ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দেয়া সেই ব্যক্তির বিষয়ে যা বললেন ম্যাথিউ মিলার

প্রকাশ: ১২:১০ পিএম, ০২ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবার তথাকথিত জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেওয়া সেই মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরাফি সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে এবার প্রশ্ন করা হয়েছে। তবে সেই ‘উপদেষ্টার’ বিষয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।স্থানীয় সময় বুধবার (১ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

এছাড়াও, বাংলাদেশেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে আবারও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীসহ সকলের দায়িত্ব রয়েছে।

এরপরই ওয়াশিংটনের এই ব্রিফিংয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টার প্রসঙ্গটি উঠে আসলে তিনি এ ব্যাপারে আলাদা করে কিছুই বলতে চাননি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরাফি নামক ঐ ব্যক্তি এবং বাংলাদেশে বিরোধীদের আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়ে জানতে চান। সাংবাদিক বলেন, আমার দুটি প্রশ্ন আছে।

গত ২৮ অক্টোবর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা মিয়া আরেফি নামে এক আমেরিকান নাগরিককে তাদের অফিসে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা বলে দাবি করা হয় এবং তিনি নিজেও ক্যামেরাতে দাবি করেন, তিনি প্রতিদিন (বাইডেনের সঙ্গে) ১০ থেকে ২০ বার টেক্সট মেসেজিং করেন। কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস মিয়া আরেফির সেই দাবি অস্বীকার করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে– বিএনপি নেতাদের এমন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড মার্কিন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। মিয়া আরেফি সাহেব এবং বিএনপি নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আপনারা কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন?

 

জবাবে ম্যাথিউ মিলার এই বিষয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করেননি।

তিনি বলেন, (ঢাকার) মার্কিন দূতাবাস এই বিষয়ে যা বলেছে তা পুনর্ব্যক্ত করা ছাড়া এই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমার আলাদা কোনো মন্তব্য নেই। তিনি (মিয়া আরেফি) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না।

পরে ওই সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক ট্রেন বিএনপির সহিংস কর্মীদের হিংসাত্মক হামলার শিকার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনার) সরকার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অসাধারণ সাফল্য এবং চরমপন্থি সংগঠনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কি সেখানে কোনও নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে? আপনি কি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাবেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি আগেও কথা বলেছি। যেমনটা আমি গতকাল ও আগের দিনও বলেছি এবং বহুবারই বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব সকলের: সকল রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ (সবার দায়িত্ব আছে)।‘

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের জন্য যা চায় যুক্তরাষ্ট্র ঠিক সেটিই চায়। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   নির্বাচন   বিশ্ব সংবাদ   ম্যাথিউ মিলার   বাইডেনের উপদেষ্টা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলজিয়ামে শিশুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আরেক শিশু

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেলজিয়ামে ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ করেছে কয়েকজন ছেলে শিশু। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ বছর।

বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস টাইমস জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে জড়িত ছিল মোট ১০ শিশু। যাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। তারা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত তিনবার নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য মেয়ে শিশুটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটি চলার সময় শিশুটির এক ছেলে বন্ধুর বন্ধুরা তাকে লোভ দেখিয়ে বনের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তার একাধিক বন্ধু তাকে নির্যাতন করে। মেয়েটির ছেলে বন্ধুটি এতে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়ে শিশুটিকে দুইদিন সেখানে আটকে রাখা হয়। নির্যাতনকারী শিশুরা নিজেদের স্মার্টফোনে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করে।

বেলজিয়ামের অপর সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাড জানিয়েছে, ছেলে শিশুদের দলটির সবাই কম বা বেশি এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউই এই নির্যাতন থামানোর কথা বলেনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত শিশুরা অভিবাসীদের সন্তান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর চারজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।  

ওয়েস্ট ফ্লেমিসের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, সবচেয়ে কম বয়সী অভিযুক্তের বয়স ১১ বছর। যেহেতু অভিযুক্তরা খুবই কম বয়সী। তাই আমরা খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করছি না। তবে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এখন তদন্ত করা হবে অভিযুক্ত শিশুরা কতটা নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া আশপাশের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে।


বেলজিয়াম   শিশু   সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   শিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকিৎসার অভাবে গাজাবাসীর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চিকিৎসার অভাবে সাধারণ মানুষের ধীর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় আহতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় গাজার ভেতরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা।

এ ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আহত এবং অসুস্থরা ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করছেন। কারণ এখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই এবং তাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগও নেই। গাজার একমাত্র ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গেছে।'

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, 'ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং আহত ও অসুস্থদের বাঁচানোর জন্য, সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য এবং হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পৌঁছতে দেওয়ার জন্য আমরা একটি দ্রুত ও মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।'

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাধে। সাত মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ।


চিকিৎসা   গাজা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'ইসরায়েলগামী' ৩ জাহাজে হুথির ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি জানিয়েছে, এডেন উপসাগরে দুটি ও ভারত মহাসাগরে একটি ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলার দাবি। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এই দাবি করেন।

ইয়াহিয়া সারি জানান, এডেন উপসাগরে 'এমএসসি দিয়েগো' ও 'এমএসসি গিনা' নামক দুটি পণ্যবাহী জাহাজে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি, ভারত মহাসাগরে 'এমএসসি ভিট্টোরিয়া' নামক আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তিনটি জাহাজ-ই ইসরায়েলে যাচ্ছিল বলে দাবি হুথির। 

