ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হামাসের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ শহর, ইসরায়েলের স্থল হামলার সবচেয়ে বড় বাধা

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৪ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এ হামলার পর থেকে প্রায় তিন সপ্তাহ গাজায় নির্বিচার বিমানহামলা চালিয়েছে এসরায়েল। গেল ২৮ অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। মৃতের প্রতিশোধ নিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতেই একটানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন এক হাজার ৪০০ মানুষ, আহত হন পাঁচ হাজারেরও বেশি। এ ছাড়া, হামাস জিম্মি করে দুই জনেরও বেশি মানুষকে, যাদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। 

বিশ্লেষকদের মতে, ‘স্থল হামলায় ইসরায়েলি সেনাদের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হামাসের ভূগর্ভস্থ সুবিশাল সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক। ভিয়েতনামের গেরিলা কমিউনিস্ট সংগঠন 'ভিয়েতকং'র সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বিস্তৃত হামাসের নেটওয়ার্ক।’  জিম্মিদের মধ্যে মুক্ত হওয়া একজন বলেছেন,‘হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক মাকড়সার জালের মতো।’

সুড়ঙ্গের বিষয়ে জানেন এমন সূত্রদের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল ও সীমান্তে বিভিন্ন কাজের জন্য সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেছে হামাস। হামলা চালানো, প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ও মজুদসহ আরও নানা কাজে ব্যবহার হয় এসব সুড়ঙ্গ।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করলেও তারা সামরিক ও বেসামরিক সকল নাগরিকের উপরই হামলা চালাচ্ছে। তাদের হামলায় নারী ও শিশুরা বেশি নিহত হচ্ছে। ইসরায়েল টার্গেট করে গাজার হাসপাতালগুলিতে হামলা চালাচ্ছে।   

সম্প্রতি হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল অভিযোগ তুলেছে, গাজার মূল হাসপাতাল আল-শিফাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এই গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক স্থাপনাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে সেখানে কার্যক্রম চালাচ্ছে সংগঠনটি।  

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি কিছু ছবি ও অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ করে বিষয়টি প্রমাণের চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, 'হামাস হাসপাতালগুলোকে তাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও লুকিয়ে থাকার জায়গায় রূপান্তরিত করেছে।' তবে, রয়টার্স হাগারির এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

হামাস কর্মকর্তা এজ্জাত এল-রেশিক বলেছেন, 'শত্রুপক্ষের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্যে কোনো সত্যতা নেই, ভিত্তি নেই।'

যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ইসরায়েলি বাহিনী স্থল হামলায় নজিরবিহীন প্রতিরোধের মুখে পড়বে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা মনে করেন, হামাসকে পরাজিত করতে হলে মাটির নিচে আটকে থাকা জিম্মিদের ক্ষতি হবে। এ ছাড়া হামাসকে পরাজিত করা সম্ভব হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘ইসরায়েলিদের জন্য হামাসের সুড়ঙ্গে অসংখ্য বিস্ফোরক ও নানান ফাঁদ অপেক্ষা করছে যা একটি ক্লান্তিকর ও কঠিন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করবে। এরচেয়ে ইরাকের মসুল শহরকে আইএসের দখল মুক্ত করতে নয় মাসের অভিযান অনেক সহজ ছিল।’

হামাসের সুড়ঙ্গের সুনির্দিষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রযুক্তির জন্য অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে রয়েছে 'আয়রন ওয়াল' নামের বিশেষ সেনসর। তারপরও সুড়ঙ্গগুলো চিহ্নিত করে বন্ধ করতে সক্ষম হয়নি দেশটি।

প্রত্যক্ষদর্শী জিম্মির বয়ান

২০২১ সালে গাজায় এক আক্রমণের পর ইসরায়েল বাহিনী দাবি করে যে, তারা হামাসের সুড়ঙ্গের ১০০ কিলোমিটার জায়গা ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলের এ দাবির বিপরীতে মন্তব্য করে হামাসের নেতা ইয়াহিয়া আল সিনওয়ার।

সিনওয়ার বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় আমাদের সুড়ঙ্গের বিস্তার ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি। কাজেই তারা যদি সত্য বলেও থাকে, তা মোট সুড়ঙ্গের ২০ শতাংশ মাত্র।'

গাজা উপত্যকা মাত্র ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের হলেও সুড়ঙ্গগুলো আরও বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সিনওয়ারের দাবির শক্ত প্রমাণ না পেলেও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সেটাকেই সত্য বলে মানছেন।  

হামাস তাদের সুড়ঙ্গ নিয়ে তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ করে না। তবে তাদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ৮৫ বছর বয়সী জিম্মি ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ বলেন, 'এটা মাকড়শার জালের মতো। অসংখ্য সুড়ঙ্গ রয়েছে। আমরা মাটির নিচে বেশ কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটেছি।'

হামাস বিশ্বাস করে, জটিল সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের সামনে ইসরায়েলের সর্বাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি খুব একটা কাজে আসবে না। হামাস চায় ইসরায়েলি সেনারা সুড়ঙ্গে এসে তাদের মোকাবিলা করুক। ইসরায়েলের কাছে অপরিচিত সেই পরিবেশে হামাস বাড়তি সুবিধা পাবে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সুড়ঙ্গগুলো কত কিলোমিটার জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছি না, তবে এটা কোনো দিক দিয়েই ছোট নয়। স্কুল ও আবাসিক এলাকার নিচে এই নেটওয়ার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।'

গাজার আকাশ ও নৌপথের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে। স্থল সীমানার ৭২ কিলোমিটারের মধ্যে ৫৯ কিলোমিটারই ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। সঙ্গে আছে দক্ষিণে মিশরের সঙ্গে থাকা ১৩ কিলোমিটার সীমানা।

ভূগর্ভস্থ শহর

ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমানহামলায় সুড়ঙ্গের অবকাঠামোর খুব কমই ক্ষতি হয়েছে। সুড়ঙ্গগুলো মাইলের পর মাইল লম্বা ও এগুলো কনক্রিটের তৈরি, খুব টেকসই। ভিয়েতকংয়ের চেয়ে ১০ গুণ শক্তিশালী।

ইসরায়েলি বাহিনীর সুড়ঙ্গ মোকাবিলার দায়িত্বে ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আমির আলভি।  

সুড়ঙ্গপথে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দিনের পর দিন আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েও হামাসকে টলাতে পারিনি। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং চাইলেই পাল্টা হামলা চালাতে পেরেছে তারা। গাজার মাটির নিচে ৪০-৫০ মিটার গভীরতার আস্ত একটি শহরই রয়েছে৷ সেখানে হামাসের বাংকার, নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র ও গুদাম রয়েছে। এবং সঙ্গে আছে হাজারো রকেট নিক্ষেপের অবস্থান।

ইসরায়েলের প্রতিবেশী একটি দেশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, 'মিশরের নিচেও হামাসের সক্রিয় সুড়ঙ্গপথ রয়েছে। এখানে তাদের সরবরাহ শৃঙ্খল অক্ষত রয়েছে। নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে কয়েকজন মিশরীয় সেনা রয়েছেন। তবে মিশরের সেনাবাহিনী এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কিনা জানি না।'

মিশরের নিরাপত্তা বাহিনী সূত্র ও এল আরিশ শহরের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, মিশর ও গাজার মধ্যে এখনো স্বল্প সংখ্যক সংকীর্ণ ও গভীর সুড়ঙ্গ সক্রিয় রয়েছে। এগুলো দিয়ে পণ্য পরিবহন অব্যাহত থাকলেও যুদ্ধ শুরুর পর এই কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, মিশরীয় সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব দেশটির সেনাবাহিনীর।

দীর্ঘ পরিকল্পনার ফসল সুড়ঙ্গ

 বিশ্লেষকদের মতে ৯০ দশকের মাঝামাঝি থেকে গাজায় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে হামাস। ২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিলে সুড়ঙ্গ তৈরি আরও সহজ হয়। ২০০৬ এ নির্বাচনের মাধ্যমে হামাস গাজার ক্ষমতায় আসে। অল্প সময়ের মধ্যেই হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেড ৬০০ মিটার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে গাজা সীমান্তের কেরেম শালম ঘাঁটি দখল করে নেয়।

এক বছর পর ইয়াসির আরাফাতের উত্তরসূরি মাহমুদ আব্বাসের বিরুদ্ধে এই সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে সফল সামরিক হামলা চালায় হামাস। সে সময়ে সুড়ঙ্গগুলোর ব্যাপারটি তেমন জানাজানি হয়নি। 

এই সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের কারণেই ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলনায় গাজায় হামাসের অবস্থান শক্তিশালী। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের শক্ত অবস্থানের কারণে জর্ডান থেকে পণ্য পরিবহন হামাসের জন্য অনেক কঠিন। 

গাজা থেকে রাফাহ সীমান্তে পণ্য পরিবহনে এগুলো ব্যবহার হতো। বালুময় সুড়ঙ্গ থেকে বিশেষায়িত উইঞ্চ মটর ব্যবহার করে পেট্রোলের ব্যারেল বের করে আনা হতো। 

রাফাহর সুড়ঙ্গ পরিচালনার কাজে নিয়োজিত আবু কুসেই রয়টার্সকে জানান, হাফ মাইল দূরত্বের একটি সুড়ঙ্গ খনন করতে তিন থেকে ছয় মাস লাগে। এসব সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ এক লাখ ডলার মুনাফা আসে। সবচেয়ে লাভজনক পণ্য হলো গুলি। মিশর থেকে প্রতিটি গুলি ১ ডলারে কিনে গাজায় বিক্রি করা হয় ৬ ডলারে। মিশর থেকে কালাশনিকভ রাইফেল বা একে-৪৭ কেনা হয় ৮০০ ডলারে, বিক্রি করা হয় দ্বিগুণ দামে।

সুড়ঙ্গে সম্ভাব্য অভিযানের পরিণতি

ইসরায়েল সেনাবাহিনী 'ইয়াহালোম' নামের এক বিশেষ কমান্ডো ইউনিট তৈরি করেছে যাদের মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খুঁজে ধ্বংস করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইয়াহালোম যোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, 'আমি তোমাদের ওপর নির্ভর করি। ইসরায়েলের মানুষ তোমাদের ওপর নির্ভর করে।'

ইসরায়েলের বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বের অধ্যাপক জোয়েল রাসকিনের মতে, সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক ঠিকভাবে শনাক্ত করা কঠিন। থ্রিডি ম্যাপিং ও সচিত্র দৃশ্যায়নের জন্য আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রয়োজন।

ইসরায়েলের কমব্যাট ইন্টেলিজেন্স কর্পসের সাবেক কমান্ডার ও মোসাদের সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আমনোন সফরিন বলেন, 'সুড়ঙ্গে প্রচুর ফাঁদ থাকবে। হামাসের কাছে থার্মোবারিক বোমা ও অস্ত্র থাকবে। ২০২১ সালে তাদের কাছে এই মারাত্মক অস্ত্র ছিল না। আমার বিশ্বাস, তাদের কাছে প্রচুর ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা আমাদের সাঁজোয়া গাড়ি ও ট্যাংকে হামলা চালাতে পারে। হামাস সেনাদের অপহরণেরও চেষ্টা চালাবে।'

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী খুব সম্ভবত সুড়ঙ্গপথে এমন কিছুর মুখোমুখি হবে যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আইএসের মতো সংগঠনের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান।


হামাস ভূগর্ভস্থ শহর   সুড়ঙ্গ   ইসরায়েল   স্থল হামলা   যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন বোমায় মারা গেছেন ফিলিস্তিনিরা: বাইডেন

প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, 'বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।' 

ইসরায়েলকে বোমা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই বোমা গাজায় ব্যবহার করেছে ইহুদিবাদী দেশটি। এতে অনুতপ্ত বাইডেন।

বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে। বলেছেন, 'ইসরায়েল যদি রাফায় আক্রমণ করে, তাহলে আমেরিকা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।'

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বারবার ইসরায়েলকে বলেছে, তারা যেন দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় আক্রমণ না করে।

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছে, যা এখন ১২ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।

ইসরায়েলি সেনারা রাফার পূর্ব দিকে হামাসের টার্গেটে আঘাত করতে চায়। সেজন্য তারা হাজার হাজার মানুষকে জায়গা খালি করে চলে যেতে বলেছে।

এদিকে, রাফায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন বলে স্থানীয় কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে। মৃতদের মধ্যে শিশুও আছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় তাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তারা মারা যায় বলে কুয়েত হাসপাতাল জানিয়েছে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, লড়াই শুরুর পর থেকে ৩৪ হাজার ৮৪৪ জন মারা গেছেন। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দফতর মৃতের যে সংখ্যা দেয়, তার মধ্যে কতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষ ও কতজন সন্ত্রাসী তা আলাদা করা হয় না। এটা বাইরের কোনও সংগঠনের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করাও সম্ভব হয় না। তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, মোট মৃতের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশু।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইসরায়েল-সহ কয়েকটি দেশ।

বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, রাফায় ইসরায়েলি আক্রমণ চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা প্রচুর হামাস সন্ত্রাসীকে মেরেছে।

ইউএনএফপিএ বুধবার জানিয়েছে, রাফার প্রধান মেটারনিটি হাসপাতাল আর নতুন করে কোনও রোগীকে ভর্তি করছে না।

ওয়াশিংটনে পুলিশ ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের তৈরি করা ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়েছে।

জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ পেপার স্প্রে ব্যবহার করে। ৩৩ জনকে বেআইনিভাবে ঢোকা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের আক্রমণ করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করার পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নেয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রথমে কাউকে গ্রেফতার না করে পরিস্থিতি সামলাতে চেয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিক্ষোভও তীব্র হয়। তারপর তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।

নেদারল্যান্ডসেও আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   বোমা   ফিলিস্তিন   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, প্রতিক্রিয়া জানাল চীন

প্রকাশ: ০৫:৪৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। তাইওয়ানের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই বুধবার তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তরণ করেছে এ মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।  

চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের একটি অংশ বলে মনে করে। যে কারণে চীন এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বরাবরই সতর্কতা দেখিয়ে আসছে। অন্যদিকে তাইওয়ান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিকে একটি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচনা করে। 

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও মাঝে মাঝে মার্কিন নৌবাহিনীর টহল বিমান প্রতি মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে বা সরাসরি তাইওয়ানের ওপর দিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক কোনও আইন ভাঙা হয়নি দাবি করে মার্কিন নৌবাহিনীর ৭ম নৌবহর জানায়, আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হ্যালসি বুধবার পানির মধ্য দিয়ে একটি রুটিন তাইওয়ান স্ট্রেইট ট্রানজিট পরিচালনা করেছে।

তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর তীব্র সমালোচনা করেছে চীন। চীনা সামরিক বাহিনী এটিকে একটি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করেছে। তবে সমুদ্রযাত্রার সময় মার্কিন জাহাজকে পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক করার জন্য নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও জানায় তারা। 

পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, থিয়েটারে সৈন্যরা সবসময় সতর্ক থাকে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন জাহাজটি প্রণালী দিয়ে দক্ষিণে যাত্রা করেছে এবং তাইওয়ান বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। এসময় অস্বাভাবিক কিছু চোখে পড়েনি।

সেইসঙ্গে তাইওয়ান সরকার বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শুধুমাত্র দ্বীপের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

এদিকে বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই বারবার চীনের সাথে কথা বলার প্রস্তাব দিয়েছেন কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। উদ্বোধনের আগে এবং পরে দ্বীপের চারপাশে যেকোনও  চীনা সামরিক কৌশলের জন্য তাইওয়ান সতর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত চার বছরে চীনের সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের আশেপাশে তার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল প্রলালীর মধ্যরেখার ওপর যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন করা। কারণ রাজনৈতিকভাবে চীন এই মধ্যরেখার অস্তিত্ব স্বীকার করে না।


তাইওয়ান   মার্কিন যুদ্ধজাহাজ   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে বন্দুক হামলায় নিহত ৭

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বন্দুক হামলায় সাতজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই স্থানীয় একটি সেলুনের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) দিনগত রাতে বেলুচিস্তানের গোয়াদার জেলার সুরবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে স্থানীয় আবাসিক কোয়ার্টারে প্রবেশ করে হামলা চালান বন্দুকধারীরা। সেসময় হতাহত ব্যক্তিরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। 

ডন ডটকমের সঙ্গে কথা বলার সময় গোয়াদারের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার (এসএসপি) জোহাইব মহসিন বলেছেন, নিহতরা গোয়াদার থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সুরবন্দরে একটি সেলুনে কাজ করতেন। নিহতদের সবাই পাঞ্জাবের খানেওয়াল ও লোধরান জেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, আহত ব্যক্তি খানেওয়ালের মিয়া চান্নু এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার পর পুলিশ হতাহতদের গোয়াদার হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এসএসপি মহসিন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন ও তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।

গোয়াদারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) হামুদুর রহমান জানিয়েছেন, চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আর আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর করাচিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি। তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি ঘটনাটিকে ‘উন্মুক্ত সন্ত্রাসবাদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হতাহতদের পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করার ও হামলাকারীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এই হামলা দেশের শত্রুদের কাপুরুষোচিত কাজ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে শিকড় থেকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।


পাকিস্তান   বন্দুক হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২১ মে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে ইউরোপের চার দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আয়ারল্যান্ড, স্পেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য অন্তত চারটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।  

বৃহস্পতিবার (৯ মে) আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম আরটিই নিউজের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে আরটিই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে যৌথভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ডাবলিন ও মাদ্রিদ এবং স্লোভেনিয়া ও মাল্টার মধ্যে যোগাযোগ তীব্র হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরোপের এসব দেশ আগামী ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিষয়ে অনুষ্ঠিতব্য ভোটের অপেক্ষায় রয়েছে। ওই দিন সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার যোগ্য হিসাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে অন্তত ১৩৯টিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   ইউরোপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেন ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করল আমেরিকা?

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমার একটি বড় চালান ইসরায়েলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে দেশটির প্রশাসন। গত সপ্তাহেই বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর কারণ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না।

এমনকি ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলকে ইন্ধন যোগানকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ই  এখন রাফায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মানবিকতার বুলি প্রকাশ করছেন।  

বুধবার (৯ মে) তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন, ইসরায়েলি যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। খবর রয়টার্সের  

এদিকে সিবিএস নিউজকে ইসরায়েলের বোমার চালান আটকে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওই চালানে কয়েক হাজার কেজি বোমা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে সিবিএস নিউজ জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযান চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন ছিল। বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানোর পরও তারা পাত্তা দেয়নি।

ইসরায়েল সব ধরনের অনুরোধ ও আহ্বান উপেক্ষা করে রাফায় বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ইসরায়েলের অগ্রগতি নিশ্চিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চালানটি স্থগিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা ইসরায়েল পুরোপুরি পূরণ করেনি। ইসরায়েল রাফায় ওই বোমা ব্যবহারের করতে পারে বলে শঙ্কায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। 

তাহলে কি শুধুমাত্র নিজেদের কথা ভেবেই গাজাবাসীর প্রতি মানবিকতা দেখাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট? 

যদিও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। আর কতদিন তারা এভাবে গাজাবাসির জন্য মানবিকতা দেখাবে তা নিয়েও এক ধরণের শঙ্কা থেকে যায়।


ইসরায়েল   বোমার চালান   স্থগিত   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন