গেল শুক্রবার (৩ নভেম্বর) লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ হামাস-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে বক্তব্য দেন। ঐ বক্তব্যে হিজবুল্লাহপ্রধান ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রশংসা করেন।
হিজবুল্লাহ লেবাননের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। হিজবুল্লাহ ইরানের সমর্থন প্রাপ্ত একটি সংগঠন। সামরিক শক্তির দিক দিয়ে হিজবুল্লাহ বেশ শক্তিশালী। ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হলে হিজবুল্লাহও নিজেদেরকে এ যুদ্ধে জড়ায়। সংঘাতের পর থেকে প্রায়ই ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি।
এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে ২০০৬ সালে যুদ্ধে জড়িয়েছিল হিজবুল্লাহ। প্রশ্ন উঠেছে, প্রচুর সামরিক সক্ষমতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠিটি গাজায় চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধে জড়াবে কিনা?
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ
হিজবুল্লাহ সংগঠনটি একটি লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন। তবে এটিকে সমর্থন প্রদান করে ইরান। ইরান থেকে সংগঠনটি প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম পেয়ে থাকে।
লেবাননের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে হিজবুল্লাহর। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে গত শতকের ৮০ এর দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহ গড়ে তোলে ইরান। ওই সময়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল দখল করে রেখেছিল ইসরায়েল। ২০০০ সালে লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েল। এর কৃতিত্ব নেয় হিজবুল্লাহ।
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর হাজার হাজার যোদ্ধা এবং ক্ষেপণাস্ত্রের বড় ভান্ডার রয়েছে। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলোয় ইসরায়েলের উপস্থিতির বিরোধিতা করে আসছে গোষ্ঠীটি। ২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে তুমুল লড়াই হয় হিজবুল্লাহর। সে সময় ইসরায়েলের ভেতরেও ঢুকে পড়েছিলেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
হিজবুল্লাহকে নির্মূল করতে বিভিন্ন সময়ে দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপরও দিন দিন যোদ্ধাদের সংখ্যা বেড়েছে সংগঠনটিতে, বেড়েছে সক্ষমতা। পাশাপাশি এই গোষ্ঠী হাতে পেয়েছে নতুন ও শক্তিশালী সব অস্ত্র।
হাসান নাসরুল্লাহ কে
লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ । তিনি একজন শিয়া ধর্মমতের ধর্মপ্রচারক। গোষ্ঠীটিকে একটি সামরিক ও রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে আছেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে হাসান নাসরুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্কের শুরু ১৯৮১ সালে। সে বছর খামেনিকে ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে লেবাননে নিয়োগ দিয়েছিলেন ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি।
বহু বছর ধরে জনসমক্ষে আসেন না নাসরুল্লাহ । প্রতি সপ্তাহে টেলিভিশনে তাঁর ভাষণ সম্প্রচারিত হয়। শেষ গেল শুক্রবার বিকাল ৩টায় বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে, হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে একটি ইভেন্টের অংশ হিসাবে নাসরুল্লাহর ভাষণ প্রচার করা হয়। ধারণা করা হয় ইসরায়েলের হাতে হত্যার শিকার হওয়ার ভয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে আছেন তিনি। তবে হিজবুল্লাহর সদস্যদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র।
হিজবুল্লাহ কতটা শক্তিশালী
মধ্যেপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাবান সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর দলে ১ লাখ যোদ্ধা রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ২০ থেকে ৫০ হাজার সদস্য রয়েছেন বলে ধারণ করা হয়।
হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের অনেকে সুপ্রশিক্ষিত এবং তাঁদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
হিজবুল্লাহকে অস্ত্র ও অর্থ যোগান দেয় ইরান। হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ অস্ত্রই হলো ছোট আকারের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য রকেট। এগুলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে না। এ ছাড়া তাদের হাতে বিমানবিধ্বংসী ও জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হানতে সক্ষম—এমন গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে হিজবুল্লাহর। ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে যেসব রকেট ছুড়েছিল, তার চেয়ে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অনেক উন্নত।
ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ধারণা, হিজবুল্লাহর কাছে ১ লাখ ৩০ হাজার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।
হিজবুল্লাহ কি ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে
৭ অক্টোবরের পর থেকে উত্তর ইসরায়েলে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। এর জবাবে লেবাননের ভূখণ্ডে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল বাহিনী।
রকেট, ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। ট্যাংক ও কামান থেকে গোলাও ছোড়া হচ্ছে। পাল্টাপাল্টি এসব হামলায় ইসরায়েলি সেনা ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিহত হয়েছেন।
সংঘাতের আশঙ্কায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, দেশটির উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনী ‘অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে’ রয়েছে।
হিজবুল্লাহ হাসান নাসরাল্লাহ হামাস ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।