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথ মেরিটাইম ইনফরমেশন সেন্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৭ মে) দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তবে এতে জাহাজগুলোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ও ক্রুরা সবাই অক্ষত রয়েছেন।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার শিকার দুটি জাহাজ ছিল পানামার পতাকাবাহী, যারা সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানির জন্য কাজ করছে।

চলতি বছরের ৩ মে ইসরায়েলগামী সব জাহাজে হামলার ঘোষণা দেন হুথির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি। এক টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযানের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইয়াহিয়া সারি বলেছিলেন, ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইসরায়েলি বন্দরের দিকে যাওয়া যেকোনো জাহাজ আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। আর সম্প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে এই ঘোষণা কার্যকর হবে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর, বাব আল-মান্দাব প্রণালী ও এডেন উপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ শিপিং চ্যানেলে ইসরায়েলগামী জাহাজে লক্ষ্য করে বারবার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে আসছে। মূলত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এই হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি। 

তাদের হামলার কারণে বেশ কয়েকটি বড় শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। এসব জাহাজ এখন আফ্রিকা ঘুরে কয়েক হাজার মাইল পথ অতিরিক্ত পাড়ি দিয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় যাতায়াত করছে। এর ফলে পণ্য পরিবহনের খরচ যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্য।


ইসরায়েল   জাহাজ   হুথি   ড্রোন   হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন বোমায় মারা গেছেন ফিলিস্তিনিরা: বাইডেন

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 'বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।' 

ইসরায়েলকে বোমা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই বোমা গাজায় ব্যবহার করেছে ইহুদিবাদী দেশটি। এতে অনুতপ্ত বাইডেন।

বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে। বলেছেন, 'ইসরায়েল যদি রাফায় আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।'

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বারবার ইসরায়েলকে বলেছে, তারা যেন দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় আক্রমণ না করে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছে, যা এখন ১২ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।

ইসরায়েলি সেনারা রাফার পূর্ব দিকে হামাসের টার্গেটে আঘাত করতে চায়। সেজন্য তারা হাজার হাজার মানুষকে জায়গা খালি করে চলে যেতে বলেছে।

এদিকে, রাফায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে স্থানীয় কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও আছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তারা মারা যায় বলে কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, লড়াই শুরুর পর থেকে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন মারা গেছেন। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দফতর মৃতের যে সংখ্যা দেয়, তার মধ্যে কতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষ ও কতজন সন্ত্রাসী তা আলাদা করা হয় না। এটা বাইরের কোনও সংগঠনের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করাও সম্ভব হয় না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, মোট মৃতের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশু।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।

বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা প্রচুর হামাস সন্ত্রাসীকে মেরেছে।

ইউএনএফপিএ বুধবার জানিয়েছে, রাফার প্রধান মেটারনিটি হাসপাতাল আর নতুন করে কোনও রোগীকে ভর্তি করছে না।

ওয়াশিংটনে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তৈরি করা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছে।

জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ পেপার স্প্রে ব্যবহার করে। ৩৩ জনকে বেআইনিভাবে ঢোকা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের আক্রমণ করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নেয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রথমে কাউকে গ্রেফতার না করে পরিস্থিতি সামলাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিক্ষোভও তীব্র হয়। তারপর তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসেও আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   বোমা   ফিলিস্তিন   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, প্রতিক্রিয়া জানাল চীন

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। তাইওয়ানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই বুধবার তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তরণ করেছে এ মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।  

চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের একটি অংশ বলে মনে করে। যে কারণে চীন এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সতর্কতা দেখিয়ে আসছে। অন্যদিকে তাইওয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিকে একটি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচনা করে। 

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও মাঝে মাঝে মার্কিন নৌবাহিনীর টহল বিমান প্রতি মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে বা সরাসরি তাইওয়ানের ওপর দিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক কোনও আইন ভাঙা হয়নি দাবি করে মার্কিন নৌবাহিনীর ৭ম নৌবহর জানায়, আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হ্যালসি বুধবার পানির মধ্য দিয়ে একটি রুটিন তাইওয়ান স্ট্রেইট ট্রানজিট পরিচালনা করেছে।

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। চীনা সামরিক বাহিনী এটিকে একটি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করেছে। তবে সমুদ্রযাত্রার সময় মার্কিন জাহাজকে পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক করার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও জানায় তারা। 

পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, থিয়েটারে সৈন্যরা সবসময় সতর্ক থাকে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন জাহাজটি প্রণালী দিয়ে দক্ষিণে যাত্রা করেছে এবং তাইওয়ান বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। এসময় অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি।

সেইসঙ্গে তাইওয়ান সরকার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শুধুমাত্র দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

এদিকে বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই বারবার চীনের সাথে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগে এবং পরে দ্বীপের চারপাশে যেকোনও  চীনা সামরিক কৌশলের জন্য তাইওয়ান সতর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত চার বছরে চীনের সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের আশেপাশে তার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল প্রলালীর মধ্যরেখার ওপর যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করা। কারণ রাজনৈতিকভাবে চীন এই মধ্যরেখার অস্তিত্ব স্বীকার করে না।


তাইওয়ান   মার্কিন যুদ্ধজাহাজ   চীন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন