ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মত প্রকাশের স্বাধীনতাই কী মার্কিনিদের শক্তি?

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ০৮ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বর্তমান বিশ্বের সর্বস্তরের জনগণ থেকে শুরু করে, প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দেশে গাজার ওপর ইসরায়েলিদের নজীর বিহীন বর্বর হামলার প্রতিবাদ হয়ে আসছে। একের পর এক রাষ্ট্র ছিন্ন করছে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ব্যতীত আর কোনো রাষ্ট্রকেই আত্মরক্ষার নামে ইসরায়েলের এ জঘন্য গণহত্যার সাথে তাল মেলাতে দেখা যায়নি। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র যেমন সামরিক সহায়তা দিচ্ছে ইসরায়েলকে, তেমনি একের পর এক যুদ্ধ বিমানভর্তি রণতরীও পাঠাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। মাঝে মাঝে গাজায় মানবিক বিরতির রব উঠিয়ে মার্কিন প্রশাসন ‘আলগা দরদ’ দেখানোর চেষ্টা করলেও তাদের এসব দ্বিমুখী আচরণ এখন সকলের কাছেই একপ্রকার প্রতারণার সামিল।

বর্তমান প্রেক্ষাপট যখন এই তখন এদিক দিয়ে একদমই ভিন্ন অবস্থানে আছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ। হাজার হাজার আমেরিকান জনগণ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন। ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও ওহাইয়ো, ইউটাহ, ক্যালিফোর্নিয়াতেও যুদ্ধবিরতির দাবিতে হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের ভেতরে ঢুকেও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন কয়েক ডজন ইহুদি ধর্মগুরুসহ খোদ কয়েকশ আমেরিকান ইহুদি। এ সময় মার্কিন কংগ্রেসের বাইরেও ছিলেন কয়েক হাজার মার্কিন ইহুদি। আর তাদের এ বিক্ষোভের মূলে ছিল একটাই চাওয়া, 'গাজায় যুদ্ধবিরতি'।

'ফ্রিডম অফ স্পিচের’ অনন্য উদাহরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তাও দিচ্ছে দেশটি। একদিকে যখন গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি চায় না বাইডেন প্রশাসন ঠিক তখনই আরেকদিকে খোদ আমেরিকান নাগরিকরাই পুরো দেশজুড়ে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবীতে করছে কঠিন বিক্ষোভ। তাদের এ প্রতিবাদ প্রমাণ করে গাজা যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে ইসরায়েল নীতি গ্রহণ করেছে, তা সরাসরি প্রত্যাখান করেছে দেশটির জনগণ। এসব পরিস্থিতিতে এ যুদ্ধ নিয়ে বেশ চাপের মুখেই আছে বাইডেন প্রশাসন। আর যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সৌন্দর্য এখানেই। এখানে দেশটির প্রধান শাসকের চাওয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মতামত দাবী করতে পারে দেশটির জনগণেরা। অর্থাৎ, 'ফ্রিডম অফ স্পিচের' এক অনন্য উদাহরণের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

গাজা যুদ্ধে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিফলন:

মত প্রকাশের অধিকারের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য নতুন কিছু নয়। দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে সরকারের গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপে তাদের দ্বিমত থাকলে তারা সবসময়ই নির্দ্বিধায় জোর গলায় সেটি প্রকাশ করে এসেছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে এর প্রতিফলন সবচাইতে স্পষ্টরুপে দেখা গিয়েছিল।

ভিয়েতনামের যুদ্ধ ছিল একটি ব্যতিক্রমী নৃশংস সংঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ভয়ঙ্কর অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধের "সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয়" মিশনগুলিতে অগণিত নিরপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়। সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনাগুলির একটি ঘটে ১৯৬৮ সালে। মাই লাই গণহত্যায় মার্কিন সৈন্যরা কয়েকশ ভিয়েতনামিজ নাগরিককে হত্যা করে। অসংখ্য বেসামরিক মানুষের মৃত্যুতে এ যুদ্ধের প্রতি আমেরিকান জনগণের সমর্থন কমে যায়। ফলশ্রুতিতে, যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধে নেহায়েত পরাজয়ের সাথে সাথে মানুষের হৃদয় জয় করার সংগ্রামেও ছিল একদমই অসফল।

বর্তমান গাজা যুদ্ধ যেন সেই ভিয়েতনাম যুদ্ধেরই আরেক রূপ। আমেরিকান জনগণের প্রতিবাদ প্রতিরোধে যেন ভিয়েতনাম যুদ্ধেরই প্রতিফলন প্রকাশ পাচ্ছে।

মার্কিন সংবিধানেও ফ্রিডম অফ স্পিচের স্বাধীনতা:

মার্কিন  যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেও ফ্রিডম অফ স্পিচের ব্যাপারটি খুব গুরুত্বের সাথে সন্নিবেশিত রয়েছে। বাকস্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের এ অধিকারটি দেশটির সংবিধানেও একদম স্বাধীনভাবে প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানে এ অধিকারটির ব্যাপ্তি অনেকটাই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানের ৩৯ নাম্বার অনুচ্ছেদে চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যে বক্তব্য সন্নিবেশিত রয়েছে সেটি আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে এমন কোনো উল্লেখ নেই। অর্থাৎ, সেখানে ফ্রিডম অফ স্পিচের ব্যাপারটি স্বাধীন আইন দ্বারা বিধিনিষেধের আওতায় নয়।

একটি দেশ তখনই উন্নতির শিখরে আরোহন করতে পারে যখন সেখানে ফ্রিডম অফ স্পিচের সৌন্দর্য থাকে। প্রত্যেক মানুষের চিন্তাভাবনা, মত প্রকাশের ভঙ্গি আলাদা। এটির প্রকাশ যত বাড়বে ততই সেখানে নানান মতবাদের সৃষ্টি হবে, নতুন নতুন আইডিয়ার উৎপত্তি হবে। আর একারণেই হয়তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশ হিসেবে এতটা উন্নত।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মার্কিন পরাশক্তি   গাজা   হামাস   ইসরায়েল   আমেরিকান নাগরিক বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ: অধ্যাপকের পাঁজরের হাড় ও হাত ভেঙে দিল পুলিশ

প্রকাশ: ০১:৪৩ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। এই বিক্ষোভ চলাকালে এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করার সময় তার পাঁজরের ৯টি হাড় ও একটি হাত ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিক্ষক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।

মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইসে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক স্টিভ তামারি সাউদার্ন ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি এডওয়ার্ডসভিলের ইতিহাসের অধ্যাপক। মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ তিনি। 

এ ঘটনায় ধারণ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শনিবার ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্টিভ তামারি দৃশ্যত বিক্ষোভকারীদের ছবি তোলার বা ভিডিও ধারণের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেপরোয়াভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাকে।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়ার সময় অধ্যাপক তামারি মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের এক সদস্য তাকে হাঁটু দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। পরে দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর কয়েকজন পুলিশ তার নিস্তেজ হয়ে পড়া শরীর টেনেহিঁচড়ে একটি ভ্যানের দিকে নিয়ে যায় ও মাটিতে উপুড় করে ছুড়ে ফেলে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিক্ষোভ   অধ্যাপক   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২০, আহত ২১

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়েতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২১ জন। শুক্রবার ভোরে উচ্চগতির একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে গিলগিট-বালতিস্তানের দিয়ামার জেলার কারাকোরাম হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে যাওয়ার পর কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

দিয়ামের জেলা উদ্ধার কর্মকর্তা শওকত রিয়াজের মতে, বেসরকারি সংস্থার ওই বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কারাকোরাম হাইওয়ের কাছে গুনার ফার্মের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে বাসটি উল্টে সিন্ধু নদীর তীরে পড়ে যায়, এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।


পাকিস্তান   সড়ক দুর্ঘটনা   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন বাইডেন

প্রকাশ: ১১:৪৯ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত ও জাপানকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেনোফোবিক বলতে অন্য দেশের মানুষ বা অভিবাসীদের প্রতি ভীতি বা নেতিবাচক মনোভাবকে বোঝায়। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানায় বলে তাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এদিকে চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয় বলে দাবি করেন বাইডেন।

মূলত চীন, রাশিয়ার সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে ভারত ও জাপানকে জেনোফোবিক আখ্যা দেন জো বাইডেন।

বাইডেন বলেন, আমাদের অর্থনীতি কীভাবে এগিয়ে চলেছে। কারণ আমরা অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানাই। চীনের অর্থনীতির হাল কেন এত খারাপ। জাপানে এত সমস্যা কেন। কেন রাশিয়া ও ভারতেরও এই হাল? কারণ তারা সবাই জেনোফোবিক। তারা অভিবাসীদের চায় না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প একদিকে যেখানে অভিবাসনবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেখানে ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থি।

বাইডেনের সমালোচনামূলক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটন গিয়েছিলেন। সে সময় যক্তরাষ্ট্র-জাপান জোটকে 'অলঙ্ঘনীয়' বলে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন।

তাছাড়া মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত বর্তমানে দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ জানায়, নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে বাইডেন কোনো দেশের অপরাধের কথা বলেননি।

বাইডেনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করছেন অনেকে। ট্রাম্প প্রশাসনের সবেক উপ-সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব এলব্রিজ কোলবি বলছেন, জাপান ও ভারত আমাদের দুটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের কথা বলা উচিত।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন অভিবাসী নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়েই বাইডেন এসব কথা বলেছেন। কোনো দেশকে তিনি অবমূল্যায়ন করেননি।


ভারত   জাপান   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বলে জানিয়েছেন একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা।

শুক্রবার (৩ মে) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন সেনাদের সঙ্গে মেলা-মেশা করছেন না রুশ সেনারা। তবে নাইজারের রাজধানী নিয়ামে ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ এর একটি পৃথক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন তারা।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, নাইজারের কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে ৬০ জনের মতো রুশ সেনা নাইজারে থাকবেন। তবে এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেননি তিনি।

আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে আল-কায়েদা ও আইএসআইএল প্রভাবিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয়ে নাইজারের মরুভূমির শহর আগাদেজে এই বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করেছিল। রাজধানী নিয়ামে থেকে প্রায় ৯২০ কিলোমিটার দূরের এ বিমানঘাঁটিটি মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন নজরদারি ফ্লাইট এবং অন্যান্য অপারেশনের জন্য এতদিন ব্যবহার করে আসছিল মার্কিন সেনারা।

২০২৩ সালের ২৬ জুলাই এক অভ্যুত্থানে নাইজারের পশ্চিমাপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। তারপর একের পর এক পশ্চিমবিরোধী পদক্ষেপ নিতে থাকে জান্তা সরকার। সামরিক সরকারের সঙ্গে জনগণ যোগ দিলে সেপ্টম্বরে নাইজার থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে মার্কিন মিত্র ও নাইজারের সাবেক উপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল এবং নাইজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলি মহামান লামিন জেইনের মধ্যকার আলোচনার পর নাইজার থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছে। এসব সেনাকে জার্মানি পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছে বাইডেন প্রশাসন।


মার্কিন ঘাঁটি   রুশ সেনা   নাইজার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

শহরের আল-জুহুর আশপাশে আঘাত হানা হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াফা নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাফাহ শহরের পশ্চিমে তাল আল সুলতানপাড়ায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মধ্য গাজার বুরেজ ক্যাম্প লক্ষ্য করে বোমা হামলায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ নগরীতে অভিযান চালানো হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মঙ্গলবার গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা চলার মাঝে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন। 

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৯৬ জনে। এ ছাড়া ইসরাইলি বর্বর আক্রমণে আরও ৭৭ হাজার ৮১৬ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৫১ জন আহত হয়েছেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন