্চল যেদিকে এগোচ্ছে, গোটা বিশ্ব তার দিকে নজর রাখছে। বেসামরিক জনগণের জীবনকে তোয়াক্কা না করে চলা ইসরায়েলের যেকোনো সামরিক অভিযান উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে। গাজায় বোমা হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকে শিশু, লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েল সরকার অবরুদ্ধ সাধারণ মানুষের খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে শুধু মানবিক সংকটকে বাড়িয়ে তোলেনি, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ফিলিস্তিনিরা আরও কঠোর হবে, ইসরায়েলের প্রতি বৈশ্বিক সমর্থন কমবে, ইসরায়েলের শত্রুদের হাত আরও শক্তিশালী হবে এবং মোটের ওপর এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের যে উদ্যোগ, তার অবমূল্যায়ন হবে।

আমরা যারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছি, তাদের জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। হামাসকে শক্তিহীন করতে ইসরায়েলকে যেকোনো কৌশল গ্রহণে আমরা উৎসাহ দেব, তেমনি বেসামরিক জনগণের প্রাণহানি ঠেকাতেও আমাদের উৎসাহ দিতে হবে। বাইডেন প্রশাসনের দূতিয়ালিতে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

গাজার দিশাহারা মানুষের কাছে জরুরি ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর কাজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অব্যাহত রাখতে হবে। আর যদিও এখন ইতিবাচক ভবিষ্যতের আশা দুরাশা, তবুও আমরা গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলতে পারি। ইসরায়েলের টিকে থাকার অধিকার আছে, এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত ফিলিস্তিনি নেতা ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে তারা বসতে পারে। ফিলিস্তিনিদের জাতিগত আত্মনিয়ন্ত্রণের যে বৈধ অধিকার, তা নিশ্চিতে তাঁরা একটা গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে পেতে পারেন। ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি পরিবাররা যে শান্তি ও নিরাপত্তা খুঁজছে, তা নিশ্চিতে এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।

যেখানে বেদনার্ত মানুষের সংখ্যাটি বড়, ধরে নিতে হবে যেখানে আবেগের তাড়নাও গভীর। এটাই স্বাভাবিক। তবু আমাদের প্রত্যেকের উচিত ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবিক মূল্যবোধের সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটানো।

এর অর্থ ইহুদি বিদ্বেষকে সর্বত্র না বলা। এর অর্থ ইসরায়েলিরা যে যন্ত্রণা সহ্য করছে, তার জবাব শুধু সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যার মধ্যেই এমন অবস্থানকে যাঁরা যৌক্তিক বলছেন, তাঁদের না বলা। কারণ যাঁরা নৈতিকভাবে দেউলিয়া, কেবল তাঁরাই এমন পরামর্শ দিতে পারেন। 

এর অর্থ মুসলিম, আরব ও ফিলিস্তিনবিরোধী মনোভাবকে প্রত্যাখ্যান করা। এর অর্থ ফিলিস্তিনিদের হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা; গাজার মানুষকে অমানুষ বলে অভিহিত করার চেষ্টা, অথবা ফিলিস্তিনিদের যন্ত্রণা, সেটা গাজায় হোক অথবা পশ্চিম তীরে, তাকে ছোট করে দেখাকে না বলা। তাদের প্রতি এই মনোভাব অপ্রাসঙ্গিক, অবৈধ।

এর অর্থ ইসরায়েলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অধিকার আছে এই অবস্থানের স্বীকৃতি দেওয়া। ইহুদিরা যে ভূমিতে ঐতিহাসিকভাবে তাদের শিকড় প্রোথিত আছে বলে দাবি করে, সে ভূমিতে বসত গড়ার অধিকারকে হ্যাঁ বলা। এমন উদাহরণও আছে অতীতে ইসরায়েল সরকার অর্থবহ উদ্যোগ নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে দুই-রাষ্ট্র গঠনে সমাধান খুঁজেছে। যে সমাধান আবার অন্য কোনো পক্ষ প্রত্যাখ্যান করেছে। 

এর অর্থ স্বীকার করে নেওয়া যে ফিলিস্তিনিরা বিতর্কিত অঞ্চলগুলোয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাস করেছেন। ইসরায়েল গঠনের পর তাঁদের অনেকেই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এখনো বসতি স্থাপনকারীরা তাঁদের জোর করে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করছে। আর তাতে ইসরায়েলি সরকার কখনো পরোক্ষ, কখনো প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়েছে। ফিলিস্তিনি নেতা যাঁরা দুই রাষ্ট্র গঠনে ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিলেন, তাঁদের কেউ উদ্যোগ শুরুই করতে পারেননি। ইহুদিবিদ্বেষী না হয়েও পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি সরকার যা করেছে, তার বিরোধিতা করা সম্ভব। যারা ভালো মানুষ, তাদের পক্ষে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সরব হওয়া সম্ভব।

যাদের সঙ্গে আমরা একমত নই, তাদের নিকৃষ্ট ভাবা উচিত নয়। এই অন্তহীন বিদ্বেষ, ট্রল আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য/ভুয়া তথ্যের কালে, অনেক রাজনীতিক ও দৃষ্টি আকর্ষণকারীরা আলোর চেয়ে তাপ ছড়াতে ব্যস্ত। এই রক্তাক্ত সময়ে দাঁড়িয়ে ভদ্রোচিত সংলাপের আশা করা হয়তো অবান্তর। কিন্তু আমরা যদি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি শিশু ও আমাদের নিজেদের সন্তানদের শান্তি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে দায় আমাদের। আমাদের কথা ও কাজই নির্ধারণ করে দেবে কেমন পৃথিবী তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেতে যাচ্ছে। 


লেখক: বারাক ওবামা

(সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট)


ইসরায়েল   গাজা   ফিলিস্তিন   বারাক ওবামা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, শিক্ষার্থীরা ফিরতে চান দেশে

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় - হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিরগিজস্তানের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ডা. জেরিত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্তমানে কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষকরাও স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের হতে দিচ্ছি না। তবে আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।

কিরগিজস্তানের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের সবাই মেডিকেল শিক্ষার্থী। ডা. জেরিত বলেন, ‘এখানে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে হোস্টেলে থাকতে হয়। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর কেউ চাইলে বাইরে চলে যেতে পারেন। ফলে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের হোস্টেলে অবস্থান করছেন। অন্যরা বাইরের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন।

হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হোস্টেলে মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়। পরে মিসরীয় শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের মারধর করেন। ঘটনাটি তিন-চার দিন আগের। এরপর সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগিরই বিশকেক সফর করতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ মিসরের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকারকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।


কিরগিজস্তান   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুর্কি ড্রোনে রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

এর আগেত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।


তুর্কি ড্রোন   রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার খবর বলছে, এখনো প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ফলে ঘটনাস্থলে আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে। তাই সময় যতো যাচ্ছে রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়েও ততো উদ্বেগ বাড়ছে।

খবরে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কিংবা হার্ড ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হওয়া রাইসির হেলিকপ্টারটির নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।

ইরানিদের রাইসির জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে আকাশপথে রাইসির অবস্থা শনাক্ত করার কাজও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থলপথে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।


রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির উত্থান পতন

প্রকাশ: ০৮:৪৮ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।

১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টের খোঁজে ৩২ সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তুরস্ক

প্রকাশ: ০৮:৪৮ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের এখনো খোঁজ মেলেনি। এখনপর্যন্ত জানা যায়নি হেলিকপ্টারটির কী হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক বিশেষজ্ঞ একটি দল পাঠাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক পাহাড়ে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ ৩২ জনকে পাঠাচ্ছে।

এর আগে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এক নির্দেশ জারি করেছেন। তিনি সেনাবাহিনী, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এবং আইন প্রয়োগকারী অন্যান্য বাহিনীকে হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার জন্য সব সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা ব্যবহার করতে বলেছেন।

রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ তথ্য জানায়। এরপর তাদের সন্ধানে নামে অনুসন্ধান দল।

হেলিকপ্টারটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, তাবরিজ জুমার নামাজের খতিব হোজ্জাতোলেস্লাম আল হাশেম এবং আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি রাইসির সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন।


ইবরাহিম রাইসি   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন