পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
মূলত ঐ মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে অ্যালকোহল বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করা হয়। শুক্রবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং রয়টার্স।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয়
টিভির বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এপি বলেছে, শুক্রবার ভোরে ল্যাঙ্গারুদ শহরের ওই বেসরকারি
মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। কর্তৃপক্ষ
এখন অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করছে।
এপি বলছে, ইরানে
এই ধরনের দুর্ঘটনা বিরল নয়। প্রধানত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি অবহেলা, পুরোনো অবকাঠামো
এবং অপর্যাপ্ত জরুরি পরিষেবার কারণে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটিতে প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা
ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে থাকে।
এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন গাড়ির ব্যাটারি কারখানায় দুই দফায় আগুন লাগে। যদিও সেসব ঘটনায় সেসময় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ইরানের খবর অগ্নিকাণ্ড নিহত বিশ্ব সংবাদ
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক
রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটিতে কো-স্পন্সর
করেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের
স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি
উত্থাপন করেন।
স্থায়ী মিশন বলছে, এ বছর আলোচ্য রেজ্যুলেশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য
বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ
করেছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের
মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।
এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশনটি জাতিসংঘ
সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য
৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির
সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।
প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বিভিন্ন
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই
ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত
করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের
চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।
এবারের রেজ্যুলেশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির
২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদযাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি
উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া এ রেজ্যুলেশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক
ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ
অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে
এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে
রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি
আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের
একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের
পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।
রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারণ পরিষদে
একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে ।
এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির
কথা পুনর্ব্যক্ত করে। প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত
করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
১১২টি দেশ এ বছর বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে,
যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত
সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।
জাতিসংঘ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের দাহরানের কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবল বৃষ্টিতে একটি মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। সৌদির বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুইদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মসজিদের ছাদ ভেঙে কেউ আহত হননি। কারণ ওই সময় সেখানে কেউ ছিলেন না।
নেটিজেনরা জানিয়েছেন, মসজিদটির বাইরের অংশের ছাদটি ধসে পড়েছে। মসজিদ সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মূল ভবনের বাইরে স্টিলের এই ছাদটি স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টিলের ছাদটির ওপর এতই পানি জমা হয়েছিল যে এটি আর ভার বহন করতে পারেনি। এরপর একটি পর্যায়ে এটি ভেতরের দিকে ধসে পড়ে। তখন মসজিদের ভেতর বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে এবং মসজিদে যেসব কার্পেট ছিল সেগুলো পানিতে ভিজে যায়।
কেউ একজন মসজিদের মূল ভবনের ভেতর থেকে ছাদ ভেঙে পড়ার মুহূর্তটি নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।
বৃষ্টিপাতের কারণে দেশটিতে সাধারণ মানুষকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি ক্যাম্পাসে আসার বদলে অনলাইনে পাঠদান কর্মসূচি চলছে।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার(২ মে) ভোরে ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের বাইরে রাখা ব্যারিকেড সরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের তাঁবু ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। নির্দেশনা না মানলে গ্রেপ্তার, এমনকি আহত হতে পারেন বলেও জানায় তারা। তবে পুলিশের সতর্কবার্তা আমলে না নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। তাই অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোড়া হয়েছে রাবার বুলেট। সিএনএন এর প্রতিবেদন
বিবিসি জানিয়েছে, মূল আন্দোলনস্থল ডিকসন কোর্টে প্রবেশ করেছে পুলিশ। পুলিশ দেখে অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করলেও এখানো সেখানে অনেকে অবস্থান করছেন। তবে তাদের ঘিরে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশ এখন তাঁবু সরিয়ে দিচ্ছে। ডিকসন কোর্টে এখন অনেকটা পুলিশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসের অন্য কোথাও তাঁবু স্থাপন করেছে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এই ক্যাম্পাসে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই সময় পুলিশ দেরিতে সাড়া দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য পুলিশের সমালোচনাও করেছে অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কার্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্র ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ ইউসিএলএ লস অ্যাঞ্জেলেস
মন্তব্য করুন
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক।
কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বুধবার কেনিয়ার বিখ্যাত পর্যন্ত এলাকা মাসাই মারা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অঞ্চলের একটি নদী হঠাৎ করে প্লাবিত হলো পর্যটকসহ ১০০ জন হড়কা বানে ভেসে যায়। সেখান থেকে ৯০ জনকে সফলভাবে উদ্ধার করার কথা জানায় কেনিয়া কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। ১১২টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি উত্থাপন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে মার্কিন পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছেন এবং অনেকককে গ্রেপ্তার করেছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ করে তাঁবু সরাতে রাবার বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করেছে মার্কিন পুলিশ।
মৌসুমী বৃষ্টির কারণে কেনিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট, সেতু ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক। কেনিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিপর্যয়ে কেনিয়ায় ১২৫ জন আহত হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯০ জন। দের লাখের ও বেশি মানুষের স্থানীয় বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।